Blog

  • হাটহাজারী মাদ্রাসা বন্ধের নির্দেশ শিক্ষা অধিদপ্তরের।

    হাটহাজারী মাদ্রাসা বন্ধের নির্দেশ শিক্ষা অধিদপ্তরের।

     

    মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ আল মনির
    বিশেষ প্রতিনিধি,

    চট্টগ্রামের মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসা বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেয়া হয়।

    শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সহকারী সচিব সৈয়দ আসগর আলী স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত ২৪ আগস্ট কওমি মাদ্রাসাসমূহের কিতাব বিভাগের কার্যক্রম শুরু ও পরীক্ষা গ্রহণের জন্য কতিপয় শর্তসাপেক্ষে অনুমতি প্রদান করা হয়।

    কিন্তু আরোপিত শর্তসমূহ যথাযথভাবে প্রতিপালিত না হওয়ায় চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসাটি পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত নির্দেশক্রমে বন্ধ করা হলো।

    প্রসঙ্গত, বিভিন্ন দাবিতে বুধবার থেকে হাটহাজারী মাদ্রাসায় বিক্ষোভ করছে ছাত্ররা।

    এ সময় মাদ্রাসার পরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফীসহ বিভিন্ন শিক্ষকের রুমে ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

    এর আগে বুধবার রাতে ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে প্রতিষ্ঠানটির সহকারী শিক্ষা সচিব মাওলানা আনাস মাদানীকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও লাঠি হাতে পুরো মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ নেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

    মাদ্রাসার সব গেট তালাবদ্ধ করে রাখার পাশাপাশি সহকারী পরিচালক মাওলানা শেখ আহমদ, মুফতি জসিম ও মাওলানা ওমরের রুমে ভাঙচুর চালানো হয়।

    হাটহাজারী মাদ্রাসার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেয়া এক ভিডিওতে মাদ্রাসার পরিচালক ও হেফাজত আমির আল্লামা আহমদ শফীর কক্ষেও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ করা হয়েছে।

    শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর বিপুল পরিমাণ সদস্য মাদ্রাসার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। অন্যদিকে মাদ্রাসার ভেতরে শিক্ষার্থীরাও তাদের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে।

  • শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে মাদ্রাসার পড়ালেখার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে- ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর

    শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে মাদ্রাসার পড়ালেখার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে- ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    গতকাল ১৭ সেপ্টেম্বর’২০ বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টায় ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর এর আয়োজনে নগর সভাপতি রিদওয়ানুল হক শামসীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এর সঞ্চালনায় নগরীর দেওয়ানহাট মোড়ে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিন। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, হাটহাজারী মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন বহুদিনের চেপে রাখা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ । এই ক্ষোভ দমন করার জন্য মাদরাসার শিক্ষার্থীদের উপর যেকোন ধরনের হয়রানি এবং প্রশাসনের অনৈতিক হস্তক্ষেপ যেন না করে শিক্ষার্থীদের নৈতিক দাবী…

  • ছাত্রদের আন্দোলন শুরার সিদ্ধান্তঃ আনাস মাদানিকে বহিষ্কার

    ছাত্রদের আন্দোলন শুরার সিদ্ধান্তঃ আনাস মাদানিকে বহিষ্কার

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    ছাত্রদের আন্দোলন শুরার সিদ্ধান্তঃ আনাস মাদানিকে বহিষ্কার

    ৫দফা দাবীতে আন্দোলনরত ছাত্রদের দাবীর পেক্ষিতে বাদ এশা হাটহাজারী মাদরাসার মজলিশে শুরা তাদের ১ম দফা বাস্তয়নের ঘোষণা দিয়েছেন।

    একটু আগে আন্দোলনরত ছাত্ররা মাইকে শুরার লিখিত সিদ্ধান্ত পাঠ করে শোনান।

    মাইকে ঘোষণা দেয়া হয়, আল্লামা আহমদ শফী ও মাদ্রাসার শিক্ষক ও শুরার কিছু সদস্যের উপস্তিতিতে আনাস মাদানিকে মাদ্রাসা থেকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ছে। এবং ছাত্রদেরকে মাদ্রাসায় সর্বপ্রকার হয়রানি না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

