Blog

  • আনোয়ারা উপজেলা যুবলীগের সাম্প্রদায়িক বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ

    আনোয়ারা উপজেলা যুবলীগের সাম্প্রদায়িক বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ

    আমজাদ হোসেন,আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

     

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কার্য নির্মাণের বিরোধিতার প্রতিবাদে আনোয়ারায় উপজেলা যুবলীগের এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

    সোমবার (৩০ নভেম্বর) বিকালে আনোয়ারা উপজেলার চাতরী চৌমহনী বাজারে যুবলীগের আহ্বায়ক শওকত ওসমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    যুবলীগের সদস্য সচিব অনুপম চক্রবর্তী বাবুর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সদস্য নিজামুল হক, শফিউল আলম,এডভোকেট আলম, আলী আকবার, জামশেদুল আলম, এরশাদুল আলী সোহেল, মোহাম্মদ জামাল, জালাল উদ্দিন,রাশেদ ও ফোরকান।

    সমাবেশে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের যুবলীগর বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

  • উখিয়ায় অবৈধ স’মিল উচ্ছেদ ও বিপুল পরিমাণ চোরাই কাঠ জব্দ

    উখিয়ায় অবৈধ স’মিল উচ্ছেদ ও বিপুল পরিমাণ চোরাই কাঠ জব্দ

    মোঃ শহিদ উখিয়া।

     

    উখিয়া উপজেলার রুমখাঁ বাজারে স’মিল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা প্রশাসন।

    ৩০শে নভেম্বর সোমবার বিকাল ৫টায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

    সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আমিমুল এহসান খানের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে ২টি অবৈধ করাত কলের চোরাই কাঠ চিরাই মেশিন, বিভিন্ন জাতের ৩৬০ঘনফুট অবৈধ কাঠ ও করাতকলে ব্যবহৃত অবৈধ যন্ত্রাংশ জব্দ করতে সক্ষম হয়। তবে অভিযানে কাউকে আটক করতে পারেনি যৌথ বাহিনী।অভিযান পরিচালনার সময় উখিয়া রেঞ্জ অফিসার শরীফুল ইসলাম, ইনানী রেঞ্জ অফিসার মোঃইব্রাহিম, উখিয়া বিট অফিসার বজলুর রশিদ,হলদিয়া পালং বিট অফিসার ছৈয়দ আলম,জালিয়াপালং বিট অফিসার ও উখিয়া থানা পুলিশের এএসআই শাহজালাল সহ একদল পুলিশ ও উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

    উখিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আমিমুল এহসান খান জানান,সোমবার বিকাল ৫টা থেকে দীর্ঘ ২ ঘন্টা অভিযান পরিচালনা করে দুটি চোরাই কাঠ চিরাই মেশিন ও ৩৬০ঘনফুট বিভিন্ন জাতের কাঠ জব্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। অবৈধ স’মিলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি। তবে বিভিন্ন সময় অবৈধ স’মিল উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবারের অভিযানের নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) আমিমুল এহসান খান। পর্যায়ক্রমে সকল অবৈধ স’মিল উচ্ছেদ করা হবে বলে জানা যায়।

  • ভোলায় সাতপাঁক ঘুরে শাঁখা সিধুর দিয়ে বিয়ের নামে ধর্ষণের অভিযোগ

    ভোলায় সাতপাঁক ঘুরে শাঁখা সিধুর দিয়ে বিয়ের নামে ধর্ষণের অভিযোগ

    ভোলা প্রতিনিধি

     

    ভোলার তজুমুদ্দিনে ৪নং ওয়ার্ড, চাদপুর গ্রামের বিধবা নারী ও দুইসন্তানের জননী শ্রীমতী জয়া রানী কর্মকার (৩২)পিতা.শ্রী ননী গোপাল কর্মকারকে বিয়ের প্রলোভনে প্রতারণার সংসার পাতিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ ও অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ পাওয়া যায়।

