Blog

  • ঢাকায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ,  বিক্ষোভে উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

    ঢাকায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, বিক্ষোভে উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

    মোঃ রাকিব,বিশেষ প্রতিনিধি

     

    ঢাকার বায়তুল মোকাররম গেটে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে আজ সন্ধ্যা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের প্রধান সড়ক টি.এ রোড বিক্ষোভে উত্তাল ছিল। সেখানে অবস্থান করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে কওমী মাদরাসার শিক্ষার্থীরা।

    বিক্ষোভ চলাকালীন সময় শহরের প্রধান সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যানার ও ফেস্টুনে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে ফেলে।

    এসময় ব্রাম্মনবাড়িয়া থানা ব্রিজের সামনে এক প্রতিবাদী সভায় বক্তারা বলেন, ঢাকায় গ্রেফতার হওয়া ছাত্রদের দ্রুত মুক্তি দিতে হবে। তানাহলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুশিয়ারি দেন তারা।

  • মামুনুল হক আপনার ভয় নাই পাশে আছি আমরা সবাই= আল্লামা হাসান জামিল

    মামুনুল হক আপনার ভয় নাই পাশে আছি আমরা সবাই= আল্লামা হাসান জামিল

    UkhiyaVoice24.Com

     

    আল্লামা মামুনুল হক এগিয়ে চল আল্লাহ আছেন তোমার সাথে।  আল্লামা মামুনুল হক এগিয়ে চল আমরা আছি তোমার সাথে।

     

    প্রিয় বন্ধু, প্রিয় রাহবার! আপনি আমাদের অহঙ্কার। চামচিকার ঔদ্ধত্য দেখে আপনি হতবিহ্বল-হতোদ্যম হবেন না। আপনি আমাদের মুখপাত্র। আপনি দমে গেলে ওরা জিতে যাবে। এ লড়াই আপনার ব্যক্তিগত বিষয়ে নয়, এ লড়াই হক-বাতিলের। এ লড়াইয়ে আপনি একা নন, গোটা দেশের তাওহীদি ও দেশপ্রেমিক জনগণ আপনার সহযোদ্ধা।

    এ লড়াই রাজনৈতিক নয়, এটা ঈমানী লড়াই। আমাদের প্রতিপক্ষ কোন রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি নয়, আমাদের প্রতিপক্ষ ইসলামবিদ্বেষী অপশক্তি।
    ওরা মূলত আপনাকে রুদ্ধ করতে চায় না। ওদের টার্গেট ইসলাম।
    হক-বাতিলের চলছে লড়াই চলবে…….!!

    প্রিয় ভাই, আমরা জানি আপনি দমে যাওয়ার পাত্র নন, তারপরও দোয়া-
    الله يعصمك من الناس
    আল্লাহ আপনাকে রক্ষা করুন; বিচলিত হবেন না-ان لله معنا, আল্লাহ যাদের সঙ্গী, তাদের দমিয়ে রাখার সাধ্য কার?!

    শায়েখ ওমর মুখতার রহ..শত্রুর বোমারুবিমান সম্পর্কে কি বলেছিলেন মনে আছে তো? “বিমানগুলো যদি আরশের নিচে দিয়েই চলে তাহলে ভয় পাওয়ার কী দরকার!” সত্যিই তো যাদের রব আরশের মালিক তাদের আবার ভয় কীসের? নবী ﷺকে দেওয়া সান্ত্বনাই আমাদের সান্ত্বনা :
    فان تولوا فقل حسبي الله. لااله الاهو. عليه توكلت وهو رب العرش العظيم
    অর্থ : “তারা পৃষ্ঠপ্রদর্শন করলে আপনি বলুন, আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট। তাঁকে ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তাঁর উপর ভরসা করছি, তিনিই মহান আরশের মালিক।”

    আল্লাহর দীনের জন্য আজ আপনি হুমকির মুখে, আল্লাহই আপনাকে রক্ষা করবেন ইনশাআল্লাহ।

    আপনার ভয় নাই, পাশে আছি আমরা সবাই।

  • উখিয়ায় “পিসওয়ে হিউম্যান রাইটস সোসাইটি,র রাজাপালং ইউনিয়ন শাখার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল সম্পন্ন

    উখিয়ায় “পিসওয়ে হিউম্যান রাইটস সোসাইটি,র রাজাপালং ইউনিয়ন শাখার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল সম্পন্ন

    মোঃ শহিদ উখিয়া।

    গত ২৫.১১.২০২০ উখিয়া উপজেলার মানবাধিকার সংগঠন,পিসওয়ে হিউম্যান রাইটস সোসাইটি, রাজা পালং ইউনিয়ন শাখার ০৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে।

