Blog

  • স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে দেশবিরোধীদের প্রতিহত করতে হবে:সাবেক (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির

    স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে দেশবিরোধীদের প্রতিহত করতে হবে:সাবেক (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আজম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠন করার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিনিময়ে হাজারো মা-বোনের ইজ্জতে এ দেশ। এ দেশে সকল ধর্মের সকল গোত্রের মানুষ বসবাস করবে এটা ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। দেশবিরোধী একটি গোষ্ঠী ভাস্কর্যকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামাতের সাথে জোট বেঁধে দেশে অরাজকতা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে, দেশ ও স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে মাথা ছাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া যাবে না।

    আজ বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুপুরে চট্টগ্রাম থিয়েটার হলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চলনায় সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী, সহসভাপতি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, সহসভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, আলতাফ হোসেন বাচ্চু, কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের সহসভাপতি শফর আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ সম্পাদক মশিউর রহমান ,ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. হোসেন, চট্টগ্রাম নগর শ্রমিকলীগের সভাপতি বখতেয়ার উদ্দীন খান প্রমুখ।

  • আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুর কারণ সরকারকে অনুসন্ধান করতে হবে: মুফতী ফয়জুল্লাহ

    আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুর কারণ সরকারকে অনুসন্ধান করতে হবে: মুফতী ফয়জুল্লাহ

    মোঃরাকিব”বিশেষ প্রতিনিধি

     

    আল্লামা আহমদ শফীর রহ. এর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না বলে দাবি করে তদন্তের দাবি করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব এবং ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ। ১৬ ডিসেম্বর ( বুধবার ) সকালে চট্টগ্রামে আল্লামা শাহ আহমদ শফীর জীবনকর্ম, অবদান শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় বক্তব্যদানকালে তিনি এ কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম নগরীর প্রেসক্লাবে আল্লামা আহমদ শফীর অনুসারীরা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। মতবিনিময় সভায় আল্লামা শফীর ছেলে আনাস মাদানী, হেফাজতে ইসলামের সাবেক কমিটির যুগ্ন সচিব মাইনুদ্দিন5 রুহী, মাওলানা সলিমুল্লাহসহ শফীপন্থী আরও নেতৃবৃন্দ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

    আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন মুফতি ফয়জুল্লাহ। তিনি বলেন, এখন থেকে আমরা সামনে যাবো, পেছনের দিকে যাবো না। যারা ষড়যন্ত্র করেছে, মিথ্যাচার করেছে, অর্থের যোগান দিয়েছে, তারাই হেফাজতে ইসলামের মূল শত্রু। আমাদের আন্দোলনকে যেমন সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে, তেমনি যেকোনো ধরনের ত্যাগ স্বীকার করার জন্য আলেম-ওলামাদের স্বর্বদাই প্রস্তুত থাকতে হবে।

    তিনি আরও বলেন, ঢাকায় ফটিকছড়ি কিংবা হাটহাজারীতে কারা ষড়যন্ত্র করেছে সঠিক সময় আসলেই জাতির কাছে আমরা সব প্রকাশ করব। আল্লামা আহম্মদ শফীর মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান নিয়ে সরকার যদি উদ্যোগী না হয়। তাহলে মানুষ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবে।

    এ ছাড়াও ২০১৩ সালে শাপলা চত্বর কান্ডে এককভাবে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী দায়ী বলেও দাবি করেন মুফতী ফয়জুল্লাহ।

    ঐ অনুষ্ঠানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাইনুদ্দিন রুহী অভিযোগ করে বলেন, পরিকল্পনা করে আল্লামা আহমদ শফীকে হত্যা করা হয়েছে। এই ন‍্যাক‍্যার জনক ঘটনার সাথে যারা জড়িত, তাদের বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে।

    মাইনুদ্দিন রুহী বলেন, বর্তমান হেফাজতের ইসলামের ১৫১ কমিটির মধ্যে জুনায়েদ জুনায়েদ বাবুনগরীর ২২ জন আত্মীয় স্বজন রয়েছে। জমিয়াতুল ওলামায়ে ইসলাম নামে একটা দলের ৩৭ জন স্থান পেয়েছে বাবুনগরীর এই কমিটিতে। হেফাজতের বর্তমান তথাকথিত কমিটি একটা স্বজনপ্রীতির ফসল বলেও দাবি করেন তিনি। ক্ষমতাকে পাকাপুক্ত করতে জুনায়েদ বাবুনগরী নিজের পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের থেকে ২২ জনকে হেফাজতের কমিটিতে রেখেছেন বলেও উল্লেখ করেন মইনুদ্দীন রুহী।