    তথ্যপ্রমাণ ও ঘটনার বর্ননা ঐ নারী অভিযোগে জানান,ভোলার পৌর চরনোবাদ ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা অভিনাশ মাঝি(৩২)পিতা.মৃত সত্য রঞ্জন দাস দুইবছর শাখা সিধুর পরিয়ে,ভুয়া ঠাকুর দিয়ে মন্ত্র পরিয়ে ভোলার তজুমুদ্দিন উপজেলার বিধবা জয়া রানীর সাথে সংসারের নামে ধর্ষণ করে সহ নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয়। তার স্বামী সংকর কুমার রায় ভোলার পাওয়ার হাউজে চাকুরির সুবাদে শহরের কে-জাহান মার্কেটের ময়ুরী ফ্যাশন টেইলারিং দোকানের কর্মচারী অভিনাষ মাঝির সাথে ২০১৮ সালে পোষাক তৈরী করার সুবাদে তার স্বামী জীবিত অবস্থায় পরিচয়ের সুত্রপাত ঘটে। স্বামীর চাকুরির অবস্থায় অসুস্থ হয়ে ৩মাস পর ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে স্বামী মারা যায়। স্বামী বিয়োগের পর বিধবা জয়া রানী তার দুই শিশুসন্তানের ভবিষ্যৎ ও ভরনপোষণ চালাতে জীবন যুদ্ধে জীবকা অর্জন উপায়ে সেলাইয়ের প্রশিক্ষন ও টেইলারিং কাজে উপার্জনের পথ বেছে নেয়।আর টেইলারিং কাজের সুত্রধরে অভিনাষ মাঝির সাথে সুসম্পর্ক গড়ে উঠে।ভোলার পৌর শহরে ৫নং ওয়ার্ডের রাহাত তালুকদারের দুই বেড বিশিষ্ট বাড়ির নীচতলায় শিশুসন্তান নিয়ে পেটপুজো করে বসবাস করে। এ সুযোগটি কাজে লাগায় লম্পট ও দূশ্চরিত্র টেইলারিং অভিনাশ মাঝি।স্বামীর ঘনিষ্ঠতা ও নিত্যকার যোগাযোগ এবং টেইলার কাজের বাহানায় কু-মতলবে সম্পর্কের দরুন কুপ্রস্তাবে দেয়।এ উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে বিধবা নারী বিষয়টি বাড়ির মালিক রাহাত তালুকদার জানায়।এরপর মালিক কতৃক তাকে নিষেধ করার সত্ত্বেও নিজ কৌশল অবলম্বন করে জয়া রানীকে বিবাহের প্রস্তাব দেয়।এবং তার নাবালক দুটি অবুজ শিশুদের সকল ভরনপোষণ সহ যাবতীয় দায়ভার গ্রহন করার প্রতিশ্রুতি দেয়। অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন লক্ষে হঠাৎ হিন্দু ধর্মাবলম্বী রীতিনীতি অনুযায়ী অপরিচিত দুই ব্যক্তিকে ঠাকুর পরিচয়ে সেই রাতেই শাঁখা সিধুুর পরিয়ে বিয়ের হিন্দু ধর্মের সাত-পাকে ঘুরে মন্ত্র পরে প্রতারণা মুলক বিবাহ সম্পন্ন করে। এমতাবস্থায় স্বামী হারা নারীর ও শিশুসন্তানদের প্রতি তার দরদ দেখে অাকৃষ্ট হয়।তার বড়বোন পৌর ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা অর্চনা রানীর,ভগ্নীপতি নরউত্তম চন্দ্র ঘরামীকে সাক্ষী করে স্বামী-স্ত্রী ন্যায় সংসার পাতিয়ে দৈহিক সম্পর্কে একাধিক ধর্ষণের স্বীকার হয়।এবং দুইবার অন্তসত্বা হলেও লম্পট স্বামীর কৌশলী অনুরোধে সে গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে বাধ্যহয় বলে জানান।

    সাংসারিক সম্পর্কের দরুন কাপড়ের ব্যবসার নামকরে প্রতারক অভিনাশ তার মৃত স্বামীর জমাকৃত নগদ দুইলক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।আবার কয়েকমাস পর স্বামীর পেনশনের টাকা উত্তোলন করেও তিনলাখ টাকা প্রতারণা আত্মসাৎ করে। এদিকে টাকার হিসেব না পাওয়া ও বিয়ের রেজিস্ট্রারি কালক্ষেপণ ও নিত্যকার অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন নাটকীয়তা দেখে পরিবারের সদস্যদের জানায় জয়া রানী কর্মকার।

