Blog

  • সওতুল হেরা সোসাইটি টেকনাফের সদর ইউনিয়ন কমিটি গঠিত

    সওতুল হেরা সোসাইটি টেকনাফের সদর ইউনিয়ন কমিটি গঠিত

    • ইকবাল আজিজ, টেকনাফ

    কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সামাজিক উন্নয়নমূলক সংগঠন সওতুল হেরা সোসাইটি টেকনাফ এর আওতাধীন ৩নং টেকনাফ সদর ইউনিয়ন কমিটি গঠিত হয় ।


    ১৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার কাসেমুল উলুম গোদার বিল মাদ্রাসায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সভাপতিত্বে সাধারণ-সম্পাদক ইব্রাহিম রাহীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন অত্র মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওঃ নছরত আলী ও
    বিশেষ অতিথি সংগঠনের শুভাকাঙ্ক্ষী ফেরদৌস ইসলাম ।
    আরো উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মাওঃ সাঈদ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ ইকবাল আজিজ, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল করিম, কেন্দ্রীয় কমিটির দায়িত্বশীলদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাওঃ আব্দুর রহমান, হাফেজ রফিকুল হক, হাফেজ ইসমাইল, মাওঃ মোঃ ছিদ্দীক, মাওঃ জাহেদুল ইসলাম প্রমুখ ।
    এতে সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর যথাক্রমে সদর ইউনিয়ন কমিটি ঘোষণা হয়,
    সভাপতি মাওলানা ইউসুফ কাদের, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ, সহ-সভাপতি মাওলানা ইসমাইল নজীব, সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জসিম উদ্দিন মাহমুদ, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইউসুফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নোমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ সাঈদুল্লাহ, অর্থ সম্পাদক আবদুস সালাম, দফতর সম্পাদক মাওলানা এনায়েতুল্লাহ, প্রচার সম্পাদক মাওলানা রশিদ আহমদ, সহ প্রচার সম্পাদক মাওলানা আমিন শরিফ, সিনিয়র সদস্য নুরুল আমিন, মাওঃ তাহের, মাওঃ হেলাল উদ্দিন ও মাওলানা শব্বির আহমদ, মাওলানা সৈয়দ আলম, মাওঃ কেফায়েত উল্লাহ, মাওলানা হাবিবুল্লাহ, মাওলানা আব্দুল মাজেদ, মোঃ আমিন, মাওলানা রবিউল হাসানকে সাধারণ সদস্য করে ২১জনের কমিটি ঘোষণা করা হয় ।
    সংগঠনের সভাপতি বলেন, উপজেলার সামাজিক উন্নয়নমূলক সংগঠন সওতুল হেরা সোসাইটি টেকনাফ, আমরা অল্পদিনেই হাটি হাটি পা পা করে আজ এতদূর এসেছি আপনাদের দোয়ায়, আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে আমরা আরো এগিয়ে যেতে চাই, তারই ধারাবাহিকতায় আজ সদর ইউনিয়ন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে, ইনশাআল্লাহ পালাক্রমে উপজেলার সকল ইউনিয়ন কমিটি করা হবে, আপনারা যদি বিগত দিনের মতো আমাদেরকে স্বেচ্ছায় সহযোগিতা করেন আমরা সমাজকে সুন্দর একটি প্লাটফর্ম উপহার দিতে সক্ষম হবো ।

  • বিশ্ব পুরুষ দিবস কবে? অনেকের কাছেই নেই এই প্রশ্নের উত্তর

    বিশ্ব পুরুষ দিবস কবে? অনেকের কাছেই নেই এই প্রশ্নের উত্তর

    মোঃ রাকিব”বিশেষ প্রতিনিধি

     

    বিশ্ব নারী দিবস কবে সেটা অনেকেরই মুখস্ত। অনেকটা বড়সর আয়োজন করেই দিবসটি পালিত হয়। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করা হয় এটি।

    তবে পুরুষ দিবসটি কবে? এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো অনেকেরই অজানা। কারণ নারী দিবস যতটা আয়োজন করে আসে ততটা আয়োজন নিয়ে এই দিবসটি আসে না। এই গুরুত্বপূর্ণ দিবসটি খানিকটা নীরবেই আসে।

    আজ ১৯ নভেম্বর বিশ্ব পুরুষ দিবস। বিশ্বব্যাপী লিঙ্গভিত্তিক সমতা, বালক ও পুরুষদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এবং পুরুষের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার প্রধান লক্ষ্য নিয়েই প্রতিবছর পালিত হয় এই দিবসটি।