  • হাটহাজারী মাদরাসা থেকে আনাস মাদানিকে বহিস্কার করতে ছাত্রদের প্রতিবাদী আন্দোলন

    হাটহাজারী মাদরাসা থেকে আনাস মাদানিকে বহিস্কার করতে ছাত্রদের প্রতিবাদী আন্দোলন

    UkhiyaVoice24.Com

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর ও হাটহাজারী মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা আহমদ শফী দা. বা. ছেলে আনাস মাদানির অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে মাদরাসা থেকে বহিস্কারসহ ৫দফা দাবিতে আজ বুধবা ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ইং
    বাদ জোহর হতে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হাটহাজারী মাদরাসায় ছাত্রদের আন্দোলন চলছে।
    আনাস মাদানীর অপকর্মের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবত সোশ্যাল মিডিয়ায় আন্দোলন হলেও মাঠে আন্দোলনের সূচনা আজই হয়েছে।

    হাটহাজারীর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে জানতে পেরেছি, আজ বাদ জোহর থেকে সকল ছাত্র মাঠে নেমে আনাস মাদানিকে বহিষ্কারসহ ৫দফা দাবিতে মিছিল-শ্লোগান দিচ্ছে।
    ছাত্ররা আনাস মাদানীর রুমের তালা ভেঙে তাকে খুঁজে না পেয়ে তার আসবাবপত্র বাহিরে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। আসর পর্যন্ত এই অবস্থায় আছে, ছাত্ররা মাঠেই নামাজ আদায়ের ঘোষণা দিয়েছে।

    এদিকে ৩টা থেকে পুলিশ গেইটের বাহিরে অবস্থান নিলেও গেইট বন্ধ থাকায় ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেনা, এবং পুলিশের তরফ থেকেও কোন মারমুখী আচরণ পাওয়া যায়নি। এই পর্যন্ত ছাত্রদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণই আছে।

    এদিকে মাদরাসার সকল উস্তাদদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্দোলনকারী ছাত্রদের পক্ষ থেকে সকল উস্তাদের রুমের সামনে বিশেষ পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

  • ছনুয়ায় নকল সোনা বিক্রিকারী মানিক হাতিয়ে নিল ১৫ লক্ষ টাকা

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের নশ্যা বাপের বাড়ীর কালায়ার ছেলে মানিক, সুদীর্ঘ একযোগ ধরে চালিয়া আসছে নকল
    সোনা বিক্রি,সহস সরল মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নেয় লক্ষ লক্ষ টাকা, তার একটি বিশাল দালাল চক্র সক্রিয় রয়েছে সারাদেশে, এই দালাল চক্রটি বিভিন্ন জেলা থেকে আসল সোনা বিক্রির নাম দিয়ে বা একবুড়ির পাওয়া ধন সেই সোনা বিক্রি করবে বলে ছনুয়াতে এই সোনা মানিকের এলাকায় এনে সুকৌশলে হাতিয়ে নেয় লক্ষ লক্ষ টাকা।

    এই নকল সোনা বিক্রিকারী ডাকাত মানিকের বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় রয়েছে ডজন খানেক মামলা তৎমধ্যে, ডাকাতি, অস্ত্র মামলা , ইয়াবাবিক্রি, নারী নির্যাতন।এই ছাড়া নকল সোনা বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা আছে,
    এই নকল সোনা বিক্রিকারী সোনা মানিক্ক্যার নির্যাতনের শিকার হচ্ছে ছনুয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা, তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললে নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন, কেউ যদি প্রশাসনের কাছে যায় তাকে ধরে নিয়ে অস্ত্র এবং ইয়াবা দিয়ে ছবি তুলে ফাঁশিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। তার পিতা কালাইয়া হচ্ছে সকল কুকর্ম ও প্রতারণার নাটের গুরু, এই কালাইয়া দাবার গুটি চালিয়ে যাচ্ছে এই সোনা মানিকের অপরাধ কার্যক্রম।।