    এতে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে, সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলম বাপ্পি, প্রচার সম্পাদক অলি আহম্মদ অলি, দপ্তর সম্পাদক আবুল হাসেম নির্বাচিত হয়।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ” পিসওয়ে ” হিউম্যান রাইটস সোসাইটি’ র উখিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি জনাব জাফর উল্লাহ চৌধুরী,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাধারন সম্পাদক, জনাব অধ্যাপক নুরুল মাসুদ ভূইয়া,মানবাধিকার সম্পাদক, টীকাদার ছৈয়দুল বশর,নির্বাহী সদস্য অধ্যক্ষ মোঃ সেলিম, নির্বাহী সদস্য সাইফুল ইসলাম রাশেল, ইউনিয়ন সভাপতি ওমর হামজা, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইসমাই সহ অন্যন্য নেতৃবৃন্দ।

    কোভিড ১৯, মাদক,বাল্য বিবাহ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।এবং নুতন নেতৃবৃন্দের সকলকে একসাথে কাজ করার আহবান জানান।

  • গ্রেফতারকৃতদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে মুক্তি দিতে হবে= আল্লামা মামুনুল হক

    গ্রেফতারকৃতদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে মুক্তি দিতে হবে= আল্লামা মামুনুল হক

    নিজস্ব প্রতিবেদক

     

    শিরকের প্রতীক মূর্তির বিরুদ্ধে কথা বলায় আমি যখন জুলুমের শিকার, এক মজলুমের পক্ষে দাড়াতে হাজারো তৌহিদী জনতা রাজপথে নেমেছে ৷ তাদের এ বিক্ষোভ ছিল তাওহিদী চেতনার বহিঃপ্রকাশ ৷ ছিল একত্ববাদ প্রতিষ্ঠিা ও শিরকের প্রতীকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানানোর কর্মসূচি ৷ এই সাহসী জনতাকে স্বশ্রদ্ধ সালাম ! তাদের উপর নির্মম লাঠিচার্জ ও নির্যাতনের দৃশ্য জাতি দেখেছে ৷ বিক্ষোভকারী প্রায় অর্ধশত তৌহিদী জনতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাদের মুক্তি না দিলে বিক্ষোভ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে ৷ এক জুলুমের প্রতিবাদে হাজার মানুষের বিক্ষোভ হলে পরবর্তী জুলুমের প্রতিবাদে লক্ষ জনতার বাঁধভাঙ্গা বিক্ষোভ নেমে আসবে রাজপথে এটাই স্বাভাবিক ৷ দায়িত্বশীল মহলের যথাযথ পদক্ষেপের প্রতীক্ষায় রইলাম ৷

  • বরিশালে মাস্ক ব্যবহার না করায় ৫৩ জনকে আর্থিক দন্ড করেছে ভ্রাম্যমান আদালত

    বরিশালে মাস্ক ব্যবহার না করায় ৫৩ জনকে আর্থিক দন্ড করেছে ভ্রাম্যমান আদালত

    পারভেজ, বরিশাল প্রতিনিধি

     

    বরিশাল নগরীতে মাস্ক ব্যবহার না করায় ৫৩জন ব্যক্তিকে অর্থদন্ড দিয়েছেন পৃথক দুটি ভ্রাম্যমান আদালত। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মো. হেলালউদ্দিন এবং নিরূপম মজুমদারের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার ২৬ নভেম্বর সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালিত হয়।

    জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, শীতে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ (দ্বিতীয় দফা সংক্রামন) ঠেকাতে সরকার সবার মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। এই নিয়ম কার্যকরে আজ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুটি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়।

    শরীফ মো. হেলালউদ্দিনের ভ্রাম্যমান আদালত নগরীর সদর রোড ও হাসপাতাল রোড এবং নিরূপম মজুমদারের ভ্রাম্যমান আদালত নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাস্ক বিহীন মোট ৫৩জন ব্যক্তিকে ৮ হাজার ৪শ’ টাকা জরিমানা করেন। এ সময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সহায়তা করেন।

    জনস্বার্থে এই অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মো. হেলাল উদ্দিন।

  • আগামীকাল (২৭ শে নভেম্বর ) শুক্রবার শুরু হতে যাচ্ছে ঐতিহাসিক চরমোনাই মাহফিল

    আগামীকাল (২৭ শে নভেম্বর ) শুক্রবার শুরু হতে যাচ্ছে ঐতিহাসিক চরমোনাই মাহফিল

    মোঃ রাকিব,বিশেষ প্রতিনিধি

     

