Blog

  • চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার= স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

    চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার= স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার। এটি নির্মিত হলে অর্থনীতির নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।

    বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোবর ২০২০) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় আয়োজিত কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি, দখল ও দূষণ রোধে প্রণীত মাস্টারপ্ল্যানের বাস্তবায়ন, চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন সংক্রান্ত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা জানান।

    স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এই মেরিন ড্রাইভ নির্মিত হলে এই অঞ্চলে নতুন হাজার হাজার হোটেল-মোটেল, রেস্টুরেন্ট, কলকারখানা সৃষ্টি হবে। এতে একদিকে যেমন কর্মসংস্থান তৈরি হবে অন্যদিকে পর্যটন খাতে খুলবে নতুন দিগন্ত।

    বন্দর নগরী চট্টগ্রামকে সারাদেশের ব্যবস্যা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র উল্লেখ করে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, উন্নয়নের নামে অপরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ করে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট করা যাবে না। এটি করা হলে পরবর্তীতে নগরবাসীর জন্য দুর্ভোগের কারণ হবে।

    কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়ের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে লিজ দেয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে তাদেরকে সতর্ক করে বলেন, যারা সরকারি জায়গা, স্থাপনা দখল করে আছেন খুব শিগগিরই অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করা হবে।

    চট্টগ্রাম বন্দরসহ সেসকল প্রতিষ্ঠান সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা-ঘাটসহ নানা সেবা গ্রহণ করছে তাদেরকে সিটি কর্পোরেশনের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করার আহ্বান জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার ট্রাক, লরিসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করায় নগরীর অভ্যান্তরীণ রাস্তা ঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব রাস্তা ঘাট সংস্কার করতে অর্থের প্রয়োজন যা যোগান দেয়া সিটি কর্পোরেশনের একার সম্ভব নয়। তাই সকল প্রতিষ্ঠানকে সঠিক সময়ে সিটি কর্পোরেশনের নিকট রাজস্ব প্রদানের নির্দেশনা দেন মোঃ তাজুল ইসলাম।

    তিনি বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়সহ সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানকে চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়নে যাকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তা পালনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম তথা দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থে কাজ করতে হবে।

    নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশনে একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এছাড়া কর্ণফুলীর নাব্যতা বৃদ্ধি, দখল ও দূষণ রোধে মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন, অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে খাল উদ্ধার ও খনন, সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের উদ্যোগে সরকারি সকল প্রতিষ্ঠান সমন্বিতভাবে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

    মন্ত্রী বলেন, কোন প্রতিষ্ঠানকেই বিনামূল্যে সরকারি সেবা দেয়া যাবেনা। নির্ধারিত ফি পরিশোধ করেই সবাইকে সেবা গ্রহণ করতে হবে। এতে করে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি সেবার মানও উন্নত হবে ।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম নগরীর ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক উল্লেখ করে এই শহরকে একটি আধুনিক, দৃষ্টিনন্দন হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।

    সভায় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

    এছাড়া, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সরকারী অধিদপ্তর/প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে সারাদেশে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ প্রতিবাদ মিছিল

    ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে সারাদেশে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ প্রতিবাদ মিছিল

    এইচ এম আলমগীর ইসলামাবাদী, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।

     

    সারাদেশে ক্রমবর্ধমান নারী নির্যাতন-ধর্ষণসহ নারীর প্রতি বর্বরতা এবং আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতির প্রতিবাদে আগামীকাল ৯ অক্টোবর ২০২০, শুক্রবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সারাদেশে একযোগে এ কর্মসূচি পালন করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও তার সহযোগি সংগঠন সমূহ।

    আজ বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোবর ২০২০) এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই শুক্রবার সারাদেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি সফলের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জসহ সারাদেশে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগসহ সন্ত্রাসীদের ধর্ষণ, গুম, খুন ও চাঁদাবাজি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বেগমগঞ্জে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন এবং নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে দিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় সারাদেশে মধ্যযুগীয় কায়দায় নারী নির্যাতন চলছে।

