Blog

  • কলাপাড়ায় ভাইয়া বাহীনির হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত

    কলাপাড়ায় ভাইয়া বাহীনির হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত

    এইচ এম সাইফুল নূর, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি

     

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ার টিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মশিউর রহমান (শিমু) ওরফে ভাইয়া বাহীনি বীর মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে যখম করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ১০.৩০ মিনিটের সময় কলাপাড়া প্রেসক্লাব চত্বরে এই প্রতিবাদ সভা অনুৃষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনে বক্তাব্য রাখেন চাকামইয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান হুময়ুন কবির কেরামত, কলাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ড বদিউর রহমান বন্টিন, কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস,এম রাকিবুল আহসান, পটুয়াখালী জেলা কমান্ড এম,এ হালিম প্রমুখ।

    বক্তারা বলেন, গত ২৯ ডিসেম্বর কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম হাওলাদারে কাছে সন্ত্রাসীরা চাঁদা দাবী করেন, চাঁদা টাকা না দেয়ার কারনে বরর্বরচিত হামলা করা হয়েছে। এই সন্ত্রাসী হামলাকে তিব্রনিন্দা জানিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচারের দাবি যানিয়েছেন।

    মানববন্ধন শেষে সকাল ১১ টায় কলাপাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর হল রুমে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুক্তিযোদ্ধারা। সংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তাব্যে কলাপাড়া উপজেলা কমান্ড বদিউর রহমান বল্টিন বলেন,দেশ স্বাধীন করার ৪৮ বছর পরেও আমাদের কে পদে পদে লাঞ্চিত হতে হচ্ছে। এমনকি আমরা স্বাধীনতা বিরোধীদের কাছে মার খেয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছি। বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম হাওলাদার (৬৬ গেজেট নং-৭৪০ লাল মুক্তিবার্তা নম্বর- ৬০৩০৫০১৬, তারউপর সন্ত্রাসী হামলা হওয়ায় তিনি বর্তমানে শেরে-এ- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধারা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

    চাাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী মোঃ মশিউর রহমান শিমু,খাদিজা আক্তার এলিজা, মোঃ বাশার হাওলাদার , মোঃ নেছার হাওলাদার, মোঃ জহিরুল,রুবেল মৃধা মোঃ খলিল মৃধা সহ একাধীক সন্ত্রাসীরা বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম হাওলাদারের উপর হামলা করছেন বলে উল্লেখ করেণ। আমরা দেশ স্বাধীন করেছি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করার জন্য। চাঁদা দেয়ার জন্য নয়, দূনির্তী বাজদের জন্য নয়,সন্ত্রাসীদের জন্য নয়। সময় এসেছে এদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়ার। এই চাঁদাবাজ,দূনির্তীবাজ ভাইয়া বাহীনিদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার প্রশাসনকে তড়িৎ গতিতে ব্যাবস্থা গ্রহন করার জন্য অনুরোধ করেন।

    এইচ এম সাইফুল নূর
    কলাপাড়া প্রতিনিধি
    ০১.১২.২০২০

  • ভাস্কর্য ইস্যু সরকারের জন্য উভয়সঙ্কটে পরিণত? = মাওলানা মামুনুল হক

    ভাস্কর্য ইস্যু সরকারের জন্য উভয়সঙ্কটে পরিণত? = মাওলানা মামুনুল হক

    মামুনুল হকের প্রতিবেদক

     