    এই দিকে নকল সোনা
    বিক্রিকারী ডাকাত
    মানিকের সেকেন্ড ইন কমান্ড আরেক নকল সোনা বিক্রিকারী মাপিয়া নুরুল কাদের কিছুদিন আগে পটিয়া থানা এলাকার এক সোনার দোকানদারকে ছনুয়াতে এনে প্রতারণার জালে আটক করে হাতিয়ে নিয়েছে ১৭ লক্ষ টাকা, সেই পটিয়ার ব্যাবসায়ী বাদী হয়ে বাঁশখালী থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে সেই মামলায় গ্রেফতার হয় নকল সোনা বিক্রিকারী নুরুল কাদের।

    বাঁশখালী তথা ছনুয়া ইউনিয়নের নিরীহ জনসাধারণের দাবী এই নকল সোনা বিক্রিকারী ডাকাত বাঁশখালী থানার একাধিক মামলার আসামি জলদস্যু, সোনা মানিককে আইনের আওতায় এনে কটিন শাস্তি দেওয়ার জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকারবাসী।

    এইদিকে বাঁশখালী থানার অফিসার্স ইনসার্স মু.রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, আমরা ইতিমধ্যে ছনুয়ার নকল সোনা বিক্রিকারী নুরুল কাদের নামের একজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি, বাকী নকল সোনা বিক্রিকারী মানিককেও গ্রেফতারের জন্যে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাবো।

  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ৩২তম বার্ষিক সিনেট সভায় চলতি বছরের ৩৪৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। যা গত অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ৭ কোটি টাকা বেশি।
    রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এ আর মল্লিক ভবনে (প্রশাসনিক ভাবন) উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে ভিসি অধ্যাপক ড. শিরিন আখতারের সভাপতিত্বে বাজেট ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান।
    বাজেটে ২০২০-২১ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা ও সাধারণ কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যয়ভার হিসেবে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩৪৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা। যা গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল ৩৩৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
    বাজেটে এবারও সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে বেতন ভাতা খাতে। এই খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ২২২ কোটি ২০ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ৬৪ দশমিক ১৬ শতাংশ। পণ্য ও সেবা বাবদ সহায়তা হিসেবে ৬০ কোটি ৯০ লাখ ও পেনশনের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। এদিকে পরিবহন খাতে ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা ও ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্স অ্যান্ড ফিশারিজ’র গবেষণা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি খাতে ২ কোটি ৪১ লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। চিকিৎসা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫৬ লাখ টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরেও গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ১ দশমিক ২১ শতাংশ।
    বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত মূল বাজেটের ৩২৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা মোট ৩৪৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বাকি ৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বাজেট ঘাটতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের ৩৩৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা সংশোধিত বাজেটের অনুমোদনও দেওয়া হয়।
    এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত), সিনেট সদস্য, সিন্ডিকেট সদস্য ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

  • বাঁশখালীর এমপিকে প্রকাশ্য হত্যার হুমকির প্রতিবাদে যুব মহিলালীগের প্রতিবাদ সমাবেশ

    বাঁশখালীর এমপিকে প্রকাশ্য হত্যার হুমকির প্রতিবাদে যুব মহিলালীগের প্রতিবাদ সমাবেশ

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের উদ্যোগে চট্টগ্রাম -১৬ বাঁশখালীর সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে প্রকাশ্য হুমকি, বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর ) বিকালে বাঁশখালী উপজেলা যুব মহিলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে পশ্চিম চাম্বল মুন্সিখীল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে এক প্রতিবাদ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।

