Blog

  • বাঁশখালীতে রাসুল (সা:)কে নিয়ে শাহেদ নামে এক যুবকের কটুক্তি,থানায় মামলা

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি :

    বাঁশখালীর বাহারছড়ায় শাহেদ নামে এক যুবক রাসুল (সা:) কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলা নং ৩৪ তারিখ, ২৯.০১.২০২৩। এই ঘটনায় পুলিশ এমটি মোরশেদ তালুকদার নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। সে বাহারছাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড দিঘীরপাড় এলাকার নাজিম উদ্দীনের পুত্র।
    এই ঘটনায় মুল অভিযুক্ত শাহেদ বিন কাশেম উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের দিঘিরপাড়া এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দিলে প্রশাসন তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণ করার পাশাপাশি অভিযুক্ত শাহেদকে দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস ও মামলা রুজু করে। গত শনিবার বিকেলে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা বাহারছড়া বশির উল্লাহ মিয়াজী বাজার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে। খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার কামরুল হাছান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুজ্জামান চৌধুরী ও ওসি কামাল উদ্দীন পিপিএম এর নেতৃত্বে প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌছে নিজেরাই বক্তব্য রেখে জনতাকে শান্ত করেন। তারা শাহেদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে আইন হাতে তুলে না নিতে জনতার প্রতি আহবান জানান। জনগন প্রশাসনের আশ্বাসে রাজী হয়ে বিক্ষোভ স্থগিত করে। পরে বাহারছড়া বড় মাদরাসার পরিচালক মাওলানা নুর মোহাম্মদ সাহেবের ছেলে মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা ওসমান গণি বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় তথ্য প্রযুক্তি আইন ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ জানায়, শাহেদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ে তাকে গ্রেফতার করা হবে।
    জানা গেছে, গত শুক্রবার শাহেদ বিন কাশেম নামের এক যুবক তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে হযরত মোহাম্মদ (সা:) কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস দেন। এতে স্থানীয়রা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এর প্রতিবাদে গত শনিবার বাহারছড়া ইউনিয়নের বশির উল্লাহ মিয়াজীর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল বের করে স্থানীয় জনতা। তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ সমাবেশ স্থলে হাজির হন আনোয়ারা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) কামরুল সুমন, বাঁশখালী থানার ওসি মো. কামাল উদ্দিন, ইউএনও সাঈদুজ্জামান চৌধুরী।

    ছবি ক্যাপশন (১), বাঁশখালীতে প্রিয় নবী (সাঃ) কে কটুক্তি মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার এমটি মোরশেদ তালুকদার।

  • স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি : যে ফর্মুলায় স্মার্ট বাংলাদেশ

    স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি : যে ফর্মুলায় স্মার্ট বাংলাদেশ

    ডেস্ক রিপোর্ট

    ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবে। এবার টার্গেট স্মার্ট বাংলাদেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ারও প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি- এই চারটি ভিত্তির ওপর গড়ে তোলা হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। এ লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত হচ্ছে। প্রস্তুত হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশের রোডম্যাপ। আর রোডম্যাপ চূড়ান্তকরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে টাস্কফোর্স। ইতোমধ্যে টাস্কফোর্স কাজও শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।

    ডিজিটাল বাংলাদেশ উদযাপন অনুষ্ঠানে গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রাধান্য পাচ্ছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার অঙ্গীকার। যা এরই মধ্যে নজর কেড়েছে সবার। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক থেকে শুরু করে প্রতিটি নেতাকর্মী তাদের বক্তব্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কথা বলছেন। কিন্তু সবার মধ্যে প্রশ্ন- কীভাবে হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’? রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি থেকে সাধারণ মানুষের এই কৌতূহলের জবাব দিতে প্রস্তুত বর্তমান ডিজিটাল প্রশাসন এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার।