    ঐ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের অভিযোগ, আল্লামা শফির ওপর তিলে তিলে নির্যাতন করা হয়েছে। গৃহবন্দি করে তিলে তিলে নির্যাতনের মাধ্যমে শাহাদাত বরণ করতে বাধ্য করা হয়েছে। খাবার, ওষুধ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ ছিল। এটাই হত্যার মূল কারণ।

    এ অনুষ্ঠানে মাওলানা সলিমুল্লাহ বলেন, ৫ মের শাপলা চত্বরের ঘটনার জন্য পুরোপুরি দায়ী জুনায়েদ বাবুনগরী। সেদিন আল্লামা শফি মুখ ফুটে কোনো শব্দ বলেনি। শাপলা চত্বরে অনুষ্ঠান ৬টায় শেষ করে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু বর্তমান হেফাজত আমিরের নিজের ইচ্ছায় শাপলা চত্বরের অবস্থান দীর্ঘায়িত করেন। শাপলা চত্বরে যারা আহত হয়েছিল তাদের জন্য ফান্ড গঠন করার কথা ছিল। কিন্তু বাবুনগরীর খামখেয়ালির কারণে সেটিও করা হয়নি বলে অভিযোগ মাওলানা সলিমুল্লাহর।

  • আনোয়ারায় বিজয় দিবস উদযাপনে বর্ণাঢ্য র‍্যালি

    আনোয়ারায় বিজয় দিবস উদযাপনে বর্ণাঢ্য র‍্যালি

    মুহাম্মদ আমজাদ হোসেন,আনোয়ারা(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

     

    স্বাধীন বাংলাদেশের ৪৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে ইসলামী ফ্রন্ট, যুবসেনা ও ছাত্রসেনা’র যৌথ উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ১৬ই ডিসেম্বর (বুধবার) বিকেলে উপজেলার চাতরী চৌমুহনী চত্ত্বর থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক পদক্ষিন করে হাফেজ আবদুর রহিম’র সভাপতিত্বে ও দেলোয়ার হোসেন’র সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ইসলামী ফ্রন্ট’র সাবেক সভাপতি জননেতা কাজী বদরুজ্জামান নঈমী।
    উপজেলা নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সেক্রেটারি মাষ্টার আবদুল হালিম, জননেতা মুজিবুর রহমান, হাফেজ আবদুর রহিম, মাওলানা মনির আহমদ, নাজিম উদ্দীন, ফিরোজ মিয়া, মোরশেদ আলম মুন্সী, মাষ্টার নুরুল ইসলাম, যুবনেতা নাজিম উদ্দীন, মনিরুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, ইফতেখার হোসাইন, জাহেদুল হক, আজিজুর রহমান, ছাত্রনেতা আলী জিন্নাহ, ফরহাদুল ইসলাম, নাছির উদ্দীন, ইসমাঈল হোসেন, নেজাম উদ্দীন প্রমুখ।

    এতে বক্তারা সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে ইসলামী ফ্রন্ট, যুবসেনা ও ছাত্রসেনার কর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
    পরিশেষে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মুনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্তি হয়।

  • নলছিটির শুরু হলো ইরি ধানের রোপন

    নলছিটির শুরু হলো ইরি ধানের রোপন

    মোঃরাকিব”নলছিটি উপজেলা প্রতিনিধ

     

    ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলা। এই উপজেলাটি প্রাচীনকাল থেকেই বিখ্যাত ছিল ধান চাষের জন্য। তন্মধ্যে আন‍্যতম ছিল রোপা আমন, আউশ ও ইরি ধান। ইরি ধান উৎপাদনে দেশের বিখ্যাত এই অঞ্চলটি।

    তবে এই অঞ্চল বতর্মানে সবচেয়ে বিখ্যাত ইরি ধান চাষে। ইরি ধান রোপন করা হয় বাংলা পৌষ-মাঘ মাসের দিকে এবং ইংরেজি ডিসেম্বর-জানুয়ারির দিকে। আর এখনই সেই সময়। ইতোমধ্যেই অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়ে গেছে ইরি ধান রোপন। জমজমাট ভাবে চলছে এই কাজ।

    অত্র অঞ্চলের কৃষকরা ধান উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা যেভাবে মেটায়। ঠিক সেভাবে দেশের অন্য অঞ্চলের বিশেষ করে শহরের চাহিদা মেটাতেও ব‍্যাপক ভূমিকা পালন করে।