    পরে ১০নভেম্বর ২০২০ইং তারিখে পরিবারের চাপে নয়া কৌশলে ভোলার শহরে ভারা বাড়িটি ছেড়ে দিয়ে তজুমুদ্দিনে তার পিত্রালয়ে ব্যাবসা ও বিবাহের রেজিস্ট্রার সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দেয়। শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করে অবিনাষের স্বামী /স্ত্রী অধিকারে একাধিক রাত্রিযাপন ও ধর্ষণের স্বীকার হয় অসহায় জয়ারানী।

    গত ১০/১১/২০২০ ইং তারিখে তজুমুদ্দিনে পিত্রালয় রেখে কৌশলে ভোলা শহরে আসে। হটাৎ তার সাথে যোগাযোগ বন্ধকরে দেয়।পারিবারিক অজুহাতে অন্যত্র বিয়ে করার চাপ রয়েছে বলে জানায়।সর্বশেষ বিধবার সাথে সংসার ও পাচ লাখ টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে তার প্রতারনার মুখোশ আত্মপ্রকাশ করে অভিনাশ মাঝি।

    এ পরিস্থিতিতে দিশেহারা এক সমাজের বিধবা নারী যখন সামাজিক ভাবে সৃকৃতি পেতে বিভিন্ন মহলে ঘুরে সব প্রচেষ্টা শেষে আইনগত সহয়তা পেতে, তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা করেন। উক্ত মামলাটি তুলে নিতেও বিভিন্ন সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হুমকি দেয় অভিনাষ।পরে ২৭নভেম্বর২০২০ইং তারিখে ফের অন্য এক নারীকে গোপনে বিয়ে করে বলে জানতে পারে।

    এবিয়ের ঠেকাতে দিশেহারা এ নারী অভিযোগ নিয়ে ভোলার সদর থানায় ছুটে যান।
    এব্যাপারে সদর থানার ওসি মো.এনায়েত হোসেন তদন্তকরে জানান,যেহেতু ভিকটিমের বাড়ি তজুমুদ্দিনে এবং বিবাহের রেজিস্ট্রার সনদও নেই।বিজ্ঞ আদালত মামলাটির তদন্তভার দেয় তজুমুদ্দিনে থানাধীন।তদন্ত রিপোর্ট না পেতে আসামির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আইনসংগত নয়।

    অভিনাশ ও জয়ারানীর ঘটনার সত্যতা জানতে ভোলা পৌর ৫নং ওয়ার্ডে বসবাসরত বাড়ির মালিক রাহাত তালুকদার ও তার স্ত্রী সুমি তালুকদার উভয়ে মধ্যেই অবৈধ সম্পর্ক ভারা থাকা অবস্থায় হয়।এছাড়া অভিনাশের আসা যাওয়া ও রাত্রিযাপন দেখে তারা সতর্ক করলেও তা চলমান রাখেন বলে জানায়।রাহাত তালুকদার বলেন, একবার অভিনাষকে গভীর রাতে আটক করলে উভয়ের মধ্যে গোপন বিবাহের হওয়ার স্বীকারোক্তির পর বিষয়টি মেনে নেয় তারা।

    এবিষয়ে তজুমুদ্দিন থানার ওসি এস এম জিয়াউল হক সাংবাদিকদের জানান বিজ্ঞ আদালতের মামলাটি গত (২৪নভেম্বর ২০২০)ইং তারিখে পুলিশ কে তদন্তভার দেয়। এবং তদন্তের প্রক্রিয়া এখনো চলমান রয়েছে।সেক্ষেত্রে তথ্যপ্রমাণ ও তদন্তের রিপোর্টে ঘটনার সত্যতা পেলে আসামি অভিনাশ এর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলে জানায়।

    এবিষয়ে ধর্ষিতা ও অন্যন্যদের সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অনিমেশ মাঝির কাছে জানতে চাইলে,তিনি ঘটনার বর্ননায় করে জয়ারানীর সাথে তার পারিবারিক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল তা স্বীকার করেন।সে সম্পর্কের সুবাদে তিনি তার ভারা বাড়িতেও তিনি একাদিকবার রাত্রিযাপন করেছেন। তাদের মধ্যে অর্থের লেনদেন ছিল সেটা স্বীকার করেন।তবে ধর্মীয় রীতির অবৈধ সংসার ও ধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করেন।অভিনাশ জানান স্থানীয় পর্যায়ে এনিয়ে শালিসি সিদ্ধান্ত হলে উভয়ের মোট এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে স্থানীয় বিচারে তা মিমাংসা করা হয় বলেও জানায় নারী ও শিশু মামলার আসামি অভিনাশ মাঝি।