    সূত্র জানায়, স্মার্ট বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়নের জন্য আগের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’কে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গত বছরের ১৬ আগস্ট টাস্কফোর্সের গেজেট প্রকাশ করে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে টাস্কফোর্সের সদস্য সংখ্যা ৩০। এছাড়া সরকারের পাঁচজন মন্ত্রী, একজন প্রতিমন্ত্রী এই টাস্কফোর্সের সদস্য। মন্ত্রীরা হলেন- অর্থ, শিক্ষা, পরিকল্পনা, বাণিজ্য এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রীও এর সদস্য। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বাংলাদেশ টেলিযাগোযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ফর সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের (বেসিস) সভাপতি, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি, ই-ক্যাব সভাপতি, এটুআই প্রোগ্রামের পরামর্শক আমীর চৌধুরী, জাতীয় টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব কল সেন্টার এন্ড আউটসোর্সিংয়ের সভাপতি, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স এসোসিয়শেন অব বাংলাদেশের সভাপতি এবং হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এই টাস্কফোর্সের সদস্য থাকবেন।

    সূত্র জানায়, গত বছরের ২০ মার্চ ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের তৃতীয় সভায় ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এর রূপরেখা তৈরির নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। ওই সভায় আত্মকর্মসংস্থানভিত্তিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, শিক্ষার্থীদের জন্য (ওয়ান স্টুডেন্ট, ওয়ান ল্যাপটপ, ওয়ান ড্রিম’র আওতায়) ল্যাপটপ সহায়তা, ডিজিটাল সার্ভিস, সব ডিজিটাল সেবাকে কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বিত ক্লাউডে নিয়ে আসা এবং ডেটা নিরাপত্তা, ডিজিটাল লিডারশিপ একাডেমি স্থাপনসহ স্মার্ট বাংলাদেশের মোট ১৪টি কনসেপ্ট পেপার বা ধারণাপত্র উপস্থাপন করা হয়।

    টাস্কফোর্সের প্রথম সভায় ২৬ সিদ্ধান্ত : গত ১৩ নভেম্বর টাস্কফোর্সের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ২৬টি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ সফলভাবে বাস্তবায়ন হওয়ায় এ অর্জনটি সারাদেশে উদযাপন হবে। যা বাস্তবায়ন করবে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক স্মার্ট বাংলাদেশের কর্মপরিকল্পনা সারাদেশে ব্যাপকভাবে প্রচার করবে। সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার জাতীয় ওয়েব পোর্টাল হালনাগাদ করা হবে। দুর্গম অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করার উদ্যোগ নেবে বিটিআরসি। বাংলাদেশের আইসিটি খাতের অর্জন আন্তর্জাতিক মণ্ডলে ব্র্যান্ডিং করা হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে দক্ষ জনবল তৈরির জন্য এ আই, ডিজিটাল সিকিউরিটি, ফোর আইআর, বিগ ডাটা, ব্লক চেইন, রোবোটিক্স ও টট ইত্যাদি বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামে অর্ন্তভুক্ত করা হবে।

    ফাইভ জি সেবা চালুর পাশাপাশি ২০২৫ সালের মধ্যে ব্যান্ডউইথের চাহিদা বিবেচনায় চতুর্থ সাবমেরিন ক্যাবলে সংযোগের ব্যবস্থা নেয়া হবে। পিছিয়ে পড়া ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীতে উন্নয়ন মূলধারায় নিয়ে আসতে আত্মকর্মসংস্থানভিত্তিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম নেয়া হবে। ক্ষুদ্র, কুটির, ছোট, মাঝারি ব্যবসাগুলোর জিডিপিতে অবদান বাড়াতে এন্টারপ্রাইজভিত্তিক ব্যবসাগুলোকে বিনিয়োগ উপযোগী স্টার্টআপ হিসেবে প্রস্তুত করা হবে। সার্ভিস এগ্রিগেটর ট্রেনিং মডেলে সরকারি সেবা ও অবকাঠামোনির্ভর উদ্যোক্তা তৈরি করা হবে। সব ডিজিটাল সেবাকে কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বিত ক্লাউডের আওতায় নিয়ে আসা হবে। জাতীয় রাজস্ববোর্ড ও বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সব সেবা অনলাইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া ডিজিটাল বাণিজ্য কর্র্তৃপক্ষ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হবে।

