Blog

  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ৩২তম বার্ষিক সিনেট সভায় চলতি বছরের ৩৪৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। যা গত অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ৭ কোটি টাকা বেশি।
    রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এ আর মল্লিক ভবনে (প্রশাসনিক ভাবন) উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে ভিসি অধ্যাপক ড. শিরিন আখতারের সভাপতিত্বে বাজেট ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান।
    বাজেটে ২০২০-২১ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা ও সাধারণ কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যয়ভার হিসেবে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩৪৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা। যা গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল ৩৩৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
    বাজেটে এবারও সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে বেতন ভাতা খাতে। এই খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ২২২ কোটি ২০ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ৬৪ দশমিক ১৬ শতাংশ। পণ্য ও সেবা বাবদ সহায়তা হিসেবে ৬০ কোটি ৯০ লাখ ও পেনশনের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। এদিকে পরিবহন খাতে ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা ও ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্স অ্যান্ড ফিশারিজ’র গবেষণা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি খাতে ২ কোটি ৪১ লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। চিকিৎসা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫৬ লাখ টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরেও গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ১ দশমিক ২১ শতাংশ।
    বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত মূল বাজেটের ৩২৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা মোট ৩৪৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বাকি ৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বাজেট ঘাটতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের ৩৩৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা সংশোধিত বাজেটের অনুমোদনও দেওয়া হয়।
    এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত), সিনেট সদস্য, সিন্ডিকেট সদস্য ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

  • বাঁশখালীর এমপিকে প্রকাশ্য হত্যার হুমকির প্রতিবাদে যুব মহিলালীগের প্রতিবাদ সমাবেশ

    বাঁশখালীর এমপিকে প্রকাশ্য হত্যার হুমকির প্রতিবাদে যুব মহিলালীগের প্রতিবাদ সমাবেশ

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের উদ্যোগে চট্টগ্রাম -১৬ বাঁশখালীর সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে প্রকাশ্য হুমকি, বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর ) বিকালে বাঁশখালী উপজেলা যুব মহিলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে পশ্চিম চাম্বল মুন্সিখীল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে এক প্রতিবাদ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।

    বাঁশখালী উপজেলা যুব মহিলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদিকা মোছাম্মৎ হিরা মনির সভাপতিত্বে ছাত্রলীগ নেতা শহিদুল্লার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বাঁশখালী পৌরসভার মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী, বাঁশখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও পৌরসভা যুবলীগের আহবায়ক মো. হামিদ উল্লাহ,যুবলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য রশিদ আহমদ,বাঁশখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইফতেখার হোসাইন তালুকদার বাবু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরুল হক চৌধুরী ফাহিম, শেখ রাসেল সৃতি সংসদের সভাপতি সাগর, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা শাওন প্রমুখ।

    প্রতিবাদ সভায় বক্ত্যতারা বলেন, বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের অভিবাববক ও সাংসদ আলজাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও পৌরমেয়র আলহাজ্ব শেখ সেলিমের বিরুদ্ধে জামায়াত-শিবিরের একটি সিন্ডিকেট ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা বাঁশখালীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নসাৎ করতে উঠে পড়ে লেগেছে। আওয়ামীলীগের লেবাজধারী ওই জামায়াত শিবিরের সিন্ডিকেটের সদস্যদের চিহ্নিত করতে হবে। ওই জামায়াত শিবিরের সিন্ডিকেট বাঁশখালী আওয়ামীলীগের রাজনীতিকে কলুসিত করতে বিভিন্ন ভাবে চক্রান্ত শুরু করেছে। সম্প্রতি একজন প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব্ অনার দিতে বিলম্ব হওয়াকে পুঁজি করে ওই জামায়াত শিবিরের সিন্ডিকেটের সদস্যরা আওয়ামীলীগ সেজে প্রকৃত আওয়ামীলীগ ও বাঁশখালীর সাংসদের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
    তারা বাঁশখালী পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিমুল হক চৌধুরীর ওপর ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটিয়ে উল্টো সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে ফাঁসানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।

    এতে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা অনতিবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী এবং সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে প্রকাশ্যে হুমকির তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এবং সাথে সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহবান জানিয়ে প্রতিবাদ সভা শেষ করা হয়। এসব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান বক্তারা।

  • অরিজিন হাসপাতালের ৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অতিথি ও স্টাফদের ক্রেস্ট প্রদান সম্পন্ন

    অরিজিন হাসপাতালের ৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অতিথি ও স্টাফদের ক্রেস্ট প্রদান সম্পন্ন

     

     

    সাইফুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি।

     

