Blog

  • আমরা দেখতে চাই এই সরকার কি করে : নুরুল হক নুর

    আমরা দেখতে চাই এই সরকার কি করে : নুরুল হক নুর

    মোঃ রাকিব”বিশেষ প্রতিনিধিঃ

    আওয়ামী সরকারকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন ভিপি নুরুল হক নুর। গত শুক্রবার ঝালকাঠিতে ছাত্র, যুব অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের উপর হওয়া হামলার প্রতিবাদে গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যায় মশাল মিছিল শেষে কাকরাইল মোড়ে বক্তব্যদানকালে সরকারকে এ আল্টিমেটামের ঘোষণা দেন নুরুল হক নুর।

    গত শুক্রবার ঝালকাঠিতে ছাত্র, যুব অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের উপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্র, যুব, শ্রমিক অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের উপর অন্যায়ভাবে সন্ত্রাসী হামলা ও হয়রানি করা হচ্ছে। আজ থেকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে ঝালকাঠিতে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের উপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আগামী শুক্রবার ঢাকায় মহাসমাবেশ করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও করা হবে। আমরা দেখতে চাই এই সরকার কী করে।

    নুরুল হক নুর আরও বলেন, আমি ছাত্রলীগ, যুবলীগের ভাই-বোনদেরকে বলতে চাই, আপনারাও কোনো মা-বাবার সন্তান। আমাদের সাথে আপনাদের কোনো জায়গা-জমি বা ব্যক্তিগত কোনো বিরোধ নেই। আপনারা কেন আমাদের ভাই-বোনদের উপর আক্রমণ করে রক্তাক্ত করছেন। কেন যেখানে সেখানে মারধর করছেন। আপনারা কি চিরজীবন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন?

    ভিপি নূর বলেন, আপনারা কি দেখতে পাচ্ছেন না একসময়ের ক্ষমতাসীনদের আজকের কী ভয়াবহ নিষ্ঠুর পরিণতি হয়েছে। আজকে কেউ দেশে থাকতে পারছে না। কেউ কারাগারের মধ্যে ধুকে ধুকে মরছে। কাজেই আপনাদেরকেও কিন্তু সেই পথে যেতে হতে পারে।

    আপনাদেরকে বলছি, বতর্মান সরকার যে দমন-নির্যাতন-নিপীড়ন-জুলুম চালিয়েছে, অচিরেই তাদরে পতন ঘনিয়ে এসেছে। সুতরাং ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের ভাই-বোনদের বলবো আপনারাও জনগণের কাতারে এসে কাধ মিলিয়ে দাঁড়ান। আপনাদের সাথে আমাদের কোনো বিরোধ নাই। সবারই শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ মিটিং মিছিল করার অধিকার রয়েছে। আমরা চাই না এই দেশে কোনো সহিংসতার সৃষ্টি হোক।

  • আমি বেহেশতে যেতে চাইনা, কবরের আযাব চাই : তসলিমা নাসরিন

    আমি বেহেশতে যেতে চাইনা, কবরের আযাব চাই : তসলিমা নাসরিন

    মোঃ রাকিব”বিশেষ প্রতিনিধিঃ

    নির্বাসনে থাকা বাংলাদেশি আলোচিত এবং সমালোচিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন এখন বসবাস করছেন ভারতে। বিভিন্ন মহলে তার আলোচনা সমালোচনার শেষ নেই।