    তিনি বলেন, ইসলাম নারীদের সমান অধিকার নয়, অগ্রাধিকার দিয়েছে। ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠিত না থাকায় দিন দিন নারী নির্যাতন ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    তিনি বলেন, ইসলামী শিক্ষা বা নৈতিকতা শিক্ষা না থাকায় মানুষ ক্রমেই বেপরোয়া ও অপরাধ প্রবণ হয়ে উঠছে।

    তিনি বলেন, এ সকল ঘটনা ইসলামের বিধান প্রতিষ্ঠার অনিবার্যতাকে আরো প্রাসঙ্গিক করে তুলছে। তিনি দেশের সর্বস্তরের মানুষকে ইসলামের সুমহান আদর্শে ফিরে আসার আহ্বান জানান। সেইসাথে ধর্ষকদের কঠোর শাস্তির বিধান প্রণয়নের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

  • লোহাগাড়া ২ নং আমিরাবাদ ইউনিয়নে হাতপাখার প্রার্থীর নির্বাচনী গণসংযোগ

    লোহাগাড়া ২ নং আমিরাবাদ ইউনিয়নে হাতপাখার প্রার্থীর নির্বাচনী গণসংযোগ

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    আসন্ন ২নং আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ (লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম দক্ষিণ) নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত, ওলামা মশায়েখ সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মুহাম্মদ নুরুল আবচার ভাইয়ের সমর্থনে গণসংযোগ ও পথসভা
    আজ (০৮ অক্টোবর-২০২০) অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কন্দ্রীয় রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন স্যার,
    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম পূর্ব জেলা সভাপতি, মাওলানা নুরুল আলম তালোকদার,মুজাহিদ কমিটি চট্টগ্রাম পূর্ব জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নাজিমউদ্দীন আনসারী।
    ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি মুহাম্মাদ শরিফুল ইসলাম আজিজি, প্রশিক্ষিণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম ও স্কুল বিষয়ক সম্পাদক আরাফাত হোছাইনসহ অংগ সংগঠনের জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • ধাওয়া করে ৯ রোহিঙ্গা ডাকাতকে ধরল র‌্যাব

    ধাওয়া করে ৯ রোহিঙ্গা ডাকাতকে ধরল র‌্যাব

    মোঃ শহিদ কক্সবাজার থেকে

    কক্সবাজারের টেকনাফে ধাওয়া করে ৯ জন রোহিঙ্গা ডাকাতসহ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে টেকনাফের চাকমারকুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।

    কক্সবাজারস্থ র‌্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান জানান, গত কয়েকদিন ধরে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে গোলাগুলি ও সংঘর্ষ চলছিল। এতে গোলাগুলিতে ৪ জন রোহিঙ্গাও মারা যায়। এর প্রেক্ষিতে র‌্যাবের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে।

    তিনি আরও বলেন, “অভিযান টের পেয়ে রোহিঙ্গা ডাকাতরা কুতুপালং ক্যাম্প থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে র‌্যাব তাদেরকে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে মঙ্গলবার সকাল তাদেরকে ধাওয়া করতে করতে টেকনাফের চাকমারকুল পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে দেশিয় তৈরি ৪টি অস্ত্র, ২০ রাউন্ড ও কিছু কিরিচ উদ্ধার করা হয়।”

    মেজর মেহেদী হাসান বলেন, “আটক ৯ জনই রোহিঙ্গা ডাকাত। তাদেরকে আইনী প্রক্রিয়া শেষে থানায় সোপর্দ করা হবে।

  • পটিয়া জিরি মাদরাসায় স্মরণসভা ও ইসলাহী জোড় ১০ অক্টোবর

    পটিয়া জিরি মাদরাসায় স্মরণসভা ও ইসলাহী জোড় ১০ অক্টোবর

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    আল্লামা শাহ আবরারুল হক হারদূয়ী রহ. এর খলিফা ও চট্টগ্রাম আল জামেয়াতুল আরবিয়া ইসলামিয়া জিরির সাবেক পরিচালক পীরে কামেল আল্লামা শাহ্ মোহাম্মদ তৈয়ব রহ. এর স্মরণসভা ও ইসলাহী জোড় অনুষ্ঠিত হবে।
    আগামী শনিবার (১০ অক্টোবর ২০২০) জামাতুস ছালেকিন জিরি শাখার উদ্যোগে জামেয়া জিরিতে অবস্থিত ‘খানাকাহ এ আবরারিয়া’ মিলনায়তনে এ স্মরণসভা ও ইসলাহী জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এতথ্য নিশ্চিত করেছেন মাওলানা মোস্তাক আহমদ সাহেব সিনিয়র শিক্ষক জিরি মাদরাসা।