    চট্টগ্রামের দক্ষিণ কক্সবাজারের একমাত্র সেবামূলক ২০ শয্যা বিশিষ্ট বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অরিজিন হাসপাতাল ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করে উখিয়ার প্রাণ কেন্দ্র কোর্টবাজার তৌফাইল মাতেমা শপিং কমপ্লেক্সের ২য় তলায়।

    প্রতিবছর বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে মানবিক দিক বিবেচনা করে অসহায়, গরিব, হতদরিদ্র, সু-চিকিৎসা বঞ্চিত মানুষের জন্য দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন করে থাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

    এই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ফ্রি রোগী দেখছেন অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ ১০ জন ডাক্তার।

     

    ডা: রবিউর রহমান রবি, ডা:আদনান ওয়ালিদ,
    ডা: মেরাজ হোসেন চয়ন, ডা:এহসান উল্লাহ সিকদার, ডা: তৌহিদুজ্জামান, ডা: আরিফা মেহের রুমি, ডা:মাসুমা নাসরিন শিফা, ডা: ফারজানা সুলতানা, ডা: সাবরীনা মাহামুদ, ডা:ফারহানা রহমান। এই দিন সকল পরীক্ষা- নিরীক্ষায় ৩৫% ছাড় দেওয়া হয়েছে । এই তথ্য নিশ্চিত করেন অরিজিন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইউনুস।

    প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল করিম জানান,গতকাল এই ফ্রি ক্যাম্পে হাজারো অধিক রোগীকে বিনামূল্যে সেবা প্রদান করা হয়েছেন। এলাকার সম্মানিত ব্যক্তিদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা সহ মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য দোয়ার আয়োজন করাও হয়। সকল ধর্ম,বর্ণ ও বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষকে সেবা নেওয়ার জন্য আহ্বান করা হয়েছে।

     

    অরিজিন হাসপাতালের ৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা ও হাসপাতাল পরিচালনা কমিটি।

     

  • কক্সবাজার লাইট হাউজ পাড়া জামে মসজিদের দ্বিতীয় তলার অবশিষ্ট কাজ সমাপ্ত করনের উদ্যোগ নিলেন মাওলানা মুহাম্মাদ আলী

    কক্সবাজার লাইট হাউজ পাড়া জামে মসজিদের দ্বিতীয় তলার অবশিষ্ট কাজ সমাপ্ত করনের উদ্যোগ নিলেন মাওলানা মুহাম্মাদ আলী

    উখিয়া ভয়েস ২৪ ডটকম

     

    উপদেষ্টা সম্পাদক -এর প্রতিবেদক

     
    ১১ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার এর ঐতিহ্যবাহী লাইট হাউজ দারুল উলুম মাদ্রাসার পার্শ্ববর্তী এলাকা লাইট হাউজ পাড়া জামে মসজিদের দ্বিতীয় তলার অবশিষ্ট কাজ সমাপ্ত করনের লক্ষ্যে মসজিদ পরিদর্শনে যান কক্সবাজার শহরের প্রাণকেন্দ্র কলাতলীস্থ লাইট হাউজ দারুল উলুম মাদ্রাসার স্বনামধন্য মুহতামিম ও জেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ আলী।

    তিনি গতকাল সকালে উক্ত মসজিদের দ্বিতীয় তলার অবশিষ্ট কাজ সমাপ্ত করন উপলক্ষে সমাজ কমিটি ও জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। উক্ত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন মসজিদ কমিটির সেক্রেটারী আব্দুল মন্নান, সহ-সভাপতি রিয়াজুদ্দিন মনু, সহ সভাপতি জয়নুল আবেদিন, মসজিদের ইমাম মাওলানা হাফেজ উদ্দিন, সদস্য মাওলানা নুরুল আলম, সেলিম বাবুল, হাকিম আলি, আতিকুর রহমান, নুরুল আলম, আব্দুল গফুর, ফাতের ঘোনা মসজিদ কমিটির সভাপতি আবুল কাশেম, সেক্রেটারী, সদস্য খুরশিদ আলমসহ স্থানীয় গণ্য মান্য ব্যক্তিবর্গ। মতবিনিময়ের সময় মাওঃ মুহাম্মদ আলী আগামীকাল থেকে মসজিদের অবশিষ্ট কাজ আরম্ভ করার ঘোষণা প্রদান করেন।
    এর পর তিনি পার্শ্ববর্তি ফাতের ঘোনা জামে মসজিদ পরিদর্শনে যান। উক্ত মসজিদে মুসল্লি সংকুলান না হওয়ায় দ্বিতীয় তলার কাজ আরম্ভ করার প্রয়োজনীয়তার কথা মসজিদ কমিটি তাকে তুলে ধরলে তিনি উক্ত মসজিদের দ্বিতীয় তলার কাজের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। এই পোস্ট আমাদের অংশীদারদের দ্বারা স্পনসর করা হয় Wigs