    তবে এই অঞ্চলের কৃষকদের অভিযোগ এত করে ধান উৎপাদন করেও শেষ পযর্ন্ত সঠিক মূল্য পাননা তারা। সরকারও তেমন কোনো উদ্যোগ নেননা ধান ক্রয় করার। যা উদ্যোগ নেন তা মুষ্টিমেয় কিছু মহল তাদের পছন্দের লোকদের কাছ থেকে কিনে নেন। যার ফলে বঞ্চিত হয় গরীব কৃষকরা।

    নলছিটি উপজেলার কুশংগল ইউনিয়নের কোকিলা গ্রামের বাসিন্দা কৃষক মোঃ নূর ইসলাম জানান, ধান উৎপাদনে যে পরিমান খরচ হয় সে পরিমাণ লাভবান তারা হতে পারেননা।

    তিনি বলেন, বর্তমানে ধান বীজ থেকে শুরু করে সার, কীটনাশক সবকিছুতেই মাত্রাতিরিক্ত দাম। এখন একজন লোককে কাজে নিলে তাকে দিতে হয় কমপক্ষে পাঁচশত টাকা। কখনও কখনও ছয়শত টাকাও দিতে হয়। কিন্তু যখন ধান বিক্রি করতে যাই তখন ধানের কাঠি বিক্রি করতে হয় মাত্র চারশত টাকা বা তার চেয়ে একটু বেশিকম। তাই খরচ সংকুলান হয় ওঠে না তাদের।

    স্থানীয় আরও বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বললে তারা দাবি জানান, সরকার যেন মাঠ পর্যায়ে ধান ক্রয় বাস্তবায়ন করে। যাতে তাদের মতো গরীব কৃষকরা একটু হলেও লাভবান হতে পারেন।

  • আল্লামা শফী রহ. কে হত্যার অভিযোগে মামলা মামুনুল হক সহঃআসামী ৩৬ জন

    আল্লামা শফী রহ. কে হত্যার অভিযোগে মামলা মামুনুল হক সহঃআসামী ৩৬ জন

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    আল্লামা শফী রহ. কে হত্যার অভিযোগে মামলা : আসামী ৩৬ জন
    হেফাজতে ইসলামের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা আমির, বাংলাদেশের সর্বপ্রভাবের আলেম, হাটহাজারী মাদরাসার সাবেক মহাপরিচালক আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী রহ. কে হত্যার অভিযোগে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিভিন্ন দায়িত্বশীসহ প্রায় ৩৬ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    আজ বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর ২০) সকালে চট্টগ্রামে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ মামলা করেন আল্লামা আহমদ শফী রহ. এর শ্যালক মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন।
    বাদির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবু হানিফ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।
    মামলায় বিশেষভাবে আসামী রয়েছেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দায়িত্বশীল। এর মধ্যে রয়েছেন মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির, মীর ইদ্রিস, হাবিব উল্লাহ, আহসান উল্লাহ, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, জাকারিয়া নোমান ফয়েজী, নুরুজ্জামান নোমানী, আব্দুল মতিন, মো. শহীদুল্লাহ সহ আরও অনেকে। আসামীদের সবার তালিকা এখনও গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়নি।
    তবে মামলার বিষয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    এর আগে বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে প্রয়াত শাহ আহমদ শফীর জীবনকর্ম, অবদান শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় আল্লামা শফিকে হত্যার অভিযোগ তুলেছিলেন হেফাজত ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ ও মাওলানা মাইনুদ্দীন রুহী।

    তারা দাবি করে বলেন, ‘হুজুরের জীবদ্দশায় হাটহাজারী মাদরাসায় হামলা ও ভাংচুর করা হয়। হুজুরের ওপর নির্যাতন করা হয়। গৃহবন্দী করে উনার খাবার-ওষুধ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। হুজুর অসুস্থ হয়ে পড়লে উনাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স আসতে বাধা দেওয়া হয়। এভাবে নির্যাতন করে আহমদ শফী হুজুরকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে এবং রাতে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।’

    সেই সেমিনারে বক্তারা আল্লামা শফী রহ. এর হত্যা নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকারী ও হত্যার পরিকল্পনাকারীদেরও চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়ে রুহী বলেন, ‘আহমদ শফী হুজুরকে হত্যার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করা এবং বিচারের মুখোমুখি করা সরকারের দায়িত্ব। তদন্ত হোক, অসুবিধা কি? তদন্ত হলে কাদের এত ভয় ! সমস্যাটা কোথায়?’