  • উখিয়া ডাকবাংলো-মরিচ্যা সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন

    উখিয়া ডাকবাংলো-মরিচ্যা সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন

    মোঃ শহিদ উখিয়া।

     

    উখিয়া ডাকবাংলো গরুবাজার হয়ে মরিচ্যা পাতাবাড়ি যাওয়ার মাঝপথে গয়ালমারা কালভার্ট গত মাস দেড় এক আগে ধ্বসে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত মেরামত করার কোন প্রক্রিয়া শুরু হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।

    জানা যায়, ডাকবাংলো গরুবাজার সড়কের গয়ালমারা কালভার্টটি ধ্বসে পড়ে গেলে যানবাহন চলাচল অচল হয়ে যায়, মুহুর্তেই এলাকার সচেতন ব্যাক্তিদের উদ্যোগে কোনমতে, পথচারি ও যাতায়াতের সুবিধার্থে কাঠের তক্তা ও বাঁশের সাকো বানিয়ে পারাপার হওয়ার মত অবস্থান সৃষ্টি করে দেওয়া হয় । এতে বেশকিছুদিন গেলে সেটিও আজ বিকল হয়ে পড়ে। এখন পথচারি ও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে বিপাকে পড়েছেন পুর্ব আঞ্চলের মানুষগুলো।

    এ সড়কের কালভার্টটির উপর চলাচলের নির্ভরশীল হাজারো গ্রাম, লক্ষাধিক পুর্ব অঞ্চলের মানুষ, তাছাড়া,এই সড়ক দিয়ে, গয়ালমারা,ভালুকিয়া,হলদিয়া,পাতাবাড়ি,মরিচ্যা দিয়ে যাতায়াত করে অসংখ্য ছোট-বড় যানবাহন। এমনকি মরিচ্যা হতে টেকনাফ মেইন রোড়ের বিকল্প সড়ক হিসাবেও এটি ব্যবহার করা হয়।

    এলাকাবাসীর অভিযোগ, উখিয়া প্রকৌশলী অধিদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার অফিসার বলছিলেন কালভার্টটি ১৫ দিনের ভিতর মেরামত করা হবে।কিন্তু দুঃখের বিষয় দেড়মাস হয়ে যায় এখনো পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি। এতে আমাদের যাতায়াতের চলাচল পথ অনেক কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী অফিসার মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, গয়ালমারা কালভার্টটি আমরা পরিদর্শন করেছি, সংস্কারের কাজগুলো কার্যকর করতে একটু সময় লাগে। তবে আমাদের চেষ্টা ও কমতি নেই, আশা করি আগামী ২০ ডিসেম্বরের আগে এই কালভার্টের কাজ সম্পন্ন হবে।

  • খেলা হবে: মাওলানা মামুনুল হককে নিক্সন চৌধুরী

    খেলা হবে: মাওলানা মামুনুল হককে নিক্সন চৌধুরী

    মোঃ রাকিব,বিশেষ প্রতিনিধি

    খেলাফত মজলিশের ভারপ্রাপ্ত মাহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন।

    বরাবরের মতোই স্টাইলিশ ভঙ্গিতে এমপি নিক্সন বলেন, ‘মামুনুল হক কারে চ্যালেঞ্জ করে? শেখ হাসিনারে চ্যালেঞ্জ করে! ব্যাডা কী পাগল…? মাথায় কি বুদ্ধি কম? আরে শেখ হাসিনা তো অনেক উপরের বিষয়। আজ সারাদেশে যুবলীগের সঙ্গে লইড়া দেখেন। আসেন, দেখেন খেলা হবে। এই যুবলীগের সঙ্গে এক মিনিট লড়ার ক্ষমতা আপনার নেই।’

    আজ সোমবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় চট্টগ্রামের পুরোনো রেলস্টেশন চত্বরে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। ঐ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যুবলীগের নবনির্বাচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলমকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

    যুবলীগ নেতা নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের সাথে ফাঁপরবাজি কইরেন না। কোন দেশের টাকা খাইছেন, হঠাৎ কইরা চাঙা দিয়া উঠছেন। ওইসব দেশের দালালি বন্ধ করেন, এটা বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন বাংলাদেশ।’