    ভাস্কর্য ইস্যুটি সরকারের জন্য উভয়সংকটে পরিণত হয়েছে ৷ যেহেতু তারা নিজেরাই ভাস্কর্য ও বঙ্গবন্ধুর সম্মান রক্ষাকে এক ও অভিন্ন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করছে ৷ এর ফলে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠা তাদের দলীয় জয়-পরাজয়ের বিষয়ে পরিণত হয়েছে ৷ অপরদিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ভাস্কর্য তথা মূর্তি স্থাপন ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে এমন একটি বিষয় যা মেনে নেওয়ার কোনো অবকাশ নেই ৷ ফলে ধর্মবেত্তা ইসলামী নেতৃত্বের সামনে ভাস্কর্যের বিরোধিতা করা ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পথ খোলা নেই ৷ হয়তো তারা রাস্ট্র এবং সরকারের সাথে মুখোমুখি সংঘাতে লিপ্ত হবেন না, কিন্তু এটিকে মেনে নিলে ঈমানী আত্মমর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হওয়া ছাড়া কোনো গত্যন্তর নেই ৷ এমন পরিস্থিতি সরকারের জন্য উভয়সংকট ৷ যদি ক্ষমতার জোরে, প্রশাসনের উপর নির্ভর করে তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠা করে তবে ইসলামপন্থী ও আলেম-ওলামাদের সাথে অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে যতটুকু দূরত্ব ঘুচিয়েছিল বিষয়টি আবার সেই জায়গায় গড়িয়ে যাবে ৷ আলেমসমাজ বিষয়টিকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারবে না ৷ অপরদিকে যদি ভাস্কর্য স্থাপন থেকে পিছিয়ে পড়ে তাহলে দেশী ও আন্তর্জাতিক ইসলামবিদ্বেষীদের রোষানলে পড়তে হবে সরকারকে ৷ তাদের কাছে স্পষ্ট মেসেজ যাবে, সরকার ইসলাম পন্থীদের সামনে নতি স্বীকার করছে ৷ এমন পরিস্থিতিতে ফেলে দেওয়ার মত ঘনিষ্ঠ জায়গাগুলোতে যারা রয়েছে তারাই সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় ক্ষতির কারণ ৷ একটি স্থিতিশীল পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার জন্য, দেশের মধ্যে একটি সংঘাতমূলক পরিবেশ তৈরি করার জন্য তারাই দায়ী ৷
    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার নেতৃত্ব ও অবদানের মাধ্যমে এমন এক আসনে আসীন হয়েছেন যে, তার চেতনা ও কৃতিত্ব তুলে ধরার জন্য ভাস্কর্য নির্মাণের প্রয়োজন নেই ৷ এমন পরিস্থিতির দিকে একটি পক্ষকে ঠেলে দেয়া মূলত চাটুকার শ্রেণীর কাজ ৷

    চাটুকারশ্রেণীর মধ্যে নিকৃষ্টতম শ্রেণী হলো তারা যারা সরকারকে খুশি করার জন্য ভাস্কর্যের অনুকূলে কুরআন-সুন্নাহ থেকে কিছু উদ্ধৃতি সরবরাহ করছে ৷ কুরআন- সুন্নাহর ন্যূনতম জ্ঞান যাদের আছে তারা একথা বিশ্বাস করবে যে,ভাস্কর্য তথা মূর্তি নির্মাণের কোন অবকাশ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আনীত ধর্মের মধ্যে নেই ৷ যে নবীর অন্যতম প্রধান মিশন ছিল মূর্তি নির্মূল করা, যে কুরআনের অন্যতম মৌলিক শিক্ষা হলো মূর্তিকে উৎখাত করা, সেই নবীর আদর্শ ও সেই কুরআনের উদ্ধৃতিতে মূর্তির বৈধতা প্রমাণ করতে যাওয়া কত বড় ধৃষ্টতা, তা কুরআন-সুন্নাহ সম্পর্কে অবগত যে কেউই অনুমান করতে পারে ৷ সরকারকে যারা এই ধরনের ধৃষ্টতার কানপড়া দিচ্ছে তাদেরকে বলা হয় ওলামায়ে ছু-নিকৃষ্টতম আলেম ৷ এক্ষেত্রে সরকারের নিকট গ্রহণযোগ্য ও আস্থাভাজন হাক্কানী আলেমদের বড় দায়িত্ব ৷ তাদের দায়িত্ব, সরকারের সম্মুখে বিষয়টি খোলাসা করা ৷ মূর্তি নির্মাণ বিষয়ে ইসলামের কঠোর দৃষ্টিভঙ্গির কথা বোঝানো ৷ অন্তত একথা তো বোঝাতেই হবে যে, ভাস্কর্য তথা মূর্তি নির্মাণ ইসলামের দৃষ্টিতে অত্যন্ত গর্হিত একটি কাজ তার ওপর সেটিকে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে বৈধ প্রমাণের চেষ্টা “চুরির উপর সিনাজুরি” বৈ কিছুই নয় ৷
    তবে সবার আগে সম্মিলিতভাবে সকল মাসলাক- মাশরাবের আলেম সমাজের ঐক্যবদ্ধ একটি মতামত জাতির সামনে আসা উচিত ৷ সরকারকেও জানানো উচিত ৷ আশা করি আলেমসমাজ সেই পদক্ষেপ নিবেন এবং এই আশাও আমরা ছাড়ছিনা যে, সরকারের বোধোদয় হবে এবং তারা এই আত্মঘাতী পথ থেকে যেকোন মূল্যে পিছু হটবে ৷

    সৌজন্যে:
    মাসিক রাহমানী পয়গাম
    নভেম্বর’২০

  • আনোয়ারা উপজেলা যুবলীগের সাম্প্রদায়িক বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ

    আনোয়ারা উপজেলা যুবলীগের সাম্প্রদায়িক বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ

    আমজাদ হোসেন,আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

     