    এ সেমিনারে আল্লামা শাহ্ আহমদ শফীপূত্র মাওলানা আনাস মাদানীসহ আল্লামা শফী রহ. এর অনুসারীদের মধ্যে আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

  • দেশবাসীকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ড. নদভী এমপি

    দেশবাসীকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ড. নদভী এমপি

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    ৪৯ তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া সহ সমগ্র দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম-১৫(সাতকানিয়া লোহাগাড়া) আসনের সংসদ সদস্য,প্রফেসর ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি।
    তিনি বলেন, “১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনে নিজেদের বুকের রক্ত দিয়ে মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার আদায় করে নেয়া বাঙালি আর রাজপথ ছাড়েনি। পাকিস্তানি অপশাসনে নিপীড়িত, অত্যাচারিত এদেশের আপামর মানুষ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব দীর্ঘ সংগ্রামের পথ বেয়ে অবশেষে ১৯৭১ সনের মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

    তিনি আরো বলেন, ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম’। ১৯৭১ সনের ৭ মার্চে রেসকোর্স ময়দানের জনসমাবেশে দেয়া বঙ্গবন্ধুর এই ঘোষণাকে হৃদয়ে ধারণ করে দীর্ঘ নয় মাসের প্রাণপণ লড়াই শেষে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল এ জাতি।

    ১৯৭১ সনের ২৫ মার্চের কাল রাত্রি থেকে শুরু হয়ে মুক্তিযুদ্ধের পরিসমাপ্তি তথা স্বাধীন র্সাবভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে ১৬ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পনের মধ্য দিয়ে। আজ এই মহান বিজয়ের দিনে আমি সশ্রদ্ধাচিত্তে স্মরণ করছি ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দুইলক্ষাধিক সম্রম হারানো মা-বোনকে। শ্রদ্ধা জানাচ্ছি অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধাদের।

  • আল্লামা নূর হুসাইন কাসেমী স্মরনে নেজামে ইসলাম পার্টির দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

    আল্লামা নূর হুসাইন কাসেমী স্মরনে নেজামে ইসলাম পার্টির দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    দেশের অন্যতম শীর্ষ আলেম, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এর মহাসচিব, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার সিনিয়র সহ-সভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী স্মরনে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির উদ্যোগে আজ এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে মরহুমের রুহের মাগফেরাত এবং দরাজাত বুলন্দী কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার।

    সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর ইন্তেকালে বাংলাদেশের ইসলামী অঙ্গনের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে তা কখনোই পূরণ হবার নয়। আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী দেশ জাতির অধিকার এবং ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় যে অবদান রেখেছেন তা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

    পার্টির সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্টির সহকারী মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, পার্টির সংগঠন সচিব ও ঢাকা মহানগর আমীর হাফেজ মাওলানা আবু তাহের খান, দপ্তর সচিব মুফতি দীনে আলম হারুনী, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সহকারী প্রচার সম্পাদক মুফতি এবিএম শরীফুল্লাহ, হেফাজত নেতা মাওলানা মাহবুব বিন আনাস, পার্টির মহানগর নেতা মাওলানা জহিরুল ইসলাম, মুফতী মুহিউদ্দীন, ইসলামী ছাত্র সমাজের সভাপতি আতিকুর রহমান সিদ্দিকী, মহাসচিব ইহতিশামুল হক পাখি, ছাত্র নেতা রাজু আহমেদ প্রমুখ।

  • আসন্ন চসিক নির্বাচনকে সামনে রেখে মেয়র প্রার্থীর সাথে ইশা নেতৃবৃন্দের বিশেষ বৈঠক

    আসন্ন চসিক নির্বাচনকে সামনে রেখে মেয়র প্রার্থীর সাথে ইশা নেতৃবৃন্দের বিশেষ বৈঠক

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    নির্বাচন কমিশন কর্তৃক স্থগিত থাকা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আগামী ২৭ জানুয়ারি’২১ অনুষ্ঠিত হবে বলে আজ (১৪ ডিসেম্বর-২০২০) ঘোষিত হয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী হাতপাখার মেয়র প্রার্থী এবং নগর আন্দোলনের সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মাদ জান্নাতুল ইসলাম এর সাথে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের একটি প্রতিনিধি দল রাত ৮ টায় বিশেষ বৈঠকে মিলিত হয়।

