Blog

  • এ মাসের শেষের দিকে হতে পারে চট্টগ্রাম (চসিক) ভোট

    এ মাসের শেষের দিকে হতে পারে চট্টগ্রাম (চসিক) ভোট

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    চলতি মাসের শেষের দিকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) ভোটগ্রহণ করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। আর ডিসেম্বরে সম্ভব না হলে জানুয়ারির শুরুতে ভোটের তারিখ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

    আজ বুধবার (২ ডিসেম্বর ২০) ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর এ তথ্য জানায়।

    এ বছরের ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের কথা ছিল। করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনায় এক সপ্তাহ আগে স্থগিত করা হয় নির্বাচনটি।

    ভোট করতে না পারায় সেখানে অগাস্টের শুরুতে প্রশাসক নিয়োগ দেয় সরকার। ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

    সচিব জানায়, ‘ডিসেম্বরের শেষের দিকে সম্ভবনা রয়েছে। তা না হলে জানুয়ারির প্রথম দিকে হবে। নির্দিষ্ট তারিখ বলতে পারব, যখন কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে’।

    স্থগিত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন। এছাড়া সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরের ৫৫ পদে ২৬৯ প্রার্থী রয়েছেন ভোটে।

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে প্রশাসক বসানো হলেও সুবিধাজনক সময়ে মন্ত্রণালয় অনুরোধ করলে নির্বাচন কমিশন ভোটের তারিখ নির্ধারণ করবে। সেক্ষেত্রে বর্তমান প্রার্থীরাই বহাল থাকবেন এবং যেখানে ভোট স্থগিত হয়েছিল সে অবস্থা থেকে নির্বাচন হবে।

    তবে মৃত্যজনিত যেসব পদ এর মধ্যে শূন্য হবে সে বিষয়ে কমিশন তখন সিদ্ধান্ত নেবে বলে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছে।

    আলমগীর বলেন,“কমিশনে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সিডিউল তো ঘোষণা করেছিল, স্থগিত রয়েছে। এখন স্থগিতাদেশটা প্রত্যাহার করে পরবর্তীতে ভোটের শুধু তারিখটা দেওয়া হবে। ওখানে আর কিছু নেই। ডিসেম্বরে ভোট হতে পারে।”

  • যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ‘ইসলামিক রিলিফ’ কর্তৃক বাংলাদেশে করোনা রোগীদের জন্য ৫০টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা মেশিন প্রদান

    যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ‘ইসলামিক রিলিফ’ কর্তৃক বাংলাদেশে করোনা রোগীদের জন্য ৫০টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা মেশিন প্রদান

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ‘ইসলামিক রিলিফ’ বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) রোগীদের চিকিৎসায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের ৫০টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা মেশিন (Model: H-80 M) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরবার প্রদান করেছে আজ ২ ডিসেম্বর। এই করোনা চিকিৎসা সামগ্রী গ্রহন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব জনাব আহমদ কায়কাউস। হস্তান্তর করেন ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর আকমল শরীফ। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া লোহাগাড়া আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী ও ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের হেড অব দ্যা প্রোগ্রামার গোলাম মোতাসিম বিল্লাহ। উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া লোহাগাড়া আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর অসুরোধক্রমে বাংলাদেশের কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় ৫০ টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা মেশিন (Model: H-80 M) ইউকে ভিত্তিক ইসলামিক রিলিফের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। মানবতার কল্যাণে ইসলামিক রিলিফ দেশের শীর্ষস্থানীয় এনজিও সংস্থা আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের সাথে বাংলাদেশের বিভিন্ন সেবাখাতে কাজ করতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে এবং কাজ করে যাচ্ছে। ইউকে ভিত্তিক ইসলামিক রিলিফ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দাতা সংস্থা, ইউরোপীয় কমিশন, পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন সরকার, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও বিশ্বের ধনাঢ্য ব্যক্তিবর্গের অর্থায়নে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৫০ টি দেশে আর্থ সামাজিক ও মানবকল্যাণ মূলক কাজে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ১৯৯১ সাল থেকে এই সংস্থাটি কাজ করে আসছে। মাননীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর অনুরোধক্রমে ভাষানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুনর্বাসনে আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটি অর্থায়নে আশ্বাস প্রদান করেছে।