    স্মরণসভা ও ইসলাহী জোড়ে বেফাকের নব-নির্বাচিত ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ঢাকার যাত্রাবাড়ী মাদরাসার পরিচালক মহিউস সুন্নাহ আল্লামা মুফতি মাহমুদুল হাসান দাঃবাঃ, জামিয়া আহলিয়া মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের শায়খুল হাদিস ও শিক্ষাসচিব আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী দাঃবাঃ ও খতিবুল উম্মাহ্ মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী কুয়াকাটাসহ শায়েখে জিরির খুলাফা ও দেশবরেণ্য আলিম ওলামারা আলোচনা করবেন।
    পীরে কামেল আল্লামা শাহ্ মোহাম্মদ তৈয়ব রহ. এর স্মরণসভা ও ইসলাহী জোড়ে শায়েখে জিরির খুলাফা, মুরিদান ও মুহিব্বিনসহ সর্বস্থরের তৌহিদীজনতার উপস্থিতি কামনা করেছেন জামেয়া জিরির পরিচালক মাওলানা শাহ্ হাফেজ খোবাইব।

  • দেশব্যাপী ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর যুব আন্দোলনের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

    দেশব্যাপী ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর যুব আন্দোলনের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও নগর সভাপতি আলহাজ জান্নাতুল ইসলাম বলেন, একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় সরকার দায় এড়াতে পারেন না। সরকারের মন্ত্রীবর্গের বক্তব্য ধর্ষকদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। ১০দিনে উল্লেখযোগ্য ৫টি ন্যাকারজনক ঘটনা মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে, আরো অপ্রকাশিত বহু ঘটনা গুন্ডাবাহিনীর ভয়ে আড়ালেই থেকে যাচ্ছে। তাই শুধু প্রতিবাদ নয়, এদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। রাতের ভোটে নির্বাচিত সরকার এসব ধর্ষক, গুন্ডা ও চোর-বাটপারদের পুষে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।

    গতকাল ০৫ অক্টোবর’২০ সোমবার বিকাল ৪.৩০ টায় দেওয়ানহাট চত্বরে দেশব্যাপী ধর্ষণ ও নোয়াখালীতে গৃহবধূকে পাশবিক নির্যাতনের প্রতিবাদে ইসলমী যুব আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে নগর সভাপতি তাজুল ইসলাম শাহীনের সভাপতিত্বে আয়েজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত কথা বলেন।
    প্রধান অতিথি আরো বলেন, আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অপরাধীদের গ্রেফতার করে, কিন্তু তারা আইনের ফাঁকফোঁকর দিয়ে বেড়িয়ে আসে। তাই অপরাধীরা আরো ভয়ংকর হয়ে উঠছে।
    সভাপতির বক্তব্যে তাজুল ইসলাম শাহীন বলেন, শুধু ধর্ষকদের গ্রেফতার ও শাস্তিতে ধর্ষণ কমবে না, ধর্ষক সৃষ্টির উৎসপথ বন্ধ করতে হবে। ইন্টারনেটে অশ্লীল সাইট, ওয়েব সিরিজ নামে প্রাপ্তবয়স্কদের শয্যাদৃশ্য, নাটক সিনেমার নামে লিভ-টু-গেদার ও সমকামিতার চর্চা, বিজ্ঞাপনে নারীদের পণ্য বানানো বন্ধ করতে হবে। কর্মহীন যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে চরিত্রবিধ্বংসী অপকর্ম ও মাদকতা থেকে বিরত রাখতে হবে।
    মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের উপদেষ্টা অধ্যাপক রফিকুল আলম, সহ-সভাপতি আবুল কাশেম মাতব্বর, সেক্রেটারি আল মুহাম্মদ ইকবাল, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সেক্রেটারি ইবরাহীম খলিল, নগর ইশা ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক এইচএম নাজিম উদ্দিন, ইসলামী যুব আন্দোলনের নগর অর্থ সম্পাদক সোলায়মান বাপ্পী, দাওয়াত ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক আসহাব উদ্দিন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ডা. দিদারুল ইসলাম, উপসম্পাদক মাহফুজুর রহমান, ইকবাল হোসাইনসহ নগর ও থানা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • উখিয়ার কুতুপালং এর বৃহৎ শরণার্থী ক্যাম্পে রোহিঙ্গা দুই গ্রুপের সংঘর্ষে রোহিঙ্গা নিহত ২