    উক্ত বৈঠকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে সারগর্ভ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি রিদওয়ানুল হক শামসীর নেতৃত্বে উক্ত বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি মুহা. তানভীর হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক মুহা. নাজিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহা. জিল্লুর রহমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহা. আব্দুর রহমান রবিন, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক সাইফুদ্দিন মুহাম্মাদ এমদাদ।

    মেয়র প্রার্থী এসময় প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

    বার্তা প্রেরক
    মুহা. ইব্রাহিম খলিল
    প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক
    ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর।

  • আনোয়ারা হাজীগাঁও কটন মিলে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ) মাহফিল অনুষ্ঠিত

    আনোয়ারা হাজীগাঁও কটন মিলে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ) মাহফিল অনুষ্ঠিত

    আনোয়ারা (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি

     

    চট্টগ্রাম আনোয়ারা উত্তর হাজীগাঁও কটন মিলের পশ্চিমে হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রদ্বিঃ) স্মৃতি সংসদের ব্যবস্থাপনায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ) উদযাপন ও ফাতেহায়ে ইয়াজদাহুম উপলক্ষে আজিমুশ শান মিলাদ মাহফিল ১৩ই ডিসেম্বর (রবিবার) বারখাইন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য জনাব আলী আজগর মেম্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত মাহফিলে মেহমানে আ’লা হিসাবে তশরিফ আনেন,ওষখাইন আলী নগর দরবার শরীফ আনোয়ারা চট্টগ্রামের পীরে ত্বরিকত হাফেজ ক্বারী মৌলানা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ছিদ্দিকী ওষখাইনগিরি (ম.জি.আ)

    প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,আল আমিন বারীয়া দরবার শরীফের নায়েবে শাজ্জাদানশীন হযরতুলহাজ্ব আল্লামা মুফতি সৈয়্যদ মোহাম্মদ মোকারম বারী ছাহেব।

    এতে শত শত আশেকান ও নবী (ﷺ) প্রেমিক ওলী-আউলিয়া প্রেমিক গণের উপস্থিতিতে মিলাদ কিয়াম মুনাজাতের মধ্য দিয়ে মাহফিল সমাপ্তি হয়।

  • সংরক্ষণের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে পরৈকোড়া জমিদার বাড়ির ঐতিহ্য

    সংরক্ষণের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে পরৈকোড়া জমিদার বাড়ির ঐতিহ্য

    আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

     

    চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ৯নং পরৈকোড়া ইউনিয়নটি ছিল একসময় উপজেলার সবদিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এই ইউনিয়নে এককালে ছিলেন ৯ জন বড় বড় জমিদার। তাদের মধ্যে যোগেস চন্দ্র রায় বাহাদুর ও প্রসন্ন কুমার ছিলেন অন্যতম। পুরো চট্টগ্রামে ছিল তাদের জমিদারির বিস্ততি। একসময় যখন দেশের কোথাও বিদ্যুৎ ছিলনা তখন এই পরৈকোড়াতেই জমিদার প্রসন্ন কুমারের বাড়িতে জেনারেটরের সাহায্যে জ্বলত বৈদ্যুতিক বাতি। প্রজাবৎসল হিসেবে এসব জমিদারের ছিল সুখ্যাতি। প্রজাদের সুবিধার্তে এ ইউনিয়নে খনন করেছিলেন তারা অসংখ্য দিঘী, নির্মাণ করেছিলেন হাট-বাজার, ব্রিজ- কালভার্ট, রাস্তা-ঘাট, বিদ্যালয়সহ অনেক কিছু। আজ সেইসব স্থাপনা আর কীর্তি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পুরোপুরি হারিয়ে যেতে বসেছে।