    বার্তা প্রেরক
    (স্বাক্ষরিত)
    অধ্যাপক শাব্বির আহমদ
    প্রেস সচিব, মাননীয় সাংসদ।

    ক্যাপশানঃ যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইসলামিক রিলিফের পক্ষ থেকে দেশের করোনা রোগীদের জন্য ৫০টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা মেশিন গ্রহন করছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস।

  • ভারতে কৃষক আন্দোলন, কপালের ভাজ যেন দীর্ঘ হচ্ছে মোদি সরকারের

    ভারতে কৃষক আন্দোলন, কপালের ভাজ যেন দীর্ঘ হচ্ছে মোদি সরকারের

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক

     

    ভারতে কৃষি আন্দোলন ইস্যুতে ক্রমশ উত্তেজনা বাড়ছে দিল্লির সীমানায়। উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজনীতি। দিল্লি ঢোকার পাঁচটি পথ বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন আন্দোলরত কৃষকরা। অবরুদ্ধ করা হতে পারে মহসড়কও।

    মাত্র দু’দিনের আন্দোলন কর্মসূচি। তবে সবটাই নির্ভর করছে, সরকার তাদের দাবি মেনে নেবে কি না। কেন্দ্র মাথা নত করবে কি? যদি না করে তাহলে এই অবস্থান চলতে পারে ছ’মাসও। সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন আন্দোলরত কৃষকরা। আর তাই কপালের ভাঁজটা আরও দীর্ঘ হচ্ছে সরকারের।

    সিঁদুরের মাঝে মেঘ দেখছে তারা… শাহিনবাগের। সিএএ-বিরোধী অবস্থান-বিক্ষোভ যেকোনো জায়গায় গিয়ে ঠেকতে পারে, তা স্পষ্টভাবেই দেখিয়ে দিয়েছে শাহিনবাগ। তাত আবার সের এর উপর সোয়া সের দিয়ে চাপ বাড়িয়েছেন রাজস্থানের এমপি তথা এনডিএ শরিক রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির সদস্য হনুমান বেনিওয়াল।

    কীভাবে সামাল দেয়া যেতে পারে এই আন্দোলন বিক্ষোভ? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে কালঘাম ছুটছে কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের। আন্দোলনকারীদের আলোচনা বৈঠকে বসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও।

    এরই মধ্যে আজ, মঙ্গলবার দুপুর তিনটায় কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের আলোচনায় বসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার। এর আগে ওই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ৩ রা ডিসেম্বর।

    কৃষি আইন ইস্যু নিয়েই বিজেপি সরকারের সাথে দীর্ঘ সময়ের শরিকি সম্পর্ক ছেদ করেছে শিরোমণি অকালি দল। এবার রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির বেনিওয়ালের গলাতেও যেন হুঁশিয়ারির সুর। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক।

    অবশেষে আসরে নামতে হয়েছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকেও। রোববার ‘মন কি বাত’-এ তিন কৃষি আইন নিয়ে সাফাই গাওয়ার পর সোমবারও ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টাফিকির চালিয়েছেন তিনি। বারাণসী-প্রয়াগরাজ জাতীয় সড়ক ১৯-এর ছয় লেনে প্রশস্ত করার প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গিয়ে বক্তব্যদানকালে বেশিরভাগ সময়ই খরচ করেছেন তিনি নতুন এই কৃষি আইন নিয়ে। এত প্রচেষ্টার উদ্দেশ্য একটাই, এক ঢিলে দুই পাখি মারতে হবে—উন্নয়নের ঢাক পেটানো এবং বিরোধীদের আক্রমণ। জাতীয় কংগ্রেস ও তৃণমূলকেই যেন টার্গেট করলেন তিনি এই কৃষক-বিরোধী তকমায়।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘এত দিন কৃষকদের নামে শুধু প্রকল্প ঘোষণা হয়েছে, এমএসপি (ন্যূনতম সহায়ক মূল্য) নিয়ে ছলনা করা হয়েছে। কৃষি ঋণ মাফ করার কথা বলেও ছলচাতুরি করা হয়েছে। আমরা সেটা করিনি। সার নিয়ে যে কালোবাজারি ছিল তা বন্ধ করেছি। একইভাবে খাদ্যশস্য সংগ্রহও বহুগুণ বেড়েছে। এমএসপি ব্যবস্থা অটুট আছে ভবিষ্যতেও থাকবে।