    উল্লেখ্য যে, সকালে লাইট হাউস মাদরাসার মুহতামিম মাওঃ মুহাম্মদ আলী সেখানে গেলে এলাকার সর্বস্তরের লোকজন আন্তরিকতার সাথে হযরতের সাক্ষাতের জন্য ছুটে আসেন। তিনি ধৈর্য্য সহকারে সকলের কথা শুনেন এবং মসজিদ ও এলাকার সমস্যা সমাধানে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন বলে আশ্বাস দেন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে লাইট হাউস দারুল উলুম মাদরাসার যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়, তার জন্য উপস্থিত বৃহত্তর লাইট হাউস এলাকাবাসী কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি মাদরাসাসহ সকল উন্নয়ন কার্যক্রম আরো বেগবান করার জন্য সকলে তাকে আন্তরিকভাবে অনুরোধ করলে তিনি কাল থেকে লাইট হাউজ পাড়া জামে মসজিদের দ্বিতীয় তলার অবশিষ্ট কাজ শুরুর ঘোষণা দেন।

     

  • সরকার কেন ক্ষতিপূরণ দিতে চায় না? মাওলানা শামসুদ্দোহা তালুকদার।। UkhiyaVoice24.Com

    সরকার কেন ক্ষতিপূরণ দিতে চায় না? মাওলানা শামসুদ্দোহা তালুকদার।। UkhiyaVoice24.Com

    Saifullah Al Monir

    সরল বাংলায় বলতে গেলে নারায়ণগঞ্জের বায়তুস সালাত মসজিদে বিস্ফোরণে মুছুল্লীদের মৃত্যুর ঘটনা একটি হত্যাকান্ড। তিতাস কর্তৃপক্ষ খুনী। তাদেরকে তাগাদা দেয়া সত্ত্বেও ঘুষ না পেয়ে গ্যাস লাইন মেরামত করে নাই। সুতরাং এ নৃশংস মৃত্যুগুলোর জন্য তারা দায়ী।

    তিতাসের বাপ চাচারা দায় এড়াতে বলছিলো, মসজিদটি অবৈধ স্থাপণা। এখন তো প্রমাণিত হলো, মসজিদ অবৈধ না।তোমরা সব অবৈধ, এমনকি তোমরা এখন হন্তারক।

    তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখেছে, ওয়াকফকৃত জমিতে মসজিদখানা গড়ে উঠেছে। সেখানের গ্যাস সঞ্চালন লাইনে লিকেজ থাকাটাই তো অবৈধ।

    হাইকোর্টে একটা রীট হয়েছে, তিতাসকে নিহতদের মাথাপিছু পঞ্চাশ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার আদেশ দিতে। হাইকোর্টে তাৎক্ষণিক আদেশে মূত্যু বরণকারী মাথা পিছু পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

    সরকারের মাইন্ডসেট বড় অদ্ভুত! নিরীহ মুসুল্লীদের কফিন দেখে তাদের মন গলেনি। তাঁদের মৃত্যু অবৈধ? তাদেরকে খামাখা ক্ষতিপূরণ দিবে কেন? তাই ঐ আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করতে যাচ্ছে। হায়রে বিবেক! দেশটা আসলে বিবেকহীন অমানুষে ভরে গেছে।

    তাঁরা যদি নিরীহ মুসুল্লী না হয়ে সাধারণ জনগন হতো, তাহলে সরকার হয়তো গুরুত্ব দিতো। ছায়ানট বা সিনেমা হলে বিষ্ফারণ হলে তারা হয়তো জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা দিতো। আর মন্ত্রীরা ছাগলের মতো চাবায়ে চাবায়ে বলতো না, মসজিদটি অবৈধ!

    প্রমাণিত হলো, মসজিদটি বৈধ। সুতরাং ক্ষতিপূরণের বেলায় আপত্তি কেন?

    কয়েক বছর আগে নিমতলীতে পুড়ে হতভাগ্য নিহত মানুষদের মেয়েদেরকে এই প্রধাণমন্ত্রী নিজের মেয়ের মর্যাদা দিয়ে লেখাপড়া করিয়েছেন, ধুমধাম বিয়েও দিয়েছেন। সে ঘটনায় মিডিয়াও হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল। এখানে উপেক্ষা করা হচ্ছে কেন?