    বিশ্বের তৃতীয় ইসলামী মহাসমাবেশ বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ঐতিহ্যবাহী চরমোনাই মাহফিল। বিশ্বের বৃহৎ কয়েকটি সমাবেশের মধ্যে অন‍্যতম এবং তৃতীয় ইসলামী মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় বরিশালের চরমোনাইতে।

    চরমোনাইতে বছরে দুইবার অনুষ্ঠিত হয় এই ইসলামী মহাসমাবেশের। একটি অগ্রহায়নে আর একটি ফাল্গুনে। তার মধ্যে প্রথম অগ্রহায়নের সমাবেশ আগামীকাল (২৭ নভেম্বর) শুক্রবার থেকে বরিশালের চরমোনাই ময়দানে শুরু হতে যাচ্ছে। ২৭-২৮-২৯ শে নভেম্বর তিন দিন ব্যাপী চলবে এই সমাবেশ বা মাহফিল। সোমবার আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এই মাহফিল। ইতিমধ্যেই মাহফিলের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে সুবিশাল মাঠ।

    বছরে দুটি মাহফিলের মধ্যে এটি প্রথম। অগ্রহায়নের প্রথম এ মাহফিলের চেয়ে দ্বিতীয় ফাল্গুনের মাহফিলটি কয়েক গুন বড় হয় ।লাখ লাখ মুসল্লির মুরিদদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়েই কাল শুক্রবার জুম্মার নামাজের পরে চরমোনাই পীর, মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম-এর উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে মাহফিল আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হবে। এই মাহফিলে উপস্থিত থাকবেন দেশে-বিদেশের শীর্ষ পর্যায়ের আলেম ওলামারা।

    চরমোনাই মাহফিলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আগমন ঘটে। দেশের বাইরে থেকেও বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা অংশগ্রহণ করেন ।

    আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কাজ করছে পুলিশ-র‌্যাব। এছাড়াও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রায় কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক (মুহজাহিদ) কাজ করছেন। নিরাপত্তা জোরদারের জন্য স্থাপন করা হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। বিদ‍্যুত সরবরাহে যাতে কোনো সমস্যা না হয় তাই নিরবিচ্ছিন্ন বিদ‍্যুত সরবরাহের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে হাই ভোল্টেজ অটো জেনারেটর। আগত মুসল্লিদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে একটি হাসপাতাল রয়েছে।

  • আগামীকাল (২৭ শে নভেম্বর ) শুক্রবার শুরু হতে যাচ্ছে ঐতিহাসিক চরমোনাই মাহফিল

    আগামীকাল (২৭ শে নভেম্বর ) শুক্রবার শুরু হতে যাচ্ছে ঐতিহাসিক চরমোনাই মাহফিল

    মোঃ রাকিব,বিশেষ প্রতিনিধি

     

    বিশ্বের তৃতীয় ইসলামী মহাসমাবেশ বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ঐতিহ্যবাহী চরমোনাই মাহফিল। বিশ্বের বৃহৎ কয়েকটি সমাবেশের মধ্যে অন‍্যতম এবং তৃতীয় ইসলামী মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় বরিশালের চরমোনাইতে।

    চরমোনাইতে বছরে দুইবার অনুষ্ঠিত হয় এই ইসলামী মহাসমাবেশের। একটি অগ্রহায়নে আর একটি ফাল্গুনে। তার মধ্যে প্রথম অগ্রহায়নের সমাবেশ আগামীকাল (২৭ নভেম্বর) শুক্রবার থেকে বরিশালের চরমোনাই ময়দানে শুরু হতে যাচ্ছে। ২৭-২৮-২৯ শে নভেম্বর তিন দিন ব্যাপী চলবে এই সমাবেশ বা মাহফিল। সোমবার আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এই মাহফিল। ইতিমধ্যেই মাহফিলের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে সুবিশাল মাঠ।

    বছরে দুটি মাহফিলের মধ্যে এটি প্রথম। অগ্রহায়নের প্রথম এ মাহফিলের চেয়ে দ্বিতীয় ফাল্গুনের মাহফিলটি কয়েক গুন বড় হয় ।লাখ লাখ মুসল্লির মুরিদদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়েই কাল শুক্রবার জুম্মার নামাজের পরে চরমোনাই পীর, মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম-এর উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে মাহফিল আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হবে। এই মাহফিলে উপস্থিত থাকবেন দেশে-বিদেশের শীর্ষ পর্যায়ের আলেম ওলামারা।

    চরমোনাই মাহফিলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আগমন ঘটে। দেশের বাইরে থেকেও বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা অংশগ্রহণ করেন ।

    আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কাজ করছে পুলিশ-র‌্যাব। এছাড়াও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রায় কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক (মুহজাহিদ) কাজ করছেন। নিরাপত্তা জোরদারের জন্য স্থাপন করা হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। বিদ‍্যুত সরবরাহে যাতে কোনো সমস্যা না হয় তাই নিরবিচ্ছিন্ন বিদ‍্যুত সরবরাহের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে হাই ভোল্টেজ অটো জেনারেটর। আগত মুসল্লিদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে একটি হাসপাতাল রয়েছে।

  • আলেমদের নামে বিষোদ্গার এবং ভাস্কর্যের নামে মানবমূর্তি নির্মাণ বন্ধ করুন= আল্লামা কাসেমী

    আলেমদের নামে বিষোদ্গার এবং ভাস্কর্যের নামে মানবমূর্তি নির্মাণ বন্ধ করুন= আল্লামা কাসেমী

    আল্লামা মামুনুল হক

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, প্রাণীর ভাস্কর্য নির্মাণবিরোধী ঈমানী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কথিত মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চসহ কিছু কু-চক্রী মহল অবিরতভাবে আলেম-উলামার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার ও নির্লজ্জ মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। এমনকি বরেণ্য শাইখুল হাদীস আল্লামা আজীজুল হক (রাহ.) ও মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ ফজলুল করীম (রাহ.) সম্পর্কেও চরম আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদের ভূমিকা নিয়ে অবাস্তব ও ভিত্তিহীন প্রশ্ন তুলে পানি ঘোলা করার অপচেষ্টা চলছে। এই অপতৎপরতা সরকারকে অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। তৎসঙ্গে ইসলামবিরোধী প্রাণী বা আবক্ষ মানব ভাস্কর্য নির্মাণের সিদ্ধান্তও প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় দেশবাসীকে সাথে নিয়ে তীব্র গণ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে, ইনশাআল্লাহ।

    ২৬ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার সকালে জামেয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসায় ঢাকাস্থ শীর্ষ আলেমদের এক জরুরী সভায় সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী এসব কথা বলেন।

    সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন- মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতি এনামুল হক, মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, মাওলানা রশীদ আহমদ, মাওলানা হাফেজ নাজমুল হাসান, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মাওলানা লোকমান মাজহারী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা মুহাম্মদ ফয়সাল, মাওলানা শরীফুল্লাহ, মাওলানা হারুনুর রশীদ, মাওলানা মুরশিদুল আলম ও মাওলানা রুহুল আমীন’সহ ঢাকার নেতৃস্থানীয় বহু উলামায়ে কেরাম।
    সভায় উলামায়ে কেরাম বলেন,
    মসজিদের নগরী ঢাকাকে মূর্তির নগরী বানাতে দেওয়া হবে না। তারা বলেন, মূর্তি ও ভাস্কর্যের মধ্যে কূটকৌশলের পার্থক্য তৈরি করে প্রাণী বা আবক্ষ মানব ভাস্কর্য নির্মাণ ইসলামের দৃষ্টিতে কোন অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়।

    সভায় আমীরে হেফাজত আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী ও হেফাজতের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক সহ উলামায়ে কেরামের মাহফিলে বাধা দানের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।

  • পরপারে চলে গেলেন হেফাজতের নবনির্বাচিত সহকারী মহাসচিব মুফতি রহিমুল্লাহ কাসেমী

    পরপারে চলে গেলেন হেফাজতের নবনির্বাচিত সহকারী মহাসচিব মুফতি রহিমুল্লাহ কাসেমী

    • মোঃ রাকিব,বিশেষ প্রতিনিধি

     

    বাংলাদেশের অন‍্যতম অরাজনৈতিক ইসলামী সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নবনির্বাচিত সহকারী মহাসচিব, ফেনীর লালপোল সোলতানিয়া মাদরাসার মুহাদ্দিস, গুণকবাবুপুর দারুল উলুম মুইনুল ইসলাম মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতি রহিম উল্লাহ কাসেমী মৃত‍‍্যুবরণ করেছেন। গতকাল বুধবার (২৫ শে নভেম্বর ) রাত ১১টা ৫০ মিনিটে ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এ কথা নিশ্চিত করেন তার ছেলে মাওলানা মাহমুদুল হাসান।

    মরহুমের নামাজে জানাজা আজ বৃহস্পতিবার (২৬ শে নভেম্বর ) দুপুর ২টা ৩০মিনিটে তার প্রতিষ্ঠিত গুনকবাবুপুর দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদ্রাসার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    মুফতি রহিমুল্লাহ কাসেমীর মৃত্যুর খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী, লালপোল সোলতানিয়ার মুহতামিম মাওলানা ক্বারি মুহাম্মদ কাশেম গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। তারা মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করেছেন।