    জানা যায়, বৈদ্য বংশের প্রখ্যাত জমিদার যোগেশ চন্দ্র রায়ের পূর্ব পুরুষ ছিলেন দেওয়ান বৈদ্য নাথ। ১৬শ শতকে  এদের জমিদারির গোড়াপত্তন। তার দুইটি জমিদারি, বহু হাট-বাজার, দিঘী আজো কীর্তি হয়ে আছে। চট্টগ্রামের দেওয়ান বাজার, দেওয়ানজী পুকুর পাড়, দেওয়ান হাট আজো তার নামের সাক্ষী বহন করে। তার পুত্র জমিদার হরচন্দ্র রায়ের দত্তক পুত্র ছিলেন গিরিশ চন্দ্র রায়। মাত্র ২৭ বছর বয়সে তিনি মারা গেলে তার স্ত্রী নয়নতারা রাউজান উপজেলার কৈলাশচন্দ্র চৌধুরীর ৮ বছরের পুত্র যোড়সাকে দত্তক নিয়ে তার নাম রাখেন যোগেষ চন্দ্র রায়। ১৮৯০ সালের ১৪ জুলাই নয়নতারা মৃত্যুবরণ করলে জমিদারির দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। তিনি ছিলেন শিক্ষানুরাগী, প্রজা বৎসল এক জমিদার। সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে পরৈকোড়া ইউনিয়নে তিনি যাতায়াতের সুবিধার্তে মুরালি খালের উপর নির্মাণ করেন একটি প্রশস্ত ব্রিজ। প্রতিষ্ঠা করেন লালানগর বাজার। মানুষের চিঠিপত্র আদান প্রদানের জন্য নির্মাণ করেন পোষ্ট অফিসও। তাছাড়া এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বহু পাকা সড়ক এবং নির্মাণ করেন একটি হাসপাতাল।

    জানা গেছে, ব্রিটিশ সরকারের সময় স্থাপিত বর্তমান আনোয়ারা থানাও তৎকালীন সরকার এই পরৈকোড়াতেই স্থাপন করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু জমিদার যোগেশ চন্দ্র  ‘থানার ধারে কানাও ঘেঁষেনা’ এই কথা বলে তা ফিরিয়ে দেন।

    শিক্ষানুরাগী এ জমিদার এ অঞ্চলের মানুষের লেখাপড়ার উন্নয়নে ছিলেন খুবই আন্তরিক। তিনি পরৈকোড়া ইংরেজী স্কুলকে নয়নতারা উচ্চ বিদ্যালয়ে রূপান্তর করেন।
    অন্যদিকে এ ইউনিয়নের আরেক প্রভাবশালী জমিদার ছিলেন প্রসন্ন কুমার রায় বাহাদুর। সংস্কৃতিমনা এ জমিদারের সুখ্যাতি ছিল দুর দুরান্ত পর্যন্ত। চট্টগ্রাম শহরের ক্যান্টনমেন্ট এলাকা ও মহেশখালীতে ছিল তার বিরাট জমিদারি। তিনি একাধারে সংস্কৃতিমনা, শিক্ষানুরাগী, প্রজাবৎসল এবং বহু গুণের অধিকারী ছিলেন। বিশেষ করে তার সংস্কৃতিমনা গুণের কথা সর্বজনবিদিত। তার জমিদারির সময় সুদুর কলকাতা থেকে আসতেন শিল্পীরা। মাসব্যাপী চলত নানারকম সাংস্কৃতিক আয়োজন। প্রজাদের যাতায়াতের সুবিধার্তে তিনি চট্টগ্রাম শহর থেকে পটিয়ার কালারপুল হয়ে আনোয়ারার চানখালী পর্যন্ত দীর্ঘ ২৫ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ করেন। বুড়া ঠাকুর  দীঘির দক্ষিণ ও পশ্চিম পাড়ের জমিটি তিনিই নয়নতারা উচ্চ বিদ্যালয়ে দান করেছিলেন। ১৩৫০ বাংলা সনের ১২ মাঘ তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর তার বংশধররা দীর্ঘদিন নয়নতারা উচ্চ বিদ্যালয়টি সুনামের সাথে পরিচালনা করেন। এক কথায় এসব প্রজাবৎসল জমিদারদের নানারকম জনহিতকর কাজ- কর্মের কারণে তৎকালে পরৈকোড়া ইউনিয়ন ছিল শিক্ষা দীক্ষা, যোগাযোগ, খেলাধুলা আর সাংস্কৃতিতে অন্যান্য অঞ্চলের চাইতে শতগুন এগিয়ে। কিন্তু এসব জমিদারের মৃত্যুর পর সরকারি বেসরকারি উদ্যোগ না থাকায়  তাদের কীর্তিও রেখে যাওয়া সম্পদ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।

    আবু সাঈদ বলেন-যদি ভালভাবে সংরক্ষণ করে জমিদার বাড়িগুলো বসবাস উপযোগী করে তাহলে এখন মানুষ যে হারে এই জমিদার বাড়িগুলোকে দেখার জন্য যায় বা যাচ্ছে তাহলে ভবিষ্যতে এই বাড়িগুলো প্রাচীন নিদর্শন হিসাবে দেখার জন্য অনেক পর্যটক ছুটে আসবেন বলে আমি মনে করি।