    সরাসরি নাম উচ্চারণ না করে কংগ্রেসের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এত দিন যারা কৃষকদের জন্য নানা প্রকল্প ঘোষণা করে এক টাকার মধ্যে মাত্র ১৫ পয়সা দিত, তারাই আজ কৃষকদের বিভ্রান্ত করছে, এটা করা ছাড়াতো আর গতি নেই। কৃষকরাও দীর্ঘসময় ধরে ঠকেছেন। তাই আশঙ্কায় ভুগছেন। কিন্তু বিজেপি সরকারের আমলে তা হবে না।’

    প্রধানমন্ত্রী মোদি আরো বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে কৃষকদের নিয়ে নানা ছলনা করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য তা নয়, আমাদের উদ্দেশ্য গঙ্গাজলের মতো পবিত্র।’

    তবে প্রধানমন্ত্রী মোদির ওই কটাক্ষের পাল্টা জবাব দিয়েছে দু‌ই বিরোধী দলও। ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক চাষিদের ঋণ মওকুফ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। পাশাপাশি কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কাও। তারা প্রশ্ন তুলছেন, নতুন এই কৃষি আইনে আসলে কাদের পাশে মোদি সরকার?, গরিব কৃষকদের? নাকি পুঁজিবাদী বন্ধু ব্যবসায়ীদের?

    ছেড়ে কথা বলেননি তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়ানও।
    প্রধানমন্ত্রীর কটাক্ষে তার জবাব, শত চেষ্টা করলেও তৃণমূলকে কৃষক-বিরোধী প্রমাণ করতে পারবেন না। সিঙ্গুর আন্দোলন থেকে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় এসে কৃষকদের উপার্জন তিনগুণ করেছেন মমতা ব্যানার্জি। তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন, তার কর্মসূচিতে কোনো দ্ব্যর্থবোধকতা নেই।

  • বরিশালে বিশ্ব এইডস দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    বরিশালে বিশ্ব এইডস দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    পারভেজ,বরিশাল প্রতিনিধিঃ

     

    গত ১ লা ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৪ ঘটিকায় জেলা এইডস কমিটি বরিশালের আয়োজনে সরকারি ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সমূহ এর বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে ১ লা ডিসেম্বর ২০২০ বিশ্ব এইডস দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে র‌্যালি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক বরিশাল, এস, এম, অজিয়র রহমান এর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন বরিশাল ডাঃ মনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বরিশাল সুদিপ্ত, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) পরিচালক (স্বাস্থ্য) এর কার্যালয় বরিশাল ডঃ শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল, উপ-পরিচালক মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর বরিশাল দিলারা খানম, ডেপুটি সিভিল সার্জন বরিশাল ডাঃ মাহমুদ হাসান, ডেপুটি সিভিল সার্জন বরিশাল ডাঃ মুন্সী মোমিনুল হকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারিরা, এনজিও প্রতিনিধি সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

    অতিথিরা এ সময়ে দিবসের তাৎপর্য ও এইডস প্রতিরোধে করনীয় বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আলোচনা করেন।

  • ভোলায় বিষধর রাসেল ভাইপার ধরে বস্তায় ভরে বাড়িতে নিয়ে এলো যুবক

    ভোলায় বিষধর রাসেল ভাইপার ধরে বস্তায় ভরে বাড়িতে নিয়ে এলো যুবক

    সাহিদুর রহমান-বিশেষ প্রতিনিধি।।

     

    ভোলায় বিষধর সা’ প ‘কি’লিংমেশিন’ খ্যাত রাছেল ভাইপার উ’দ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) সকালে ভোলা সদর উপজে’লার ধনিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ধনিয়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের বাড়ি থেকে রাছেল ভাইপার সা’ পটি উ’দ্ধার করে ভোলা বন্যপ্রা’ণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মক’র্তা।