    নিক্সন আরও বলেন, ‘যুবলীগ যদি মাঠে নামে ওস্তাদ দৌড়াইয়া কূল পাবেন না ওস্তাদ। তাই আমার নেত্রীরে চ্যালেঞ্জ জানানোর আগে নেত্রীর সন্তানদের সঙ্গে একটু বুঝপারা কইরা নেন। তাই এমন ধমক দিয়েন না। দালালি করেন অন্য দেশের। দালালি কইরা মাল খাইছেন, হেই মাল খাইয়া এহন ভাব নেন, চ্যালেঞ্জ করেন।’

    মাওলানা মামুনুল হককে তেলাপোকার সাথে তুলনা করে নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘আরে মিয়া তেলাপোকাও পাখি, আর আপনিও মানুষ। যদি সাহস থাকে তাহলে আসেন মাঠে আসেন। মাঠে খেলা হবে। আমাদের ভয় দেখাবেন না। আমাদের মাথা থেকে পায়ের আঙুল পর্যন্ত পুরাটাই কইলজা।

  • মাহফিলে উচ্চশব্দের অভিযোগ আসলেই বন্ধ করে দেওেয়া হবে মাহফিল

    মাহফিলে উচ্চশব্দের অভিযোগ আসলেই বন্ধ করে দেওেয়া হবে মাহফিল

    উখিয়া ভয়েস ডেস্ক

     

    ওয়াজ মাহফিলে উচ্চশব্দের অভিযোগ পেলেই ওয়াজ মাহফিল বন্ধ করে দেওেয়া হবে। জনদুর্ভোগ লাঘবে মাহফিলে উচ্চ শব্দ করলে সরকারি নির্দেশনায় ব্যবস্থা নেওয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ওসিদের নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। কোথাও ওয়াজ মাহফিলের উচ্চশব্দের অভিযোগ পেলেই বন্ধ করে দেয়া হবে মাহফিল।

    সাতক্ষীরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয় থেকে সহকারী কমিশনার ইন্দ্রজিত সাহার স্বাক্ষরিত পত্রে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

    সহকমিশনার ইন্দ্রজিত সাহা জানান, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি রেজুলেশনের সিদ্ধান্তের আলোকে গত ২৫ নভেম্বর এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। কোথাও যদি ওয়াজ মাহফিলে উচ্চশব্দ ব্যবহার করা হয় আর সে বিষয়ে কেউ অভিযোগ করে সেই মাহফিল বন্ধ করে দেওেয়া হবে। ইতিমধ্যে পুলিশ সুপার, ইউএনও এবং ওসিদের এ সম্বন্ধে চিঠি দেয়া হয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, ওয়াজ মাহফিল মূলত রাতে হয়। উচ্চশব্দ ব‍্যবহার করার কারণে রাতে মানুষের ঘুমে সমস্যা হয়, জনদুর্ভোগ হয়। সেজন্য যদি কেউ অভিযোগ করে তবে জনদুর্ভোগ লাঘব করতে মাহফিল বন্ধ করে দেওেয়া হবে। উচ্চশব্দ ব্যবহার করা ছাড়া মাহফিল পরিচালনা করায় কোনো বাধা নেই।

  • ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পলিটিক্যাল স্ট্যাটেজি

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পলিটিক্যাল স্ট্যাটেজি

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর রাজনৈতিক স্ট্যাটেজি সহজে সবাই বুঝে না।অনেকে সন্দেহের চোখে দেখে। অথচ রাজনৈতিক প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিরা সহজেই বুঝতে পারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর পদ্ধতি,কৌশল এবং সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা। তাদের একটি দীর্ঘমেয়াদী প্লান রয়েছে।কোন একটি ইস্যুতে Do or die নীতি অবলম্বন করে শক্তি নিঃশেষ করে দেয়না। আচ্ছা মূর্তি ইস্যুতে যদি ডু অর ডাই নীতি অবলম্বন করে তাহলে লাভটা কাদের হবে? অনেকেই এই বিশ্লেষণে গিয়ে ধাক্কা খেয়ে যায়।চরমোনাইর পীর কদম বাড়ানোর অাগে হাজারবার ভাবে এই কদমের রিয়েকশন কি হতে পারে। সেই জন্যে রাজনীতিতে তারা ঠান্ডা মাথায় খেলে দিতে পারে। কোন একটি ইস্যু পেলেই তাকে চূড়ান্তভাবে সরকার পতনের দিকে নিয়ে যাওয়া ইসলামী আন্দোলনের কাজ নয়।বিএনপি চেয়ে আছে পরের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খাবে বলে।২০১৩ সালের সেই স্বপ্ন যখন পূরণ হয়নি এখনো তারা সুযোগের সন্ধানে।

