UkhiyaVoice24.Com
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কিন্ডারগার্টেন শিশুদের প্রাক প্রাথমিক বিদ্যালয় বা বিদ্যালয় পূর্ব উপযোগী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশেষ। কিন্ডারগার্টেন শব্দটি জার্মান, যার অর্থ হচ্ছে শিশুদের বাগান।কিন্ডারগার্টেন শিশু শিক্ষানুরাগী ও দার্শনিক ফ্রেডরিখ ফ্রোয়েবল প্রবর্তন করেন।তিনি ১৮৩৭ সালে ব্যাড ব্ল্যাংকেনবার্গে শিশুদের বাড়ি থেকে বিদ্যালয় গমন এবং খেলা ও প্রাতিষ্ঠানিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণের ধারণাকে কেন্দ্র করে এই শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।তাঁর উদ্দেশ্য ছিল শিশুরা উপযুক্ত রক্ষাণাবেক্ষনের মাধ্যমে প্রতিপালিত হবে এবং শিশুদের বাগান’ হিসেবে কিন্ডারগার্টেনে বাগিচায় রোপিত চারাগাছের ন্যায় পরিচর্যা পাবে।শিশুরা কিন্ডারগার্টেনে উপস্থিত হয়ে পারস্পরিক যোগাযোগ রক্ষা করাসহ একে অপরের সাথে খেলাধূলা করবে এবং অন্যের সাথে স্বাচ্ছন্দ্যে উপযুক্ত কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করবে।ফ্রেডরিক ফ্রোয়েবল কিন্ডারগার্টেন কে শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য প্রবর্তন করেছে।খেলাধূলার পাশাপাশি কোমলমতি শিশুরা খেলার ছলে কিছু শিখবে।তাদের উপর জোরপূর্বক বই চাপিয়ে দেওয়াকেও তিনি সমর্থন দেননি।অথচ বাংলাদেশে কিন্ডারগার্টেনে একজন শিশুকে বইয়ের চাপে রাখে।যেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে তিনটি করে বই সেখানে কিন্ডারগার্টেনে শিশু শ্রেণি তথা প্রাক প্রাথমিকে পাঁচটি বই।প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ইচ্ছামত সাত- আটটি বই চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
যেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে বইয়ের সংখ্যা ছয়টি সেখানে একজন কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীকে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে ১০-১২ টি বইয়ের বোঝা।এটা কিন্ডারগার্টেনের শিশুদের উপর এক প্রকার জুলুম বলা চলে।৫০ কেজি ওজনের পণ্য বহন করতে পারে এমন লোক কে ১০০ কেজি ওজনের পণ্য বহন করতে দিলে যেমন পারবেনা ঠিক তেমনি কোমলমতি শিশুরা যেখানে ৩ টি বইয়ের চাপ গ্রহণের ক্ষমতা রাখে তাদের ৬-১০ টি বই চাপিয়ে দিলে পারার কথা নয়।বাংলাদেশে সারা দেশে অলিতে গলিতে কিন্ডারগার্টেন। বর্তমানে ৭০ হাজার কিন্ডারগার্টেন অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে।অবৈধভাবে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে গড়ে উঠছে অধিকাংশ কিন্ডারগার্টেন। ব্যাঙের ছাতার মত পাড়ায় মহল্লায় সরকারী নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে গড়ে উঠঠে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।সারা বছর কোমলতি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার মধ্যে রাখে।প্রতি মাসে টিউটোরিয়াল পরীক্ষা,প্রতি তিন মাস পর পর সেমিস্টার এবং সাময়িক পরীক্ষা নেয় এসব কিন্ডারগার্টেন গুলো।প্রত্যেক টিউটরিয়াল পরীক্ষা,সেমিস্টার এবং সাময়িক পররীক্ষার জন্য আলাদা অালাদা ফি নেওয়া হয়।এসব পরীক্ষার কারণে শিক্ষার্থীরা প্রচন্ড মানসিক চাপে থাকে। ঘন ঘন পরীক্ষার ফি আদায় করতে অধিকাংশ অভিভাবক অার্থিক সংকটে পড়ে।
প্রতি মাসে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোটা অংকের বেতন নিলেও কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক শিক্ষিকাদের সর্বোচ্চ বেতন দেওয়া হয় ছয়- সাত হাজার টাকা।একজন অনার্স মাস্টার্সে অধয়নরত শিক্ষার্থীকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিলে তাকে দুই হাজার টাকা সম্মানি দেওয়া হয়।অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় এস এস সি পাস করে কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পায়।কিন্ডারগার্টেন কর্তৃপক্ষ বেতন কম দেওয়ার নিমিত্তে এস এস সি পাস করা শিক্ষার্থীকে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে দেখা যায়।শিক্ষকদের সম্মানি কম দেওয়ার কারণে ঘন ঘন শিক্ষক পরিবর্তন হয়।আর এই পরির্বতন শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরূপ প্রভাব ফেলে।