Blog

  • সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী বলেন।।। উখিয়া ভয়েস ২৪ ডটকম

    সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী বলেন।।। উখিয়া ভয়েস ২৪ ডটকম

    UkhiyaVoice24.Com

     

     

     

    কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলা আওয়ামিলীগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী”র ফেসবুক পোস্ট তুলে ধরা হল।

    ১০/০৮/১৯৭৫ রবিবার,
    তখন আমি কক্সবাজার কলেজের অধ্যাপক ছিলাম,সারা বাংলাদেশে চলছিল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড,যাকে বলতে হবে দুর্ভিক্ষ কবলিত দেশকে যেন নতুন করে প্রাণ ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা।
    দেশের প্রত্যেকটি মহকুমায় গভর্নর নিয়োগ হচ্ছে সাথে গভর্নরদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
    কক্সবাজারের আমার পরম শ্রদ্ধেয় ব্যাক্তি “জহিরুল ইসলাম” সাহেব তখন গভর্নর পদে প্রশিক্ষন এর জন্য ঢাকায় অবস্থান করছেন।ওইদিন খবর পেলাম মহকুমার পরে উপজেলা ভিত্তিক প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে,কয়েকদিনের ঢাকা যেতে হবে।বিকেল বেলা বেশকয়েক জন আওয়ামীলীগ নেতার কর্মীর সাথে দেখা হল একে অন্যের সাথে মতামত আদান প্রদান করলাম,সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হলো ১২/০৮/১৯৭৫,ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা দিব।এরমধ্যে আমার সাথে টেকনাফ, বাহারছডার পরম শ্রদ্ধেয় নেতা মরহুম শামসুদ্দিন(চেয়ারম্যান) সাহেবের সাথে দেখা হয়,ওনিও এই বিষয়ে অবগত আছেন,উনাকে আমাদের সাথে ঢাকা যাওয়ার কথা বললাম,উনি যাবেন বলে সম্মতি প্রকাশ করলেন।
    প্রত্যেক উপজেলা থেকে আওয়ামীলীগে নেতা কর্মী ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে,
    টেকনাফ উপজেলা থেকে শুধু আমি আর শামসুদ্দিন সাহেব ছিলাম।
    ১২/০৮/১৯৭৫ মঙ্গলবার
    সবার মাঝে যেন উৎসবে আমেজ কারণ বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা হবে,কথা হবে,নেতা কর্মীরা ৪/৫ জন করে কয়েকটা দলে ভাগ হয়ে গেলেন। আমরা সাথে ছিলেন চকরিয়ায়র গোলাম রাব্বানি সাহেব,রামুর বদি আলম সাহেব আর কক্সবাজারের কামাল হোসেন চৌধুরী সাহেব।
    অবশেষে ঢাকার উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু,,
    বাহন ছিল তৎকালীন কাঠ আর সিটের তৈরী বডির চেয়ার কোচ,তাও আবার একটি নয়,কয়েকটি পরিবর্তন করে পৌছাতে হবে।
    অনেকটা পথচলা কিন্তু কারো মাঝে যেন সেই ক্লান্তির চাপ নেই,গল্প আর রাজনৈতিক আলাপ চলছে সবার মাঝে।
    ১৩/০৮/১৯৭৫ বুধবার