    আসলে মসজিদ, মুছুল্লী, হুজুর, ইমাম, মুয়াজ্জিন এসব শব্দে তাদের এলার্জী হয়! এ শব্দগুলো বাংলা নয়। বাংলা শব্দে তাদের অদ্ভুদ রকমের মায়া। বাংলা নাম খুব পছন্দের। বাংলা নামধারীরাই এখন বাংলাদেশের হর্তাকর্তা।

    তবে বুঝা গেলো, জায়নামাজ শব্দে প্রধানমন্ত্রীর সমস্যা নাই। গতকাল বৈধ! পার্লামেন্টে বলেছেন- ঘুম থেকে উঠে তিনি প্রথমেই জায়নামাজ খুঁজেন। মাশাআল্লাহ। তিনি নামাজ পড়েন, এটা আমরা জানি। তবে সেটা প্রমাণ করতে জায়নামাজ খোঁজার কথা না বললেও পারতেন। আমরা বিশ্বাস করে আসছি, তিনি একজন নামাজী। ডেইলি ছয় ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। বাড়তি তাহাজ্জুদও পড়েন। দুষ্টুরা তাহাজ্জুদী বেগম বলেন।

    কিন্তু তাঁর নামাজীদের প্রতি মহব্বত পয়দা হয় নাই। এ পর্যন্ত ২৮ জন মুছুল্লী, যারা নামাজরত অবস্থায় আগুনে দগ্ধ হয়ে শাহাদত বরণ গেছেন, অথচ একটি বার সরকারের তরফে শোক নাই, দুঃখ নাই। ক্ষতিপূরণের ঘোষনা নাই।

    হাইকোর্ট ক্ষতিপূরণের আদেশ দিয়েছে, তাতেও আপিল করে বাগড়া দিতে যাচ্ছে সরকার। সরকারী তহবিলের অর্থ কারো বাবার সম্পত্তি নয়। সরকারী তহবিলের মালিক এ দেশের জনগন। যারা আগুনে পুড়ে মারা গেছেন, তারাও এ অর্থের মালিক। সুতরাং তারা কেন প্রাপ্য হবেন না? এটা কোন করুণা নয়, এটা অধিকার।

    সরকারের ইমামরা বড়ই ফাযিল। একচোখ দিয়ে দেখে। নর্তকী, নায়ক-নায়িকা, গায়ক-গায়িকারা অসুস্থ হলেই খাজাঞ্চি খুলে দেয়া হয়, চিকিৎসা সুবিধা দিতে এয়ার এম্বুলেন্স উড়ায়, তাতে অবৈধ কিছু খুঁজে পায়না। অবৈধতা খুঁজে পায়, ভাল মানুষদের বেলায়। নামাজীরা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ। হয়তো আখেরাতেও। অথচ তাঁদের বেলায় চরম উন্নাসিকতা।

    ইসলামী যুব আন্দোলন রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছে- তিতাসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। তারা কর্তব্যে অবহেলা করেছে। তাঁরা খুনী। তাদের বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবীতে আন্দোলন জারী আছে। আগামী শুক্রবার কেন্দ্রীয় ভাবে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি আছে।

    নারায়ণগঞ্জে যুব আন্দোলনের তীব্র আন্দোলনের কারণে কর্তৃপক্ষ তিতাসের আটজনকে সাময়িক বরখাস্ত করতে বাধ্য হয় । যদিও এটা আইওয়াশ।

    সরকার যদি আইনের রক্ষক হতো, তাহলে এতক্ষণে ওদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা এনে গ্রেপ্তার করতো। এটাই জনগনের দাবী ছিলো।

    জনগনের দাবীকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা এ সরকারের মজ্জাগত একটি বিষয়। একটি সুস্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে নতুনরা ম্যান্ডেট নিয়ে নতুন করে সরকার গঠন করবে। সেটাই তো সাংবিধানিক দর্শন। সেটাকে ধর্ষন করেছে প্রশাসন ও দলের পান্ডারা। রাতের আমলে চুরি করে জেতা এমপিদের বদৌলতে তারা এখন মন্ত্রী, প্রধাণমন্ত্রী। এবং তাঁদেরই মুখে বৈধ অবৈধের কথা জনগনকে শুনতে হচ্ছে। এটাই এখানকার জনগনের দূর্ভাগ্য। এর চেয়ে নির্মম তামাশা আর হবে পারে না।

    আসলে এ দেশের সরকার জনগণের দাবীকে পেশাবের ফেনার মতো মনে করে, যা একটু পরই উবে যায়।