    রাছেল ভাইপার পৃথিবীর ভ’য়ংকর বিষধর সা’ পের মধ্যে পঞ্চ’ম। এ সা’ পের ভ্যাকসিন আজ পর্যন্ত আবিস্কার হয়নি বলে জানিয়েছেন ভোলা বন্যপ্রা’ণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মক’র্তা মো. আমিনুল ইস’লাম।

    স্থানীয়রা জানান, সোমবার সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় অটোচালক মো. ইসমাইল হোসেন (৩৫) হাতমুখ ধোয়ার জন্য ওই এলাকার নদীর পাড়ে যান। ওই সময় নদীর তীরের ব্লকের ফাঁক দিয়ে তিনি সা’ পটি যেতে দেখেন।

    পরে সা’ পের লেজ ধরে তিনি উপরে ছুড়ে মা’রেন। এরপর তিনি একটি প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে সা’ পটি বাড়িতে নিয়ে আসেন।

    ইসমাইল হোসেন জানান, আমি সা’ পটিকে দেখে অজগর সা’ প ভেবেছিলাম। যদি ব্লকের ভেতরে আশ্রয় নেয় তাহলে হয়ত কাউকে কা’ মড় দিতে পারে। তাই সা’ পটিকে দেখেই লেজে ধরে ওপরে উঠিয়ে বস্তায় ভরে রাখি। পরে বন বিভাগকে সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে খবর দিই।

    তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার বন্যপ্রা’ণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ অফিসারদের মাধ্যমে জানতে পারলাম এটি অনেক ভ’য়ংকর সা’ প। কিন্তু আমি এটা আগে বুঝতে পারিনি।

    ভোলা বন্যপ্রা’ণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মক’র্তা মো. আমিনুল ইস’লাম জানান, আম’রা একজন সংবাদকর্মীর মাধ্যমে সোমবার রাতে জানতে পারি একটি সা’ প উ’দ্ধার করা হয়েছে। পরে মঙ্গলবার সকালে সা’ পটিকে উ’দ্ধার করে আমাদের অফিসে নিয়ে আসা হয়েছে। এটি কি’লিংমেশিন খ্যাত রাছেল ভাইপার সা’ প। আম’রা এটিকে বিকেলের মধ্যে কোনো গভীর বনে অবমুক্ত করব।

  • সিএমপিকে পেট্রোল কার উপহার দিল স্মার্ট গ্রুপ অব ইন্ডাস্টিজ

    সিএমপিকে পেট্রোল কার উপহার দিল স্মার্ট গ্রুপ অব ইন্ডাস্টিজ

    আলমগীর ইসলামাবাদী, চট্টগ্রাম বিভাগ প্রতিনিধি

     

    দ্রুততম সময়ে পুলিশি সেবা নিশ্চিত করতে পুলিশ পেট্রোল কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশকে একটি পেট্রোল কার দিয়েছেন স্মার্ট গ্রুপ অব ইন্ডাস্টিজ। সকাল ১১টার সময় দামপাড়াস্থ পুলিশ লাইনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জনাব সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, পিপিএম এর হাতে এই গাড়ি হস্তান্তর করা হয়। স্মার্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও দৈনিক পূর্বদেশ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সিআইপি স্মার্ট গ্রুপের পক্ষে গাড়ি হস্তান্তর করেন।

    পেট্রোল কারে একজন এস আই, একজন এ এস আই ও দুইজন কন্সটেবল সহ ০৪ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্বরত থাকবেন৷ ইনবিল্ট সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক ভাবে গাড়ির কার্যক্রম মনিটরিং করা হবে। প্রতিটি গাড়িতে হেলমেট, বুলেট প্রুফ জ্যাকেট, হ্যালার, ক্রাইমসিন বক্স, ওয়াকিটকি সহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদী থাকবে। এই উদ্যোগের ফলে দ্রুততম সময়ে টহলের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার অপরাধ নিয়ন্ত্রণও আইন শৃঙ্খলা রক্ষা সম্ভব হবে।

    উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) জনাব আমেনা বেগম, বিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) জনাব এস. এম. মোস্তাক আহমেদ খান বিপিএম, পিপিএম (বার), অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) জনাব শ্যামল কুমার নাথ, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) জনাব মোঃ আমির জাফর, চট্টগ্রাম মহানগর কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি এর সদস্য সচিব জনাব অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন ও অন্যান্য ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাবৃন্দ।