    ঢাকায় পৌছে,তৎকালীন “হোটেল সালিমারে” উঠলাম আমরা। বিকেলে ধানমন্ডি ৩২নাম্বার “বঙ্গবন্ধুর” বাসার দিকে গেলাম অনেক কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে দেখা হল একে অপরের খোজ খবর নিচ্ছিলেন,তখন “বঙ্গবন্ধু” বাসায় ছিলেন না একটি মিটিং ছিলেন।প্রায় রাত 8 টার দিকে হোটেলে ফিরে আসি,
    কক্সবাজারের আরো কিছু নেতা কর্মী ছিলেন হোটেল সম্রাটে।
    “১৪/০৮/১৯৭৫ বৃহস্পতিবার”
    দুপুর বেলা হোটেল থেকে বের হয়ে হোটেল সম্রাটের দিকে গেলাম,তখনো “বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করার সিডিউল ঠিক হয়নি। ঢাকায় অবস্থানরত কক্সবাজারের নেতা কর্মী সবাই আছেন,সিডিউল এর ব্যপারে কে কি শুনছে তা একে অপরকে বলতেছেন,হঠাৎ দেখতে পেলাম তৎকালীন মুসলিম লীগের দুজন অন্যতম নেতা হ্নীলার আব্দুল গফুর চৌধুরী আর কুতুবদিয়ার জালাল আহমেদ চৌধুরী কে,
    উনাদের দেখার পর আমাদের সবার যেন কৌতুহল বেড়ে গেল,কি জন্য বা কি কারনে ঢাকায় আসলো?
    আব্দুল গফুর চৌধুরীর সাথেই সেইদিন আমার কথা হয়নি,তবে জানতে পারলাম কক্সবাজারের একজন সিনিয়র নেতার মাধ্যমে “বাকশালে” যোগদান করতে এসেছে।
    রাতে হোটেল ফিরে এলাম,ঘুমানোর আগে অনেকটা দুঃখ ভরা মন নিয়ে একজন বলে উঠলো “দেখেছ মানুষ স্বার্থের জন্য কতকিছু করতে পারে,যারা মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ছিল,যারা এই দেশের স্বাধীনতা বিরোধী ছিল,যারা বঙ্গবন্ধুর বিরোধী ছিল,তারা আজ আবার বঙ্গবন্ধুর বাকশালে যোগদান করতে এসেছে!!
    ১৫/০৮/১৯৭৫ শুক্র বার
    যে রাত্রি আমার অতিবাহিত করে আসলাম সেটি ছিল ভয়ানক,কলংকিত ঘুটঘুটে আধারে ঢ়াকা একটি কাল রাত।
    সকাল ৭টা কি ৮টা হোটেল সালিমারের একজন বয় রুমের দরজায় এসে চিৎকার দিতে দিতে বললেন: সাহেবরা উঠেন,সাহেবরা উঠেন,বাংলাদেশ কে শেষ করে ফেলছে ওরা বঙ্গবন্ধুকে মেরে ফেলেছে!!
    আমরা সবাই তাড়াতাড়ি রুম থেকে বের হয়ে রিসিপশনের দিকে গেলাম সিলেটের এক ভদ্রলোক রেডিও নিয়ে খবর শোনছেন আর চোখ দিয়ে অবিরত পানি পড়ছিল।
    তখনো আমাদের বিশ্বাস হচ্ছিল না যে বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে আর নেই,কতক্ষণ আর আবেগকে দমিয়ে রাখব,সেইদিনের সেই কঠিন বাস্তবতা আমাদের হার মানিয়েছিল,তবে আমরা মেনেনিতে পারিনি যে বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই।
    হোটেল থেকে বের হলাম কিন্তুু কোথাও যাওয়া যাচ্ছে না রাস্তায় যানবাহন নেই শুধু সেনাবাহিনীর গাড়ি আর কামানবাহী টেংকার
    সমস্ত জায়গায় কার্ফিউ।নিস্তব্ধ ঢাকা শহর আর রক্তে রঞ্জিত সেই ধানমন্ডির ৩২ নং বাড়ীটি,