    বাঁশখালী উপজেলা যুব মহিলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদিকা মোছাম্মৎ হিরা মনির সভাপতিত্বে ছাত্রলীগ নেতা শহিদুল্লার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বাঁশখালী পৌরসভার মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী, বাঁশখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও পৌরসভা যুবলীগের আহবায়ক মো. হামিদ উল্লাহ,যুবলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য রশিদ আহমদ,বাঁশখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইফতেখার হোসাইন তালুকদার বাবু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরুল হক চৌধুরী ফাহিম, শেখ রাসেল সৃতি সংসদের সভাপতি সাগর, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা শাওন প্রমুখ।

    প্রতিবাদ সভায় বক্ত্যতারা বলেন, বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের অভিবাববক ও সাংসদ আলজাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও পৌরমেয়র আলহাজ্ব শেখ সেলিমের বিরুদ্ধে জামায়াত-শিবিরের একটি সিন্ডিকেট ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা বাঁশখালীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নসাৎ করতে উঠে পড়ে লেগেছে। আওয়ামীলীগের লেবাজধারী ওই জামায়াত শিবিরের সিন্ডিকেটের সদস্যদের চিহ্নিত করতে হবে। ওই জামায়াত শিবিরের সিন্ডিকেট বাঁশখালী আওয়ামীলীগের রাজনীতিকে কলুসিত করতে বিভিন্ন ভাবে চক্রান্ত শুরু করেছে। সম্প্রতি একজন প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব্ অনার দিতে বিলম্ব হওয়াকে পুঁজি করে ওই জামায়াত শিবিরের সিন্ডিকেটের সদস্যরা আওয়ামীলীগ সেজে প্রকৃত আওয়ামীলীগ ও বাঁশখালীর সাংসদের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
    তারা বাঁশখালী পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিমুল হক চৌধুরীর ওপর ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটিয়ে উল্টো সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে ফাঁসানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।

    এতে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা অনতিবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী এবং সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে প্রকাশ্যে হুমকির তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এবং সাথে সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহবান জানিয়ে প্রতিবাদ সভা শেষ করা হয়। এসব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান বক্তারা।

  • অরিজিন হাসপাতালের ৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অতিথি ও স্টাফদের ক্রেস্ট প্রদান সম্পন্ন

    অরিজিন হাসপাতালের ৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অতিথি ও স্টাফদের ক্রেস্ট প্রদান সম্পন্ন

     

     

    সাইফুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি।

     

    চট্টগ্রামের দক্ষিণ কক্সবাজারের একমাত্র সেবামূলক ২০ শয্যা বিশিষ্ট বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অরিজিন হাসপাতাল ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করে উখিয়ার প্রাণ কেন্দ্র কোর্টবাজার তৌফাইল মাতেমা শপিং কমপ্লেক্সের ২য় তলায়।

    প্রতিবছর বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে মানবিক দিক বিবেচনা করে অসহায়, গরিব, হতদরিদ্র, সু-চিকিৎসা বঞ্চিত মানুষের জন্য দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন করে থাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

    এই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ফ্রি রোগী দেখছেন অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ ১০ জন ডাক্তার।

     

    ডা: রবিউর রহমান রবি, ডা:আদনান ওয়ালিদ,
    ডা: মেরাজ হোসেন চয়ন, ডা:এহসান উল্লাহ সিকদার, ডা: তৌহিদুজ্জামান, ডা: আরিফা মেহের রুমি, ডা:মাসুমা নাসরিন শিফা, ডা: ফারজানা সুলতানা, ডা: সাবরীনা মাহামুদ, ডা:ফারহানা রহমান। এই দিন সকল পরীক্ষা- নিরীক্ষায় ৩৫% ছাড় দেওয়া হয়েছে । এই তথ্য নিশ্চিত করেন অরিজিন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইউনুস।

    প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল করিম জানান,গতকাল এই ফ্রি ক্যাম্পে হাজারো অধিক রোগীকে বিনামূল্যে সেবা প্রদান করা হয়েছেন। এলাকার সম্মানিত ব্যক্তিদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা সহ মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য দোয়ার আয়োজন করাও হয়। সকল ধর্ম,বর্ণ ও বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষকে সেবা নেওয়ার জন্য আহ্বান করা হয়েছে।