    গত বুধবার (১১ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস আপডেট করেন তসলিমা নাসরিন। পাঠকদের বোঝার সুবিধার্থে তসলিমা নাসরিনের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হল-‘আমি কবরের আযাব চাই। দোযখের আগুনে জ্বলতে চাই। আমি যা খুশি বলতে চাই তোদের রূপকথার গপ্প নিয়ে। এতে তোদের কেন অসুবিধে হয়? তোরা বেহেস্তে যা না, কে বাধা দিচ্ছে? বেহেস্তে গিয়ে যত স্ফূর্তি আছে কর। আমরা যারা ইহকালে বিশ্বাস করি, পরকালে করি না, তাদের শান্তিতে থাকতে দে। তোরা পরকাল নিয়ে বিভোর থাক। ইহুদি নাসারাদের বানানো ফোন নিয়ে, কম্পিউটার নিয়ে, ক্যামেরা নিয়ে , টেকনোলজি নিয়ে মাতামাতি বন্ধ কর। যাদের ঘৃণা করিস, যাদের মুণ্ডু আলাদা করিস ধড় থেকে, তাদের ছাড়া তোদের এক মুহূর্তও চলে না কেন? লজ্জা হয় না? জানি তোদের লজ্জা নেই। বর্বরদের লজ্জা বলতে কিছু থাকে না। তোরা লিঙ্গপালগুলো একবিংশ শতাব্দির লজ্জা। তোরা লিঙ্গপালগুলো এক একেকটা দূরদৃষ্টিহীন সরকারি হেফাজতে দৈত্যের মতো বাড়ছিস। যেদিন নিজেদের ঘৃণা করতে শিখবি, সেদিনই মানুষ হবি।’

    তার মতে তারা যারা পরকালে বিশ্বাস করে না অর্থাৎ যারা নাস্তিক। তাদের নিয়ে আস্তিকদের বিশেষ করে ইসলাম মনাদের এত মাথাব্যথা কেন? তার কথায় তিনি নাস্তিক হয়ে পরকালে আযাব পেতে চান। দেখতে চান তাকে কি শাস্তি দেওয়া হয়।

  • আমীরে হেফাজত জুনায়েদ বাবুনগরী , মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমী

    আমীরে হেফাজত জুনায়েদ বাবুনগরী , মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমী

    আলমগীরইসলামাবাদী,,চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    বহুল আলোচিত সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নতুন আমীর নির্বাচিত হয়েছেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। সংগঠনটির মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।

    রোববার হাটহাজারী মাদরাসায় হেফাজতের সম্মেলনে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
    রোববার বহুল আলোচিত হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসায় আয়োজিত সম্মেলনে সারা দেশের কাউন্সিলরদের ভোটে আমির ও মহাসচিব নির্বাচিত হন। সর্বজন গ্রহণযোগ্য আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর পর কে হচ্ছেন আমির তা নিয়ে ছিল আলেম-ওলামাদের মধ্যে সরব আলোচনা। তবে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী আমির এবং আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী মহাসচিব হতে পারেন বলে আগেই সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গিয়েছিল।

    উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ১৯ জানুয়ারি গঠিত হয়েছিল অরাজনৈতিক ইসলামী সংগঠন হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ। হাটহাজারীর দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসার প্রধান পরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে আমির ও মাদরাসার তৎকালীন সিনিয়র মুহাদ্দিস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে মহাসচিব করে হেফাজতের ২২৯ সদস্যের মজলিসে শূরা কমিটি গঠন করা হয়েছিল সে সময়। ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষানীতির বিরোধিতার মধ্য দিয়ে হেফাজতের আত্মপ্রকাশ হলেও সংগঠনটি দেশজুড়ে আলোচনায় আসে ২০১৩ সালে ১৩ দফা দাবিতে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আসে ২০১৪ সালের ৫ মে শাপলা চত্বর অবরোধের মাধ্যমে।

    চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর আল্লামা শাহ আহমদ শফী ইন্তেকাল করায় আমিরের পদটি শূন্য হয়। দেশ-বিদেশে এ পদ নিয়ে রয়েছে ব্যাপক আলোচনা। আল্লামা আহমদ শফী বেফাকেরও সভাপতি ছিলেন। তার মৃত্যুর কিছু দিনের মধ্যেই সম্মেলনের মাধ্যমে বেফাকের সভাপতি ও মহাসচিব নির্বাচিত করা হয়েছে; কিন্তু বর্তমানে হেফাজতের কর্মকাণ্ড কিছুটা শিথিল থাকায় এ নিয়ে তেমন সরব দেখা যায়নি আলেমদের। তা ছাড়া হাটহাজারী মাদরাসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিক্ষোভের কারণেও হেফাজত নেতাদের মধ্যে কিছুটা ফাটল দেখা দিয়েছে। এর মধ্যেই রোববার অনুষ্ঠিত হয় হেফাজতের সম্মেলন। যেখানে নির্ধারিত হয়েছে আমির ও মহাসচিবসহ ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি। সারা দেশের বিভিন্ন জেলার প্রায় সাড়ে তিন শ’ কাউন্সিলর এতে ভোট প্রদান করেন।