  • নাজিরহাট-দোহাজারী রোডে রেল চালু হচ্ছে বুধবার থেকে।। উখিয়া ভয়েস২৪ ডটকম

    নাজিরহাট-দোহাজারী রোডে রেল চালু হচ্ছে বুধবার থেকে।। উখিয়া ভয়েস২৪ ডটকম

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    দীর্ঘ ছয়মাস পর চট্টগ্রাম নগর থেকে নাজিরহাট রুটের কমিউটার ট্রেন ও দোহাজারী রুটে লোকাল ট্রেন চালু হচ্ছে আগামী বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) থেকে। এছাড়াও কর্ণফুলী কমিউটার ট্রেন চালু হচ্ছে আগামীকাল থেকে।
    রেলওয়ের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক ট্রান্সপোর্টেশন) মো. খায়রুল কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব বিসয়ে জানানো হয়।
    বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দেশের বিভিন্ন রুটে বেশ কিছু কমিউটার, মেইল, এক্সপ্রেস এবং লোকাল ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। যাত্রীদের সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে কোচের ধারণ ক্ষমতার ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করা হবে। রেলের যাত্রী পরিবহন সেবা স্বাভাবিক করার অংশ হিসেবে তিন ধাপে এই ট্রেনগুলো চালু করা হবে।

    এর মধ্যে তৃতীয় দফায় ১৬ সেপ্টেম্বর চালু হবে নাজিরহাট কমিউটার-(১, ২, ৫, ৬); লোকাল (চট্টগ্রাম- দোহাজারী-চট্টগ্রাম), লোকাল (মোহনগঞ্জ-ময়মনসিংহ-মোহনগঞ্জ), লোকাল (ঝারিয়া ঝাঞ্জাইল-ময়মনসিংহ-ঝারিয়া ঝাঞ্জাইল), উত্তরবঙ্গ মেইল, কাঞ্চন কমিউটার, দিনাজপুর কমিউটার, বুড়িমারী কমিউটার-১ ও ২, কুড়িগ্রাম শাটল, রাজবাড়ী এক্সপ্রেস-১, ২, ৩, ৪; ভাটিয়াপাড়া এক্সপ্রেস-১ ও ২।
    প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম-নাজিরহাট ও চট্টগ্রাম-দোহাজারী রুটে চলাচল করা কমিউটার ও লোকাল এ দুটি ট্রেন উত্তর চট্টগ্রাম ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের যাতায়াত ব্যবস্থার গুরুত্বপুর্ণ মাধ্যম। বিশেষত কৃষক ও দুগ্ধখামারীরা অনেকাংশেই এই ট্রেনের উপর নির্ভরশীল।

    বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, আগামীকাল বৃহস্পতিবার চালু হচ্ছে কর্ণফুলী কমিউটার, তিতাস কমিউটার, তুরাগ এক্সপ্রেস-১, ২, ৩, ৪; কালিয়াকৈর কমিউটার-১ ও ২ এবং লোকাল (নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ)।
    দ্বিতীয় দফায় ১৩ সেপ্টেম্বর চালু হবে জালালাবাদ এক্সপ্রেস, সুরমা মেইল, ঢাকা/নোয়াখালী এক্সপ্রেস, ময়মসিংহ এক্সপ্রেস, ভাওয়াল এক্সপ্রেস, ধলেশ্বরী এক্সপ্রেস, চাঁদপুর কমিউটার ও নোয়াখালী কমিউটার।

  • সরকারি সুবিধা ও চাপের কাছে গৃহবন্দী হেফাজত।। উখিয়া ভয়েস২৪ ডটকম

    সরকারি সুবিধা ও চাপের কাছে গৃহবন্দী হেফাজত।। উখিয়া ভয়েস২৪ ডটকম

     

    • আলমগীর ইসলামাবাদী
      চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    সরকারি সুবিধা ও চাপে ফ্যাসিবাদের কব্জায় বন্দি হয়ে পড়েছে হেফাজত। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ধূমকেতুর মত জেগে উঠা অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজত। নানামুখী দ্বন্দ্ব এবং ধারা উপ-ধারায় সংগঠনটি এখন বিভক্ত। ২০১৩ সালের ৫ মে বিডিআর, র‌্যাব ও পুলিশের আক্রমণে নিশিরাতে রক্তাক্ত মতিঝিলের হেফাজত, আর আজকের হেফাজতে ফারাক অনেক। যেই ফ্যাসিস্ট সরকার মতিঝিলকে রক্তাক্ত করেছিল, সেই সরকারের নিকট থেকে বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে এবং নানামুখী চাপে অনেকটাই আদর্শচ্যুত হয়ে পড়েছে কওমি ওলামায়ে কেরামের সমন্বয়ে গঠিত এ সংগঠনটি।