     

    অরিজিন হাসপাতালের ৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা ও হাসপাতাল পরিচালনা কমিটি।

     

  • কক্সবাজার লাইট হাউজ পাড়া জামে মসজিদের দ্বিতীয় তলার অবশিষ্ট কাজ সমাপ্ত করনের উদ্যোগ নিলেন মাওলানা মুহাম্মাদ আলী

    কক্সবাজার লাইট হাউজ পাড়া জামে মসজিদের দ্বিতীয় তলার অবশিষ্ট কাজ সমাপ্ত করনের উদ্যোগ নিলেন মাওলানা মুহাম্মাদ আলী

    উখিয়া ভয়েস ২৪ ডটকম

     

    উপদেষ্টা সম্পাদক -এর প্রতিবেদক

     
    ১১ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার এর ঐতিহ্যবাহী লাইট হাউজ দারুল উলুম মাদ্রাসার পার্শ্ববর্তী এলাকা লাইট হাউজ পাড়া জামে মসজিদের দ্বিতীয় তলার অবশিষ্ট কাজ সমাপ্ত করনের লক্ষ্যে মসজিদ পরিদর্শনে যান কক্সবাজার শহরের প্রাণকেন্দ্র কলাতলীস্থ লাইট হাউজ দারুল উলুম মাদ্রাসার স্বনামধন্য মুহতামিম ও জেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ আলী।

    তিনি গতকাল সকালে উক্ত মসজিদের দ্বিতীয় তলার অবশিষ্ট কাজ সমাপ্ত করন উপলক্ষে সমাজ কমিটি ও জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। উক্ত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন মসজিদ কমিটির সেক্রেটারী আব্দুল মন্নান, সহ-সভাপতি রিয়াজুদ্দিন মনু, সহ সভাপতি জয়নুল আবেদিন, মসজিদের ইমাম মাওলানা হাফেজ উদ্দিন, সদস্য মাওলানা নুরুল আলম, সেলিম বাবুল, হাকিম আলি, আতিকুর রহমান, নুরুল আলম, আব্দুল গফুর, ফাতের ঘোনা মসজিদ কমিটির সভাপতি আবুল কাশেম, সেক্রেটারী, সদস্য খুরশিদ আলমসহ স্থানীয় গণ্য মান্য ব্যক্তিবর্গ। মতবিনিময়ের সময় মাওঃ মুহাম্মদ আলী আগামীকাল থেকে মসজিদের অবশিষ্ট কাজ আরম্ভ করার ঘোষণা প্রদান করেন।
    এর পর তিনি পার্শ্ববর্তি ফাতের ঘোনা জামে মসজিদ পরিদর্শনে যান। উক্ত মসজিদে মুসল্লি সংকুলান না হওয়ায় দ্বিতীয় তলার কাজ আরম্ভ করার প্রয়োজনীয়তার কথা মসজিদ কমিটি তাকে তুলে ধরলে তিনি উক্ত মসজিদের দ্বিতীয় তলার কাজের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। এই পোস্ট আমাদের অংশীদারদের দ্বারা স্পনসর করা হয় Wigs

    উল্লেখ্য যে, সকালে লাইট হাউস মাদরাসার মুহতামিম মাওঃ মুহাম্মদ আলী সেখানে গেলে এলাকার সর্বস্তরের লোকজন আন্তরিকতার সাথে হযরতের সাক্ষাতের জন্য ছুটে আসেন। তিনি ধৈর্য্য সহকারে সকলের কথা শুনেন এবং মসজিদ ও এলাকার সমস্যা সমাধানে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন বলে আশ্বাস দেন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে লাইট হাউস দারুল উলুম মাদরাসার যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়, তার জন্য উপস্থিত বৃহত্তর লাইট হাউস এলাকাবাসী কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি মাদরাসাসহ সকল উন্নয়ন কার্যক্রম আরো বেগবান করার জন্য সকলে তাকে আন্তরিকভাবে অনুরোধ করলে তিনি কাল থেকে লাইট হাউজ পাড়া জামে মসজিদের দ্বিতীয় তলার অবশিষ্ট কাজ শুরুর ঘোষণা দেন।