    ‘যেভাবে হবে স্মার্ট বাংলাদেশ’: টাস্কফোর্সের একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের মাধ্যম হবে প্রযুক্তি। স্মার্ট বাংলাদেশের সব কাজ হবে প্রযুক্তির মাধ্যমে। নাগরিকরা প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হবেন। প্রযুক্তির মাধ্যমে এমন একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা তৈরি করা হবে যা হবে ক্যাশলেস। মোটকথা, সরকার ও সমাজকে স্মার্ট করে গড়ে তোলা হবে। যার বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পাদন করেছে সরকার।
    সূত্র জানায়, স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি ভিত্তিকে সমানতালে গুরুত্ব দিয়ে শুরুতে দেশের নির্দিষ্ট কিছু স্থানে পাইলটিং প্রকল্প হিসেবে শুরু করা হবে। ধীরে ধীরে দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়া হবে। ২০৪১ এর আগেই ভিশন বাস্তবায়ন করা হবে। তবে এই চারটি ভিত্তিকে ব্যবহার করে কীভাবে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে তা ভোরের কাগজকে জানান টাস্কফোর্সের একাধিক সদস্য। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি ভিত্তির মধ্যে একটি হলো স্মার্ট সিটিজেন। অর্থাৎ একজন নাগরিক প্রযুক্তিগত জ্ঞানে পারদর্শী হবেন। তাদের মধ্যে ক্যাশলেস পদ্ধতিতে অর্থনৈতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সক্ষমতা তৈরি হবে। এক্ষেত্রে গ্রামের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষদেরও এই পদ্ধতিতে অভ্যস্ত করা হবে। প্রান্তিক মানুষদের প্রযুক্তি ব্যবহারের উপযোগী শিক্ষিত করে গড়ে তোলা হবে। গ্রামের কাঁচামালের বাজারেও যখন কাগজের টাকার পরিবর্তে ক্যাশলেস পদ্ধতি চালু হবে তখনই ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ হয়েছে বলে ধরে নেয়া হবে।
    দ্বিতীয়ত, স্মার্ট ইকোনমির মূল কনসেপ্টই হলো ক্যাশলেস ট্রানজিশন বা টাকাবিহীন অর্থনৈতিক লেনদেন। স্মার্ট ইকোনমির ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের আয় ও খরচের স্বচ্ছতা থাকবে। কোনো ব্যক্তির সম্পত্তির পরিমাণ কতটুকু সেটা সরকারের কাছে তথ্য থাকবে। তার জন্য রাষ্ট্রকে ট্যাক্স বা রাজস্ব দিতে হবে। বর্তমানে লুকোচুরি করে ট্যাক্স ফাঁকি দেয়ার সুযোগ থাকলেও স্মার্ট ইকোনমি প্রতিষ্ঠিত হলে সেই সুযোগ চিরতরে বন্ধ হবে। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অনিয়মগুলো চিহ্নিত করা সহজ হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণাটি পাকাপোক্ত হওয়ার পরেও অনিয়ম চলছে। কিন্তু স্মার্ট ইকোনমি বাস্তবায়িত হলে এক্ষেত্রে অনিয়ম করার সুযোগ থাকবে না। ব্যক্তি চাইলেই তার সম্পত্তির হিসাব লুকাতে পারবে না। এটা সবার কাছে স্বচ্ছ হয়ে যাবে। এজন্য অর্থনীতিকে ব্যাংকিং চ্যানেলের অধীন নিয়ে আসতে হবে। কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে টাকা নিজের কাছে গচ্ছিত রাখে সেক্ষেত্রে স্মার্ট ইকোনমির বিষয়টি বাস্তবায়ন করা কষ্টসাধ্য হবে।

    তৃতীয়ত, স্মার্ট গভর্নেন্সের ধারণাটি তখনই স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে যখন সরকার দেশের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সক্ষম হবে। জনগণও শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সরকারকে সহায়তা করবে। রাষ্ট্রের উন্নয়নে সরকার ঘোষিত বাজেটের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব থাকবে। অর্থাৎ সরকার প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত যা বাজেট দেবে সেটা স্বচ্ছ হবে। এছাড়া প্রকল্পের মেয়াদ বর্তমান সময়ের মতো বারবার বাড়ানো হবে না। বরং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এজন্য সরকারকে আলাদা কোনো বাজেটও দিতে হবে না। কাজগুলো ঠিকভাবে হচ্ছে কিনা তার সার্বিক তত্ত্বাবধানের জন্য মনিটরিং করা হবে।