    তবে সর্বপ্রথম পুরুষ দিবস পালনের জন্য ঠিক করা হয়েছিল ২৩ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে। কিন্তু আগে থেকে এ দিনটি ‘রেড আর্মি ও নেভি ডে’র জন্য নির্ধারণ করে রেখেছিল রাশিয়া। এ কারণে পরে ১৯ নভেম্বর কে পুরুষ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

    সময়টা ১৯২২ সাল। এর অল্প কয়েক বছর আগেই শেষ হয়েছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত সেই সেনাদের শ্রদ্ধা জানাতে এবং পুরুষ জাতিকে উদ্বুদ্ধ করতে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে পালন করা হতো ‘রেড আর্মি অ্যান্ড নেভি ডে’ । সমাজে পুরুষদের বীরত্ব আর ত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়েই মূলত দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেয়া হয়।

    এই দিবসটি পালনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হিসেবে বেশ কতগুলো বিষয়ের ওপর জোর দেয়া হয়। এই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলো হলোঃ

    ১. বালক, কিশোর ও পুরুষদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি।

    ২. নারী-পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়ক প্রচারণা।

    ৩. নারী-পুরুষ সমতার প্রচার,

    ৪. পুরুষদের মধ্যে ইতিবাচক আদর্শ চরিত্রের গুরুত্ব তুলে ধরা।

    ৫. পুরুষ ও বালকদের নিয়ে গড়ে ওঠা বিভিন্ন সংস্কার ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করা।

    ৬. পুরুষ ও বালকদের অর্জন ও অবদানকে উদযাপন করা।

    ৭. সমাজ, পরিবার, বিবাহ ও শিশু যত্নের ক্ষেত্রে পুরুষদের অবদানকে তুলে ধরাও এই দিবসের অন‍্যতম একটি লক্ষ্য।

    বিশ্বজুড়ে নানাভাবে পুরুষ দিবস পালনের রেওয়াজ রয়েছে। প্রতি বছর ১৯ নভেম্বর বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশে পালিত হয় এই দিবসটি। এই দেশগুলোর মধ্যে – যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, কানাডা, ভারত, পাকিস্তান, ক্রোয়েশিয়া, জ্যামাইকা, কিউবা, স্কটল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মাল্টা, কানাডা, ডেনমার্ক, নরওয়ে, অস্ট্রিয়া, ইউক্রেন অন‍্যতম।

    নারী-পুরুষ হলো সমাজের দুটি স্তম্ভ, যার ওপর ভিত্তি করেই দাঁড়িয়ে থাকে একটা সুস্থ-স্বাভাবিক সমাজ। তবে, নারী দিবসে যতটা উন্মাদনা দেখা যায়, দেখা যায় যতটা ব‍্যাপক আয়োজন। পুরুষ দিবস তা সেরকম কিছুই দেখা যায় না। তবে নারী দিবসের সাথে পুরুষ দিবসটিকেও সমানভাবে উদযাপন করা উচিৎ।

  • চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    আজ বুধবার ১৮ নভেম্বর ২০২০খ্রি.
    চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০ টায় পুলিশ লাইন্স সিভিক সেন্টারে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার জনাব এস এম রশিদুল হক, পিপিএম-সেবা এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাসিক কল্যাণ সভায় ফোর্সের সামগ্রিক কল্যাণ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা ও বাস্তবায়নে নানাবিধ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। পুলিশ সুপার মহোদয় ফোর্সের বিভিন্ন সমস্যার কথা ধৈর্য সহকারে শোনেন এবং সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন।

    সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) জনাব মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপর (দক্ষিণ) জনাব আফরুজুল হক টুটুল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) জনাব মো: জাহাংগীর, সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপারবৃন্দ, সহকারী পুলিশ সুপারবৃন্দ, অফিসার ইনচার্জগণসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদবীর অফিসার-ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।

  • বাঁশখালী সরকারি হাসপাতালে চুরি, টাকা ও মালামাল লুট

    বাঁশখালী সরকারি হাসপাতালে চুরি, টাকা ও মালামাল লুট

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটেছে।
    এ সময় চোরের দল উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের হিসাব বিভাগ থেকে নগদ অর্থ ও বিভিন্ন সরকারী কাগজপত্র নিয়ে যায়। উপজেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়,আজ বুধবার (১৮ নভেম্বর ২০২০) গভীর রাতে হাসপাতালের পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের হল রুমে জানালার গ্রিল কেটে চোরের দল ভিতরে ডুকে হিসাব বিভাগের অফিসের সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর রুমে ডুকে আলমারী তালা ভেঙ্গে নগদ টাকা ও বিভিন্ন কাগজপত্র নিয়ে যায়।