  • ডিসেম্বরের প্রথম দিন মুক্তিযোদ্ধাদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন – এমপি শাওন

    ডিসেম্বরের প্রথম দিন মুক্তিযোদ্ধাদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন – এমপি শাওন

    সাহিদুর রহমান

    ভোলা ৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেছেন- হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর জীবন ও যৌবনের সমস্ত উত্তাপ দিয়ে আমাদের দিয়ে গেছেন স্বাধীনতা মহান বিজয় । কারাগারের ভেতরে চোখের সামনে তার জন্য পাকজান্তা কবর খুঁড়েছিল । কিন্তু তিনি মাথানত করেননি । বাংলাদেশের স্বাধীনতা তার আপোষহীন সংগ্রামের ফসল । বিভিন্ন সময়ে তাকে যারা খাটো করেছেন তারা ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন । আজ বিজয় মাসের প্রথম দিনে লালমোহনের শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরমুক্তিযোদ্ধাদের এই প্রভাতি সমাবেশে আমি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সাথে স্মরণ করছি ইতিহাসের রাখাল রাজা বাঙালি জাতির স্বাধীনতার মহান স্থাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ।

    এসময় এমপি শাওন আরো বলেন- বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথ ধরেই দেশ ও মানুষের কল্যাণে একের পর এক সফলতা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তার সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা । এদেশের মানুষের জন্য তিনি প্রতিদিন ১৮ ঘন্টা পরিশ্রম করেন । মুক্তিযোদ্ধাদের তিনি হৃদয় দিয়ে ভালোবাসেন বলেই একের পর এক মানবিক উদ্যোগ ।

    অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য যে ঘর বরাদ্দ কর্মসূচি শুরু হলো ক্রমান্বয়ে এর সুফল সকল মুক্তিযোদ্ধাই পাবেন । সবাই আমার নেত্রীর জন্য দোয়া করবেন, আল্লাহ যেন তাঁর হায়াত দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেন ।

     

    (০১ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার সকাল ১০ ঘটিকায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ লালমোহন উপজেলা কমান্ড এবং সন্তান কমান্ডের আয়োজনে মহান বিজয়ের মাস এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী২০২০ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা ও সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে – লালমোহন তজুমদ্দিনের গণমানুষের নেতা আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি এসব কথা বলেন ।

    লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দায়িত্বশীল কমান্ডার আল নোমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- লালমোহন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ গিয়াসউদ্দিন আহমেদ । মূল্যবান বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লালমোহন সার্কেল মোঃ রাসেলুর রহমান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মালেক মিয়া ।

    মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সহকারী কমান্ডার (অর্থ) মোঃ শাহজাহান মিয়া । মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন- লালমোহন উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ও অস্ট্রিয়া বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের বাংলাদেশ কোঅর্ডিনেটর কবি প্রভাষক রিপন শান । বক্তব্য রাখেন- লালমোহন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি
    আ ন ম শাহজামাল দুলাল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বজলুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কবি নজরুল ইসলাম জামাল প্রমুখ । অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- লালমোহন থানা অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান মুরাদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব দিদারুল ইসলাম অরুন, পৌরসভা আওয়ামীলীগের আহবায়ক আলহাজ্ব সফিকুল ইসলাম বাদল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম প্রিন্স, কোষাধ্যক্ষ আলহাজ্ব জুলফিকার মিয়া, উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ আব্বাসউদ্দিন, উপজেলা সন্তান কমান্ডের সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ ।

    অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তরফ থেকে জনপ্রতি ১৫ লক্ষ টাকা বাজেটের ঘরপাওয়া লালমোহন উপজেলার ৯ জন অসহায় মুক্তিযোদ্ধার সাথে প্রাণখোলা শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এমপি শাওন । দেশরত্ন শেখ হাসিনার তরফ থেকে এই মহা উপহার পাওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ হাকিম বলেন- একাত্তরে জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছি । প্রমত্তা নদী সব নিয়ে যাওয়ার পর গত ৫০ বছর ধরে বাড়ার বাসায় আছি । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ আমাদের কথা এভাবে ভাবেননি । আমরা আমাদের প্রিয়নেতা এমপি শাওন মহোদয়ের মাধ্যমে আমাদের দুঃখের দরদী নেত্রীকে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই । আল্লাহ তাঁকে দীর্ঘায়ু দান করুন।