    শ্রাবনের বৃষ্টিতে যেন বঙ্গবন্ধুর রক্ত রাজপথে গড়িয়ে যাচ্ছে।ভাবতে পারিনি আমাদের আনন্দ রক্তস্রোতে ভেসে যাবে,ভাবতে পারিনি আমরা অভিবাবক হীন হবো।আমাদের একটি মিনিট পারহচ্ছে যেন বিভিষীকাময় কয়েকটি বছরের মত থামানো যাচ্ছেনা অস্রুজল।পরের দিনই কার্ফিউ বের হতে পারছিনা ৪/৫ জনের জমায়েত পেলে সেনাবাহিনীর লাঠিপেটা আর বেপরোয়া নির্যাতন মনে হচ্ছে যেন একটি স্বাধীন দেশ হায়েনার রাজ্যে পরিনত হল।
    হোটেলের লবিতে পায়চারী আর নতুন কাউকে দেখলে জিজ্ঞাসা করি কোন কিছু জানেন কিনা বা কোনকিছু শুনছেন কিনা?দিন গড়িয়ে যেন রাত আসতেছে না,আমারা অনেকটা দিশেহারা,মনে হচ্ছে মধ্য সাগরে নাবিক হীন একটি তরী তে আমরা ভাসছি।
    ১৭/০৮/১৯৭৫ রবিবার,
    সকালে আমরা সাহস করে দুই জন বের হলাম বাকি দুজন একটু পরে বের হলেন,প্রথমে গেলাম হোটেল সম্রাটে,হোটেলে ঢুকতে দেখলাম আব্দুল গফুর চৌধুরী রিসিপশনের সামনে বসে আছে,আমাকে দেখা মাত্র একটা অট্টহাসি দিয়ে বললেন
    মো:আলী “আমারা যা চেয়েছিলাম তা পেয়েছি””আর ইংরেজীতে বললেন “”Right time right step”
    খুবই খারাপ লাগলো এই কথা গুলো শোনার পর,আমি কিছু না বলে হোটেল থেকে বের হয়ে গেলাম সাথে বাকি তিন জন।
    কে কোথায় আছে কিছুই জানি না আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম কক্সবাজার ফিরে আসবো তবে কিভাবে?
    আমরা দুজন করে হাটতে থাকলাম নিজেকে তখন অনেক বেশী কাপুরুষ মনে হচ্ছিলো কারণ বঙ্গবন্ধুকে ওরা শেষ করে ফেললো আর আমাদের চোখের সামনে হায়নারা উল্লাস করছে।
    হাটতে হাটতে দাউদকান্দি পর্যন্ত এলাম চারদিকে নিরবতা কয়েক ঘন্টা পর দুই একটি গাড়ি দেখা যাচ্ছে,,কখনো হাটছি আবার কখনো রিকসা বা ভ্যান আবার কখনো চান্দের গাড়ি,এমন করতে করতে দুইদিন পর কক্সবাজার এসে পোচালাম।কক্সবাজার কলেজ ক্যম্পাসে এসে পতিবাদ মিছিল করে ছিলাম,দেখলাম স্বাধীনতার পক্ষ শক্তি কাঁদছে আর সেই দিনের কুলাঙ্গার বিপক্ষ শক্তি উল্লাসে মেতে উঠেছে।
    ১৯৭৬, তৎকালীন জিয়াউর রহমান একটি জেনারেল অর্ডার জারি করলেন যাতে লিখা ছিল secure arrest atlist two “Awaime gonda elements” in every tana
    আর এই অর্ডারে আমাকে দোষী সাবস্ত করা হয়।বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে মিছিল আর আওয়ামী গোন্ডা আক্ষিত করে আওয়ামী রাজনীতি করার অপরাধে আমাকে কলেজ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।তবে গর্ববোধ করি রাজনীতি আর প্রতিবাদ করার জন্য চাকরিচ্যুত
    হলাম।
    সেইদিনের খুনিদের উদ্দেশ্যে বলছি “তোমার পেরেছ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে কিন্তুু তোমারা পারোনি তার আদর্শ এই দেশ থেকে মুছে দিতে”