    বাঁশখালী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্মকর্তা ডাঃ শ্যামলী দাশ জানান,মঙ্গলবারে বিকাল ৪ টায় আমরা সবাই অফিস করে চলে যায়,বুধবার সকালে অফিসে এসে দেখি। হল রুমের জানালার গ্রিল কেটে চোরেরা হাসপাতাল ভবনের আমার কক্ষ সহ হিসাব বিভাগে ঢোকে। এরপর তারা আমার কক্ষের পাশে থাকা হিসাব বিভাগের কক্ষে ঢুকে আলমারি থেকে ৭৫ হাজার টাকা সহ বিভিন্ন মালামাল ও কাগজপত্র নিয়ে যায়। এ সময় কাগজপত্র তছনছ করা হয়।’ এ ঘটনায় লিখিত ভাবে বাঁশখালী থানা, উপজেলা প্রশাসন সহ আমাদের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কে জানিয়েছি।

  • মদুনাঘাট ইউনুছিয়া মাদরাসার ৩ তলা ছাদ থেকে পড়ে জামাতে উলার ছাত্র ইউনুছের মর্মান্তিক মৃত্যু

    মদুনাঘাট ইউনুছিয়া মাদরাসার ৩ তলা ছাদ থেকে পড়ে জামাতে উলার ছাত্র ইউনুছের মর্মান্তিক মৃত্যু

     

    • আলমগীর ইসলামাবাদী

    • চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার মদুনাঘাট ইউনুছিয়া ফতহুল উলুম মাদ্রাসার ৩ তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে এক মাদ্রাসা ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহত মাদ্রাসা ছাত্রের নাম সৈয়দ নুর(২৩)। সে বাঁশখালী উপজেলার ৯ নং গন্ডামারা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের দক্ষিন বড়ঘোনা চকরিয়া খালীর দরিদ্র মৎস্যজীবি নুরুল আবছারের প্রথম পূত্র। নিহত ইউনুস ইউনুছিয়া মাদ্রাসার জামা’তে উলার ছাত্র।
    ১৮ নভেম্বর’২০ ইং বুধবার সকাল ১১ টার সময় গোসল শেষ করে মাদ্রাসার ৩ তলা ভবনের ছাদে কাপড় শুকাতে রশি লাগাতে গিয়ে তিন তলা ভবন থেকে পড়ে গেলে সাথে সাথে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষনা করে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার।
    আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, রাউজান থানাধীন মদুনাঘাট এলাকার ইউনুছিয়া মাদ্রাসার ছাত্র সৈয়দ নুর তিন তলা ভবনের ছাদে কাপড় শুকাতে রশি লাগাতে গিয়ে ছাদ থেকে নিচে পড়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় চমেক হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আর এই দি‌কে সৈয়দ নুরের আকস্মিক মৃত্যু সংবাদ পরিবারে পৌঁছার সাথে সাথে তার পরিবারে শো‌কের মাতম সৃ‌ষ্টি হ‌য়ে‌ছে। তারা কোন ভা‌বে বিশ্বাসও ক‌রতে পার‌ছেনা ছে‌লের এ‌হেন মৃত‌্যুর বিষয়‌টি, সৈয়দ নুরের মৃত্যুতে এলাকায়ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।।

  • বেগম রোকেয়া পদকে ভূষিত হলেন চবি উপাচার্য=UkhiyaVoice24.Com

    বেগম রোকেয়া পদকে ভূষিত হলেন চবি উপাচার্য=UkhiyaVoice24.Com

     