    ঘরবরাদ্দ পাওয়া অসহায় মুক্তিযোদ্ধা হাসান আলী বলেন- বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর আল্লাহ পাকের অসীম রহমত আছে । আমাদের মতো অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের ভালোবাসেন বলেই আল্লাহ তাঁকে ব্যাপক ভালোবাসেন । এতোবার প্রাণের নাশের চেষ্টা করেও স্বাধীনতার শত্রুরা সফল হয়নি । রাখে আল্লাহ মারে কে ।

    অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করে- উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাবেক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ।
    উল্লেখ্য, বিজয় মাসের মাসব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিনে লালমোহনের বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সকালের নাস্তা সেরে এমপি শাওন, লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত বিশাল বিজয় শোভাযাত্রায় অংশ নেন । শোভাযাত্রাটি সজীব ওয়াজেদ ডিজিটাল পার্ক থেকে শুরু হয়ে লালমোহন চৌরাস্তার মোড়ে স্থাপিত বিজয় মঞ্চে এসে পথসভার মধ্যে দিয়ে শেষ হয় ।

  • উখিয়ার কুতুপালংয়ে শুভ উদ্বোধন করলো পালং জেনারেল হাসপাতাল

    উখিয়ার কুতুপালংয়ে শুভ উদ্বোধন করলো পালং জেনারেল হাসপাতাল

    উখিয়া ভয়েস২৪ডটকম

    আধুনিক স্বাস্থ্যসেবার প্রতিশ্রুতি নিয়ে উখিয়ার কুতুপালংয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করলো পালং জেনারেল হাসপাতাল।

    মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের পাশে অবস্থিত মাস্টার নুরুল হক কমপ্লেক্সে অত্যাধুনিক এই হাসপাতালের শুভ উদ্বোধন করেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী,
    উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাজন বড়ুয়া, স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন, হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক আজাদ, সার্জন ডাক্তার আবদুল ওয়ালিদ, পরিচালক (প্রশাসন) নুরুল আবছার।

    ডাঃ মোঃ আয়ুব আলী,ডাঃ আদনান ওয়ালিদ,ডাঃ এলপল চাকমা,ডাঃ মোহাম্মদ শহীদুল আলম,ডাঃ মেরাজ হোসাইন, ডাঃ মাসুমা নাসরিন,ডাঃ মোহাম্মদ এনামুল হক তুহিন,ডাঃশাহীন আকতার,ডাঃ নিশাত রহমান,ডাঃ সাইয়্যেদা মৌ,ডাঃ শুভাশীষ চৌধুরী,ডাঃ এম মিজানুর রহমান।

    ২৪ ঘন্টা জরুরি বিভাগ, অত্যাধুনিক ডিজিটাল ল্যাবরেটরি, ডিজিটাল এক্স-রে সহ নানা সুবিধা সম্বলিত ২০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালে রোগীদের সেবায় সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দ , হাসপাতাল টি স্থানীয়দের চিকিৎসা সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    স্থানীয় বাসিন্দা মিজান বলেন,হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় স্থানীয়দের দুর্ভোগ লাঘব হবে।

  • কলাপাড়ায় ভাইয়া বাহীনির হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত

    কলাপাড়ায় ভাইয়া বাহীনির হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত

    এইচ এম সাইফুল নূর, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি

     

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ার টিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মশিউর রহমান (শিমু) ওরফে ভাইয়া বাহীনি বীর মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে যখম করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ১০.৩০ মিনিটের সময় কলাপাড়া প্রেসক্লাব চত্বরে এই প্রতিবাদ সভা অনুৃষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনে বক্তাব্য রাখেন চাকামইয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান হুময়ুন কবির কেরামত, কলাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ড বদিউর রহমান বন্টিন, কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস,এম রাকিবুল আহসান, পটুয়াখালী জেলা কমান্ড এম,এ হালিম প্রমুখ।

