Blog

  • ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা নেতা আটক।।। উখিয়া ভয়েস

    ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা নেতা আটক।।। উখিয়া ভয়েস

     

    শুক্রবার ৪ ডিসেম্বর রাত ১১ টা ২০ মিনিটের দিকে সাড়ে ৩ হাজার পিচ ইয়াবা সহ উখিয়া থানা পুলিশ এক অভিযান চালিয়ে এক রোহিঙ্গা নেতাকে আটক করেছে। পরে রোহিঙ্গা মাদককারবারী আজিজ উল্লাহ’র কাছ থেকে উদ্ধার করা ৩৫০০ পিস ইয়াবা টেবলেট উপস্থিত স্থানীয় জনগন ও সাক্ষীদের সামনে জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করা হয় বলে উখিয়া থানা সুত্রে জানা গেছে।

    আটককৃত রোহিঙ্গা ইয়াবাকারবারীর নাম আজিজ উল্লাহ (৪৭)। সে উখিয়ার থাইংখালী ঘোনাপাড়া ১৯ নম্বর শরনার্থী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আবুল হোসেন ও সাহারা খাতুনের পুত্র। তার এফসিএন নং-২৮২৪৪৩। সে ব্লক নং-এ/১৭ এর হেড মাঝি। গ্রেফতারকৃত রোহিঙ্গা আসামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

  • উখিয়া প্রেস ক্লাবের নির্বাচন সম্পন্নঃ নির্বাচিত হলেন যারা

    উখিয়া প্রেস ক্লাবের নির্বাচন সম্পন্নঃ নির্বাচিত হলেন যারা

    মোঃ শহিদ উখিয়া।

     

    সকল জল্পনা- কল্পনার অবসান ঘটিয়ে উখিয়া প্রেসক্লাব নির্বাচন সুষ্টু ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ৫ই ডিসেম্বর শনিবার উৎসবমুখর পরিবেশে সকাল ৯টা দুপুর ২টা অবধি ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

    উখিয়া প্রেসক্লাব সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন এস এম আনোয়ার হোসাইন (১৩ভোট ) তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি রফিক উদ্দিন বাবুল (৮ ভোট), সরওয়ার আলম শাহীন (৫), রফিকুল ইসলাম (৩) এড. আবদুর রহিম (৩) ভোট পেয়ে সহ – সভাপতি নির্বাচিত পদে সাইফুর রহিম শাহীন ও হুমায়ুন কবির জুশান (১৪) ভোট করে পেয়ে উভয় নির্বাচিত হয়েছেন।
    এতে লটারির মাধ্যমে দুজন ১ বছর করে দায়িত্ব পালন করার সুযোগ পেয়েছেন। সেক্ষেত্রে হুমায়ুন কবির জুশান প্রথম বছর এবং সাইফুর রহিম শাহীন পরবর্তী বছর দায়িত্ব পালন করবেন।

    সর্বোচ্চ ২৩ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কমরুদ্দিন মুকুল তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন এইচ সেলিম উল্লাহ ও রতন কান্তি দে। সহ- সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন আমানুল হক বাবুল।

    অন্য নির্বাচিতরা হলেন অর্থ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ চৌধুরী (২২), সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক : কাজি হুমায়ুন কবির বাচ্চু। দপ্তর সম্পাদক মাহমুদুল হক বাবুল।

    সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন হানিফ আযাদ (২৬ ভোট ) , ফারুক আহমদ ( ২২ ভোট ), ওবাইদুল হক চৌধুরী (১৯ ভোট ) নুর মুহাম্মদ শিকদার ( ১৮ ভোট)।

    নব নির্বাচিত সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তাদের প্রতি আস্তা রাখার জন্য।

  • এসএনডিসি ভোলা জেলা শাখার আয়োজনে ফ্রি মাস্ক,সাবান ও লিফলেট বিতরন কর্মসূচী পালিত

    এসএনডিসি ভোলা জেলা শাখার আয়োজনে ফ্রি মাস্ক,সাবান ও লিফলেট বিতরন কর্মসূচী পালিত

    সাহিদুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধি

     