    • আলমগীর ইসলামাবাদী,,চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    নারী শিক্ষা, নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারী জাগরণ এবং পল্লী উন্নয়নে সর্বোচ্চ স্বীকৃতি স্বরুপ এ বছর ‘বেগম রোকেয়া পদক-২০২০’ এর জন্য মনোনীত হলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও কলামিস্ট প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। ১৫ নভেম্বর ২০২০ তারিখে প্রেরিত মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে তাঁকে এ মনোনয়ন প্রদান করা হয়। প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার এ পদকের জন্য মনোনীত হওয়ায় পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন। এ রাষ্ট্রীয় পদকের জন্য তাঁকে মনোনীত করায় মাননীয় উপাচার্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। একইসাথে সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা এবং মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কমকর্তাবৃন্দসহ সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। আগামী ৯ ডিসেম্বর ২০২০ সকাল ১০ টায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে তাঁকে এ পদক প্রদান করা হবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার ১৯৯১ সনে ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচ.ডি. ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগ থেকে ১৯৮১ সনে এম. এ, ১৯৮০ সনে বি.এ (অনার্স) ডিগ্রি অর্জন করেন। এ মেধাবী গুণী শিক্ষক-গবেষক ১৯৭৫ সনে চট্টগ্রাম মহিলা কলেজ থেকে এইচ.এস.সি এবং ১৯৭৩ সনে কক্সবাজার সরকারী মহিলা স্কুল থেকে এস.এস.সি পাস করেন। প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার ১৯৯৬ সনের ১ জানুয়ারী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দিয়ে মহান শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি ২৫ জানুয়ারি ২০০৬ সনে প্রফেসর হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। এ কৃতি গবেষকের সাহিত্য বিষয়ক গবেষণা প্রবন্ধ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন খ্যাতিমান জার্ণালে প্রকাশিত হয়েছে। এরমধ্যে গল্প, উপান্যাস ও বিভিন্ন গবেষণা প্রবন্ধ উল্লেখযোগ্য। তিনি নজরুল জন্মশত বর্ষ উদযাপন পরিষদ কর্তৃক ‘চট্টগ্রাম একুশ পদক ২০১০’ পদকসহ বিভিন্নসময়ে বিভিন্ন সম্মানসূচক পদকে ভূষিত হয়েছেন। তিনি বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্যসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত আছেন। তিনি ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, সৌদিআরব, সিংগাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশ সফর করেন। উল্লেখ্য এ গুণী শিক্ষক ২০১৬ সালের ২৮ মার্চ থেকে চট্টগাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সরকারের অনুসন্ধান কমিটির (প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগের লক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট নাম সুপারিশ প্রদানের জন্য) সদস্য ছিলেন। তিনি নির্বাচক মন্ডলীর সদস্য হিসেবে জয়ীতার (বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ নারী নির্বাচন) সাথে কাজ করেছেন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন আয়োজিত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম রজত জয়ন্তী, একুশে ফেব্রুয়ারী এবং মহান স্বাধীনতা দিবস ও মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের সাথে যুক্ত আছেন। তিনি বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ, কলকাতা, ভারত, বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব অব হীরণ লাইব্রেরী, কলকাতা, ভারত-এর সদস্য ছিলেন। তিনি ‘কুচবিহার অনাসৃস্টি’ (বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক পত্রিকা), পশ্চিমবঙ্গ-এর উপদেস্টা, ‘লোক বাংলা’ (লোকসংস্কৃতি বিষয়ক সাময়িকী), ঢাকা, বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ হেরিটেজ রিসার্চ সেন্টার, ঢাকা, বাংলাদেশ এর সদস্য। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের অধীনে প্রকাশিত বিভিন্ন জার্ণাল, পান্ডুলিপি (গবেষণা পত্রিকা), বাংলা বিভাগের সম্মানিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাছাড়াও তিনি দেশ-বিদেশে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে অংশগহণ করেছেন। সর্বশেষ তিনি সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ভারতের আচার্য দীনেশ চন্দ্র স্বর্ণ পদক এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক একুশে পদকে ভূষিত হন। প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার ১৯৫৬ সনে কক্সবাজারের জোয়ারিয়ানালা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গহণ করেন। তাঁর পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আফসার কামাল চৌধুরী এবং মা মরহুমা বেগম লুৎফুন্নাহার কামাল। তাঁর স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মেজর (অবঃ) মোঃ লতিফুল আলম চৌধুরী। তিনি ১ পুত্র ও ১ কন্যা সন্তানের জননী। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য রাষ্ট্রীয় সম্মানে ভূষিত হওয়ায় চবি শিক্ষক সমিতি, অফিসার সমিতি, কর্মচারী সমিতি ও কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথক বিবৃতিতে মাননীয় উপাচার্যকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন।