যে হারে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাসিক বেতন আদায় করে সে অনুসারে শিক্ষকদের সম্মানি বা বেতন দেওয়া হয় না।শিক্ষক নিয়োগ,শিক্ষাক্রম বা সিলেবাস কেমন হওয়া চাই তা নিয়ে সররকারের ভাবা উচিত।কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উপর এভাবে বই আর পরীক্ষার বোঝা চাপিয়ে দেওয়া এক প্রকার শিশু নির্যাতন।নগরে ইসলামী কিন্ডারগার্টেন যে গুলো গড়ে ওঠেছে সেগুলোরও একই দশা।শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক কিন্ডারগার্টেনের এসব অনিয়ম ও অসঙ্গতির বিরুদ্ধে যথাযথ পদেক্ষেপ নেওয়া সময়ের দাবি।
গতকাল সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ফুলতলী ও জারুলিয়াছড়িস্থ নোম্যান্স ল্যান্ডের ৪৭নম্বর পিলার এলাকায় তিনি গবাদিপশু নিয়ে মাঠে চরাতে যায়, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী রাখাল মুহাম্মদ ইউসুফ (৩২) কে ধরে নিয়ে যায়।
ওই রাখাল বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফু্লতলী গ্রামের ৯নং ওয়ার্ডের মুহাম্মদ সোলেমানের ছেলে।
এর আগে দুপুরে ইউসুফকে মিয়ানমার বাহিনীর সদস্যরা ধরে হাত-পা বেধে সীমান্তে ফেলে রেখেছিল।
তবে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া আফরিন কচির সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এক বাংলাদেশী রাখালকে গতকাল সন্ধ্যায় ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে সীমান্তের সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপ আলোচনা করা হচ্ছে।
এদিকে ঘটনার পর বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড ( বিজিবি)র পক্ষ থেকে যোগাযোগ করে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে বিজিবির দায়িত্বশীল কোনো সূত্রের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সিন্ডিকেট করে পিঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি : ১০ আড়তদারকে জরিমানা
দেশের অন্যতম পাইকারী বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে অভিযান চালিয়ে সিন্ডিকেট করে মূল্য বৃদ্ধির দায়ে ১০ পেঁয়াজের আড়তদারকে ৭৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরিন আক্তার ও উমর ফারুক এ অভিযান পরিচালনা করেন।
এসময় বিভিন্ন অনিয়ম ও ক্রয় ভাউচার না রেখে নিজেদের ইচ্ছে মত মূল্য বৃদ্ধির দায়ে মেসার্স বরকত ভাণ্ডারকে ১০ হাজার টাকা, মেসার্স গোপাল বাণিজ্য ভাণ্ডারকে ১০ হাজার টাকা, মেসার্স হাজী মহিউদ্দিন সওদাগরকে ১০ হাজার টাকা, মেসার্স সেকান্দার অ্যান্ড সন্সকে ১০ হাজার টাকা, মোহাম্মাদীয়া বাণিজ্যালয়কে ১০ হাজার টাকা, মোহাম্মদ জালাল উদ্দীনকে ১০ হাজার টাকা, গ্রামীণ বাণিজ্যালয়কে ৫ হাজার টাকা, আরাফাত ট্রেডার্সকে ৫ হাজার টাকা, মেসার্স বাগদারিক কর্পোরেশনকে ৫ হাজার টাকা ও শাহাদাত ট্রেডার্সকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক জানান, বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় খাতুনগঞ্জ বাজারে পেঁয়াজের আড়তে গিয়ে দেখা যায়, আড়তদাররা ব্যবসায়িক কাগজপত্র নিজেদের কাছে না রেখে আমদানিকারকের ফোন কলে দাম নির্ধারণ করে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন এবং অতিরিক্ত মুনাফা করতে কেজি প্রতি প্রায় ২০ টাকা লাভ করছেন। আড়ত অনুযায়ী তাদের দামেও ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, আমদানিকারকের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা দাম নির্ধারণ করেন এবং কমিশনে ব্যবসা করেন।
নলছিটিতে সরকার প্রদত্ত গ্রাম পুলিশদের মাঝে ৫৮টি বাই-সাইকেল বিতরন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে আজ রবিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) সকালে একটি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ১৪ দলের মুখপাত্র সাবেক সফল মন্ত্রী সংসদ সদস্য জননেতা আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু.এমপি,এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান,
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) মোঃ সাখাওয়াত হোসেন।