    উখিয়ার কুতুপালং এর বৃহৎ শরণার্থী ক্যাম্পে রোহিঙ্গা দুই গ্রুপের সংঘর্ষে রোহিঙ্গা নিহত ২

    নিজস্ব প্রতিবেদক 

     

    কক্সবাজার উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নে অবস্থিত দেশের বৃহৎ রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প কুতুপালং এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা হলেন কুতুপালং ক্যাম্প ওয়েস্ট এর ডি ৫-ব্লকের মৃত সৈয়দ আলমের ছেলে ইমাম শরীফ (৩২) এবং ডি ব্লকের মৃত ইউনুস এর পুত্র শামসুল আলম (৪৫)

    আজ রবিবার (৪ অক্টোবর) ভোর চারটা থেকে মাদক কারবারিরা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে দফায় দফায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে, এতে আরও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
    আহতদের কি উদ্ধার করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পার্শ্ববর্তী হাসপাতাল গুলোর মধ্যে ভর্তি করা হয়েছে।

    নিহত দুই রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

    জানা যায় কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান হাফেজ মাওলানা জালাল আহমদ জানান মাদক নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল অনেকদিন থেকে এর আগেও দুই গ্রুপের মধ্যে বেশ কয়েকবার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।

    বৃহৎ শরণার্থী ক্যাম্প কুতুপালং আইন-শৃংখলার দায়িত্বে নিয়োজিত ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এর অধিনায়ক আতিক রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

    উখিয়া থানার নবাগত ওসির আহমদ সঞ্জুর মোর্শেদ জানান, দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

    একাধিক রোহিঙ্গারা জানাই সম্প্রতি পুলিশি কার্যক্রম স্থবিরতার কারণে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
    ক্যাম্পের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা জোরদারের জন্য সরকারের নিকট আবেদন জানিয়েছেন রোহিঙ্গা মাঝিরা।

    ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

  • বাঁশখালীতে আল্লামা শাহ আহমদ শফি স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

    বাঁশখালীতে আল্লামা শাহ আহমদ শফি স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    বাঁশখালী কওমী মাদরাসা সংস্থার উদ্যোগে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির ও কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হাটহাজারী মাদরাসার প্রধান পরিচালক শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফি সাহেব রহ. স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল আজ বৃহস্পতিবার ০১ অক্টোবর ২০২০ ইং বিকেলে বাঁশখালী পৌর শহরের গ্রীণ কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। বাঁশখালী কওমী মাদরাসা সংস্থার সভাপতি মাওলানা ফিরোজ আহমদ মসরুর সাহেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন, পটিয়া মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস আল্লামা ক্বাজী আখতার সাহেব। বক্তব্য রাখেন, বাঁশখালী কওমী মাদরাসা সংস্থার সেক্রেটারী ও মনকিচর মাদরাসার পরিচালক মাওলানা শাহ আবু বকর সাহেব, বৈলছড়ি মাদরাসার সাবেক পরিচালক মাওলানা রফিকুল ইসলাম, দিদারিয়া মাদরাসার পরিচালক মাওলানা হাফেজ ইসহাক, জলদী মাদরাসার সাবেক মুহতামিম মাওলানা নুরুল হক সুজিশ, বাহারছড়া মাদরাসার পরিচালক মাওলানা নুর মোহাম্মদ লোকমান, বাঁশখালী জামেয়া মিল্লিয়া আজিজিয়ার পরিচালক মাওলানা আজিজুল হাছান, বৈলগাও কনজুল উলুম মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আবু বকর, চাম্বল মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা ফুজাইল বিন আবদুল জলিল, মনকিচর মাদরাসার প্রধান মুফতি মাওলানা মুফতি হেলাল উদ্দীন, ছনুয়া মাদরাসার শিক্ষা পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম, পুকুরিয়া মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা শওকত আলী, মাওলানা নুরুল আমিন, উপজেলা জামে মসজিদের খতীব মাওলানা মোস্তাক আহমদ, মনকিচর মাদরাসার সহকারী পরিচালক মাওলানা আনিসুর রহমান, দারুল কারীম মাদরাসার পরিচালক সাংবাদিক শফকত হোসাইন চাটগামী, মাওলানা ইউনুস, মাওলানা আকতার হোসাইন প্রমুখ।