    উল্লেখ্য যে, গত মঙ্গলবার (২৪ শে নভেম্বর ) মুফতি রহিম উল্লাহ কাসেমী নোয়াখালীর হাতিয়ায় মাহফিলের সফরকালে খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ হওয়ার পর তাকে প্রথমে মাইজদীর একটি হাসপাতালে নেয়া হয়, পরে সেখান থেকে বনশ্রীতে ইয়ামাগাতা ঢাকা ফ্রেন্ডশিপ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে তাকে আইসিইউতে রাখতে হয়েছিল। পরবর্তীতে অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে ঢাকা ইবনে সিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে তিনি মারা যান। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।

  • কক্সবাজার জেলা যুব আন্দোলনের উদ্যোগে মরহুম ফজলুল করিম রাহ. স্মরণে দু’আ মাহফিল অনুষ্ঠিত

    কক্সবাজার জেলা যুব আন্দোলনের উদ্যোগে মরহুম ফজলুল করিম রাহ. স্মরণে দু’আ মাহফিল অনুষ্ঠিত

    ওসমান আল-হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি

     

    মাওলানা সৈয়দ ফজলুল করীম (রহ.) আল্লাহ দ্রোহী শক্তির কাছে কখনও মাথানত করেননি। প্রচলিত রাজনীতির পরিবর্তে আদর্শিক পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে তিনি কাজ করেছেন। তিনি গতানুগতিক পীর ছিলেন না, তিনি একজন আদর্শবাদী নেতা ও আদর্শিক লড়াইয়ে উত্তীর্ণ ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নেতৃবৃন্দ।

    ২৫ নভেম্বর’২০ বুধবার বাদ এশা কক্সবাজার ঝাউতলাস্থ গাড়িরমাঠ সংলগ্ন দারুত তাযকিয়াহ মাদরাসা হল মিলনায়তনে কক্সবাজার জেলা ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি মুফতি ওসমান আল হুমাম এর সভাপতিত্বে জেলা সেক্রটারী এইচ এম আবুবকর এর সঞ্চালনায় মরহুম মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ ফজলুল করীম পীর সাহেব চরমোনাই রহ.-এর জীবন ও কর্ম শীর্ষক’ আলোচনা সভা
    অনুষ্ঠিত হয়। উদ্যোগে ‘মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ ফজলুল করীম পীর সাহেব চরমোনাই রহ.-এর জীবন ও কর্ম শীর্ষক’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখার সেক্রেটারি জননেতা মাওলানা মুহাম্মদ শোয়াইব।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন কক্সবাজার সেক্রেটারি মোহাম্মদ আনোয়ার, ইসলামী যুব আন্দোলন কক্সবাজার জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নুরুল ইসলাম আজিজী, বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ড কক্সবাজার জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ রমজানুল হক জিয়া, ইসলামী যুব আন্দোলন কক্সবাজার পৌর শাখার সভাপতি মোহাম্মদ রাশেদ, অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মুজাহিদ কমিটি কক্সবাজার সদর থানার সম্মানীত জননেতা আলহাজ্ব মোঃ সেলিম উদ্দিন প্রমুখ।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মানুষের আত্মিক পরিশুদ্ধির পাশাপাশি জাতীয় স্বার্থে মাওলানা ফজলুল করীম রীতিমতো রাজনীতিক ছিলেন। এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে শক্তভাবে ধারণ করে তিনি রাজনীতির একটি নির্মোহ ধারা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। সত্য উচ্চারণে কখনও ক্ষমতা, কারাদণ্ডের ভয় কিংবা পদ ও অর্থের প্রলোভনে প্রভাবিত হননি।

    আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, মরহুম পীর সাহেব তার বাবা মাওলানা এসহাক রহ. থেকে যে আধ্যাত্মিক দীক্ষা পেয়েছিলেন, এর পাশাপাশি তার আপসহীন নেতৃত্ব জাতীয় পর্যায়ে তাকে অপরিহার্য করে তুলেছিল। দেশ ও জাতির যে কোনো সংকটে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেন। একজন মনিষীর জন্য যেসব গুণাবলী প্রয়োজন, তার মাঝে তা পূর্ণমাত্রায় ছিল। পীর সাহেব একজন নির্মোহ রাজনীতিক ছিলেন এবং পীর হয়েও তিনি রাজনীতিতে এসে একটি ব্যতিক্রমী ধারা সৃষ্টি করে গেছেন।