    আজও আছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান৷ দীর্ঘ দেহ, সফেদ
    পাজামা-পাঞ্জাবি, কালো মুজিব কোট,পেছনে আচড়ানো কাঁচা-পাকা চুল, কালো মোটা ফ্রেমের
    চশমা, হাতে পাইপ,শুধু সে পাইপ থেকে এডিনমুর’স তামাকের
    সুবাস বের হয় না৷

    যতদিন রবে পদ্মা,মেঘনা,গৌরী,যমুনা আবহমান ততদিন রবে কৃর্তি
    তোমার শেখ মুজিবুর রহমান “”

    অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী
    সাবেক সংসদ সদস্য,
    উখিয়া -টেকনাফ,
    সভাপতি
    টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগ।

  • জাতীয় শোক দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছে উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক

    জাতীয় শোক দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছে উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক

    উখিয়া ভয়েস 24 ডটকম  

     

     

     

    আব্দুল হক

    ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস পালনের জন্য উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ,শ্রমিক লীগ ,ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের যৌথ উদ্যেগে উখিয়া সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় হল রুমে জাতীয় শোক দিবসের বিভিন্ন কর্মসুচী হাতে নেওয়া হয়েছে।

    সময়সূচিঃ

    ভোর ৬ টায় উখিয়া ষ্টেশন জামে মসজিদে কোরআন খতম।
    ★সকাল ৭টায় কালো ব্যাচ ধারণ।
    ★সকাল ৯টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনির্মিত উত্তোলন।
    ★সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ।
    ★সকাল ১১টায় উখিয়া সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় হলরুমে শোক দিবসের আলোচনা সভা।
    ★দুপুর ১টায় গণভোজ।

     

    Team Jkc

  • ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালনে হ্নীলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি সভা অনূস্হিত=উখিয়া ভয়েস 24 ডটকম

    ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালনে হ্নীলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি সভা অনূস্হিত=উখিয়া ভয়েস 24 ডটকম

     

    উখিয়া ভয়েস 24 ডটকম

     

    ওসমান আল হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।

     

    কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়ন শাখা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আাগামী ১৫ আগষ্ট’২০ বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত।

    গতকাল মঙ্গলবার (১১ আগষ্ট)সন্ধায় হ্নীলা দরগাস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রাশেদ মাহমুদ আলী সিলেটে ৫ জঙ্গী আটক: শাহজালাল মাজারে হামলার পরিকল্পনা

    সিলেটে নব্য জেএমবি’র সেক্টর কমান্ডারসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। দাবি করা হচ্ছে, হযরত শাহজালাল (রহ:) মাজারে হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের।

    পুলিশ জানায়, রবিবার রাতে নগরীর মিরাবাজারের উদ্দিপনের ৫১ নম্বর বাসা থেকে নব্য জেএমবি’র সিলেট আঞ্চলিক কমান্ডার ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাইমুজ্জামানকে আটক করা হয়।

    পরে ঢাকা থেকে যাওয়া পুলিশের বিশেষ একটি দল, মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) ভোর পর্যন্ত শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আরও চার জনকে আটক করে। তাদের মধ্যে সাদিও শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আর সায়েম লেখাপড়া করে মদনমোহন কলেজে। বাকি দু’জনের বিষয়েও খোঁজখবর নিচ্ছে পুলিশ। সূত্র: যমুনা টিভি।

    এসব বিষয়ে কিছুই জানানেই বলে জানান মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার জ্যোর্তিময় সরকার (মিডিয়া)।