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কার্য নির্মাণের বিরোধিতার প্রতিবাদে আনোয়ারায় উপজেলা যুবলীগের এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

    সোমবার (৩০ নভেম্বর) বিকালে আনোয়ারা উপজেলার চাতরী চৌমহনী বাজারে যুবলীগের আহ্বায়ক শওকত ওসমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    যুবলীগের সদস্য সচিব অনুপম চক্রবর্তী বাবুর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সদস্য নিজামুল হক, শফিউল আলম,এডভোকেট আলম, আলী আকবার, জামশেদুল আলম, এরশাদুল আলী সোহেল, মোহাম্মদ জামাল, জালাল উদ্দিন,রাশেদ ও ফোরকান।

    সমাবেশে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের যুবলীগর বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

  • উখিয়ায় অবৈধ স’মিল উচ্ছেদ ও বিপুল পরিমাণ চোরাই কাঠ জব্দ

    উখিয়ায় অবৈধ স’মিল উচ্ছেদ ও বিপুল পরিমাণ চোরাই কাঠ জব্দ

    মোঃ শহিদ উখিয়া।

     

    উখিয়া উপজেলার রুমখাঁ বাজারে স’মিল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা প্রশাসন।

    ৩০শে নভেম্বর সোমবার বিকাল ৫টায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

    সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আমিমুল এহসান খানের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে ২টি অবৈধ করাত কলের চোরাই কাঠ চিরাই মেশিন, বিভিন্ন জাতের ৩৬০ঘনফুট অবৈধ কাঠ ও করাতকলে ব্যবহৃত অবৈধ যন্ত্রাংশ জব্দ করতে সক্ষম হয়। তবে অভিযানে কাউকে আটক করতে পারেনি যৌথ বাহিনী।অভিযান পরিচালনার সময় উখিয়া রেঞ্জ অফিসার শরীফুল ইসলাম, ইনানী রেঞ্জ অফিসার মোঃইব্রাহিম, উখিয়া বিট অফিসার বজলুর রশিদ,হলদিয়া পালং বিট অফিসার ছৈয়দ আলম,জালিয়াপালং বিট অফিসার ও উখিয়া থানা পুলিশের এএসআই শাহজালাল সহ একদল পুলিশ ও উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

    উখিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আমিমুল এহসান খান জানান,সোমবার বিকাল ৫টা থেকে দীর্ঘ ২ ঘন্টা অভিযান পরিচালনা করে দুটি চোরাই কাঠ চিরাই মেশিন ও ৩৬০ঘনফুট বিভিন্ন জাতের কাঠ জব্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। অবৈধ স’মিলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি। তবে বিভিন্ন সময় অবৈধ স’মিল উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবারের অভিযানের নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) আমিমুল এহসান খান। পর্যায়ক্রমে সকল অবৈধ স’মিল উচ্ছেদ করা হবে বলে জানা যায়।

  • ভোলায় সাতপাঁক ঘুরে শাঁখা সিধুর দিয়ে বিয়ের নামে ধর্ষণের অভিযোগ

    ভোলায় সাতপাঁক ঘুরে শাঁখা সিধুর দিয়ে বিয়ের নামে ধর্ষণের অভিযোগ

    ভোলা প্রতিনিধি

     

    ভোলার তজুমুদ্দিনে ৪নং ওয়ার্ড, চাদপুর গ্রামের বিধবা নারী ও দুইসন্তানের জননী শ্রীমতী জয়া রানী কর্মকার (৩২)পিতা.শ্রী ননী গোপাল কর্মকারকে বিয়ের প্রলোভনে প্রতারণার সংসার পাতিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ ও অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ পাওয়া যায়।