  • ইসলামী যুব আন্দোলন টেকনাফ উপজেলার দাওয়াতী সভা সম্পন্ন

    ইসলামী যুব আন্দোলন টেকনাফ উপজেলার দাওয়াতী সভা সম্পন্ন

    ওসমান আল-হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।

    গত ১৩ই নভেম্বর ২০২০ইং কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত বাংলাদেশের দক্ষিণে সর্বশেষ সীমানাস্থ উপজেলা টেকনাফ ইসলামি যুব আন্দোলন টেকনাফ উপজেলা শাখার উদ্যোগে উপজেলা সভাপতি মাওলানা আবদুল খালেক জিহাদী সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সেলিমপারভেজ বিন জাফর এর সঞ্চালনায় দাওয়াতি সভা অনু্ষ্টিত হয়।

    উক্ত সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী শরিফুল ইসলাম,
    প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক রাশেদ আনোয়ার।
    বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন কক্সবাজার জেলার প্রচার সম্পাদক মু. হুজ্জাতুল্লাহ মিছবাহ।

    প্রধান আলোচক বলেন, সমাজ আজ অন্যায়ের অক্টোপাশে নিমাজ্জিত। মানবতা আজ ভূলুণ্ঠিত। পাপ-পঙ্কিলতা, জুলুম – শোষণ যেন জয় জয়কার। যেখানে যুবকরা সত্যের সৈনিক হওয়ার কথা সেখানে হচ্ছে মিথ্যার লাঠিয়াল। ইসলামী যুব আন্দোলন যুবকদের কে সত্যের সৈনিক হিসেবে পরিণত করতে চাই।

    উক্ত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ টেকনাফ উপজেলার সহ সভাপতি মুফতী উমর ফারুক

    উক্ত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল প্রমূখ। শেষে প্রধান অতিথির মোনাজাতের মাধ্যমে সভার ইতি টানা হয়।

  • ইসলামী যুব আন্দোলন উখিয়া উপজেলার দাওয়াতী সভা সম্পন্ন

    ইসলামী যুব আন্দোলন উখিয়া উপজেলার দাওয়াতী সভা সম্পন্ন

    ওসমান আল-হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।

    গতকাল ১৩নভেম্বর ২০২০ইং কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত উখিয়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে উপজেলা সভাপতি সাইফুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এর সঞ্চালনায় দাওয়াতি সভা অনু্ষ্টিত হয়।

    উক্ত সভা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী শরিফুল ইসলাম,
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন কক্সবাজার জেলার প্রচার সম্পাদক মু. হুজ্জাতুল্লাহ মিছবাহ।

    প্রধান অতিথি বলেন, দুনিয়াতে ইসালাম ও মুসলমানদের উপর ষড়যন্ত্র একের পর এক করে যাচ্ছে। আজ মুসলমান যদি ঘুমিয়ে থাকি তাহলে তারা সেই সুযোগ টা কাজে লাগিয়ে তাদের গন্তব্য স্থলে পৌছে যাবে। তাই আমাদের ঘুমিয়ে থাকা চলবে না। বরং আমাদের সব দিক দিয়ে সজাগ থাকতে হবে। আল্লাহ তা’লা আমাদেরকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন এবং যৌবন নামক নিয়ামত দান করেছেন। যৌবনের উম্মাদনায় গতি পথ হারিয়ে পেলা যাবেনা। কারণ, যে আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করছেন তার কাছে হিসাব দিতে হবে। তাই তার দেয়া বিধান অনুযায়ী সামনে অগ্রসর হতে হবে।