    কওমি মাদ্রাসা ভিত্তিক এই সংগঠনটির আমীরের বয়স নব্বইয়ের ঊর্ধ্বে। সর্বজন শ্রদ্ধেয় আল্লামা শাহ আহমদ শফী এখন বয়সের ভারে ঠিকমত সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। ফলে তাকে ঘিরে এক ধরনের সুবিধাভোগী চক্র গড়ে উঠেছে। এই সুবিধাভোগী চক্রটি সরকারের প্রলোভনে নতি স্বীকার করে বিভিন্ন ধরনের আপোষ করছেন বলে আলেমদের একটা বড় অংশ মনে করছেন।

    সরকারের সঙ্গে আপোষের বিরোধিতা করায় হেফাজতে ইসলামে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন সংগঠনটির সেক্রেটারি আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। এতে সংগঠনটির নেতাকর্মীরাও হয়ে পড়েছেন বিভক্ত। এই বিভক্তি এবং কাঁদা ছোড়াছুড়ির স্পর্শ লেগেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। ইদানীং ফেইসবুকে এক গ্রুপ আরেক গ্রুপের বিরুদ্ধে নানা প্রচারণায় লিপ্ত থাকতে দেখা যাচ্ছে।

    এদিকে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীসহ বেশিরভাগ আলেম সরকারের চাপে এবং মিথ্যা মামলা, নির্যাতন ও গুমের ভয়ে মুখ খুলছেন না। এমনকি আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর বাড়ির সামনে সার্বক্ষণিক গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। পোশাকে এবং সাদা পোশাকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সার্বক্ষণিক উপস্থিতি রয়েছে তাঁর বাড়ির সামনে।

    উল্লেখ্য, নাস্তিক ব্লগারদের শাস্তি ও ধর্ম অবমাননাকারীদের মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন প্রণয়নসহ ১৩ দফা দাবিতে জেগে উঠেছিল হেফাজতে ইসলাম। ২০১৩ সালের মার্চ, এপ্রিল এবং মে মাসে সংগঠনটির বিভিন্ন কর্মসূচিতে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মত। ২০১৩ সালের ৬ এপ্রিল এবং ৫ মে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি পালনকালে দেশব্যাপী গণজাগরণের সৃষ্টি হয়েছিল এই সংগঠনকে ঘিরে। তখন দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচনায় আসে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক ওলামায়ে কেরামের নেতৃত্বে গঠিত এ সংগঠনটি। এতে ইমান-আক্বিদার পাশাপাশি দেশীয় সংস্কৃতি রক্ষার আন্দোলনে মানুষ নূতন আশার আলো দেখতে শুরু করে।

    ৫ মে ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে রাতের আঁধারে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে হেফাজতের সমাবেশে চালানো হয় হত্যাযজ্ঞ। এরপর প্রধানমন্ত্রী একদলীয় জাতীয় সংসদে দাড়িয়ে আল্লামা শফিকে তেঁতুল হুজুর অবিহিত করে অশ্লীলভাবে সমালোচনা করেছিলেন। ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে তিনি বলেন, শরীরে লাল রং মেখে শুয়ে ছিলেন হেফাজতের কর্মীরা। পুলিশের উপস্থিতি ঠের পেয়ে লাশ উঠে দৌড় দেয় বলেও তিনি ব্যঙ্গ করেন। অথচ, এই সংগঠনের নেতারাই বিভিন্ন সুবিধার কাছে নতি স্বীকার করে পরবর্তীতে শেখ হাসিনাকে কওমি জননী উপাধিতে ভূষিত করেন।

    হেফাজতের সমাবেশে বিডিআর-র‌্যাব ও পুলিশের ক্র্যাকডাউনের গ্রাফিক ছবি ও ভিডিও ফুটেজে ঢাকার বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিলের রাস্তায় রাস্তায় রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিলো তখন।

    মানবাধিকার সংগঠন অধিকার সেই সময় অনুসন্ধান চালিয়ে জানিয়েছিল যে, ৬১ জনকে হত্যা করা হয়েছে।
    হেফাজত নেতারা তখন দাবী করেছিলেন, শুধু ৫ মে’র অপারেশনে ২০০ শহীদের অধিক তালিকা তাদের কাছে রয়েছে। তবে সরকারি হুমকি এবং শহীদদের পরিবারে হামলার আশঙ্কায় প্রকাশ করা হচ্ছে না।

    হেফাজতের মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছিলেন, অপারেশনে শত শত লোক নিহত হয়েছে।

    শাপলা থেকে গণভবন: আঁতাত! নাকি আ’লীগের ফাঁদে ধরা?