    বক্তারা বলেন, গত ২৯ ডিসেম্বর কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম হাওলাদারে কাছে সন্ত্রাসীরা চাঁদা দাবী করেন, চাঁদা টাকা না দেয়ার কারনে বরর্বরচিত হামলা করা হয়েছে। এই সন্ত্রাসী হামলাকে তিব্রনিন্দা জানিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচারের দাবি যানিয়েছেন।

    মানববন্ধন শেষে সকাল ১১ টায় কলাপাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর হল রুমে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুক্তিযোদ্ধারা। সংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তাব্যে কলাপাড়া উপজেলা কমান্ড বদিউর রহমান বল্টিন বলেন,দেশ স্বাধীন করার ৪৮ বছর পরেও আমাদের কে পদে পদে লাঞ্চিত হতে হচ্ছে। এমনকি আমরা স্বাধীনতা বিরোধীদের কাছে মার খেয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছি। বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম হাওলাদার (৬৬ গেজেট নং-৭৪০ লাল মুক্তিবার্তা নম্বর- ৬০৩০৫০১৬, তারউপর সন্ত্রাসী হামলা হওয়ায় তিনি বর্তমানে শেরে-এ- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধারা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

    চাাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী মোঃ মশিউর রহমান শিমু,খাদিজা আক্তার এলিজা, মোঃ বাশার হাওলাদার , মোঃ নেছার হাওলাদার, মোঃ জহিরুল,রুবেল মৃধা মোঃ খলিল মৃধা সহ একাধীক সন্ত্রাসীরা বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম হাওলাদারের উপর হামলা করছেন বলে উল্লেখ করেণ। আমরা দেশ স্বাধীন করেছি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করার জন্য। চাঁদা দেয়ার জন্য নয়, দূনির্তী বাজদের জন্য নয়,সন্ত্রাসীদের জন্য নয়। সময় এসেছে এদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়ার। এই চাঁদাবাজ,দূনির্তীবাজ ভাইয়া বাহীনিদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার প্রশাসনকে তড়িৎ গতিতে ব্যাবস্থা গ্রহন করার জন্য অনুরোধ করেন।

    এইচ এম সাইফুল নূর
    কলাপাড়া প্রতিনিধি
    ০১.১২.২০২০

  • ভাস্কর্য ইস্যু সরকারের জন্য উভয়সঙ্কটে পরিণত? = মাওলানা মামুনুল হক

    ভাস্কর্য ইস্যু সরকারের জন্য উভয়সঙ্কটে পরিণত? = মাওলানা মামুনুল হক

    মামুনুল হকের প্রতিবেদক

     

    ভাস্কর্য ইস্যুটি সরকারের জন্য উভয়সংকটে পরিণত হয়েছে ৷ যেহেতু তারা নিজেরাই ভাস্কর্য ও বঙ্গবন্ধুর সম্মান রক্ষাকে এক ও অভিন্ন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করছে ৷ এর ফলে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠা তাদের দলীয় জয়-পরাজয়ের বিষয়ে পরিণত হয়েছে ৷ অপরদিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ভাস্কর্য তথা মূর্তি স্থাপন ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে এমন একটি বিষয় যা মেনে নেওয়ার কোনো অবকাশ নেই ৷ ফলে ধর্মবেত্তা ইসলামী নেতৃত্বের সামনে ভাস্কর্যের বিরোধিতা করা ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পথ খোলা নেই ৷ হয়তো তারা রাস্ট্র এবং সরকারের সাথে মুখোমুখি সংঘাতে লিপ্ত হবেন না, কিন্তু এটিকে মেনে নিলে ঈমানী আত্মমর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হওয়া ছাড়া কোনো গত্যন্তর নেই ৷ এমন পরিস্থিতি সরকারের জন্য উভয়সংকট ৷ যদি ক্ষমতার জোরে, প্রশাসনের উপর নির্ভর করে তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠা করে তবে ইসলামপন্থী ও আলেম-ওলামাদের সাথে অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে যতটুকু দূরত্ব ঘুচিয়েছিল বিষয়টি আবার সেই জায়গায় গড়িয়ে যাবে ৷ আলেমসমাজ বিষয়টিকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারবে না ৷ অপরদিকে যদি ভাস্কর্য স্থাপন থেকে পিছিয়ে পড়ে তাহলে দেশী ও আন্তর্জাতিক ইসলামবিদ্বেষীদের রোষানলে পড়তে হবে সরকারকে ৷ তাদের কাছে স্পষ্ট মেসেজ যাবে, সরকার ইসলাম পন্থীদের সামনে নতি স্বীকার করছে ৷ এমন পরিস্থিতিতে ফেলে দেওয়ার মত ঘনিষ্ঠ জায়গাগুলোতে যারা রয়েছে তারাই সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় ক্ষতির কারণ ৷ একটি স্থিতিশীল পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার জন্য, দেশের মধ্যে একটি সংঘাতমূলক পরিবেশ তৈরি করার জন্য তারাই দায়ী ৷
    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার নেতৃত্ব ও অবদানের মাধ্যমে এমন এক আসনে আসীন হয়েছেন যে, তার চেতনা ও কৃতিত্ব তুলে ধরার জন্য ভাস্কর্য নির্মাণের প্রয়োজন নেই ৷ এমন পরিস্থিতির দিকে একটি পক্ষকে ঠেলে দেয়া মূলত চাটুকার শ্রেণীর কাজ ৷