  • ইসলাম ও নবী রাসূলের মর্যাদা রক্ষা করা হেফাজতের মূল উদ্দেশ্য= আল্লামা বাবুনগরী

    ইসলাম ও নবী রাসূলের মর্যাদা রক্ষা করা হেফাজতের মূল উদ্দেশ্য= আল্লামা বাবুনগরী

    • নিজস্ব প্রতিবেদক

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর আমীর নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম জনসম্মুখে বক্তব্য রাখলেন শায়খুল হাদীস আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরী (দাঃবাঃ)। গতকাল সোমবার (১৬ নভেম্বর) তিনি ঐতিহ্যবাহি দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কক্সবাজারের রামু উপজেলার চাকমারকুল আল-জামিয়া আল ইসলামীয়া দারুল উলূম মাদ্রাসার ইছ্লাহী মাহফিল ও অভিভাবক সম্মেলনে প্রধান মেহমান হিসেবে বয়ান করেন।

    এতে হেফাজত ইসলামের আমীর আল্লামা বাবুনগরী বলেন- রাজনীতি করা হেফাজতের উদ্দেশ্য নয়। হেফাজতে ইসলামের মূল উদ্দেশ্য ইসলামের আদর্শ ও নবী নবী রাসূলের মর্যাদা রক্ষার কাজ করা।
    সময় এখন মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারিদের রুখে দেয়ার।
    আওয়ামীলীগ-বিএনপির লড়াই আমরা চাইনা। কারণ আওয়ামীলীগ-বিএনপি একই পথের পথিক। রাজনীতি ভিন্ন হলেও এদের উদ্দেশ্য এক। ঈদের জামাত, জুমার নামাজ, বিয়ে-শাদিসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদিতে এরা পাশাপাশি থাকে। হেফাজতের লড়াই চলবে আস্তিক ও নাস্তিকের মধ্যে।

    হেফাজত আমীর আরো বলেন- হেফাজতে ইসলাম দেশ বিরোধী নয়, সরকার বিরোধীও নয়। সরকার ১০০ বছর ৫০০ বছর রাজনীতি করলেও হেফাজতের আপত্তি নেই। কিন্তু ৯২ % মুসলিমের দেশে পবিত্র ইসলাম ধর্ম এবং মহানবী হযরত মুহম্মদ (স.) এর ইজ্জত এর উপর কোন আঘাত এলে দেশ অচল করে দেয়া হবে বলেন।
    তিনি আরো বলেন সরকার এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মচারিদের উদ্দেশ্যে বলেন-যা খুশি করেন, কিন্তু ইসলামকে মাইনাস করে নয়। কারণ বাংলার মুসলমানরা এমন এমন জাতি, যে জাতি রক্তে সাগর ভাসায়।

    হেফাজতের এ শীর্ষ নেতা তাঁর বয়ানে বলেন-একমাত্র আল্লাহকে খুশি করার জন্য মুসলমানদের জীবন উৎসর্গ করতে হবে। মানুষের বড় নেয়ামত, সর্বোৎকৃষ্ট সংবিধান পবিত্র কোরআন চর্চা বেশী করে করতে হবে। ৫ ওয়াক্ত নামাজ, পবিত্র কোরআন পাঠ এবং আল্লাহর অন্যান্য ইবাদতের মাধ্যমেই দুনিয়া ও আখেরাতে মুক্তি লাভ সম্ভব।

    কক্সবাজার জেলা কওমী মাদ্রাসা ঐক্য পরিষদের সভাপতি, ধাওনখালী মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ মুসলিমের সভাপতিত্বে মাহফিলে বিশেষ মেহমান হিসেবে বয়ান করেন- ঢাকা বসুন্ধরা মাদ্রাসার মহাপরিচালক ফকিহুলমিল্লাহ আল্লামা শাহ মুফতি আব্দুর রহমান সাহেব (রহঃ)র সূযোগ্য ছাহেবজাদা, বর্তমান মুহ্তামিম আল্লামা মূফতি আরশাদ রহমানী, আল্লামা জুনাইদ আল হাবীব।