    একই কথা জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি

    সভাপতিত্বে ও যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমদ সাকীর সঞ্চালনায় প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন আ’লীগের সহ-সভাপতি মাষ্টার খলিলুর রহমান, হ্নীলা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল হোসেন মেম্বার, ইউনিয়ন আ’লীগের সহ-সভাপতি ছালেহ আহমদ, মকতুল হোসেন, বশির আহমদ মেম্বার, আব্দুল গফ্ফর, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক সোলতানুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সম্পাদক আবু শমা, শ্রম সম্পাদক মমতাজ আহমদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম চৌধুরী, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক নুরুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ নুর মোহাম্মদ নুরু, স্বাস্থ ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডাঃ মধু কুমার শর্মা, অর্থ সম্পাদক ডাঃ সাইফ উদ্দিন খালেদ, সহ-অর্থ সম্পাদক মোঃ এমরান, সহ-দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ নুর, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তাসনিম মাহমুদ, ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আমিন কালু, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুফিজুর রহমান, ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আয়ুব খাঁন, সাধারণ সম্পাদক আনেয়ার হোসেন, ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কালাম আলম, সাধারণ সম্পাদক জলাল উদ্দিন, ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিক আদহাম, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মাষ্টার হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ কাসেম সাও:, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল হাশেম, সাধারণ সম্পাদক আবু সিদ্দিক, আওয়ামীলীগ নেতা আমান উল্লাহ সও., এমদাদ উল্লাহ, নুরুল ইসলাম, ছৈয়দ ওমর, জাহিদ হোসেন, রশিদ আহমদ, ইব্রাহিম খলিল, আবছার উদ্দিন, রশিদ আহমদ, মোঃ সেলিম, মোঃ তৈয়ব, মোঃ ইউছুফ, ২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি বেলাল উদ্দিন, হ্নীলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রফিক, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাছির প্রমূখ৷
    আগামী ১৫ আগষ্ট সকাল ৭টায় খতমে কুরআন,
    ৮ টায় জাতীয় ও শোক পতাকা উত্তোলন, সকাল ৯টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ১১টায় হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে আলোচনা সভা ও দু’আ মাহফিল এবং কাঙ্গালী ভোজসহ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
    হ্নীলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিপ্লবী সভাপতি, চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী অনুষ্ঠানের সুন্দর সমাপ্তির জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

  • টেকনাফে চলমান মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে- ওসি ফয়সাল।।। উখিয়া ভয়েস24ডটকম

    টেকনাফে চলমান মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে- ওসি ফয়সাল।।। উখিয়া ভয়েস24ডটকম

    উখিয়া ভয়েস 24 ডটকম

     

     

     

    টেকনাফ প্রতিনিধি।

    কক্সবাজার জেলার টেকনাফে চলমান মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে ,জানিয়েছেন নবাগত ওসি আবুল ফয়সাল

    তিনি আরো বলেন মাদক কারবারি ও অপারাধী ছাড়া সকল মানুষের জন্য টেকনাফ থানা উম্মুক্ত থাকবে।

    সাংবাদিকদের জন্য নিউজের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার ব্যবস্থা দেওয়া হবে বলে জানান, নতুন ওসি আবুল ফয়সাল।

  • ওসি প্রদীপ-এসপি মাসুদের ফোনালাপ প্রকাশ, খতিয়ে দেখছে র‍্যাব।।। উখিয়া ভয়েস ২৪ ডটকম

    ওসি প্রদীপ-এসপি মাসুদের ফোনালাপ প্রকাশ, খতিয়ে দেখছে র‍্যাব।।। উখিয়া ভয়েস ২৪ ডটকম

    খিয়া য়েস 24 ডটক  

     

     

    নিজস্ব প্রতিবেদক

     

    অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ ও কক্সবাজারের এসপি মাসুদ হোসেনের যে ফোনালাপ গণমাধ্যমে প্রচার হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে র‌্যাব। প্রয়োজনে এসপিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

    শনিবার (০৭ আগস্ট) বিকেলে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে.কর্নেল আশিক বিল্লাহ এ তথ্য জানান।

    র‍্যাব পরিচালক আশিক বিল্লাহ বলেন, যে ফোনালাপ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এটা র‍্যাবের নজরে এসেছে। এই ফোনালাপের বিষয়টি যাচাই-বাছাই করছি। যাচাই করার সাপেক্ষে তদন্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    তিনি আরো বলেন, এই মামলায় মোট ৯ জন আসামির নাম রয়েছে। এরমধ্যে ৭ জন আদালতে আত্মসমর্পন করেছে। বাকি দুজনের বিষয়ে আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি এই দুজনের নামে কোনো সদস্যের কথা উল্লেখ নেই।

  • ওসি প্রদীপ-এসপি মাসুদের ফোনালাপ প্রকাশ, খতিয়ে দেখছে র‍্যাব।।। উখিয়া ভয়েস ২৪ ডটকম