     

  • সরকার কেন ক্ষতিপূরণ দিতে চায় না? মাওলানা শামসুদ্দোহা তালুকদার।। UkhiyaVoice24.Com

    সরকার কেন ক্ষতিপূরণ দিতে চায় না? মাওলানা শামসুদ্দোহা তালুকদার।। UkhiyaVoice24.Com

    Saifullah Al Monir

    সরল বাংলায় বলতে গেলে নারায়ণগঞ্জের বায়তুস সালাত মসজিদে বিস্ফোরণে মুছুল্লীদের মৃত্যুর ঘটনা একটি হত্যাকান্ড। তিতাস কর্তৃপক্ষ খুনী। তাদেরকে তাগাদা দেয়া সত্ত্বেও ঘুষ না পেয়ে গ্যাস লাইন মেরামত করে নাই। সুতরাং এ নৃশংস মৃত্যুগুলোর জন্য তারা দায়ী।

    তিতাসের বাপ চাচারা দায় এড়াতে বলছিলো, মসজিদটি অবৈধ স্থাপণা। এখন তো প্রমাণিত হলো, মসজিদ অবৈধ না।তোমরা সব অবৈধ, এমনকি তোমরা এখন হন্তারক।

    তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখেছে, ওয়াকফকৃত জমিতে মসজিদখানা গড়ে উঠেছে। সেখানের গ্যাস সঞ্চালন লাইনে লিকেজ থাকাটাই তো অবৈধ।

    হাইকোর্টে একটা রীট হয়েছে, তিতাসকে নিহতদের মাথাপিছু পঞ্চাশ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার আদেশ দিতে। হাইকোর্টে তাৎক্ষণিক আদেশে মূত্যু বরণকারী মাথা পিছু পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

    সরকারের মাইন্ডসেট বড় অদ্ভুত! নিরীহ মুসুল্লীদের কফিন দেখে তাদের মন গলেনি। তাঁদের মৃত্যু অবৈধ? তাদেরকে খামাখা ক্ষতিপূরণ দিবে কেন? তাই ঐ আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করতে যাচ্ছে। হায়রে বিবেক! দেশটা আসলে বিবেকহীন অমানুষে ভরে গেছে।

    তাঁরা যদি নিরীহ মুসুল্লী না হয়ে সাধারণ জনগন হতো, তাহলে সরকার হয়তো গুরুত্ব দিতো। ছায়ানট বা সিনেমা হলে বিষ্ফারণ হলে তারা হয়তো জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা দিতো। আর মন্ত্রীরা ছাগলের মতো চাবায়ে চাবায়ে বলতো না, মসজিদটি অবৈধ!

    প্রমাণিত হলো, মসজিদটি বৈধ। সুতরাং ক্ষতিপূরণের বেলায় আপত্তি কেন?

    কয়েক বছর আগে নিমতলীতে পুড়ে হতভাগ্য নিহত মানুষদের মেয়েদেরকে এই প্রধাণমন্ত্রী নিজের মেয়ের মর্যাদা দিয়ে লেখাপড়া করিয়েছেন, ধুমধাম বিয়েও দিয়েছেন। সে ঘটনায় মিডিয়াও হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল। এখানে উপেক্ষা করা হচ্ছে কেন?