এসময় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশদের মাঝে ৫৮টি বাই-সাইকেল, ৯৩জন সদস্যকে টর্চলাইট, পোশাক ও জুতা বিতরন করা হয়েছে।
আলমগীর ইসলামাবাদী
(চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি)
পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসনের অভিযানের জের ধরে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ রেখেছে আড়তদাররা। আজ সোমবার ( ৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ব্যবসা বন্ধ রেখে চালিয়ে যাচ্ছে বিক্ষোভ।
তাদের দাবি আমদানিকারকদের উপরই নির্ভর হতে হয় তাদের। সেখানে অভিযান না করে শুধু খাতুনগঞ্জে অভিযান চালিয়ে মোটা অংকের টাকা জরিমানা করা অযৌক্তিক বলছেন তারা। অভিযান বন্ধের আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত আড়ত বন্ধ রাখার কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা।
আর প্রশাসন বলছে নিয়ম না মেনে এবং ক্রয় স্লিপ না রেখে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রেতাদের কোন ছাড় নেই। অভিযান ঠেকাতে ব্যবসায়ীদের আন্দোলন হতাশ করেছে ভোক্তাদের।
দেশের ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে কয়েক দিন ধরেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম। দুইদিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। পেঁয়াজের এই পাগলা ঘোড়ার লাগাম টানতে খাতুনগঞ্জে অভিযান শুরু করে জেলা প্রশাসন।
রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এ বাজারে অভিযান চালিয়ে পেঁয়াজের দাম নিয়ে কারসাজির অভিযোগে ১০ আড়তদারকে এক লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এতে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক। আজও অভিযান হওয়ার কথা থাকায় অভিযান ঠেকাতে পেঁয়াজের আড়ত বন্ধ করে সকাল থেকে বিক্ষোভ করেন তারা।
খাতুনগঞ্জ হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ ইদ্রিস জানান, সংগঠন থেকে কোনো কর্মসূচি দেওয়া হয়নি। মূলত জরিমানার শিকার ব্যবসায়ীরা আড়ত বন্ধ রাখার পর সব আড়তই বন্ধ করে দেওয়া হয়। পণ্যের দাম বাড়ানোর নেপথ্যে আড়তদারদের ভূমিকা নেই বলে তিনি জানান।
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার পর সারা দেশে ইউএনওদের নিরাপত্তা জোরদার করেছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের ১৫ ইউএনওর বাসভবন ও অফিসের নিরাপত্তায় সশস্ত্র আনসার মোতায়েন করা হয়েছে।
একজন ইউএনওর নিরাপত্তায় চারজন করে আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে দু’জন সশস্ত্র। শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) পটিয়া ইউএনও ফয়সাল আহমেদের বাসভবনে গিয়ে দেখা যায়, ভেতরে ও বাইরে প্রহরায় রয়েছেন সশস্ত্র আনসার সদস্যরা।
নিরাপত্তায় চারজন আনসার সদস্য পাওয়ার কথা স্বীকার করে হাটহাজারী ইউএনও মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যা থেকে বাসভবনের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করছেন আনসার সদস্যরা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে দেয়া এক চিঠিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক শারীরিক ও বাসভবনের নিরাপত্তা দেয়ার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আনসার সদস্য মোতায়েনের নির্দেশনা দেয়া হয়।
এ নির্দেশনার পর বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর চট্টগ্রাম জেলা কম্যান্ডেন্টের কার্যালয় থেকে জেলার ১৫ জন ইউএনওর নিরাপত্তায় ৬০ জন আনসার মোতায়েনের কথা জানানো হয়।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘জেলার ১৫ ইউএনওর নিরাপত্তায় ৬০ জন আনসার সদস্য দেয়া হয়েছে। প্রতি ইউএনওর নিরাপত্তায় চারজন করে আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
Ukhiya Voice24.Com
বাঁশখালীর এমপি মোস্তাফিজকে দল থেকে বহিষ্কার না করলে চট্টগ্রাম অচলের হুমকি