    উক্ত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল প্রমূখ। শেষে প্রধান অতিথির মোনাজাতের মাধ্যমে সভার সমাপ্ত হয়।

  • বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা

    বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা

    মোঃ রাকিব”বিশেষ প্রতিনিধি

    বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে হাজতে থাকা এক হাজতি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। উক্ত ঘটনায় দুই কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।

    আজ ( ১৪ নভেম্বর ) শনিবার ভোররাতে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের হাসপাতালের বাথরুমে এ ঘটনা ঘটে।

    বরিশালের ডেপুটি জেলার মো. ইব্রাহীম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আত্মহত্যাকারী ঐ হাজতির নাম মো. হানিফ খলিফা।

    ডেপুটি জেলার আরও জানান, ঐ হাজতি বাথরুমে যাওয়ার পরে দীর্ঘ সময় পরও বাথরুম থেকে ফিরে না আসার কারণে কারা রক্ষীরা তাকে খুঁজতে গিয়ে বাথরুমের ভেতরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে থাকতে দেখতে পান। এরপর তাকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। লাশ ময়না তদন্তের জন্য এখন মর্গে রাখা হয়েছে।

    জেলখানার হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন হাজতী হানিফ খলিফা। হাসপাতালের কোয়ারেইন্টাইনের মশারী কেটে তা দিয়ে রশির মত বানিয়ে বাথরুমের পানির পাইপের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

    এই ঘটনায় ঐ সময়ে কারারক্ষী আনসার মণ্ডল ও মো. কাওছার কর্তব্যরত ছিল। তাদেরকে কর্তব্যে অবহেলার কারণে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।

    আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া হাজতি মোঃ হানিফ খলিফার বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার মধুকাঠি গ্রামে।
    নিজ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বরিশালের এয়ারপোর্ট থানায় তার স্ত্রী বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ঐ মামলার আসামি হিসেবে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। ১ অক্টোবর আদালতের নির্দেশে পুলিশ তাকে কারাগারে প্রেরণ করে।

  • সাবেক সংসদ অধ্যাপক মুহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে ডাঃ রবির শোক

    সাবেক সংসদ অধ্যাপক মুহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে ডাঃ রবির শোক

    নিজস্ব প্রতিবেদক

     

    কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, উখিয়া-টেকনাফের সাবেক এমপি জাতীয় সংসদ সদস্য, টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, বীর মুুুুুুক্তিযুদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যাপক মুহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে মেডিকেল অফিসার ডাঃ রবিউর রহমান রবি স্যারের গভীর শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

     

    ডাঃ রবির ভাষায় যা বললেন

    ভাবছিলাম অনেক কিছু লিখব! কিন্তু কোন ভাষাই আসেনা! এত স্মৃতি এত কথা! সর্বশেষ রাশেদের গত ইউপি নির্বাচনের দিন আপনার সাথে কাটানো সময় আর স্মৃতিগুলো!
    এত অমায়িক আর আপাদমস্তক ভদ্রলোক মানুষ হয় কি করে ওনার সাথে না মিশলে বুঝতামনা!
    আত্মীয়তার এই সংক্ষিপ্ত সময়ে যতবার দেখা করেছি, কথা বলেছি ওনি জীবনধর্মী উপদেশ দিয়েছেন, সৎ পরামর্শ দিয়েছেন।
    ওনি ছিলেন একজন মুক্তিযুদ্ধের বীর সংঘটক, পরিচ্ছন্ন শিক্ষক,মর্যাদাসম্পন্ন রাজনীতিবিদ গণমানুষের বন্ধু! এই করুনাকালেও তাঁর অন্তিম যাত্রায় লক্ষ লক্ষ জনতার ঢল তাঁর কর্মের পরিচায়ক!
    ওনার মধ্যে আমার মরহুম বাবার ছায়া অনুভব করেছি! মনের মধ্যে একটা শক্তি অনুভব করতাম যে আমাদের মধ্যে একজন অভিভাবক আছেন!
    আজ মহান আল্লাহ তাঁর এই প্রিয় বান্দাকে তাঁর সন্নিকটে নিয়েগেছেন! আমরা অভিভাবকশূন্য হয়ে গেলাম!
    হে আল্লাহ এই ক্ষণজন্মা ব্যক্তিত্বকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন! আমাদেরকে ধৈর্য্য ধরার শক্তি দান করুন।  আমীন