    তথ্যপ্রমাণ ও ঘটনার বর্ননা ঐ নারী অভিযোগে জানান,ভোলার পৌর চরনোবাদ ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা অভিনাশ মাঝি(৩২)পিতা.মৃত সত্য রঞ্জন দাস দুইবছর শাখা সিধুর পরিয়ে,ভুয়া ঠাকুর দিয়ে মন্ত্র পরিয়ে ভোলার তজুমুদ্দিন উপজেলার বিধবা জয়া রানীর সাথে সংসারের নামে ধর্ষণ করে সহ নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয়। তার স্বামী সংকর কুমার রায় ভোলার পাওয়ার হাউজে চাকুরির সুবাদে শহরের কে-জাহান মার্কেটের ময়ুরী ফ্যাশন টেইলারিং দোকানের কর্মচারী অভিনাষ মাঝির সাথে ২০১৮ সালে পোষাক তৈরী করার সুবাদে তার স্বামী জীবিত অবস্থায় পরিচয়ের সুত্রপাত ঘটে। স্বামীর চাকুরির অবস্থায় অসুস্থ হয়ে ৩মাস পর ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে স্বামী মারা যায়। স্বামী বিয়োগের পর বিধবা জয়া রানী তার দুই শিশুসন্তানের ভবিষ্যৎ ও ভরনপোষণ চালাতে জীবন যুদ্ধে জীবকা অর্জন উপায়ে সেলাইয়ের প্রশিক্ষন ও টেইলারিং কাজে উপার্জনের পথ বেছে নেয়।আর টেইলারিং কাজের সুত্রধরে অভিনাষ মাঝির সাথে সুসম্পর্ক গড়ে উঠে।ভোলার পৌর শহরে ৫নং ওয়ার্ডের রাহাত তালুকদারের দুই বেড বিশিষ্ট বাড়ির নীচতলায় শিশুসন্তান নিয়ে পেটপুজো করে বসবাস করে। এ সুযোগটি কাজে লাগায় লম্পট ও দূশ্চরিত্র টেইলারিং অভিনাশ মাঝি।স্বামীর ঘনিষ্ঠতা ও নিত্যকার যোগাযোগ এবং টেইলার কাজের বাহানায় কু-মতলবে সম্পর্কের দরুন কুপ্রস্তাবে দেয়।এ উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে বিধবা নারী বিষয়টি বাড়ির মালিক রাহাত তালুকদার জানায়।এরপর মালিক কতৃক তাকে নিষেধ করার সত্ত্বেও নিজ কৌশল অবলম্বন করে জয়া রানীকে বিবাহের প্রস্তাব দেয়।এবং তার নাবালক দুটি অবুজ শিশুদের সকল ভরনপোষণ সহ যাবতীয় দায়ভার গ্রহন করার প্রতিশ্রুতি দেয়। অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন লক্ষে হঠাৎ হিন্দু ধর্মাবলম্বী রীতিনীতি অনুযায়ী অপরিচিত দুই ব্যক্তিকে ঠাকুর পরিচয়ে সেই রাতেই শাঁখা সিধুুর পরিয়ে বিয়ের হিন্দু ধর্মের সাত-পাকে ঘুরে মন্ত্র পরে প্রতারণা মুলক বিবাহ সম্পন্ন করে। এমতাবস্থায় স্বামী হারা নারীর ও শিশুসন্তানদের প্রতি তার দরদ দেখে অাকৃষ্ট হয়।তার বড়বোন পৌর ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা অর্চনা রানীর,ভগ্নীপতি নরউত্তম চন্দ্র ঘরামীকে সাক্ষী করে স্বামী-স্ত্রী ন্যায় সংসার পাতিয়ে দৈহিক সম্পর্কে একাধিক ধর্ষণের স্বীকার হয়।এবং দুইবার অন্তসত্বা হলেও লম্পট স্বামীর কৌশলী অনুরোধে সে গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে বাধ্যহয় বলে জানান।

    সাংসারিক সম্পর্কের দরুন কাপড়ের ব্যবসার নামকরে প্রতারক অভিনাশ তার মৃত স্বামীর জমাকৃত নগদ দুইলক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।আবার কয়েকমাস পর স্বামীর পেনশনের টাকা উত্তোলন করেও তিনলাখ টাকা প্রতারণা আত্মসাৎ করে। এদিকে টাকার হিসেব না পাওয়া ও বিয়ের রেজিস্ট্রারি কালক্ষেপণ ও নিত্যকার অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন নাটকীয়তা দেখে পরিবারের সদস্যদের জানায় জয়া রানী কর্মকার।

    পরে ১০নভেম্বর ২০২০ইং তারিখে পরিবারের চাপে নয়া কৌশলে ভোলার শহরে ভারা বাড়িটি ছেড়ে দিয়ে তজুমুদ্দিনে তার পিত্রালয়ে ব্যাবসা ও বিবাহের রেজিস্ট্রার সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দেয়। শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করে অবিনাষের স্বামী /স্ত্রী অধিকারে একাধিক রাত্রিযাপন ও ধর্ষণের স্বীকার হয় অসহায় জয়ারানী।

    গত ১০/১১/২০২০ ইং তারিখে তজুমুদ্দিনে পিত্রালয় রেখে কৌশলে ভোলা শহরে আসে। হটাৎ তার সাথে যোগাযোগ বন্ধকরে দেয়।পারিবারিক অজুহাতে অন্যত্র বিয়ে করার চাপ রয়েছে বলে জানায়।সর্বশেষ বিধবার সাথে সংসার ও পাচ লাখ টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে তার প্রতারনার মুখোশ আত্মপ্রকাশ করে অভিনাশ মাঝি।