    ওসি প্রদীপ-এসপি মাসুদের ফোনালাপ প্রকাশ, খতিয়ে দেখছে র‍্যাব।।। উখিয়া ভয়েস ২৪ ডটকম

    উখিয়া ভয়েস ২৪ ডটকম

     

     

     

    নিজস্ব প্রতিবেদক

     

    অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ ও কক্সবাজারের এসপি মাসুদ হোসেনের যে ফোনালাপ গণমাধ্যমে প্রচার হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে র‌্যাব। প্রয়োজনে এসপিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

    শনিবার (০৭ আগস্ট) বিকেলে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে.কর্নেল আশিক বিল্লাহ এ তথ্য জানান।

    র‍্যাব পরিচালক আশিক বিল্লাহ বলেন, যে ফোনালাপ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এটা র‍্যাবের নজরে এসেছে। এই ফোনালাপের বিষয়টি যাচাই-বাছাই করছি। যাচাই করার সাপেক্ষে তদন্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    তিনি আরো বলেন, এই মামলায় মোট ৯ জন আসামির নাম রয়েছে। এরমধ্যে ৭ জন আদালতে আত্মসমর্পন করেছে। বাকি দুজনের বিষয়ে আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি এই দুজনের নামে কোনো সদস্যের কথা উল্লেখ নেই।

  • নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ফাত্রাঝিরি বিশাল ঝড়না।।। উখিয়া ভয়েস ২৪ ডটকম

    নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ফাত্রাঝিরি বিশাল ঝড়না।।। উখিয়া ভয়েস ২৪ ডটকম

    খিয়া ভয়েস 24 ডটক

     

    বাংলাদেশের বর্ডার মায়ানমার সিমান্ত পার্শ্ববর্তী, পার্বত্য জেলা বান্দরবান এর নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৩নং ঘুমধুম ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ফাত্রাঝিরি বিজিবি ক্যাম্প থেকে উত্তর পূর্ব দিকে অন্তত ৩ কিলোমিটার দূরান্ত বিশাল পাহাড় ও নদী পার হয়ে বিশাল ঝড়নায় পরিনত হয়।

    ঐ ঝড়নাতে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত নারী পুরুষ দেখতে ভ্রমণ করতে যায়।
    কিন্তু ঐ ঝড়নায় কোন নিরাপদ নাই বলে যনান ভ্রমণকারীরা।
    ঐ ঝড়নাতে হতে পারে সন্ত্রাসী ও ডাকাতি, যেখানে নিরাপত্তা নেই সেখানে ভ্রমণ করা যায় না।

     

     

    মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন

  • টেকনাফের আলোচিত ওসি প্রদীপ গ্রেফতার।।। উখিয়া ভয়েস 24 ডটকম

    টেকনাফের আলোচিত ওসি প্রদীপ গ্রেফতার।।। উখিয়া ভয়েস 24 ডটকম

    UkhiyaVoice24.Com

     

     

    ওসমান আল হুমা, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি

    উপপরিদর্শক হিসেবে ১৯৯৫ সালপ পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেয়। একাধিকবার রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) পেয়েছেন তিনি।
    প্রদীপ কুমার দাশ ২০১৯ সালে পুলিশের সর্বোচ্চ পদক বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) পান।
    টেকনাফ মডেল থানায় ওসি হিসেবে যোগ দেন ২০১৮ সালে। দীর্ঘ গৌরবোজ্জ্বল অতীতের বিষাদময় সমাপ্তি।
    নানা নাটকীয়তার মধ্যদিয়ে চট্টগ্রাম থেকে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে বৃহস্পতিবার (০৬ আগস্ট) পুলিশের গুলিতে সাবেক মেজর সিনহা নিহতের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে ।

    গত বুধবার (০৫ জুলাই) রাতে সাবেক মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে প্রত্যাহার করা হয়।