  • আল্লামা আব্দুল হালীম বুখারীর চিকিৎসার খোঁজ খবর নিতে ন্যাশনাল হসপিটালে ইশা নেতৃবৃন্দ।

    আল্লামা আব্দুল হালীম বুখারীর চিকিৎসার খোঁজ খবর নিতে ন্যাশনাল হসপিটালে ইশা নেতৃবৃন্দ।

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

    আল-হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এর সদস্য, জামেয়া ইসলামিয়া পটিয়ার মুহতামিম ও আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ-এর মহাসচিব মুফতী শাহ আবদুল হালীম বুখারী অসুস্থ হয়ে চট্টগ্রাম ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

    তাঁর চিকিৎসার খোঁজ খবর নিতে আজ সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম ন্যাশনাল হসপিটালে গিয়েছে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রচার ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক কে এম শরীয়াতুল্লাহ, কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ নাজিম উদ্দিন।

    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলা দক্ষিণ প্রচার সম্পাদক মুহাম্মাদ আতিকুর রহমান এবং ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক ওমর ফারুক।

  • জানাজায় শোকাহত অজস্র মানুষের ঢল রাষ্ট্রীয় মর্যদায় বীর মুক্তিযুদ্ধা সাবেক এমপি অধ্যাপক মু.আলী’র জানাজা সম্পন্ন

    জানাজায় শোকাহত অজস্র মানুষের ঢল রাষ্ট্রীয় মর্যদায় বীর মুক্তিযুদ্ধা সাবেক এমপি অধ্যাপক মু.আলী’র জানাজা সম্পন্ন

    ওসমান আল-হুমাম কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি

    রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন কক্সবাজার-৪ সংসদীয় আসন উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সাংসদ ও টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আলহাজ্ব অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী।

    গতকাল শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) বাদে আসর হ্নীলা দরগাহ সড়ক ও জনপদ মাঠে নামাজে জানাযা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে।

    জানাজায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান,কক্সবাজার জেলা ইসলামী আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক রাশেদ আনোয়ার, খতমে নবুওত আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখার সম্মানিত উপদেষ্টা ও হ্নীলা জামিয়া দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার পরিচালক আফসার উদ্দিন কাসেমী চৌধুরী, উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ জননেতা আবদুর রহমান বদিসহ বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার লোকজন স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে তারা ৩ ছেলে ও ১মেয়ে সন্তান ছিল।

    অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী শুক্রবার (১৩-নভেম্বর-২০) ভোররাত ৩.টার ৫৫ মিনিটের দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

    এই রাজনৈতিক নেতার মৃত্যুতে উখিয়া-টেকনাফ তথা জেলাবাসী একজন প্রকৃত জনদরদী এবং প্রবীণ রাজনৈতিক নেতাকে হারালেন। তাঁর মৃত্যুতে পুরো উপজেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    উল্লেখ্য চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শুরুদিকে তিনি ব্যথা ও ডায়াবেটিসজনিত রোগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে কক্সবাজার থেকে ডাকা এপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেন।

    বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী ১৯৯৬-২০০১ সালে কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সংসদ সদস্য, এর আগে হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, সর্বশেষ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি’র দায়িত্ব পালন করেন এবং কক্সবাজার সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। মৃত্যুকালে অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন
    মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দলের জন্য নিবেদিত কর্মীবান্ধব নেতা হিসাবে প্রসিদ্ধ ছিল অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী।