    এ পরিস্থিতিতে দিশেহারা এক সমাজের বিধবা নারী যখন সামাজিক ভাবে সৃকৃতি পেতে বিভিন্ন মহলে ঘুরে সব প্রচেষ্টা শেষে আইনগত সহয়তা পেতে, তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা করেন। উক্ত মামলাটি তুলে নিতেও বিভিন্ন সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হুমকি দেয় অভিনাষ।পরে ২৭নভেম্বর২০২০ইং তারিখে ফের অন্য এক নারীকে গোপনে বিয়ে করে বলে জানতে পারে।

    এবিয়ের ঠেকাতে দিশেহারা এ নারী অভিযোগ নিয়ে ভোলার সদর থানায় ছুটে যান।
    এব্যাপারে সদর থানার ওসি মো.এনায়েত হোসেন তদন্তকরে জানান,যেহেতু ভিকটিমের বাড়ি তজুমুদ্দিনে এবং বিবাহের রেজিস্ট্রার সনদও নেই।বিজ্ঞ আদালত মামলাটির তদন্তভার দেয় তজুমুদ্দিনে থানাধীন।তদন্ত রিপোর্ট না পেতে আসামির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আইনসংগত নয়।

    অভিনাশ ও জয়ারানীর ঘটনার সত্যতা জানতে ভোলা পৌর ৫নং ওয়ার্ডে বসবাসরত বাড়ির মালিক রাহাত তালুকদার ও তার স্ত্রী সুমি তালুকদার উভয়ে মধ্যেই অবৈধ সম্পর্ক ভারা থাকা অবস্থায় হয়।এছাড়া অভিনাশের আসা যাওয়া ও রাত্রিযাপন দেখে তারা সতর্ক করলেও তা চলমান রাখেন বলে জানায়।রাহাত তালুকদার বলেন, একবার অভিনাষকে গভীর রাতে আটক করলে উভয়ের মধ্যে গোপন বিবাহের হওয়ার স্বীকারোক্তির পর বিষয়টি মেনে নেয় তারা।

    এবিষয়ে তজুমুদ্দিন থানার ওসি এস এম জিয়াউল হক সাংবাদিকদের জানান বিজ্ঞ আদালতের মামলাটি গত (২৪নভেম্বর ২০২০)ইং তারিখে পুলিশ কে তদন্তভার দেয়। এবং তদন্তের প্রক্রিয়া এখনো চলমান রয়েছে।সেক্ষেত্রে তথ্যপ্রমাণ ও তদন্তের রিপোর্টে ঘটনার সত্যতা পেলে আসামি অভিনাশ এর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলে জানায়।

    এবিষয়ে ধর্ষিতা ও অন্যন্যদের সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অনিমেশ মাঝির কাছে জানতে চাইলে,তিনি ঘটনার বর্ননায় করে জয়ারানীর সাথে তার পারিবারিক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল তা স্বীকার করেন।সে সম্পর্কের সুবাদে তিনি তার ভারা বাড়িতেও তিনি একাদিকবার রাত্রিযাপন করেছেন। তাদের মধ্যে অর্থের লেনদেন ছিল সেটা স্বীকার করেন।তবে ধর্মীয় রীতির অবৈধ সংসার ও ধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করেন।অভিনাশ জানান স্থানীয় পর্যায়ে এনিয়ে শালিসি সিদ্ধান্ত হলে উভয়ের মোট এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে স্থানীয় বিচারে তা মিমাংসা করা হয় বলেও জানায় নারী ও শিশু মামলার আসামি অভিনাশ মাঝি।

  • উখিয়া ডাকবাংলো-মরিচ্যা সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন

    উখিয়া ডাকবাংলো-মরিচ্যা সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন

    মোঃ শহিদ উখিয়া।

     

    উখিয়া ডাকবাংলো গরুবাজার হয়ে মরিচ্যা পাতাবাড়ি যাওয়ার মাঝপথে গয়ালমারা কালভার্ট গত মাস দেড় এক আগে ধ্বসে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত মেরামত করার কোন প্রক্রিয়া শুরু হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।

    জানা যায়, ডাকবাংলো গরুবাজার সড়কের গয়ালমারা কালভার্টটি ধ্বসে পড়ে গেলে যানবাহন চলাচল অচল হয়ে যায়, মুহুর্তেই এলাকার সচেতন ব্যাক্তিদের উদ্যোগে কোনমতে, পথচারি ও যাতায়াতের সুবিধার্থে কাঠের তক্তা ও বাঁশের সাকো বানিয়ে পারাপার হওয়ার মত অবস্থান সৃষ্টি করে দেওয়া হয় । এতে বেশকিছুদিন গেলে সেটিও আজ বিকল হয়ে পড়ে। এখন পথচারি ও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে বিপাকে পড়েছেন পুর্ব আঞ্চলের মানুষগুলো।