    চাটুকারশ্রেণীর মধ্যে নিকৃষ্টতম শ্রেণী হলো তারা যারা সরকারকে খুশি করার জন্য ভাস্কর্যের অনুকূলে কুরআন-সুন্নাহ থেকে কিছু উদ্ধৃতি সরবরাহ করছে ৷ কুরআন- সুন্নাহর ন্যূনতম জ্ঞান যাদের আছে তারা একথা বিশ্বাস করবে যে,ভাস্কর্য তথা মূর্তি নির্মাণের কোন অবকাশ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আনীত ধর্মের মধ্যে নেই ৷ যে নবীর অন্যতম প্রধান মিশন ছিল মূর্তি নির্মূল করা, যে কুরআনের অন্যতম মৌলিক শিক্ষা হলো মূর্তিকে উৎখাত করা, সেই নবীর আদর্শ ও সেই কুরআনের উদ্ধৃতিতে মূর্তির বৈধতা প্রমাণ করতে যাওয়া কত বড় ধৃষ্টতা, তা কুরআন-সুন্নাহ সম্পর্কে অবগত যে কেউই অনুমান করতে পারে ৷ সরকারকে যারা এই ধরনের ধৃষ্টতার কানপড়া দিচ্ছে তাদেরকে বলা হয় ওলামায়ে ছু-নিকৃষ্টতম আলেম ৷ এক্ষেত্রে সরকারের নিকট গ্রহণযোগ্য ও আস্থাভাজন হাক্কানী আলেমদের বড় দায়িত্ব ৷ তাদের দায়িত্ব, সরকারের সম্মুখে বিষয়টি খোলাসা করা ৷ মূর্তি নির্মাণ বিষয়ে ইসলামের কঠোর দৃষ্টিভঙ্গির কথা বোঝানো ৷ অন্তত একথা তো বোঝাতেই হবে যে, ভাস্কর্য তথা মূর্তি নির্মাণ ইসলামের দৃষ্টিতে অত্যন্ত গর্হিত একটি কাজ তার ওপর সেটিকে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে বৈধ প্রমাণের চেষ্টা “চুরির উপর সিনাজুরি” বৈ কিছুই নয় ৷
    তবে সবার আগে সম্মিলিতভাবে সকল মাসলাক- মাশরাবের আলেম সমাজের ঐক্যবদ্ধ একটি মতামত জাতির সামনে আসা উচিত ৷ সরকারকেও জানানো উচিত ৷ আশা করি আলেমসমাজ সেই পদক্ষেপ নিবেন এবং এই আশাও আমরা ছাড়ছিনা যে, সরকারের বোধোদয় হবে এবং তারা এই আত্মঘাতী পথ থেকে যেকোন মূল্যে পিছু হটবে ৷

    সৌজন্যে:
    মাসিক রাহমানী পয়গাম
    নভেম্বর’২০