    একটি ইস্যু হলেই সরকার বিরোধি এজেন্সি গুলো ইসলামী দলগুলোর মাধ্যমে সরকার পতনের স্বপ্ন দেখে। যেমন ডক্টর জাফরুল্লাহ গতকালই বলেছেন একটু ধাক্কা দিলেই সরকার কিনারায় পড়ে যাবে। এটা মূর্তি ইস্যুতে ইসলামপন্থীদের কঠিন অবস্থানকে পূজি করে বলেছেন। নিজেদের শক্তি ক্ষয় করে,ধর্মপ্রাণ মানুষের অাবেগকে কাজে লাগিয়ে কোন বিরোধী শক্তিকে ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে সুযোগ দিতে চায়না ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। যারা বিএনপির জোটে এবং হেফাজতে আছে তাদের নীতিতে,মননে মস্তিকে বিএনপি প্রীতি কাজ করে। যার ফলশ্রুতিতে কোন একটা ইস্যু পেলেই মাঠ গরম করে সরকার পতনের দিকে নিয়ে যেতে চায়। এই একটি জায়গায় এসে ইসলামী আন্দোলনের রাজনৈতিক কৌশলের সাথে অন্যান্য ইসলামী দলের পলিটিক্যাল স্ট্যাটেজি ফেইল করে। কারণ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কাউকে ক্ষমতা থেকে নামানো বা ক্ষমতায় উঠানোর এজেন্ডা বাস্তবায়নে বিশ্বাসী নয়। সময় হলে তারা শক্তি কাজে লাগিয়ে ইসলামকে ক্ষমতায় নিয়ে যাবে। মূর্তি ইস্যুতে ইসলামী আন্দোলনের অবস্থান স্পষ্ট। তা স্বত্বেও অনেকে পাগলের প্রলাপ বকছেন। এদের পলিটিক্যাল নলেজ যে হাঁটুর নিচে তা স্পষ্টই প্রমাণিত।

    কোন একটা ইস্যুতে ইসলামী আন্দোলন আগে মাঠে নামে। প্রথমেই জনমত সৃষ্টি করে। দলের আমির, নায়েবে আমিরের বক্তব্যগুলো শুনলে বুঝতে পারবেন তাদের প্রজ্ঞা। প্রথমে তারা জনতাকে বিষয়টি সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিবে। জনতা বিষয়টি বুঝতে পারার পর তারা একটি ঝাকুনি দেয়।এতেই সাধারণ জনতা ঐ বিষয়ে সিরিয়াস হয়ে উঠে। পরীক্ষায় প্রথম প্রশ্ন কমন না পড়লে সেটা নিয়ে বসে থাকা কোন মেধাবি শিক্ষার্থীর কাজ হতে পারেনা। অংক একটি না পারলেও পরীক্ষার হলে বার বার সেটা চেষ্টা করতে গিয়ে কাল ক্ষেপন করে বাকি অংকগুলো করার সময় থাকেনা। সুতরাং একটি অংক ভুল হলে সেটা বাদ রেখে বাকিগুলোতে মনোযোগ দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
    । একবার না পারিলে দেখ শতবার থিউরি পরীক্ষার হলে কাজে আসেনা। হিতে বিপরীত হয়। মূর্তি ইস্যু নিয়ে পড়ে থাকাটাও কোন রাজনৈতিক কৌশল নয়। ইসলামী আন্দোলন যেহেতু সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে রাজনীতি করছে তাদের একটি ইস্যু নিয়ে পড়ে থাকার মানেই হয়না। যেমন আজ আরেকটি ইস্যুতে সরব চরমোনাইর পীর সাহেব। বিভিন্ন পত্রিকায় ইতিমধ্যে চলে এসেছে বিষয়টি। আগামী ২০২২ সাল থেকে এস এস সিতে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা সাবজেক্টটি রাখছে না শিক্ষামন্ত্রণালয়। এটার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির পীর সাহেব চরমোনাই। একটি রাজনৈতিক দল শুধু একটি ইস্যুতে ডুর অর ডাই নীতি অবলম্বন করতে পারেনা। কিছু কাজ করতে হয় রাজপথে, আবার কিছু কাজ করতে হয় ঠান্ডা মাথায় কূটনীতিকভাবে। ইসলামী অান্দোলন বাংলাদেশ ঠান্ডা মাথায় রাজনীতির পুতুলটা নিয়ে হাঁটছে।