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে মুক্তিযোদ্ধা-মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও সাংবাদিকদের উপর নগ্ন হামলার ইন্ধনদাতা বাঁশখালীর এমপি মোস্তাফিজুর রহমানকে জাতির সামনে নিঃশর্ত ক্ষমাসহ সংসদ সদস্য পদ বাতিল ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কার করতে হবে। শুধু তাই নয়, এমপির নির্দেশে মৌলভী সৈয়দ পরিবারের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করে নিতে হবে। অন্যথায় বীর চট্টলার জনগণ রাজপথে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। আজ শনিবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে মৌলভী সৈয়দ স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাংসদ হয়ে মোস্তাফিজুর রহমান বাঁশখালীতে মুক্তিযুদ্ধ হয়নি এমন মন্তব্য করতে পারে না। স্বাধীনতা স্বপক্ষের দল ক্ষমতায় থাকায় অবস্থায় একজন সাংসদ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে আমাদেরকে হতভাগ করেছে। তাই ইতিহাস বিকৃতকারীর বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। আগামীতে মৌলভী সৈয়দ স্মৃতি সংসদ মুক্তিযোদ্ধাদের সকল অনুষ্ঠানে সংহতি প্রকাশ করবে। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, মোস্তাফিজ মুক্তিযুদ্ধ দেখে নাই। তিনি বীর বাঙালির বাঘের গর্জন শুনেন নাই। তাই তিনি প্রেসক্লাবের মত একটি জায়গায় মুক্তিযোদ্ধাদের উপর নগ্ন হামলা করেছে। আমি তাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাচ্ছি। অন্যথায় চট্টগ্রামসহ সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।
কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান মুনসুর বলেন, জীবনে যতদিন বেঁচে থাকবো, ততদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করবো। ততদিন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে কথা বলে যাবো। জাতীয় পার্টি থেকে এসে এমপি হয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে পার পেয়ে যাবে তা হবে না। তার বিরুদ্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে শাস্তি নেওয়া না হলে চট্টলার মানুষ আন্দোলন কাকে বলে দেখিয়ে দেবে।
সংগঠনের সভাপতি আকরাম হোসেন সবুজের সভাপতিত্বে সাধারন সম্পাদক শাখাওয়াত স্বপনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্যে রাখেন মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য দেবাশীষ নাথ দেবু, আবুল হোসেন আবু, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি, এড.জিন্নাত সোহানা, মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক গোলাম ছামদানী জনী, নগর সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা এমকে আলম বাসেদ। প্রতিবাদ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল লতিফ, সাবেক সাংসদ ইসহাক মিয়ার কন্যা আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী জাহিদা বেগম পপি, চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, মহানগর যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য বেলায়েত হোসেন বেলাল, শাখাওয়াত হোসেন সাকু, কাজল প্রিয় বড়ুয়া, মো. সরওয়ার খান, আতিক উল্লাহ, নগর সেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সিরাজুল ইসলাম, মো. আলী চৌধুরী, জয়নুদ্দিন আহমেদ জয়, আরফাতুল মান্নান ঝিনুক, শহীদ মৌলভী সৈয়দ স্মৃতি সংসদের ওয়ার্ড সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে আবু তৈয়ব, মো. মহিউদ্দিন মেজবাহ উদ্দিন মাঈনু, ইঞ্জিনিয়ার তৈয়ব হোসেন রুবেল, জেবুন্নাহার, জহিরুল ইসলাম, জয় শংকর, সাইফুল করিম, মো. আফছার, দিদারুল আলম প্রধান, মহানগর ছ্ত্রালীগের সোহেল, রেজাউল করিম রিটন, ফাতেমা নাসরীন প্রিমা, সরওয়ার আলম টিটু, এমএ রুবেল, আবুল কালাম, রিফাতুল ইসলাম খোকন, সবুজ, কবির, মিঠু দাশ প্রমূখ
UkhiyaVoice24.Com
নারায়ণগঞ্জের বায়তুস সালাম জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণ হয়ে ইতোমধ্যে ১১ জন নিহত এবং প্রায় অর্ধ শতাধিক মুসল্লি গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সম্মানিত আমীর, হাটহাজারী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য মহাপরিচালক, শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী দা. বা.।