    ২০১৪ সালের ভোটার বিহীন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর হেফাজতকে কব্জায় নেয়ার কৌশল নেয়। আওয়ামী লীগের কৌশলের ফাঁদে ধরা দেয় হেফাজতের একটি অংশ। হেফাজতের ভেতরে অভিযোগ রয়েছে, সরকারি কৌশলে আওয়ামী লীগের পুতুলে পরিণত হন আল্লামা শফীর ছেলে আনাস মাদানী। তাঁকে ঘিরেই এখন হেফাজতে মূল দ্বন্দ্ব। হঠাৎ করে তাঁর সম্পদ ও দেশে বিদেশে বিনিয়োগ নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন।

    সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, হেফাজতকে কব্জায় নিতে প্রথমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক ডিজি ও আওয়ামী লীগ সমর্থক মরহুম শামীম মোঃ আফজালকে দায়িত্ব দেয় সরকার। শুরুতে তিনি তেমন পাত্তা পাননি আল্লামা আহমদ শফির কাছে।

    পরবর্তীতে আল্লামা আহমদ শফির এক আত্মীয় ও সাবেক এক মন্ত্রীকে আপোষ রফার দায়িত্ব দেয় আওয়ামী লীগ। হেফাজতকে কব্জায় নিতে সেই মন্ত্রী প্রথম দিকে কিছুটা সফলও হন। এরপরই শুরু হয় হেফাজতকে গণভবনে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া। ২০১৭ সালের ১১ই এপ্রিল হেফাজতের আমীর আল্লামা আহমদ শফিসহ ৩ শতাধিক আলেমকে গণভবনে দাওয়াত দেয়া হয়। দাওয়াতে যাওয়ার পর শেখ হাসিনার ভাষায় যাকে তেঁতুল হুজুর খেতাব দেয়া হয়েছিল, তাঁর পায়ে সালাম করেন তিনি নিজেই। এরপরই হেফাজত-সরকারের সখ্যতার বিষয়টি জনসম্মুখে স্পষ্ট হয়।
    হেফাজত নেতাদের সাথে শেখ হাসিনার এ দেখা-সাক্ষাতের অনুষ্ঠানে কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে সরকারি স্বীকৃতির ঘোষণা দেয়া হয়।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে হেফাজত-সংশ্লিষ্ট অনেক আলেমের দাবী, কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমানের স্বীকৃতির বিনিময়ে আওয়ামী লীগের পুতুলে পরিণত হয় হেফাজতে ইসলাম।

    কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতির শোকরিয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয় ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর। ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত এ শোকরিয়া মাহফিলে কওমি মাদ্রাসার বড় একটি অংশ যোগদান থেকে বিরত থাকেন। ওই শোকরিয়া মাহফিলে শেখ হাসিনাকে ‘কওমি জননী’ উপাধিও দেওয়া হয় আল্লামা আহমদ শফির উপস্থিতিতে।

    কওমি মাদ্রাসা সনদের স্বীকৃতির পাশাপাশি সরকারি উপঢৌকন হিসাবে হাটহাজারী মাদরাসার নামে রেলের ৩০ একর জমি এবং আল্লামা শফীর ছেলে আনাস মাদানীকে নগদ অর্থ প্রদানের অভিযোগ রয়েছে। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বিভিন্ন সময় বিবৃতি দিয়েছে হেফাজত।

  • অরিজিন হাসপাতালের ৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ১১ সেপ্টেম্বর দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

    অরিজিন হাসপাতালের ৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ১১ সেপ্টেম্বর দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

    UkhiyaVoice24.Com

     

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ-এর নিজস্ব প্রতিবেদক 

    চট্টগ্রামের দক্ষিণ কক্সবাজার জেলার উখিয়ার  একমাত্র সেবামূলক ২০ শয্যা বিশিষ্ট বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অরিজিন হাসপাতাল ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করে উখিয়ার প্রাণ কেন্দ্র কোর্টবাজার তৌফাইল মাতেমা শপিং কমপ্লেক্সের ২য় তলায়।

    প্রতিবছর বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মানবিক দিক বিবেচনা করে অসহায়, গরিব, হতদরিদ্র, সু-চিকিৎসা বঞ্চিত মানুষের জন্য দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন করে থাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
    এই ধারাবাহিকতায় আগামী ১১ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ফ্রি রোগী দেখবেন অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ ১০ জন ডাক্তার যথাক্রমে