    এ সড়কের কালভার্টটির উপর চলাচলের নির্ভরশীল হাজারো গ্রাম, লক্ষাধিক পুর্ব অঞ্চলের মানুষ, তাছাড়া,এই সড়ক দিয়ে, গয়ালমারা,ভালুকিয়া,হলদিয়া,পাতাবাড়ি,মরিচ্যা দিয়ে যাতায়াত করে অসংখ্য ছোট-বড় যানবাহন। এমনকি মরিচ্যা হতে টেকনাফ মেইন রোড়ের বিকল্প সড়ক হিসাবেও এটি ব্যবহার করা হয়।

    এলাকাবাসীর অভিযোগ, উখিয়া প্রকৌশলী অধিদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার অফিসার বলছিলেন কালভার্টটি ১৫ দিনের ভিতর মেরামত করা হবে।কিন্তু দুঃখের বিষয় দেড়মাস হয়ে যায় এখনো পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি। এতে আমাদের যাতায়াতের চলাচল পথ অনেক কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী অফিসার মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, গয়ালমারা কালভার্টটি আমরা পরিদর্শন করেছি, সংস্কারের কাজগুলো কার্যকর করতে একটু সময় লাগে। তবে আমাদের চেষ্টা ও কমতি নেই, আশা করি আগামী ২০ ডিসেম্বরের আগে এই কালভার্টের কাজ সম্পন্ন হবে।

  • খেলা হবে: মাওলানা মামুনুল হককে নিক্সন চৌধুরী

    খেলা হবে: মাওলানা মামুনুল হককে নিক্সন চৌধুরী

    মোঃ রাকিব,বিশেষ প্রতিনিধি

    খেলাফত মজলিশের ভারপ্রাপ্ত মাহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন।

    বরাবরের মতোই স্টাইলিশ ভঙ্গিতে এমপি নিক্সন বলেন, ‘মামুনুল হক কারে চ্যালেঞ্জ করে? শেখ হাসিনারে চ্যালেঞ্জ করে! ব্যাডা কী পাগল…? মাথায় কি বুদ্ধি কম? আরে শেখ হাসিনা তো অনেক উপরের বিষয়। আজ সারাদেশে যুবলীগের সঙ্গে লইড়া দেখেন। আসেন, দেখেন খেলা হবে। এই যুবলীগের সঙ্গে এক মিনিট লড়ার ক্ষমতা আপনার নেই।’

    আজ সোমবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় চট্টগ্রামের পুরোনো রেলস্টেশন চত্বরে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। ঐ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যুবলীগের নবনির্বাচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলমকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

    যুবলীগ নেতা নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের সাথে ফাঁপরবাজি কইরেন না। কোন দেশের টাকা খাইছেন, হঠাৎ কইরা চাঙা দিয়া উঠছেন। ওইসব দেশের দালালি বন্ধ করেন, এটা বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন বাংলাদেশ।’

    নিক্সন আরও বলেন, ‘যুবলীগ যদি মাঠে নামে ওস্তাদ দৌড়াইয়া কূল পাবেন না ওস্তাদ। তাই আমার নেত্রীরে চ্যালেঞ্জ জানানোর আগে নেত্রীর সন্তানদের সঙ্গে একটু বুঝপারা কইরা নেন। তাই এমন ধমক দিয়েন না। দালালি করেন অন্য দেশের। দালালি কইরা মাল খাইছেন, হেই মাল খাইয়া এহন ভাব নেন, চ্যালেঞ্জ করেন।’

    মাওলানা মামুনুল হককে তেলাপোকার সাথে তুলনা করে নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘আরে মিয়া তেলাপোকাও পাখি, আর আপনিও মানুষ। যদি সাহস থাকে তাহলে আসেন মাঠে আসেন। মাঠে খেলা হবে। আমাদের ভয় দেখাবেন না। আমাদের মাথা থেকে পায়ের আঙুল পর্যন্ত পুরাটাই কইলজা।

  • মাহফিলে উচ্চশব্দের অভিযোগ আসলেই বন্ধ করে দেওেয়া হবে মাহফিল

    মাহফিলে উচ্চশব্দের অভিযোগ আসলেই বন্ধ করে দেওেয়া হবে মাহফিল

    উখিয়া ভয়েস ডেস্ক

     

