UkhiyaVoice24.Com
সিলেটে নব্য জেএমবি’র সেক্টর কমান্ডারসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। দাবি করা হচ্ছে, হযরত শাহজালাল (রহ:) মাজারে হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের।
পুলিশ জানায়, রবিবার রাতে নগরীর মিরাবাজারের উদ্দিপনের ৫১ নম্বর বাসা থেকে নব্য জেএমবি’র সিলেট আঞ্চলিক কমান্ডার ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাইমুজ্জামানকে আটক করা হয়।
পরে ঢাকা থেকে যাওয়া পুলিশের বিশেষ একটি দল, মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) ভোর পর্যন্ত শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আরও চার জনকে আটক করে। তাদের মধ্যে সাদিও শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আর সায়েম লেখাপড়া করে মদনমোহন কলেজে। বাকি দু’জনের বিষয়েও খোঁজখবর নিচ্ছে পুলিশ। সূত্র: যমুনা টিভি।
এসব বিষয়ে কিছুই জানানেই বলে জানান মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার জ্যোর্তিময় সরকার (মিডিয়া)।
একই কথা জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি
সভাপতিত্বে ও যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমদ সাকীর সঞ্চালনায় প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন আ’লীগের সহ-সভাপতি মাষ্টার খলিলুর রহমান, হ্নীলা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল হোসেন মেম্বার, ইউনিয়ন আ’লীগের সহ-সভাপতি ছালেহ আহমদ, মকতুল হোসেন, বশির আহমদ মেম্বার, আব্দুল গফ্ফর, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক সোলতানুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সম্পাদক আবু শমা, শ্রম সম্পাদক মমতাজ আহমদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম চৌধুরী, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক নুরুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ নুর মোহাম্মদ নুরু, স্বাস্থ ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডাঃ মধু কুমার শর্মা, অর্থ সম্পাদক ডাঃ সাইফ উদ্দিন খালেদ, সহ-অর্থ সম্পাদক মোঃ এমরান, সহ-দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ নুর, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তাসনিম মাহমুদ, ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আমিন কালু, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুফিজুর রহমান, ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আয়ুব খাঁন, সাধারণ সম্পাদক আনেয়ার হোসেন, ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কালাম আলম, সাধারণ সম্পাদক জলাল উদ্দিন, ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিক আদহাম, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মাষ্টার হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ কাসেম সাও:, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল হাশেম, সাধারণ সম্পাদক আবু সিদ্দিক, আওয়ামীলীগ নেতা আমান উল্লাহ সও., এমদাদ উল্লাহ, নুরুল ইসলাম, ছৈয়দ ওমর, জাহিদ হোসেন, রশিদ আহমদ, ইব্রাহিম খলিল, আবছার উদ্দিন, রশিদ আহমদ, মোঃ সেলিম, মোঃ তৈয়ব, মোঃ ইউছুফ, ২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি বেলাল উদ্দিন, হ্নীলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রফিক, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাছির প্রমূখ৷
আগামী ১৫ আগষ্ট সকাল ৭টায় খতমে কুরআন,
৮ টায় জাতীয় ও শোক পতাকা উত্তোলন, সকাল ৯টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ১১টায় হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে আলোচনা সভা ও দু’আ মাহফিল এবং কাঙ্গালী ভোজসহ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
হ্নীলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিপ্লবী সভাপতি, চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী অনুষ্ঠানের সুন্দর সমাপ্তির জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
র্যাব পরিচালক আশিক বিল্লাহ বলেন, যে ফোনালাপ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এটা র্যাবের নজরে এসেছে। এই ফোনালাপের বিষয়টি যাচাই-বাছাই করছি। যাচাই করার সাপেক্ষে তদন্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, এই মামলায় মোট ৯ জন আসামির নাম রয়েছে। এরমধ্যে ৭ জন আদালতে আত্মসমর্পন করেছে। বাকি দুজনের বিষয়ে আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি এই দুজনের নামে কোনো সদস্যের কথা উল্লেখ নেই।
র্যাব পরিচালক আশিক বিল্লাহ বলেন, যে ফোনালাপ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এটা র্যাবের নজরে এসেছে। এই ফোনালাপের বিষয়টি যাচাই-বাছাই করছি। যাচাই করার সাপেক্ষে তদন্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, এই মামলায় মোট ৯ জন আসামির নাম রয়েছে। এরমধ্যে ৭ জন আদালতে আত্মসমর্পন করেছে। বাকি দুজনের বিষয়ে আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি এই দুজনের নামে কোনো সদস্যের কথা উল্লেখ নেই।
গত বুধবার (০৫ জুলাই) রাতে সাবেক মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে প্রত্যাহার করা হয়।
এরআগে আদালতে সিনহার বোনের দায়ের করা মামলাটি টেকনাফ মডেল থানায় নিয়মিত হত্যা মামলা হিসেবে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রুজু হয়।