    শুক্রবার বেলা ১১ ঘটিকার সময়
    এসএনডিসি বাংলাদেশ এর ভোলা জেলা শাখার আয়োজনে,ভোলা প্রেস ক্লাব এর সামনের রাস্তায় এবং বাংলা স্কুল মোড়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ফ্রি মাক্স সাবান ও লিফলেট বিতরন করা হয়েছে।

    এই কর্মসূচির মাধ্যমে সকল মানুষের মাঝে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সর্বদা বাহিরে থাকা কালীন সময় মাক্স পরে থাকা এবং নিজে সুস্থ থাকা সমাজের সকলকে সুস্থ রাখা বিষয়ে, সচেতন করা হয়।
    এই সময় উপস্থিত ছিলেন এসএনডিসি বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানজীল ইসলাম শুভ,
    কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি,ডালিম, সার্বিক তত্তাবধানে-জয়ন্ত চন্দ্র সোমদ্দার,এসএনডিসি ভোলা জেলা শাখার প্রতিনিধি মোঃ আকাইদ হোসেন, এসএনডিসি
    ভোলা শাখার সদস্য আরিফুল হাসান,জাকিয়া আক্তার ইতু,রাকিব হোসেন,ইস্রাফিল,ফারহান আহমেদ (সুমন),ইমাম হাসান,পলাশ চন্দ্র ভক্ত,স্বাধীন ইসলাম নিলয়,রিয়াজুল ইসলাম,আবুল হাসনাত প্রমুখ।

  • আনোয়ারায় মুরুব্বীদের ইছালে সাওয়াবের নিয়্যতে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত

    আনোয়ারায় মুরুব্বীদের ইছালে সাওয়াবের নিয়্যতে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত

     

    মুহাম্মদ আমজাদ হোসেন,আনোয়ারা (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধিঃ-

    চট্টগ্রাম আনোয়ারা উপজেলায় ৯নং পরৈকোড়া ইউনিয়নে মামুরখাইন গ্রামে মরহুম
    হাজী ফয়েজুর রহমান চৌধুরী, মোহাম্মদ আলী মিয়া চৌধুরী, মোছাম্মৎ গোলবাহার বেগম, হাজী আব্বাস উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, মোঃ আবু জাফর চৌধুরী, মোহাম্মদ হাসান রফিক চৌধুরী, আবু জাহেদ মোহাম্মদ মাসরুরুল হদা চৌধুরী র ইছালে সওয়াবের নিয়্যতে আজিমুশসান মিলাদ মাহফিল পালিত হয়।

    ৩রা ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, সমাজ সেবক, মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে মামুরখাইন মোহাম্মদ আলী মিয়া চৌধুরীর বাড়ীতে ইছালে সওয়াবের নিয়্যতে মিলাদ মাহফিল মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে প্রধান বক্তা হিসেবে তকরির পেশ করেন-মোজাহের উলুম মাদ্রাসার পরিচালক হযরতুল আল্লামা আলহাজ্ব লোকমান হাকিম (মাঃজিঃআঃ),
    বিশেষ বক্তা হিসেবে তকরির পেশ করেন কর্ণফুলী শাহমীরপুর মাদ্রাসার সম্মানিত পরিচালক হযরতুল আল্লামা আলহাজ্ব ক্বারী নুরুল্লাহ্ (মাঃজিঃআঃ)।

    অন্যন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন -হযরত মাওলানা আব্দুল আলীম সাহেব,হযরত মাওলানা আজিজুল হক সাহেব,হযরত মাওলানা মোঃ ইলিয়াছ সাহেব,মাওলানা রেজাউল করিম সাহেব,মাওলানা ওহিদুল হক সাহেব,মাওলানা মোস্তাক আহমেদ সাহেব, মাওলানা বেলাল সাহেব প্রমুখ।

  • কোরআন ও হাদীসের আলোকে ভাস্কর্য বা মূর্তি নির্মাণ হারাম: শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম

    কোরআন ও হাদীসের আলোকে ভাস্কর্য বা মূর্তি নির্মাণ হারাম: শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম

    মোঃ রাকিব,বিশেষ প্রতিনিধি

     

    কোরআন এবং হাদিসের আলোকে মূর্তি বা ভাস্কর্য নির্মাণ হারাম বলে দাবি করেছেন দেশের শীর্ষ আলেম ও মুফতিরা। একইসঙ্গে তারা বলেছেন, এসব মূর্তি-ভাস্কর্য ভাঙার দায়িত্ব সরকারের।

    গতকাল ৩ ডিসেম্বর ( বৃহস্পতিবার) বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে মূর্তি বা ভাস্কর্য স্থাপন নিয়ে জনমনের বিভ্রান্তি নিরসনে দেশের শীর্ষ আলেম ও মুফতিদের ফতোয়া প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ঐ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দেশের শীর্ষ আলেমরা।

    উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি উদ্যোগে ভাস্কর্য নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এই ভাস্কর্য নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

    কেউ বলছেন ভাস্কর্যের পক্ষে আবার কেউ বলছেন ভাস্কর্যের বিপক্ষে। এ নিয়ে পাল্টা পাল্টিভাবে জবাব চলছে। ফলে জাতীয়ভাবে এ সংক্রান্ত জিজ্ঞাসার সৃষ্টি হয়েছে।

    ভাস্কর্য ও মূর্তির ব‍্যাপারে শরীয়াহ বিধান নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তি।
    “ তবে সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, মূর্তি ও ভাস্কর্য জায়েজ-নাজায়েজ হালাল-হারাম সংক্রান্ত ইসলামী শরিয়তের বিধান বিষয়ক যে কেউ যেখান থেকে পারছেন মন্তব্য করছেন ও বক্তব্য দিচ্ছেন।

    তাই এভাবে ইসলামী শরিয়তের বিধান বিষয়ে সম্যক অবগত না হয়ে যত্রতত্র এ জাতীয় বক্তব্য প্রদান করা দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় এবং একটি উদ্বেগজনক বিষয়। সেই বিষয়ের উপর লক্ষ রেখে দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম ও মুফতি সাহেবদের পক্ষ থেকে ভাস্কর্য ও মূর্তি সংক্রান্ত বিতর্কিত বিষয়ে একটি সম্মিলিত ফতোয়া প্রস্তুত করা হয়েছে। ”

    শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে সম্মিলিত ফতোয়াটি উপস্থাপন করেন ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের প্রধান মুফতি এনামুল হক কাসেমী।

    লিখিত ঐ সম্মিলিত ফতোয়ায় তিনি বলেন, “মানুষ বা অন্য যে কোনো প্রাণীর ভাস্কর্য আর মূর্তির মধ্যে শরীয়ত কর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে কোনো পার্থক্য নেই। পূজার জন্য তৈরি করা না হলেও তা সন্দেহাতীতভাবে নাজায়েজ ও স্পষ্ট হারাম কাজ এবং কঠিন আজাবযোগ্য গুনাহ। এ বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট বিধানকে পাশ কাটিয়ে গিয়ে প্রাণীর ভাস্কর্য আর মূর্তির মধ্যে বানোয়াট পার্থক্য তৈরি করে প্রাণীর ভাস্কর্যকে বৈধতা দিয়ে সত্য গোপন করা স্পষ্টভাবেই কোরআন ও সুন্নাহর বিধান অমান্য করার নামান্তর। ”

    ঐ সংবাদ সম্মেলনে মুফতি এনামুল হক কাসেমী বলেন, “উপরন্তু যেখানে কোরআন ও সুন্নাহর সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে সেখানে সেই বিধানের সামনে বিভিন্ন দেশের ভাস্কর্য ও মূর্তির উদাহরণ টেনে আনা ইসলামের একটি অকাট্য বিধানের অবজ্ঞা করার শামিল। কোন মুসলিম দেশের শাসক শরিয়ত বিরোধী কাজ করলে সেটা মুসলমান জাতির জন্য অনুসরণযোগ্য নয়। তাদের জন্য একমাত্র অনুসরণীয় হচ্ছে আল কোরআন, সুন্নাহ এবং ইসলামী শরীয়ত।

    ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিট মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী, মুফতি আরশাদ রহমানি, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা এনামুল হক কাসেমী, মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মাওলানা নুরুল ইসলামসহ প্রমুখ শীর্ষ আলেমগন।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত সম্মিলিত ফতোয়ায় স্বাক্ষর করেন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ৯৫ জন মুফতি ও মাওলানা সহ বিভিন্ন ওলামায়ে কেরাম।

  • বাঁশখালী প্রেস ক্লাবের মতবিনিময় সভা চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত

    বাঁশখালী প্রেস ক্লাবের মতবিনিময় সভা চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    চট্টগ্রামের বাঁশখালী প্রেস ক্লাবের উপদেষ্টা, কাযনির্বাহী সদস্য ও সাধারণ সদস্যদের সাথে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা চট্টগ্রামস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে
    আজ বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর ২০) সকালে অনুষ্টিত হয় ।

    বাঁশখালী প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্টাকালীন সভাপতি ও উপদেষ্টা সোলতাল আহমদ আশরাফীর সভাপতিত্বে বাঁশখালী প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক দিলীপ কুমার তালুকদারের সঞ্চালনায় সভায় আলোচনায় অংশ নেন প্রেস ক্লাবের উপদেষ্টা সদস্য ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা(বাসস) এর সিনিয়র সাংবাদিক সমীর বড়ুয়া, সাংবাদিক সিরাজুল করিম মানিক , সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ খালেক, সান্টু কুমার দাশ, এয়ার মোহাম্মদ, আহবায়ক কমিটির সদস্য মোহন মিন্টু, অধ্যাপক মোহাম্মদ ইলিয়াছ বাঁশখালী প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি অনুপম কুমার অভি, বাঁশখালী প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কল্যাণ বড়ুয়া, দৈনিক চট্টগ্রাম মঞ্চ প্রতিনিধি শফকত হোছাইন চাটগামী, দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি আবু বক্কর বাবুল, দৈনিক ইত্তেফাক প্রতিনিধি শাহ মোম্মদ শফি উল্লাহ, দৈনিক সংগ্রাম প্রতিনিধি আবদুল জব্বার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাপ্তাহিক জনমতের সম্পাদক সায়েম ফারুকী, বাঁশখালী প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সমকাল প্রতিনিধি আবদুল মতলব কালু, দৈনিক জনকন্ঠ প্রতিনিধি জোবাইরুল ইসলাম চৌধুরী, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ ও দৈনিক মানবকন্ঠ প্রতিনিধি মিজান বিন তাহের, দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধি সৈকত আর্চায্য,দৈনিক ডেসটিনির প্রতিনিধি শিব্বির আহমদ রানা, দৈনিক সকালের সময় প্রতিনিধি মো: দিদার হোছাইন প্রমুখ ।

    সভায় বাঁশখালী প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্টাকালীন সদস্যদের নিয়ে ৭ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি গঠন, প্রেস ক্লাবের ২৫ বছর পুর্তি উপলক্ষে সিলভার জুবলী উদযাপন, ,নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনসহ বিভিন্ন দৈনিকে কর্মরতদের প্রেস কাবের সদস্যপদ প্রদানের জন্য আলোচনা করা হয়।

  • আরও সাড়ে ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেয়া হচ্ছে শুক্রবার

    আরও সাড়ে ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেয়া হচ্ছে শুক্রবার

    মোঃ শহিদ উখিয়া।

     

    কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রিত ৩৪টি ক্যাম্প থেকে আগ্রহী রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) রাতের মধ্যেই ৬শ’ পরিবারের ২ হাজার ৫শ’ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেয়ার কথা রয়েছে।

    শুক্রবার (আগামীকাল) আরও সাড়ে ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেয়া হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে বলে জানা গেছে।

    বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত উখিয়া কলেজ মাঠের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে প্রথম পর্যায়ে ২৫টি বাসে করে রোহিঙ্গাদের নিয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার উদ্দেশে রওনা হয়।