    ওয়াজ মাহফিলে উচ্চশব্দের অভিযোগ পেলেই ওয়াজ মাহফিল বন্ধ করে দেওেয়া হবে। জনদুর্ভোগ লাঘবে মাহফিলে উচ্চ শব্দ করলে সরকারি নির্দেশনায় ব্যবস্থা নেওয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ওসিদের নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। কোথাও ওয়াজ মাহফিলের উচ্চশব্দের অভিযোগ পেলেই বন্ধ করে দেয়া হবে মাহফিল।

    সাতক্ষীরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয় থেকে সহকারী কমিশনার ইন্দ্রজিত সাহার স্বাক্ষরিত পত্রে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

    সহকমিশনার ইন্দ্রজিত সাহা জানান, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি রেজুলেশনের সিদ্ধান্তের আলোকে গত ২৫ নভেম্বর এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। কোথাও যদি ওয়াজ মাহফিলে উচ্চশব্দ ব্যবহার করা হয় আর সে বিষয়ে কেউ অভিযোগ করে সেই মাহফিল বন্ধ করে দেওেয়া হবে। ইতিমধ্যে পুলিশ সুপার, ইউএনও এবং ওসিদের এ সম্বন্ধে চিঠি দেয়া হয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, ওয়াজ মাহফিল মূলত রাতে হয়। উচ্চশব্দ ব‍্যবহার করার কারণে রাতে মানুষের ঘুমে সমস্যা হয়, জনদুর্ভোগ হয়। সেজন্য যদি কেউ অভিযোগ করে তবে জনদুর্ভোগ লাঘব করতে মাহফিল বন্ধ করে দেওেয়া হবে। উচ্চশব্দ ব্যবহার করা ছাড়া মাহফিল পরিচালনা করায় কোনো বাধা নেই।

  • ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পলিটিক্যাল স্ট্যাটেজি

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পলিটিক্যাল স্ট্যাটেজি

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর রাজনৈতিক স্ট্যাটেজি সহজে সবাই বুঝে না।অনেকে সন্দেহের চোখে দেখে। অথচ রাজনৈতিক প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিরা সহজেই বুঝতে পারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর পদ্ধতি,কৌশল এবং সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা। তাদের একটি দীর্ঘমেয়াদী প্লান রয়েছে।কোন একটি ইস্যুতে Do or die নীতি অবলম্বন করে শক্তি নিঃশেষ করে দেয়না। আচ্ছা মূর্তি ইস্যুতে যদি ডু অর ডাই নীতি অবলম্বন করে তাহলে লাভটা কাদের হবে? অনেকেই এই বিশ্লেষণে গিয়ে ধাক্কা খেয়ে যায়।চরমোনাইর পীর কদম বাড়ানোর অাগে হাজারবার ভাবে এই কদমের রিয়েকশন কি হতে পারে। সেই জন্যে রাজনীতিতে তারা ঠান্ডা মাথায় খেলে দিতে পারে। কোন একটি ইস্যু পেলেই তাকে চূড়ান্তভাবে সরকার পতনের দিকে নিয়ে যাওয়া ইসলামী আন্দোলনের কাজ নয়।বিএনপি চেয়ে আছে পরের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খাবে বলে।২০১৩ সালের সেই স্বপ্ন যখন পূরণ হয়নি এখনো তারা সুযোগের সন্ধানে।

    একটি ইস্যু হলেই সরকার বিরোধি এজেন্সি গুলো ইসলামী দলগুলোর মাধ্যমে সরকার পতনের স্বপ্ন দেখে। যেমন ডক্টর জাফরুল্লাহ গতকালই বলেছেন একটু ধাক্কা দিলেই সরকার কিনারায় পড়ে যাবে। এটা মূর্তি ইস্যুতে ইসলামপন্থীদের কঠিন অবস্থানকে পূজি করে বলেছেন। নিজেদের শক্তি ক্ষয় করে,ধর্মপ্রাণ মানুষের অাবেগকে কাজে লাগিয়ে কোন বিরোধী শক্তিকে ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে সুযোগ দিতে চায়না ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। যারা বিএনপির জোটে এবং হেফাজতে আছে তাদের নীতিতে,মননে মস্তিকে বিএনপি প্রীতি কাজ করে। যার ফলশ্রুতিতে কোন একটা ইস্যু পেলেই মাঠ গরম করে সরকার পতনের দিকে নিয়ে যেতে চায়। এই একটি জায়গায় এসে ইসলামী আন্দোলনের রাজনৈতিক কৌশলের সাথে অন্যান্য ইসলামী দলের পলিটিক্যাল স্ট্যাটেজি ফেইল করে। কারণ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কাউকে ক্ষমতা থেকে নামানো বা ক্ষমতায় উঠানোর এজেন্ডা বাস্তবায়নে বিশ্বাসী নয়। সময় হলে তারা শক্তি কাজে লাগিয়ে ইসলামকে ক্ষমতায় নিয়ে যাবে। মূর্তি ইস্যুতে ইসলামী আন্দোলনের অবস্থান স্পষ্ট। তা স্বত্বেও অনেকে পাগলের প্রলাপ বকছেন। এদের পলিটিক্যাল নলেজ যে হাঁটুর নিচে তা স্পষ্টই প্রমাণিত।