    আসলে মসজিদ, মুছুল্লী, হুজুর, ইমাম, মুয়াজ্জিন এসব শব্দে তাদের এলার্জী হয়! এ শব্দগুলো বাংলা নয়। বাংলা শব্দে তাদের অদ্ভুদ রকমের মায়া। বাংলা নাম খুব পছন্দের। বাংলা নামধারীরাই এখন বাংলাদেশের হর্তাকর্তা।

    তবে বুঝা গেলো, জায়নামাজ শব্দে প্রধানমন্ত্রীর সমস্যা নাই। গতকাল বৈধ! পার্লামেন্টে বলেছেন- ঘুম থেকে উঠে তিনি প্রথমেই জায়নামাজ খুঁজেন। মাশাআল্লাহ। তিনি নামাজ পড়েন, এটা আমরা জানি। তবে সেটা প্রমাণ করতে জায়নামাজ খোঁজার কথা না বললেও পারতেন। আমরা বিশ্বাস করে আসছি, তিনি একজন নামাজী। ডেইলি ছয় ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। বাড়তি তাহাজ্জুদও পড়েন। দুষ্টুরা তাহাজ্জুদী বেগম বলেন।

    কিন্তু তাঁর নামাজীদের প্রতি মহব্বত পয়দা হয় নাই। এ পর্যন্ত ২৮ জন মুছুল্লী, যারা নামাজরত অবস্থায় আগুনে দগ্ধ হয়ে শাহাদত বরণ গেছেন, অথচ একটি বার সরকারের তরফে শোক নাই, দুঃখ নাই। ক্ষতিপূরণের ঘোষনা নাই।

    হাইকোর্ট ক্ষতিপূরণের আদেশ দিয়েছে, তাতেও আপিল করে বাগড়া দিতে যাচ্ছে সরকার। সরকারী তহবিলের অর্থ কারো বাবার সম্পত্তি নয়। সরকারী তহবিলের মালিক এ দেশের জনগন। যারা আগুনে পুড়ে মারা গেছেন, তারাও এ অর্থের মালিক। সুতরাং তারা কেন প্রাপ্য হবেন না? এটা কোন করুণা নয়, এটা অধিকার।

    সরকারের ইমামরা বড়ই ফাযিল। একচোখ দিয়ে দেখে। নর্তকী, নায়ক-নায়িকা, গায়ক-গায়িকারা অসুস্থ হলেই খাজাঞ্চি খুলে দেয়া হয়, চিকিৎসা সুবিধা দিতে এয়ার এম্বুলেন্স উড়ায়, তাতে অবৈধ কিছু খুঁজে পায়না। অবৈধতা খুঁজে পায়, ভাল মানুষদের বেলায়। নামাজীরা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ। হয়তো আখেরাতেও। অথচ তাঁদের বেলায় চরম উন্নাসিকতা।

    ইসলামী যুব আন্দোলন রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছে- তিতাসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। তারা কর্তব্যে অবহেলা করেছে। তাঁরা খুনী। তাদের বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবীতে আন্দোলন জারী আছে। আগামী শুক্রবার কেন্দ্রীয় ভাবে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি আছে।

    নারায়ণগঞ্জে যুব আন্দোলনের তীব্র আন্দোলনের কারণে কর্তৃপক্ষ তিতাসের আটজনকে সাময়িক বরখাস্ত করতে বাধ্য হয় । যদিও এটা আইওয়াশ।

    সরকার যদি আইনের রক্ষক হতো, তাহলে এতক্ষণে ওদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা এনে গ্রেপ্তার করতো। এটাই জনগনের দাবী ছিলো।

    জনগনের দাবীকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা এ সরকারের মজ্জাগত একটি বিষয়। একটি সুস্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে নতুনরা ম্যান্ডেট নিয়ে নতুন করে সরকার গঠন করবে। সেটাই তো সাংবিধানিক দর্শন। সেটাকে ধর্ষন করেছে প্রশাসন ও দলের পান্ডারা। রাতের আমলে চুরি করে জেতা এমপিদের বদৌলতে তারা এখন মন্ত্রী, প্রধাণমন্ত্রী। এবং তাঁদেরই মুখে বৈধ অবৈধের কথা জনগনকে শুনতে হচ্ছে। এটাই এখানকার জনগনের দূর্ভাগ্য। এর চেয়ে নির্মম তামাশা আর হবে পারে না।

    আসলে এ দেশের সরকার জনগণের দাবীকে পেশাবের ফেনার মতো মনে করে, যা একটু পরই উবে যায়।