    এরআগে আদালতে সিনহার বোনের দায়ের করা মামলাটি টেকনাফ মডেল থানায় নিয়মিত হত্যা মামলা হিসেবে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রুজু হয়।
    গত শুক্রবার ৩১ জুলাই ঈদের আগের রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্টে গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান (৩৬)।

  • ওসি প্রদীপ পালানোর গুঞ্জন চারিদিকে ৯ জনের বিরুদ্ধে নিজ থানাতেই গ্রেফতারী পরোয়ানা।।। উখিয়া ভয়েস 24 ডটকম

    ওসি প্রদীপ পালানোর গুঞ্জন চারিদিকে ৯ জনের বিরুদ্ধে নিজ থানাতেই গ্রেফতারী পরোয়ানা।।। উখিয়া ভয়েস 24 ডটকম

    উখিয়া ভয়েস 24 ডটকম

     

     

     

    ওসমান আল হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।

     

    সেনাবাহিনীর মেজর (অব:) সিনহা হত্যা মামলার আসামী টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস পালিয়ে গেছে! তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ওসি প্রদীপ কোথায় আছে সে ব্যাপারে কোন তথ্য কক্সবাজার পুলিশের কাছে নেই! ওসি প্রদীপ নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় খোদ পুলিশ প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। নানা গুঞ্জন, গুজব ডালপালা ছড়াচ্ছে।
    আদালতের নির্দেশে বুধবার (৫ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টার দিকে টেকনাফ থানায় ওসি প্রদীপসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা রুজু করা হয়। মামলা নম্বর সিআর : ৯৪/২০২০ ইংরেজি (টেকনাফ)। দন্ডবিধি ৩০২, ২০১ ও ৩৪ জামিন অযোগ্য ধারায় মামলাটি নথিভুক্ত হওয়ায় সকল আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।

    ওসি প্রদীপ অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আগেভাগে ছুটি নিয়ে আত্মগোপনে গেলেও বাকি আসামীরা কক্সবাজার পুলিশ লাইনেই রয়েছে।
    ওসি প্রদীপ পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেনি পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার গতকাল সকালে অসুস্থতাজনিত কারণ দেখিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করে থানা থেকে বের হয়ে যান।

    টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি হিসেবে একি থানার ওসি (তদন্ত) এ.বি.এম.এস দোহা গত ৪ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল থেকে একই থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি (অফিসার ইনচার্জ) হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
    ওসি প্রদীপ কুমার দাশ গত ৪ আগস্ট মঙ্গলবার নিজেকে অসুস্থ হিসাবে উল্লেখ করে ছুটির আবেদন করলে তার ছুটির আবেদন মঞ্জুর করে এ.বি.এম.এস দোহাকে ওসি হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার) এ তথ্য জানিয়েছেন।
    ২০১৮ সালে টেকনাফ থানায় যোগ দিয়েছিলেন প্রদীপ কুমার দাস। উপ-পরিদর্শক বা এসআই হিসেবে পুলিশে যোগ দেন ১৯৯৫ সালে।
    প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৩১ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন ও নিরাপত্তা বিভাগ। একইভাবে তদন্তের স্বার্থে টেকনাফের বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকত আলিসহ ১৬ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

    এখন সবার প্রশ্ন , ওসি প্রদীপ কুমার দাস অসুস্থতার ডায়েরি লিখে কোন হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে আত্মগোপনে কেন? তার বিরুদ্ধে মামলা হবে এমন তথ্য কী আগেই জেনে গিয়েছিল ওসি খ্যাত প্রদীপ কুমার দাস।

  • ৮ আগস্ট কওমি মাদরাসা শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার সিদ্ধান্ত স্থগিত করলো হাইআতুল উলিয়া।।। উখিয়া ভয়েস 24 ডটকম

    ৮ আগস্ট কওমি মাদরাসা শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার সিদ্ধান্ত স্থগিত করলো হাইআতুল উলিয়া।।। উখিয়া ভয়েস 24 ডটকম

    উখিয়া ভয়ের 24 ডটকম

     

     