গত শুক্রবার ৩১ জুলাই ঈদের আগের রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্টে গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান (৩৬)।
ওসি প্রদীপ অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আগেভাগে ছুটি নিয়ে আত্মগোপনে গেলেও বাকি আসামীরা কক্সবাজার পুলিশ লাইনেই রয়েছে।
ওসি প্রদীপ পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেনি পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার গতকাল সকালে অসুস্থতাজনিত কারণ দেখিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করে থানা থেকে বের হয়ে যান।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি হিসেবে একি থানার ওসি (তদন্ত) এ.বি.এম.এস দোহা গত ৪ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল থেকে একই থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি (অফিসার ইনচার্জ) হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ওসি প্রদীপ কুমার দাশ গত ৪ আগস্ট মঙ্গলবার নিজেকে অসুস্থ হিসাবে উল্লেখ করে ছুটির আবেদন করলে তার ছুটির আবেদন মঞ্জুর করে এ.বি.এম.এস দোহাকে ওসি হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার) এ তথ্য জানিয়েছেন।
২০১৮ সালে টেকনাফ থানায় যোগ দিয়েছিলেন প্রদীপ কুমার দাস। উপ-পরিদর্শক বা এসআই হিসেবে পুলিশে যোগ দেন ১৯৯৫ সালে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৩১ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন ও নিরাপত্তা বিভাগ। একইভাবে তদন্তের স্বার্থে টেকনাফের বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকত আলিসহ ১৬ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এখন সবার প্রশ্ন , ওসি প্রদীপ কুমার দাস অসুস্থতার ডায়েরি লিখে কোন হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে আত্মগোপনে কেন? তার বিরুদ্ধে মামলা হবে এমন তথ্য কী আগেই জেনে গিয়েছিল ওসি খ্যাত প্রদীপ কুমার দাস।
আজ বুধবার সকাল ১১টা থেকে হাইয়াতুল উলিয়ার নিজস্ব কার্যালয়ে শুরু হওয়া বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। আল-হাইআতুল উলয়া বাংলাদেশের অফিস সম্পাদক, মাওলানা অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ২৩ জুলাই ১০টায় কওমী মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সম্মেলিলিত শিক্ষা বোর্ড (আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল-জা’মিয়াতিল কওমিয়া) জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়ছিলো। বৈঠকে আগামী ৮ আগস্ট ২০২০, শনিবার থেকে সারাদেশের সকল কওমি মাদরাসা খোলার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিলো।
আজ ৫ আগস্ট নতুন করে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কার্যক্রম আগামী ৮ আগস্ট চালু হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন হাইয়াতুল উলিয়া। সকালে হাইয়াতুল উলিয়া ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়।
(ক) আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এর পক্ষ হতে ৮ আগস্ট ২০২০, শনিবার থেকে দেশের সকল কওমি মাদরাসার শিক্ষাকার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আপাতত এ সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়। মাদরাসার শিক্ষাকার্যক্রম চালুর তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে, ইনশাআল্লাহ। এ ব্যাপারে আল-হাইআতুল উলয়া বাংলাদেশ এর পক্ষ হতে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
(খ) ৮ আগস্ট ২০২০, শনিবার দেশের সকল মাদরাসায় দু‘আর আয়োজন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, আল-হাইআতুল উলয়া বাংলাদেশের সদস্য মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, মাওলানা মুফতি মুহা. ওয়াক্কাস, মাওলানা মুহাম্মাদ নূরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল হামীদ, মাওলানা রুহুল আমীন, মাওলানা শামসুল হক, মাওলানা আব্দুল হালীম বুখারী, মহাসচিব মাওলানা আব্দুল বছীর, মাওলানা আরশাদ রাহমানী, মাওলানা মাহমুদুল আলম, মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, মহাসচিব মাওলানা মোহাম্মাদ আলী, মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হুজুর, মাওলানা ছফীউল্লাহ। মাওলানা মুছলিহুদ্দীন রাজু, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মুফতী নূরুল আমীন, মাওলানা উবায়দুর রহমান মাহবুব, মাওলানা মোস্তাক আহমদ, মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজী, মাওলানা আব্দুল জব্বার জেহাদী, মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়্যা।
উল্লেখ্য, কওমি মাদরাসাগুলোর কেন্দ্রীয় পরীক্ষা সাধারণত শাবানে অনুষ্ঠিত হয়। তবে এবার করোনা ভাইরাসের কারণে ১৮ মার্চ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। আলেমদের আবেদনের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১২ জুলাই থেকে সীমিত পরিসরে হিফজ বিভাগ খুলে দেয় সরকার। ৮ জুলাই এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপন জারি করে।
সারা দেশে ১৩ হাজার ৯০২টি কওমি মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৪ লাখ। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি মাদ্রাসা, ৪ হাজার ৫৯৯টি। সবচেয়ে কম বরিশালে, ১ হাজার ৪০টি। বেশির ভাগ মাদ্রাসাই মফস্বল এলাকায় অবস্থিত। এসব মাদ্রাসার শিক্ষকরা গত ৫মাস যাবত মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।