    প্রতি ১০টি বাসের বহরে ১টি অ্যাম্বুলেন্স ও ১টি করে পুলিশের গাড়ি রয়েছে। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে তাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৪টি জাহাজ।

    ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের প্রথমে স্ব-স্ব ক্যাম্প থেকে ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে উখিয়া কলেজ মাঠে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাঁবু ও বুথ তৈরি করে তাদের খাবার পরিবেশন করা হয়। পরে তাদের ডাটা এন্ট্রি করে বাসে তোলা হয়। রোহিঙ্গাদের বহনের জন্য শতাধিক বাস এবং ৪০টি মালাবাহী কাভার্ডভ্যান এবং ট্রাক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

    ২৩নং ক্যাম্পের মাঝি আবুল হাশেম বলেন, ভাসানচরে যাওয়ার জন্য কোনো ধরনের জোর দেয়া হচ্ছে না। যারা স্বেচ্ছায় যেতে ইচ্ছুক তাদের নেয়া হচ্ছে ভাসানচরে।

    মিজান নামে এক যুবক জানিয়েছেন, গত রাত থেকে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প থেকে উখিয়া কলেজ ক্যাম্পাসে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাদের নাস্তা ও খাবার পরিবেশন শেষে বাসে তোলা হয়। তার ধারণা প্রতিটি বাসে ৩০ থেকে ৪০ জনের মতো রোহিঙ্গা রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কতটি রোহিঙ্গা পরিবার ভাসানচরে যাচ্ছে তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি।

    এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দায়িত্বশীল কেউ এ পর্যন্ত মুখ খুলেনি। কাছে ভিড়তে দেয়া হচ্ছে না গণমাধ্যমকর্মীদের। তবে রোহিঙ্গাদের ভাসানচর নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাপক আয়োজন ও নিরাপত্তা বেষ্টনী দৃশ্যটি চোখে পড়ার মতো।

    এর আগে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর কার্যক্রম ঘিরে বঙ্গোপসাগরের এ দ্বীপটি ঘুরে আসে ২২টি এনজিও প্রতিনিধি দল।

    প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় তিন হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ভূমি থেকে চার ফুট উঁচু করে নির্মাণ করা হয়েছে শেল্টার হোম। রোহিঙ্গাদের জন্য তৈরি এ অস্থায়ী আবাসস্থল এখন শহরে পরিণত হয়েছে।

    সমাজকল্যাণ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারপারসন জেসমিন প্রেমা জানান, শুধুমাত্র আগ্রহী রোহিঙ্গাদের ভাসানচর নেয়ার কাজ করছে সরকার এবং ২২টি উন্নয়ন সংস্থা। তাদের স্থানান্তরের জন্য অর্গানাইজড হয়ে কাজ করছে সরকার। এসব রোহিঙ্গা জাহাজে উঠার পূর্বে বিভিন্ন ডাটা এন্ট্রি সাপেক্ষে বরাদ্দকৃত আশ্রয়ণের টোকেন ও চাবি হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানান।

    তিনি জানান, দ্বীপটি বাসস্থানের উপযোগী করা, অবকাঠামো উন্নয়ন, বনায়ন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দায়িত্বে রয়েছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

    সেখানে রোহিঙ্গাদের জন্য আধুনিক বাসস্থান ছাড়াও বেসামরিক প্রশাসন ও আবাসিক ভবন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় ভবন, হাসপাতাল, ক্লিনিক ও খেলার মাঠ গড়ে তোলা হয়েছে।

    অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য সেখানে মহিষ, ভেড়া, হাঁস, কবুতর পালন করা হচ্ছে। আবাদ করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি। পরীক্ষামূলকভাবে ধান চাষও করা হচ্ছে।

    প্রকল্পটিতে যেন এক লাখ এক হাজার ৩৬০ জন শরণার্থী বসবাস করতে পারেন সে লক্ষ্যে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করা হয়েছে। ১২০টি গুচ্ছগ্রামে ঘরের সংখ্যা এক হাজার ৪৪০টি।

    রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবায় দুটি ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল এবং চারটি কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে।

    এদিকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানাস্তর কার্যক্রম বন্ধের আহবান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। অপরদিকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের বিষয়ে অবগত থাকলেও তাদের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংস্থাটিকে যুক্ত করা হয়নি বলে বিবৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ।

    উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট পরবর্তী মিয়ানমারে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়ে এ দেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয় ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। এসব রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়।

  • উখিয়ায় ঘুমধুম ইউপির গ্রাম পুলিশের দফাদার ছৈয়দ আলম ৪ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক

    উখিয়ায় ঘুমধুম ইউপির গ্রাম পুলিশের দফাদার ছৈয়দ আলম ৪ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক

    মোঃ শহিদ, উখিয়া।

     

    কক্সবাজারের উখিয়ায় ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ এক পাচারকারীকে আটক করেছে।

    ৩ ডিসেম্বর(বৃহস্পতিবার)দুপুর ১২ টা ৫৫ মিনিটের দিকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ফাঁড়ির একটি চৌকষ দল বিশেষ অভিযান চালিয়ে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির এলাকার একটি বাজার হতে সৈয়দ আলম (৪০)কে ৪ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাঁর ব্যবহৃত একটি ডিসকভার মোটর সাইকেল উপস্থিত স্থানীয় জনগন ও সাক্ষীদের সামনে জব্দ করা হয়।

    আটক সৈয়দ আলম পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বড়ইতলী এলাকার মৃত জলিল আহমদের পুত্র।সে ঘুমধুম ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশের দফাদার বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে।

    গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এমনটি জানিয়েছেন উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমেদ সনজুর মোরশেদ।

  • আনোয়ারায় ১৫ নং ঘাটে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের দুই মাঝি আটক

    আনোয়ারায় ১৫ নং ঘাটে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের দুই মাঝি আটক

    আনোয়ারা (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি

    আনোয়ারা উপজেলার সিইউএফএল ১৫নং ঘাটে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এর ভ্রাম্যমাণ অভিযানে ঘাট পারাপার বোটে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের দায়ে দুইজন মাঝিকে আটক করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (০৩) ডিসেম্বর সিইউএফএল ১৫নং ঘাট এলাকায় আনোয়ারা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ( ইউএনও) শেখ জুবায়ের আহমেদ এর নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

    উক্ত অভিযানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জুবায়ের আহমেদ জানান,এই ঘাট দিয়ে একটি বোটে ২৫ জনের অধিক যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ দেওয়া হয়েছে। এরপরেও আমাদের কাছে বোটের মাঝিরা বিভিন্ন সময় অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করার অভিযোগ আসে।
    তিনি আরো জানান,এক্ষেত্রে যাত্রীদের নদী পারাপারে সর্বোচ্চ ২৫ জন যাত্রী ব্যতীত অতিরিক্ত যাত্রী পারাপারে সতর্কতা ও সচেতনতা অবলম্বন করার আহ্বান জানান।

  • আনোয়ারায় দুই ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা

    আনোয়ারায় দুই ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা

    আনোয়ারা (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি

     

    আনোয়ারায় উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) তানভীর চৌধুরীর নেতৃত্বে চারটি ক্লিনিক ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে মনিটরিং পরিচালনা করা হয়।

    প্রতিষ্ঠানগুলো হল, সাইনিং ডায়গনস্টিক সেন্টার,দি ল্যাব এইড, ছায়াপথ ক্লিনিক,ও স্টার ল্যাব।

    এতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকা এবং স্বাস্থ্যহানির ঝুঁকি নিয়ে ক্লিনিক পরিচালনা করার কারণে ছায়াপথ ক্লিনিক এন্ড হসপিটাল কে ২৫ হাজার এবং স্টার ল্যাবকে ৫,০০০ টাকাসহ সর্বমোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ও ঝুঁকিপূর্ণ সেবা প্রদান বন্ধ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

    উক্ত অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু জাহিদ মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন এবং মেডিকেল টিম।