    ওসমান আল হুমাম,কক্সবাজার প্রতিনিধি।  

     

    কুরবানী ঈদের আগে কওমী মাদ্রাসা খোলার সিদ্ধান্তে দেশের ১৪ লাখ কওমী শিক্ষার্থীর বিষন্নতা খানেকটা শিথিল হয়েছিল। আজ আবারো বন্ধের দিনক্ষন বাড়াল কওমী মাদ্রাসা নীতি নির্ধারক কতৃপক্ষ।
    পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ৮ আগস্ট কওমি মাদরাসা খোলার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে কওমি মাদরাসা সম্মিলিত শিক্ষাবোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ।

    আজ বুধবার সকাল ১১টা থেকে হাইয়াতুল উলিয়ার নিজস্ব কার্যালয়ে শুরু হওয়া বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। আল-হাইআতুল উলয়া বাংলাদেশের অফিস সম্পাদক, মাওলানা অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    গত ২৩ জুলাই ১০টায় কওমী মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সম্মেলিলিত শিক্ষা বোর্ড (আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল-জা’মিয়াতিল কওমিয়া) জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়ছিলো। বৈঠকে আগামী ৮ আগস্ট ২০২০, শনিবার থেকে সারাদেশের সকল কওমি মাদরাসা খোলার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিলো।

    আজ ৫ আগস্ট নতুন করে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কার্যক্রম আগামী ৮ আগস্ট চালু হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন হাইয়াতুল উলিয়া। সকালে হাইয়াতুল উলিয়া ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়।

    (ক) আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এর পক্ষ হতে ৮ আগস্ট ২০২০, শনিবার থেকে দেশের সকল কওমি মাদরাসার শিক্ষাকার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আপাতত এ সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়। মাদরাসার শিক্ষাকার্যক্রম চালুর তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে, ইনশাআল্লাহ। এ ব্যাপারে আল-হাইআতুল উলয়া বাংলাদেশ এর পক্ষ হতে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

    (খ) ৮ আগস্ট ২০২০, শনিবার দেশের সকল মাদরাসায় দু‘আর আয়োজন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

    আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, আল-হাইআতুল উলয়া বাংলাদেশের সদস্য মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, মাওলানা মুফতি মুহা. ওয়াক্কাস, মাওলানা মুহাম্মাদ নূরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল হামীদ, মাওলানা রুহুল আমীন, মাওলানা শামসুল হক, মাওলানা আব্দুল হালীম বুখারী, মহাসচিব মাওলানা আব্দুল বছীর, মাওলানা আরশাদ রাহমানী, মাওলানা মাহমুদুল আলম, মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, মহাসচিব মাওলানা মোহাম্মাদ আলী, মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হুজুর, মাওলানা ছফীউল্লাহ। মাওলানা মুছলিহুদ্দীন রাজু, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মুফতী নূরুল আমীন, মাওলানা উবায়দুর রহমান মাহবুব, মাওলানা মোস্তাক আহমদ, মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজী, মাওলানা আব্দুল জব্বার জেহাদী, মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়্যা।

    উল্লেখ্য, কওমি মাদরাসাগুলোর কেন্দ্রীয় পরীক্ষা সাধারণত শাবানে অনুষ্ঠিত হয়। তবে এবার করোনা ভাইরাসের কারণে ১৮ মার্চ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। আলেমদের আবেদনের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১২ জুলাই থেকে সীমিত পরিসরে হিফজ বিভাগ খুলে দেয় সরকার। ৮ জুলাই এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপন জারি করে।
    সারা দেশে ১৩ হাজার ৯০২টি কওমি মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৪ লাখ। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি মাদ্রাসা, ৪ হাজার ৫৯৯টি। সবচেয়ে কম বরিশালে, ১ হাজার ৪০টি। বেশির ভাগ মাদ্রাসাই মফস্বল এলাকায় অবস্থিত। এসব মাদ্রাসার শিক্ষকরা গত ৫মাস যাবত মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।