শনিবার (৫ই সেপ্টেম্বর ২০২০) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে আল্লামা শাহ আহমদ শফী দা.বা. বলেন, হাদীসে বর্ণিত আছে “মহান আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় স্থান হল মসজিদ”। মসজিদ দেশের মুসলিম জনগণের শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসার স্থান, আল্লাহর প্রিয় মেহমান মুসল্লীরা মসজিদে ইবাদত করতে যান।
নারায়ণগঞ্জে মসজিদে এসি বিস্ফোরণ হয়ে যে সমস্ত মুসল্লীয়ানে কেরাম নিহত এবং আহত হয়েছেন তাদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করছি। সাথে সাথে সবার জন্য দোয়া করছি, আল্লাহ সকল নিহতদের জান্নাতের উচ্চ মকাম এবং সকল আহতদের খুব তাড়াতাড়ি সুস্থতা দান করুক।
বিবৃতিতে আমীরে হেফাজত আরো বলেন, যদিও বাহ্যিকভাবে দেশের অনেক উন্নয়ন দেখা যাচ্ছে, তবে গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে এখনো উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। দেশের মসজিদ-মাদরাসা এবং দ্বীনি মারকাজগুলোর উন্নয়নে সরকার ও দেশের সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি সরকারের প্রতি ইঙ্গিত করে আরো বলেন, দেশের সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে, কারণ প্রতিটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সর্বস্তরের জনগণের সমাগম হয়ে থাকে। বিশেষ করে বৈদ্যুতিক এবং গ্যাস ব্যবস্থায় সরকারের কঠোর ভূমিকা থাকা প্রয়োজন।
আল্লামা আহমদ শফী আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জের এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত মুসল্লীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এই ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন সবাই শহিদের হুকুমে। আমি তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। সাথে সাথে উক্ত ঘটনায় আহত এবং নিহত সকলের পরিবারের প্রতি সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান করছি।
আমীরে হেফাজত দেশবাসীর প্রতি দোয়া চেয়ে বলেন, আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুক, আমার জন্য এবং সকল মাদারেসে কওমীয়্যার জন্য দোয়া করবেন।
মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম, বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি এবং
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির।
একজন টগবগে আলেম। বয়স এবং অভিজ্ঞতার তুলনায়
তার খ্যাতি, যশ ছড়িয়ে পড়েছে অনেক বেশি। আর দায়িত্ব? সেতো পাহাড় সমান। আমি চিন্তাও করত পারি না,
এতএত দায়িত্বের বোঝা মাথা নিয়ে তিনি আট
দশজনের মতো স্বাভাবিক জীবন যাপন করেন
কীভাবে!
সাম্প্রতিক তার একটি বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি
হয়েছে। চরমোনাইর সদ্যসমাপ্ত ফালগুনের
মাহফিলে প্রদান করা তার একটি ওয়াজের খন্ডাংশ ছড়িয়ে
পড়েছে সোস্যাল মিডিয়ায়। নিন্দুকরা বলার চেষ্টা
করছে, তিনি একজন সাহাবির সমালোচনা করেছেন।
তিনি মনের ভেতরে সাহাবিদের সম্পর্কে বিদ্বেষ
পোষণ করেন।
এ বিষয়ে সৈয়দ ফয়জুল করিম খুব দ্রুতো এক ভিডিও
বার্তা দিয়ে নিজের অবস্থান পরিস্কার করেছেন। তার
ওই ভিডিও বার্তা প্রকাশের পর আর কোনো ভুল
বোঝাবুঝির অবকাশ নেই। তিনি বা তাঁর দল, প্রতিষ্ঠান
নিয়ে নতুন কোনো বিতর্কের সুযোগ নেই।
আমি জানি সৈয়দ ফয়জুল করিম প্রচন্ড ব্যাস্ত একজন
মানুষ। নিজের সমাজ, সংসার, ব্যবসা তো আছেই।
সাথে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি, ইসলামী আন্দোলনসহ
আরো কতো কী। প্রতিদিন তাকে একাধিক মাহফিল
অথবা রাজনৈতিক প্রোগ্রাম করতে হয়। কতো বড়বড়
বোঝা মাথায় নিয়ে ঘুরতে হয় তা ভুক্তভুগি ছাড়া কারো
পক্ষে অনুমান করা সম্ভব নয়।
বিশেষ করে যখন চরমোনাইর মাহফিল হয়- এতবড়
দায়িত্ব, এত মানুষের জিম্মাদারি মাথায় নিয়ে সব কিছু ঠিকঠাক
পরিচালনা করা, বয়ান করা আমার কাছে কিছুটা অলৌকিকই
মনে হয়। সরাসরি আল্লাহর রহমত ছাড়া এই চাপ সহ্য করা
কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব বলে আমি মনে
করি না। সুতরাং ভুল হওয়া তার বা তাদের পক্ষে অবাস্তব
কোনো বিষয় নয়। তারাও সকল প্রকারের মানবিক
ত্রুটিপূর্ণ মানুষ। পার্থক্য হলো তারা যতো সহজে
মানবিক ত্রুটি দমন করতে পারেন,অন্যরা তা পারে না। এ
কারনেই তারা বিশেষভাবে সম্মানিত।