    ডাঃ রবিউর রহমান রবি ,

    ডা: আদনান ওয়ালিদ,
    ডা: মেরাজ হোসেন চয়ন, ডা: এহসান উল্লাহ সিকদার, ডা: তৌহিদুজ্জামান, ডা: আরিফা মেহের রুমি, ডা:মাসুমা নাসরিন শিফা, ডা: ফারজানা সুলতানা, ডা: সাবরীনা মাহামুদ, ডা: ফারহানা রহমান। এই দিন সকল পরীক্ষা- নিরীক্ষায় ৩৫% ছাড় দেওয়া হবে। এই তথ্য নিশ্চিত করেন অরিজিন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইউনুস।

    প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল করিম জানান, এই ফ্রি ক্যাম্পে দশ হাজারের অধিক রোগীকে বিনামূল্যে সেবা প্রদান করা হবে, এলাকার সম্মানিত ব্যক্তিদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান সহ মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে। সর্বোপরি সকল ধর্ম,বর্ণ ও বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষকে সেবা নেওয়ার জন্য আহ্বান করেন।

    উল্লেখ্য, আগামীকাল ১০ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে ফ্রি ডাক্তার দেখানোর জন্য নিন্মোক্ত নাম্বারে সিরিয়াল নেওয়া হবে।

    হাসপাতাল সিরিয়েল-এর জন্য যোগাযোগ করুন

    ফোনঃ ০১৮৩২-৪৬৬৭৩০।

     

    হাসপাতাল পরিচালনার পক্ষে মুহাম্মদ ইউনুছ ভাই।

  • মনকিচর মাদ্রাসায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে হবেঃ বাঁশখালী ওলামা পরিষদ।

    মনকিচর মাদ্রাসায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে হবেঃ বাঁশখালী ওলামা পরিষদ।

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    (চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি)

    চট্টগ্রামের বাঁশখালী মনকিচর এমদাদুল উলুম মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষক ও মাদ্রাসায় গত বৃহঃবার থেকে কয়েক দফা সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এলাকার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা মাদ্রাসা এলাকায় এক অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। যার দরুন বাঁশখালীর ঐতিহ্যবাহী মনকিচর মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরা এক আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছে। এখনো পর্যন্ত বাঁশখালী প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেননি। এই পরিস্থিতি দেশবাসীকে জানাতে আজ মাদ্রাসার পরিচালক প্রখ্যাত ওয়ায়েজ আল্লামা আবু বকর সাহেব ফেসবুক লাইভে আংশগ্রহনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিল।
    কিন্তু বাঁশখালী থানার ওসি মু.রেজাউল করিম মজুমদার সাহেবের অনুরোধে তা স্থগিত করা হয়। এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ “বাঁশখালী ওলামা পরিষদ” এর এক জরুরী সভা অনুষ্টিত হয়, সভায় ওলামায়ে কেরামগণ এঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সভা থেকে বাঁশখালীর প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দেন।
    অন্যথায় আগামী ১০ সেপ্টেম্বর-২০ রোজ বৃহস্পতিবার বিকেল ২টায়
    বাঁশখালী উপজেলা চত্বরে বিক্ষোভ ও গণমিছিল এর কর্মসূচি ঘোষনা করা হয়।

  • ১০ হাজার পিস ইয়াবা সহ উখিয়ার যুবক রিদুয়ান আটক।। উখিয়া ভয়েস২৪ডটকম

    ১০ হাজার পিস ইয়াবা সহ উখিয়ার যুবক রিদুয়ান আটক।। উখিয়া ভয়েস২৪ডটকম

    UkhiyaVoice24.Com

     

     

    নিজস্ব প্রতিবেদক:

     

    কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে অভিনব কায়দায় পাচারকালে ইয়াবা ও মোটর সাইকেলসহ এক মাদক পাচারকারীকে আটক করেছে।
    সুত্র জানায়,৮সেপ্টেম্বর বিকাল পৌনে ৪টারদিকে র‌্যাব-১৫ এর একটি চৌকষ আভিযানিক দল মাদক পাচারের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুতুপালং হাইওয়ে পুলিশ ডাম্পিং ষ্টেশনের সামনে অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন তল্লাশী চালায়। হঠাৎ একটি মোটর সাইকেলসহ একজন আরোহী আসলে সন্দেহজনক থামানোর সংকেত দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন ধাওয়া করে কুতুপালং পূর্ব পাড়ার জাফর আলমের পুত্র রেদোয়ান (২২) কে আটক করে। তখন তার দেহ ও মোটর সাইকেল তল্লাশী করে অভিনব কায়দায় লুকানো ১০হাজার পিস ইয়াবাসহ মোটর সাইকেলটি জব্দ করে।
    এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়েরের পর জব্দকৃত মাদক ও মোটর সাইকেলসহ উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র‌্যাব-১৫এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী নিশ্চিত করেন।