    রামু জামেয়াতুল উলুম মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা কাজী এরশাদ উল্লাহর সঞ্চালনায় মাহফিলে দেশ বরেণ্য আলেমেদ্বীনের মধ্যে কক্সবাজার জেলা কওমী মাদ্রাসা ঐক্য পরিষদের মহাসচিব, রাজারকুল আজিজুল উলুম মাদ্রাসার মুহ্তামিম মাওলানা মোহছেন শরীফ, জোয়ারিয়ানালা এমদাদুল উলুম মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা হাফেজ আবদুল হক, চাকমারকুল আল-জামিয়া আল ইসলামীয়া মাদ্রাসার নির্বাহী মুহ্তামিম মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, ইনানী মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মো. ইদ্রিস, লেদা ইবনে আব্বাস মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা ক্বারী মোহাম্মদ শাকের, চকরিয়া চিরিঙ্গা মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আনোয়ারুল আলম, বোয়ালখালী মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা নুরুল হাকিম, রামু মোজাহেরুল উলুম মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ হারুন, রামু জামেয়াতুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা হাফেজ শামসুল হক, জোয়ারিয়ানালা মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা শামসুল হক, ধলিরছড়া মাছুয়াখালী মাদ্রাসার নির্বাহী মুহতামিম মাওলানা শাহেদ নুর, চাকমারকুল মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মূফতি কামালা হোসাইন, পোকখালী এমদাদুল উলুম মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম মাওলানা আবু সাঈদ, মশরাফিয়া মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা নুরুল কবির হিলালী, চাকমারকুল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মূফতি ফিরোজ আহমদ, মাওলানা ইয়াকুব, মাওলানা আবু সাঈদ, মাওলানা হারুন আরশাদ, মাওলানা নুরুল আমিন, চাকমারকুল মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আবদুর রাজ্জাক, ইসলামী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মাওলানা হুমায়ন কবির, জোয়ারিয়ানালা মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা এজাজুল করিম শফি প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

    গতকাল বিকাল ৩টায় থেকে পশ্চিম চাকমারকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত বিশাল ইছ্লাহী মাহফিলে দেশবরেণ্য আলেমেদ্বীনগণ বয়ান করেন। এর আগে দুপুর ২ টায় চাকমারকুল আল-জামিয়া আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার অভিভাবক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

    পশ্চিম চাকমারকুল ইসলামী সম্মেলন পরিষদের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত ইছ্লাহী মাহফিলে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ জনতা শরিক হন। মাহফিল শেষে দেশ ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।

    এদিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর আমীর নির্বাচিত হওয়ায় আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরীকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন- চাকমারকুল আল-জামিয়া আল ইসলামীয়া মাদ্রাসার পক্ষে নির্বাহী মুহ্তামিম মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, কক্সবাজার জেলা কওমী মাদ্রাসা ঐক্য পরিষদের পক্ষে মহাসচিব, রাজারকুল আজিজুল উলুম মাদ্রাসার মুহ্তামিম মাওলানা মোহছেন শরীফ, নূরানী শিক্ষক পরিষদের পক্ষে মাওলানা নুরুল আমিনসহ আরো বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

  • রোহিঙ্গাদের কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকির আশঙ্কা, মনিটরিংয়ে হচ্ছে কমিটি

    রোহিঙ্গাদের কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকির আশঙ্কা, মনিটরিংয়ে হচ্ছে কমিটি