    আলোচনা সভায় বক্তারা আল্লামা শাহ আহমদ শফি সাহেব রহ. এর জীবনের বিভিন্ন দিক আলোচনা এবং হুজুরের জন্য বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত করা হয়।

  • বিশেষ অবদান রাখছে বাংলাদেশের প্রাচীন কওমি মাদরাসা শিক্ষা

    বিশেষ অবদান রাখছে বাংলাদেশের প্রাচীন কওমি মাদরাসা শিক্ষা

    এইচ এম আলমগীর ইসলামাবাদী,চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।

    বিশেষ অবদান রাখছে।

    বাংলাদেশের প্রাচীন কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ইত্তেহাদের সভাপতি হলেন দেশ বরেণ্য শিক্ষবিদ চট্টগ্রাম জামেয়া দারুল মাআরিফ আল ইসলামিয়ার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আল্লামা সুলতান যওক নদভী।

    পটিয়া মাদরাসার পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ মূলক সংস্থা বাংলাদেশ তাহফিজুল কোরআন সংস্থার বর্তমান সভাপতি আল্লামা আবদুল হালিম বোখারী। সল্পসময়ে পবিত্র কোরআন হিফজ করার জন্য শিশু-কিশোরদের উৎসাহিত করার মাধ্যমে তাজবিদ তথা বিশুদ্ধ পাঠভিত্তিক হিফজ শিক্ষার সম্প্রসারণ ও পবিত্র কোরআনের সংরক্ষণের লক্ষ্যে ১৯৭৬ সালে সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

    সারাদেশের ব্যাপকভাবে ইসলামের বাণী ছড়িয়ে দিতে ইসলামি সম্মেলন আয়োজন করার লক্ষ্যে ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘ইসলামী সম্মেলন সংস্থা বাংলাদেশ।’ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০১৫ পর্যন্ত তিনি এই সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৬ সালে ফকিহুল মিল্লাত মুফতি আবদুর রহমানের মৃত্যুবরণের পর তিনি সভাপতির দায়িত্ব পান।

    ইসলামি অর্থব্যবস্থা বর্তমান সময়ের অন্যতম চাহিদা ও দাবি। আধুনিক অর্থব্যবস্থা যথাযথভাবে অনুধাবন করে ইসলামি অর্থব্যবস্থার মাধ্যমে তার সমাধান পেশ করা একজন বিজ্ঞ মুফতির অন্যতম দায়িত্ব। এই গুরু দায়িত্বও তিনি পালন করে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের শরিয়াহ সুপারভাইজারী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার নির্দেশনায়, পটিয়া মাদরাসার প্রধান মুফতি হিসেবে মুফতি শাসসুদ্দীন জিয়াও এক্ষেত্রে বিশাল অবদান রাখছেন।

    শুধু শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও ধর্মীয় আলোচক হিসেবে নয়, আধ্যাত্মিক সাধক হিসেবেও তিনি সফল। আল্লামা আবদুল হালীম বোখারী কুতবে জামান আল্লামা মুফতি আজিজুল হক রহমাতুল্লাহি আলাইহির বিশিষ্ট খলিফা জামিয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহ হ্নীলার সাবেক শায়খুল হাদিস আল্লামা ইসহাক (ছদর সাহেব হুজুর নামে চট্টগ্রাম অঞ্চলে সমধিক পরিচি) রহমাতুল্লাহি আলাইহির হাতে বায়াত হন এবং খেলাফত লাভ করেন। আল্লামা আবদুল হালীম বোখারীর অসংখ্য ভক্ত ও মুরিদ রয়েছে। তাদের কয়েকজনকে তিনি খেলাফতও দিয়েছেন।

    লেখক হিসেবে তিনি অবদান রেখেছেন। তার লিখিত গ্রন্থাবলীর অন্যতম হলো- তাসহিলুত তাহাভি, তাসহিলুল উসূল (পাঠ্যভূক্ত)ও তাসহিলুত তিরমিজি।