    কোন একটা ইস্যুতে ইসলামী আন্দোলন আগে মাঠে নামে। প্রথমেই জনমত সৃষ্টি করে। দলের আমির, নায়েবে আমিরের বক্তব্যগুলো শুনলে বুঝতে পারবেন তাদের প্রজ্ঞা। প্রথমে তারা জনতাকে বিষয়টি সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিবে। জনতা বিষয়টি বুঝতে পারার পর তারা একটি ঝাকুনি দেয়।এতেই সাধারণ জনতা ঐ বিষয়ে সিরিয়াস হয়ে উঠে। পরীক্ষায় প্রথম প্রশ্ন কমন না পড়লে সেটা নিয়ে বসে থাকা কোন মেধাবি শিক্ষার্থীর কাজ হতে পারেনা। অংক একটি না পারলেও পরীক্ষার হলে বার বার সেটা চেষ্টা করতে গিয়ে কাল ক্ষেপন করে বাকি অংকগুলো করার সময় থাকেনা। সুতরাং একটি অংক ভুল হলে সেটা বাদ রেখে বাকিগুলোতে মনোযোগ দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
    । একবার না পারিলে দেখ শতবার থিউরি পরীক্ষার হলে কাজে আসেনা। হিতে বিপরীত হয়। মূর্তি ইস্যু নিয়ে পড়ে থাকাটাও কোন রাজনৈতিক কৌশল নয়। ইসলামী আন্দোলন যেহেতু সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে রাজনীতি করছে তাদের একটি ইস্যু নিয়ে পড়ে থাকার মানেই হয়না। যেমন আজ আরেকটি ইস্যুতে সরব চরমোনাইর পীর সাহেব। বিভিন্ন পত্রিকায় ইতিমধ্যে চলে এসেছে বিষয়টি। আগামী ২০২২ সাল থেকে এস এস সিতে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা সাবজেক্টটি রাখছে না শিক্ষামন্ত্রণালয়। এটার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির পীর সাহেব চরমোনাই। একটি রাজনৈতিক দল শুধু একটি ইস্যুতে ডুর অর ডাই নীতি অবলম্বন করতে পারেনা। কিছু কাজ করতে হয় রাজপথে, আবার কিছু কাজ করতে হয় ঠান্ডা মাথায় কূটনীতিকভাবে। ইসলামী অান্দোলন বাংলাদেশ ঠান্ডা মাথায় রাজনীতির পুতুলটা নিয়ে হাঁটছে।

  • আবু ইউসুফ এর ২১শে ফেব্রুয়ারী বইমেলা উপলক্ষে প্রকাশিত হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ছোটদের কাব্য ও গল্পগ্রন্থ

    আবু ইউসুফ এর ২১শে ফেব্রুয়ারী বইমেলা উপলক্ষে প্রকাশিত হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ছোটদের কাব্য ও গল্পগ্রন্থ

    এইচ এম সাইফুল নূর, স্পেশাল প্রতিনিধি

    সরকারি মোজাহারউদ্দিন বিশ্বাস কলেজের প্রভাষক এবং সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবু ইউসুফ-এর ছোটদের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক কাব্যগ্রন্থ “শিশুবন্ধু মুজিব” ও গল্পগ্রন্থ “খোকাই আজ বাঙালি জাতির পিতা”।। প্রকাশ ২০২১ বইমেলা ২১ ফেব্রুয়ারী উপলক্ষে। গ্রন্থ দুটি পাওয়া যাবে ২০২১ সালের একুশে বই মেলায় শব্দশিল্প ও ইছামতী প্রকাশনীর স্টলে ।।
    লেখক বলেছেন, বাচ্চাদের ছোট থেকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে বেড়ে উঠতে হবে এ বাস্তব উপলব্ধি চিন্তা করে বই দুটির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে।
    ছোট সময় থেকে বাচ্চাদের বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস বাঙালি হিসেবে জাতির পরিচয় জানা অপরিহার্য।
    বই দুটিতে ধর্মীয়শিক্ষা, নিয়মানুবর্তিতা ও স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক গল্প এবং কাব্য লেখা হয়েছে।
    বই দুটি শীঘ্রই প্রকাশ হচ্ছে লেখক শুভার্থীদের বই দুটি সংগ্রহ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।