  • আবু ইউসুফ এর ২১শে ফেব্রুয়ারী বইমেলা উপলক্ষে প্রকাশিত হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ছোটদের কাব্য ও গল্পগ্রন্থ

    আবু ইউসুফ এর ২১শে ফেব্রুয়ারী বইমেলা উপলক্ষে প্রকাশিত হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ছোটদের কাব্য ও গল্পগ্রন্থ

    এইচ এম সাইফুল নূর, স্পেশাল প্রতিনিধি

    সরকারি মোজাহারউদ্দিন বিশ্বাস কলেজের প্রভাষক এবং সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবু ইউসুফ-এর ছোটদের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক কাব্যগ্রন্থ “শিশুবন্ধু মুজিব” ও গল্পগ্রন্থ “খোকাই আজ বাঙালি জাতির পিতা”।। প্রকাশ ২০২১ বইমেলা ২১ ফেব্রুয়ারী উপলক্ষে। গ্রন্থ দুটি পাওয়া যাবে ২০২১ সালের একুশে বই মেলায় শব্দশিল্প ও ইছামতী প্রকাশনীর স্টলে ।।
    লেখক বলেছেন, বাচ্চাদের ছোট থেকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে বেড়ে উঠতে হবে এ বাস্তব উপলব্ধি চিন্তা করে বই দুটির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে।
    ছোট সময় থেকে বাচ্চাদের বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস বাঙালি হিসেবে জাতির পরিচয় জানা অপরিহার্য।
    বই দুটিতে ধর্মীয়শিক্ষা, নিয়মানুবর্তিতা ও স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক গল্প এবং কাব্য লেখা হয়েছে।
    বই দুটি শীঘ্রই প্রকাশ হচ্ছে লেখক শুভার্থীদের বই দুটি সংগ্রহ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

  • কোরআনে উল্লেখিত তামাসিলা ও আসনাম বনাম ভাস্কর্য ও মূর্তি নিয়ে বিতর্কের অবসান

    কোরআনে উল্লেখিত তামাসিলা ও আসনাম বনাম ভাস্কর্য ও মূর্তি নিয়ে বিতর্কের অবসান

    ইসলামি ডেস্ক

     

    আমরা সকলেই জানি যে, পবিত্র কোরআনের সুরা সাবা’র ১৩ নম্বর আয়াতে বর্ণিত ‘তামাসিলা’ শব্দের বিকৃত ব্যাখ্যা করে ইতিমধ্যে সব ধরনের ভাস্কর্য বৈধ প্রমাণের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে একটি মহল। তারা বলতে চাইছে, “তামাসিলা অর্থাৎ ভাস্কর্যের কথা কোরআনে আছে এবং কুরআনে কারীমে মূর্তি বুঝাতে আসনাম শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। সুতরাং ভাস্কর্য ও মূর্তি এক নয়।

    এমতাবস্থায় সাধারণ মুসলমানের ঈমান হেফাজতের জন্য শব্দদ্বয়ের যথাযথ ব্যাখ্যা উপস্থাপনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি।
    পবিত্র কুরআনে উল্লেখিত সূরা সাবা’র ১৩ নং আয়াত হচ্ছে-
    يَعْمَلُونَ لَهُ مَا يَشَاءُ مِن مَّحَارِيبَ وَتَمَاثِيلَ وَجِفَانٍ كَالْجَوَابِ وَقُدُورٍ رَّاسِيَاتٍ …

    “তারা তাঁর (সুলাইমান আ. এর) ইচ্ছানুযায়ী মেহরাব, প্রতিকৃতি বা ভাস্কর্য , হাউযসদৃশ বৃহদাকার পাত্র এবং চুল্লির উপর স্থাপিত বিশাল ডেগ নির্মাণ করত…।”

    কতিপয় জ্ঞানপ্রতিবন্ধি এ আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে বলছেন, ভাস্কর্য হলো মানুষসহ কোন প্রাণী বা কোনো কিছুর প্রতিকৃতি যাকে মানুষ রাখে সম্মান দেখাতে বা সৌন্দর্যবর্ধন করতে, যার আরাধনা বা উপাসনা করা হয় না।