    তিনি টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ফুলের ডেইলের মরহুম হাজী আমির হোছনের পুত্র। উক্ত জনাযায় দলীয় নেতাকর্মী, ও কক্সবাজারের সকল আসনের এমপি, বিরোধী দলীয় ও সরকার দলীয় সাবেক এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা/উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন স্থরের রাজনৈতিক ও সামাজিক, ধর্মীয় নেতারা অংশ গ্রহন করেন। এই মহান জাতীয় নেতাকে গার্ডঅব অনার প্রদান করা হয়।

  • ভাস্কর্যের নামে মুর্তি নয় আল্লাহর ৯৯ নাম অঙ্কিত স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করতে হবে

    ভাস্কর্যের নামে মুর্তি নয় আল্লাহর ৯৯ নাম অঙ্কিত স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করতে হবে

    UkhiyaVoice24.Com

    মোঃ রাকিব”বিশেষ প্রতিনিধি

    ভাস্কার্যের নাম করে মূর্তি স্থাপন না করে তার পরিবর্তে বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনায় আল্লাহর ৯৯ নাম অঙ্কিত স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করার দাবিতে শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকা ধুপখোলা মাঠে গণসমাবেশের আয়োজন করেছে তৌহিদি জনতা ঐক্য পরিষদ। এই গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন তৌহিদী জনতা ঐক্য পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা মুফতী ফয়জুল করিম।

    ভাস্কর্যের নামে মূর্তিবিরোধী এ গণসমাবেশে তৌহিদি জনতা ঐক্য পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ভাস্কর্যের নাম করে মূর্তি স্থাপন রুখে দেওয়া হবে।

    মুফতী ফয়জুল করিম বলেন, যে দেশের মানুষেরা রিকশা চালিয়ে রোজগার করে, এখনো যে দেশের মানুষেরা খোলা আকাশের নিচে ঘুমায়, যে দেশের মানুষ এখনও অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটায়, যে দেশের মানুষেরা এখনো চিকিৎসাহীনতায় ভুগছে, যে দেশের মানুষেরা ময়লাস্তূপের মধ্যে খাদ্য সন্ধান করছে, সে দেশের মানুষের কষ্টের টাকা দিয়ে মূর্তি স্থাপন করা যাবে না।

    তিনি আরও বলেন, যদি এ দেশের মানুষের কষ্টের টাকা দিয়ে মূর্তি স্থাপন করা হয় তাহলে কঠোর আন্দোলন হবে, সংগ্রাম চলছে।

    সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, যদি আপনাদের মূর্তি স্থাপন করতে ইচ্ছে হয়, মূর্তি স্থাপনের জন্য আলাদা জায়গা আছে, মন্দির আছে, সেখানে মূর্তি স্থাপন করেন। তবে মানুষের টাকায় রাজপথে মূর্তি স্থাপন করতে দেওয়া হবে।

    তৌহিদী জনতা ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা বলেন, আমরা রক্ত দিতে চাই না। মুসলমান যদি একবার রক্ত দিতে শুরু করে তাহলে আর বন্ধ করা যাবে না। আমরা খালিদ বিন ওয়ালিদের উত্তরসূরি, আমরা আবু বকরের উত্তরসূরি, আমরা ওমরের উত্তরসূরি, আমরা হযরত আলীর উত্তরসূরি। বক্তব্যদানকালে তিনি স্লোগান দেন, ওহুদ বদরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার।

    তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করবো, আমরা মারামারি করতে চাই না, রক্ত দিতে চাই না, বিচ্ছেদ করতে চাই না, আমরা দাঙ্গা হাঙ্গামা করতে চাই না। শুধু চাই সুন্দর একটা ব্যবস্থা করা হোক। এমন ব্যবস্থা যে, কিয়ামত পর্যন্ত মানুষ তার (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের) জন্য দোয়া করে।

    এই গনসমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, তৌহিদি জনতা ঐক্য পরিষদের সকল নেতাকর্মী ও শীর্ষস্থানীয় ওলামা মাশায়েখসহ কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ও আমজনাতা।