    চট্টগ্রামের গণ্ডি পেরিয়ে জাতীয় পর্যায়েও তার বিশাল ভূমিকা রয়েছে। বিভিন্ন সেমিনার-সিম্পোয়ামে অংশগ্রহণসহ নানা কাজে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। যেকোনো আন্দোলন-সংগ্রাম কিংবা জাতীয় ইস্যুতে তার সরব উপস্থিতি দেখা যায়। কওমি মাদরাসার সনদের সরকারি স্বীকৃতি আন্দোলনের পুরোভাগে ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্সের স্বীকৃত প্রদানের নিমিত্তে আল হাইআতুল উলয়া গঠিত হলে তিনি এর স্থায়ী কমিটির সদস্য মনোনীত হন।

    চার ছেলে ও তিন মেয়ের বাবা আল্লামা বোখারী। চার ছেলে ও মেয়ের জামাইদের সবাই আলেম। নিজ কর্মক্ষেত্রে তারা সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।

    বলা হয়, জ্ঞানীর কদর একমাত্র জ্ঞানীরাই জ্ঞানের কদর করেন। এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আল্লামা আবদুল হালিম বোখারী। এ কারণে আমরা দেখি, পটিয়া মাদরাসার বহুমুখী কর্মকাণ্ডে জ্ঞানসাধকদের ভিড়। বিশেষ করে আজকের লেখায় মুফতি শাসসুদ্দীন জিয়া, ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন ও মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযার প্রসঙ্গ এসেছে। এ ছাড়া জামিয়ার শিক্ষা কার্যক্রমে জড়িয়ে আছেন বিজ্ঞ ও যোগ্য উস্তাদগণ। পটিয়াকে ঘিরে জ্ঞানীদের এই মিলনমেলা সাজানোর কারিগর আল্লামা আবদুল হালিম বোখারী।

    যাদের জ্ঞানের সমারোহে এই প্রজন্ম ও উম্মাহ লাভবান হচ্ছেন। তাদের জ্ঞানের দীপ্তিতে আলোকিত হচ্ছে এই সমাজ ও দেশ। এটাই আল্লামা আবদুল হালিম বোখারীর ব্যতিক্রমী কর্মপন্থা ও মুন্সিয়ানা। যুগচাহিদার প্রেক্ষিতে নেওয়া তার সিদ্ধান্তগুলো প্রমাণ করে, জ্ঞানীদের প্রতি সম্মান ও উৎসাহ দিতে তিনি কুণ্ঠিত নন।

    লেখার শুরুতে বলেছিলাম তার একান্ত সান্নিধ্য প্রসঙ্গ নিয়ে। তখন দেখেছি, মতের মিল না হলে ভিন্নমত পোষণকারীর প্রতি তার শ্রদ্ধায় কমতি নেই। সবার সঙ্গে, সব বিষয়ে মতের মিল হতে হবে এটা প্রত্যাশিতও নয়। আল্লামা বোখারীকে দেখেছি, ভিন্নমতের মতের হলেও জ্ঞানী-গুণীকে সমাদর করতে কসুর করেন না। এটা তার অনন্য গুণ। এখনকার যুগের এমন গুণের মানুষ পাওয়া বিরল।

    তিনি একজন সাহসী কর্মবীর। সুদূরপ্রসারী চিন্তা ও গভীর জ্ঞানের কারণে তিনি পরিণত হয়েছে আলেমদের অভিভাবকে। আল্লামা আবদুল হালিম বোখারীর এই গুণ ও জ্ঞানসাধনার আলো আরও ছড়াক এবং তার ছায়া আমাদের ওপর আরও দীর্ঘ হোক। আমিন।

  • আল্লামা শফী’র স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে, হাটহাজারী মাদ্রাসার পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ: শিক্ষকবৃন্দের বিবৃতি

    আল্লামা শফী’র স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে, হাটহাজারী মাদ্রাসার পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ: শিক্ষকবৃন্দের বিবৃতি

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রাহ.)এর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এবং হাটহাজারী মাদরাসার বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত ও সুশৃঙ্খল বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকবৃন্দ।

    সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) শীর্ষ আসাতাযায়ে কেরামের স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয় যে, বর্তমানে আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দুআয় দারুল উলূম হাটহাজারী মাদরাসার সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল। নিয়মিত ক্লাশ চলছে। আল-হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমীয়া’র পরিক্ষাও সুন্দরভাবে চলছে। মাদরাসার শিক্ষকগণ, ছাত্রভায়েরা এবং এলাকাবাসীরা খুবই সন্তুষ্ট।

    বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ছাত্র আন্দোলনে মাদরাসার কোনো উস্তাদ এবং বাহিরের কোনো সংগঠন ও ব্যক্তির উস্কানি বা সম্পৃক্ততা ছিলো না। হযরতের মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করা নির্জলা মিথ্যাচার বৈ কিছুই নয়। কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা ব্যক্তিকে নিজেদের হিনস্বার্থ উদ্ধারে শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রাহ.)এর লাশ নিয়ে রাজনীতি করা এবং কওমী অঙ্গনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া হবে না।

    বিবৃতিতে দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দ বলেন, হযরত আল্লামা শাহ আহমদ শফি (রাহ.) স্বজ্ঞানে এবং স্বেচ্ছায় হাটহাজারী মাদরাসা শূরা কমিটির হাতে দায়িত্ব সোপর্দ করে গেছেন এবং হযরতের ইন্তিকাল স্বাভাবিকভাবেই হয়েছে এবং হযরতের ওসিয়্যাত অনুযায়ী অত্যন্ত মর্যাদার সাথে মাদ্রাসার বায়তুল আতিক জামে মসজিদের পার্শ্বের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। হযরতের ইন্তিকালে আমরা সকলে অত্যন্ত মর্মাহত ও শোকাহত।

    বিবৃতিতে হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, হযরত আল্লামা শাহ আহমদ শফি (রাহ.)এর মাগফিরাত কামনা ও দারাজাত বুলন্দির জন্য বিশেষভাবে সকলে দুআ করবেন এবং দারুল উলূম হাটহাজারীর ইতিহাস ঐতিহ্য অক্ষুণ্ন রাখতে অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও মাদরাসার উন্নয়ন ও সার্বিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসবেন।

    তারা আরো বলেন, দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসা হযরত আল্লামা শাহ আহমদ শফি (রাহ.)সহ সকল মুরুব্বিয়ানে কেরামের উসূল অনুযায়ী চলছে এবং চলবে ইনশাআল্লাহ। আপনারা দুআ করবেন, যেনো আল্লাহ তাআলা দারুল উলূম হাটহাজারীসহ পুরো কওমী অঙ্গনকে সকল ধরনের ফিতনা-ফাসাদ থেকে হেফাজত করেন।

    বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন- জামিয়া পরিচালনা কমিটির প্রধান মুফতিয়ে আযম আল্লামা আব্দুস সালাম চাটগামী, মজলিসে ইলমির সদস্য আল্লামা মুফতী নূর আহমদ, পরিচালনা কমিটির সদস্য আল্লামা শেখ আহমদ, শায়খুল হাদীস ও শিক্ষা সচিব আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী, সহকারী শিক্ষা সচিব আল্লামা হাফেয শোয়াইব, পরিচালনা কমিটির সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া, মজলিসে ইলমির সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ ওমর কাসেমী, নাজেমে দারুল ইক্বামার প্রধান মাওলানা মুফতী জসীম উদ্দীন, দারুল ইক্বামার সদস্য মাওলানা কবীর আহমদ, দারুল ইক্বামার সদস্য মাওলানা আশরাফ আলী নেজামপুরী, সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা হাফেয আহমদ দিদার কাসেমী, দারুল ইক্বামার সদস্য মাওলানা ফোরকান আহমদ প্রমূখ।

    উল্লেখ্য, গতকাল (রোববার) রাত ৮টায় দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসা মহাপরিচালকের কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির সকল উস্তাদবৃন্দের উপস্থিতিতে প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সিনিয়র মুহাদ্দিস, মুফতি ও শিক্ষকগণ লাইভ ভিডিওতে শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর স্বাভাবিক ইন্তিকালের কথা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করে বলেছেন, যারা তাঁর ইন্তিকালের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চাচ্ছেন, তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারি। তারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্যই এমন অভিযোগ তুলছেন। তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।