    অথচ পবিত্র কোরআনে সূরা আল আম্বিয়া ৫২ নম্বর আয়াতে তামাসিলা বলতে এমন কিছু কে বোঝানো হয়েছে মানুষ যার পূজা করত। এরশাদ হয়েছে-
    إِذْ قَالَ لِأَبِيهِ وَقَوْمِهِ مَا هَٰذِهِ التَّمَاثِيلُ الَّتِي أَنتُمْ لَهَا عَاكِفُونَ

    “যখন তিনি তাঁর পিতা ও তার সম্প্রদায়কে বললেন, এই মূর্তিগুলো কী? যাদের তোমরা পূজারী হয়ে বসে আছো।”
    উক্ত আয়াতে তামাসিলা শব্দটি মূর্তির অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

    একাধিক হাদীসেও তামাসিলা শব্দটি মূর্তি বা প্রতিমা বুঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন-
    عَنْ أَبِي الْهَيَّاجِ الْأَسَدِيِّ ، قَالَ : قَالَ لِي عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ : أَلَا أَبْعَثُكَ عَلَى مَا بَعَثَنِي عَلَيْهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ؟ أَنْ لَا تَدَعَ تِمْثَالًا إِلَّا طَمَسْتَهُ ، وَلَا قَبْرًا مُشْرِفًا إِلَّا سَوَّيْتَهُ‏.‏

    আবুল হাইয়ায আল-আসাদী রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- একদা হযরত আলী রা. আমাকে বললেন, আমি কি তোমাকে এমন কাজে প্রেরণ করবো যে কাজে আমাকে রাসুলুল্লাহ সা. পাঠিয়েছিলেন? তা হলো, কোন মূর্তি দেখলে চূর্ণ-বির্চূন না করা ব্যতীত এবং কোন উঁচু কবর দেখলে তা সমতল না করে নিভৃত হবে না। -মুসলিম শরীফ-৯৬৯

    ابْن عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ أَخْبَرَنِيْ أَبُوْ طَلْحَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ صَاحِبُ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ قَدْ شَهِدَ بَدْرًا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ لَا تَدْخُلُ الْمَلَائِكَةُ بَيْتًا فِيْهِ كَلْبٌ وَلَا صُوْرَةٌ يُرِيْدُ التَّمَاثِيْلَ الَّتِيْ فِيْهَا الْأَرْوَاحُ

    ইব্‌নু আব্বাস রা. বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ সা. -এর সঙ্গে বদ‌র যুদ্ধে যোগদানকারী সাহাবী আবূ ত্বল্‌হা রা. আমাকে জানিয়েছেন যে, রসূলুল্লাহ্‌ সা. বলেছেন, যে ঘরে কুকুর কিংবা ছবি থাকে সে ঘরে ফেরেশেতা প্রবেশ করেন না। ইব্‌নু আব্বাসের মতে ছবির অর্থ তামাসিলা বা প্রাণীর ছবি। বুখারী শরীফ (আ.প্র. ৩৭০৫, ই.ফা. ৩৭০৯)
    চলবে

     

    সূত্র,,,, মুফতী সাখাওয়াত হোসেন রাজি (হাফিজাহুল্লাহ)

  • কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সভাপতির সাথে উখিয়া থানা আওয়ামী লীগের সৌজন্য সাক্ষাৎ

    কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সভাপতির সাথে উখিয়া থানা আওয়ামী লীগের সৌজন্য সাক্ষাৎ

    কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি

     

    আজ বিকেলে উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আমিনুল হক আমিন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক নুরুল হুদা চৌধুরী নেতৃত্বে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) জননেতা এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন ।

    সৌজন্য সাক্ষাৎকালে নবনির্বাচিত ভারপ্রাপ্ত জেলা সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে জননেতা আমিনুল হক আমিন বলেন, কেন্দ্র নির্দেশিত যে কোনো কর্মসূচি বাস্তবায়নে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সব সময় তৎপর রয়েছে।
    আগামীতেও আমরা দলীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নে, সার্বিক সহযোগিতায় জেলা আওয়ামী লীগের পাশে থাকবো পাশে ইনশাআল্লাহ।
    সৌজন্য সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন, হলদিয়া পালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সংগ্রামী সভাপতি মোহাম্মদ ইসলাম প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।