    • মোঃ শহিদ উখিয়া

    মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্মম অত্যাচারের শিকার রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। আর আশ্রয় দিয়েই বিপদে পড়েছে সরকার। এদের নিয়ে সৃষ্ট সংকট এবং প্রত্যাবাসন কোনোটতেই আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। বরং গত তিন বছরে এই সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। রোহিঙ্গাদের নিয়ে দিন দিন বাড়ছে নিরাপত্তা ঝুঁকি। আর এই ঝুঁকি মোকাবিলায় উচ্চ পর্যায়ের টাস্কগ্রুপ গঠনের পাশাপাশি মনিটরিংয়ের জন্য গঠিত হচ্ছে পৃথক জাতীয় কমিটি।
    সূত্রে জানা গেছে, মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় দেওয়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নানা দেন দরবারেও নিজ দেশে ফেরত পাঠানো যায়নি। বরং মাদক, চোরাচালান, খুন, ছিনতাই, ডাকাতি, অগ্নিসংযোগসহ নাশকতামুলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে তারা। এতে জঙ্গিবাদের শঙ্কাসহ বিষয়টিকে বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি মনে করছে সরকার। সম্প্রতি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নাশকতামূলক কার্যক্রম, বিভিন্ন বাহিনী গঠন ও আন্তর্জাতিক নানা ইন্ধন ঠেকাতে দায়িত্বরত নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যক্রমে ঘাটতি দেখছেন নীতি নির্ধারকরা। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নিরাপত্তা সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ে বৈঠকে ঘাটতি দূর করতে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
    প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে ওই বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন বলেন, ‘রোহিঙ্গারা নগদ অর্থের লেনদেন, ব্যবসা-বাণিজ্য, দোকানপাট করছে। নগদ অর্থ লেনদেনের কারণে ক্যাম্পে অপরাধমুলক কার্যক্রম দিন দিন বেড়েই চলেছে। তারা দেশের সাধারণ জনগণের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে।’
    এদিকে গোয়োন্দা সংস্থাগুলো থেকে বলা হচ্ছে, রোহিঙ্গারা প্রশাসনের অগোচরে বিভিন্ন নামে বেনামে কমিটি গঠন করছে। যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে। সরকারে বিভিন্ন বাহিনী দিনের বেলায় ক্যাম্পে কাজ করলেও রাতে ক্যাম্পে কী ঘটে তা নিরাপত্তায় নিয়োজিত কেউ জানে না। সেজন্য উচ্চ পর্যায়ের সমন্বিত আইনশৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশ করা হয়। রোহিঙ্গাদের জন্য নানা ইতিবাচক উদ্যোগ নেওয়া হলেও ফলাফল আশানুরূপ নয় বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি রোহিঙ্গারা যাতে মিয়ানমার ফিরে যেতে রাজি হয় সেজন্য এনজিওগুলোকে কাজে লাগানোর সুপারিশ করা হয়।
    দেশের আইনশৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে সবাই নিরাপত্তা ঘাটতি দূর করার তাগিদ দেন। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে টাস্কগ্রুপ গঠনের প্রস্তাব পাঠানো হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। পাশপাশি সভায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সার্বিক কার্যক্রম সমন্বয়ে একটি জাতীয় কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। মানবিক সহায়তা জরুরি ত্রাণ, এনজিওর নিবন্ধন ও তাদের কার্যক্রম মনিটরিংয়ের পাশাপাশি ক্যাম্পগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয় ওই বৈঠকে।
    এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এরা শুধু যে এখানে বসবাস করছে তা কিন্তু নয়; এখানে তারা মাদক, চোরাচালান, খুন, ছিনতাই, ডাকাতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের কারণে আইনশৃঙ্খলা ঝুঁকিতে চলে গেছে। এদের সঙ্গে আন্তজার্তিক অপরাধীদের সংযোগ থাকতে পারে। এখন পর্যন্ত যদিও সবকিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু বর্তমান যে পরিস্থিতি তাতে ভবিষ্যতে অনেক কিছুই ঘটতে পারে। ক্যাম্পগুলোতে পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী, বিজিবি সবাই কাজ করছে নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী। আমরা চাই, বিচ্ছিন্নভাবে না করে একটা সমন্বয় হোক। সে লক্ষ্যে কাজ চলছে।’
    বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে প্রত্যাবাসনের পাশাপাশি এক লাখ রোহিঙ্গাকে দ্রুত ভাসানচরে নিতে চায় সরকার। এক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের নিরুৎসাহিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবসন ইস্যুতে এনজিওদের সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদের নিরুৎসাহিত করার প্রমাণ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
    এদিকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিস্তর আলোচনা হলেও আজ পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো যায়নি। যদিও তাদের রাখাইনে ফেরত পাঠাতে ২০১৭ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ-মিয়ানমার একটি চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা ছিল। সে উদ্যোগ বাস্তবায়নে দুদেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপও গঠন করা হয়। ওই গ্রুপ গত দুই বছরে চার দফা বৈঠক করে। সর্বশেষ ২০১৯ সালের মে মাসে মিয়ানমারের নেপিডোতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের পঞ্চম বৈঠক ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। মিয়ানমারের অনুরোধে সে বৈঠক দুইমাস পিছিয়ে মে মাসে সময় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিলে সে বৈঠকও বাতিল হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আলোচনা কার্যত থেমেই আছে।
    উল্লেখ্য, মিয়ানমার জাতিগত নিধন আর নৃশংস মানবতাবিরোধী অপরাধের মাধ্যমে তিন বছর আগে ২০১৭ সালের আগস্টে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য করেছিল। তার আগে থেকে আরও তিন লাখ আশ্রয় নিয়েছিল। বর্তমানে সব মিলিয়ে দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের দুটি উপজেলায় গঠিত ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়ে দিন দিন নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।

  • টেকনাফ হ্নীলা জামিয়া দারুস সুন্নায় আল্লামা আহমদ শফী রহ. স্মরণ সভা সম্পন্ন

    টেকনাফ হ্নীলা জামিয়া দারুস সুন্নায় আল্লামা আহমদ শফী রহ. স্মরণ সভা সম্পন্ন

    ওসমান আল-হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ ও আল হাইয়াতুল উলিয়ার চেয়ারম্যান, মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার সাবেক মহাপরিচালক শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. স্মরণে কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা জামেয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসায় জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    জামিয়ার মুহতামিম আল্লামা আফসার উদ্দিন কাসেমী চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে জামিয়ার হল মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।

    উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষত কওমী অঙ্গনের জন্য আল্লামা আহমদ শফীর অবদান ও হাদীস অধ্যাপনার জগতে তাঁর খেদমত চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

    শায়খুল ইসলামের মৃত্যুতে এই জাতি একজন অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কন্ঠ হারিয়েছে তার ইন্তেকালে ইসলামী জগতে যে শূন্যতা তৈরি হলো তা সহজে পূরণ হবার নয়। আল্লামা শফী শুধু বাংলাদেশের মুসলিম সমাজের গর্বই ছিলেন না, এই উপমহাদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় আধাত্মিক রাহবার হিসেবে শতবর্ষতেও অধিষ্ঠিত ছিলেন।

    অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার নায়েবে মুহতামিম আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামজাহ তিনি বলেন”এদেশে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইজ্জত রক্ষায় শাহবাগী নাস্তিক-ব্লগারদের বিরুদ্ধে যখন আমরা সঠিক নেতৃত্বের সন্ধানে ছিলাম তখন আমিরে হেফাজতের শুধুমাত্র একটি ডাকেই গোটা বিশ্বে সাড়া জাগানো ঐতিহাসিক হেফাজতের যে আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল,কিংবা আমাদের ক্বওমীর লক্ষ লক্ষ সন্তানরা তাদের যুগ যুগ ধরে চেয়ে আসা সরাসরি স্বকৃীতির জন্য মিথ্যে স্বপ্ন বুনছিল তখন তিনিই তা বাস্তবেই রুপান্তর করে গেছেন।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিখিল টেকনাফের জমিয়তে উলামার সভাপতি আল্লামা মাহবুবুল আলম মোজাহেরী, টেকনাফ সাবরাং মাদ্রাসার পরিচালক হেফাজত নেতা আল্লামা নুরুল হক, হ্নীলা জামেয়া দারুস সুন্নাহ’র সিনিয়র মুহাদ্দিস বিশিষ্ট হাদিছ বিশারদ আরবী সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র আল্লামা নুরুল ইসলামসহ শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    আল্লামা নুরুল ইসলাম বলেন,আল্লামা আহমদ শফী (রহ.)-এর ইন্তেকালে বাংলাদেশের মুসলিমরা শুধু একজন ধর্মীয় নেতৃত্বই হারায়নি; বরং সমগ্র মুসলিম উম্মাহ একজন দরদি রাহবার হারাল। এ দেশের মুসলমান তাঁর ত্যাগ ও অবদান এবং উলামায়ে কেরাম তাঁর অভিভাবকত্বের কথা চিরদিন স্মরণ রাখবে।’ তাঁরা আরো বলেন, ‘আল্লামা আহমদ শফী (রহ.)-এর ইন্তেকাল ইসলামী জ্ঞানের জগতে অপূরণীয় শূন্যতা তৈরি করেছে। তাঁর অনুপস্থিতি কষ্টদায়ক। আল্লাহ তাআলা তাঁর মর্যাদা বৃদ্ধি করুন এবং উম্মাহর জন্য তাঁর অসামান্য খেদমতের উত্তম বিনিময় দান করুন।’

  • নলছিটির সন্তান শামীম সুন্দরবন ১১ লঞ্চে মৃতদেহ উদ্ধার

    নলছিটির সন্তান শামীম সুন্দরবন ১১ লঞ্চে মৃতদেহ উদ্ধার

    • মোঃ রাকিব,নলছিটি উপজেলা প্রতিনিধিঃ

    ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কলানিধি গ্রামের মোঃ খালেক সরদারের ছেলে মোঃ শামীম সরদার। পড়ালেখা এস এস সি পযর্ন্ত। ২০২০ সালে এস এস সি পরীক্ষার পর চলে যায় ঢাকা চাকরিতে।

    সেখান থেকেই আসছিল বাড়িতে। কিন্তু আসা হলো না আর তার বাড়িতে। আসার সময় সুন্দরবন ১১ লঞ্চের ছাদে দুষ্কৃতিকারিরা মেরে ফেলেছে।

    এখন পযর্ন্ত এর বেশি বিস্তারিত জানা যায়নি। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।