    সবশেষে, স্মার্ট সোসাইটির ধারণাটি স্মার্ট সিটিজেনের ধারণার বৃহৎ পরিসর। যে সমাজে মানুষ তাদের দৈনন্দিন জীবনাচার প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করেই পার করতে সক্ষম হবে এবং তারা তাতেই অভ্যস্ত হবে সেটা হবে স্মার্ট সোসাইটি। এক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে। বর্তমানে গবেষণার দিকে সরকারে বাজেট অন্য খাতের তুলনায় কম। কিন্তু, স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করতে হলে গবেষণা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

    গবেষণা ও সংশ্লিষ্ট খাতে বাজেট বাড়াতে হবে উল্লেখ করে স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দিন মো. তারিক ভোরের কাগজকে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরে প্রধানত নেতৃত্বের আসনে থাকবেন প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা। তাদের পর্যাপ্ত নার্সিং করতে হবে এবং তাদের জন্য যথাযথ সুযোগ তৈরি করতে হবে, যেন দেশের মেধা বিদেশে পাচার না হয়। বর্তমানে দেশের একটি বড় অংশই তরুণ। তাদের স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী করে তুলতে পারলে একেকজন দেশের জন্য সম্পদে পরিণত হবে। তাদের দিকে নজর দিতে হবে। এছাড়া প্রযুক্তি খাতে সরকারের বিনিয়োগ আরো বাড়ানোসহ শিক্ষার্থীদের ব্যাপক পড়াশোনার সুযোগ তৈরি করতে হবে। তবেই স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ত্বরান্বিত হবে।

    যেহেতু স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ধরা হয়েছে ২০৪১ সাল পর্যন্ত। তাই সরকার তার পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোবে। তাড়াহুড়ো না করে ঠাণ্ডা মাথায় শুরুতে কিছু কিছু জায়গায় পাইলট প্রোগ্রাম হিসেবে স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি ভিত্তি চালু করবে। ধারাবাহিকভাবে দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়া হবে চারটি ভিত্তিকে। ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ আর বর্তমানের বাংলাদেশ থাকবে না, সেটা হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’।

    স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হলে সবার আগে রাজধানী ঢাকাকে স্মার্ট করে গড়ে তুলতে হবে। এই স্মার্ট ঢাকা গড়তে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাব) বাস্তবায়নের দায়িত্ব রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক)। সংস্থাটির প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ আশরাফুল ইসলাম বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ তখনই হবে যখন প্রতিটি নাগরিক ফেস টু ফেস কন্টাক্ট ছাড়াই তার মৌলিক সেবাগুলো নিতে পারবে। তিনি বলেন, আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে স্মার্ট এডুকেশন সিস্টেম আর স্মার্ট এগ্রো ইকোনমিতে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রতিটি ক্ষেত্রে গবেষণা ও প্রশিক্ষণকে প্রাধান্য দিতে হবে। প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে স্ব স্ব ডিপার্টমেন্টে প্রশিক্ষণকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ তখনই হবে যখন সরকারি বেসরকারি যে কোনো সেবা পেতে মানুষকে সশরীরে যেতে হবে না।

    আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব। প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটা অবস্থানে চলে এসেছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে যে প্রযুক্তির প্রয়োজন যেমন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অর্থাৎ আধুনিক প্রযুক্তিগুলো আমাদের দেশে শুরু হয়েছে। শিল্পকারখানাগুলোতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোবটের প্রচলন শুরু হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। প্রযুক্তিগত পড়াশোনা ও ট্রেনিংয়ের বিকল্প নেই। সেগুলোতে জোর দেয়া হচ্ছে। ২০৪১ সালের আগেই আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পারব।

  • নাইক্ষ‍্যংছড়ির বাইশফাড়িতে ১০০লিটার চুলায় মদ উদ্ধার

    নাইক্ষ‍্যংছড়ির বাইশফাড়িতে ১০০লিটার চুলায় মদ উদ্ধার

    মোঃ ইফসান খান ইমন নাইক্ষ‍্যংছড়ি:

    নাইক্ষ‍্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির বাইশফাড়ি বিওপি কর্তৃক দায়িত্ব পূর্ণ মক্করটিলা এলাকা হতে মালিক বিহীন জারকিন ভর্তি আনুমানিক ১০০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করেছে শুক্রবার বিকেল ৪টা ২৫মিনিটের সময়।
    ধারনা করা হচ্ছে স্থানীয়ভাবে তৈরি উক্ত চুলায় মদ গুলো পাশ্ববর্তী কক্সবাজার জেলার কোন এক জায়গাই পাচার করার সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে ফেলে রেখে গা ঢাকা দেয় চোরাকারবারিরা।

  • আগামীতে ইসলামই হবে বিজয়ী শক্তি-অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমেদ, মহাসচিব ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

    আগামীতে ইসলামই হবে বিজয়ী শক্তি-অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমেদ, মহাসচিব ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

    ,,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

    আজ ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ বৃহস্পতিবার, বিকাল ৩ ঘটিকা হতে, নগরীর দেওয়ানাস্থ আল ইসহাক অডিটরিয়ামে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি, আলহাজ্ব মোঃ জান্নাতুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে নগর সম্মেলন ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব, অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, আল্লামা ডক্টর বেলাল নূর আজিজ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকি, বামুক চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি, আলহাজ্ব আবুল কাশেম মাতব্বর, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরের সেক্রেটারি, মাওলানা আমজাদ হোসেন, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি, শিক্ষক নেতা দিদারুল মাওলা, বাংলাদেশ কোরআন শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রাম জেলা সেক্রেটারি, মোহাম্মদ মীর আহমদ,ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি, মাওলানা ওয়ায়েজ হোসেন ভূঁইয়া, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সভাপতি, মাওলানা আব্দুল আলী কারীমী, সেক্রেটারি মোঃ ফুরকান শিকদার, চট্টগ্রাম মহানগর শ্রমিক আন্দোলনের সেক্রেটারি, মোহাম্মদ নবাব মিয়া, ইসলামী যুব আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি, তাজুল ইসলাম শাহীন,ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি, ছাত্রনেতা মোঃ জিল্লুর রহমানসহ নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

  • বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিলের দাবীতে সারাদেশে থানা পর্যায়ে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের মানববন্ধন কর্মসূচী

    বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিলের দাবীতে সারাদেশে থানা পর্যায়ে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের মানববন্ধন কর্মসূচী

    ,,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

    বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিল না করলে কঠোর কর্মসূচী নিয়ে রাজপথে নামবে ছাত্রজনতা-শরিফুল ইসলাম রিয়াদ
    শিক্ষাক্রম’২৩ সংস্কার, বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিল ও পাঠ্যক্রম প্রণয়নে জড়িতদের তদন্তপূর্বক শাস্তির দাবিতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ২৬ জানুয়ারি’২৩ বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী থানা পর্যায়ে মানববন্ধন এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর স্মারকলিপি পেশ কর্মসূচী পালন করা হয়।

    ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ আজ এক বিবৃতিতে বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বকীয়তা ও নৈতিকতা ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্র নিয়ে শিক্ষাক্রম’২৩ প্রণয়ন করা হয়েছে। মানববন্ধন কর্মসূচীতে স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিই প্রমাণ করে দেশীয় বোধ বিশ্বাস বিরোধী সেক্যুলার শিক্ষাক্রম দেশের সর্বস্তরের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও বুদ্ধিজীবীসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।

    তিনি আরো বলেন, পাঠ্যপুস্তকে ইসলামের অন্যতম বিধান পর্দার বিরুদ্ধে নানা কাল্পনিক গল্প সাজিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। পাঠ্যবইয়ে বানর থেকে মানুষ হয়েছে এমন ছবি অংকন করে আমাদের পুর্বপুরুষদের বানর হিসেবে সাব্যস্ত করার চক্রান্ত হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির নীলনকশা নিয়ে এই পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করা হয়েছে। বিতর্কিত এই পাঠ্যক্রম প্রণয়নে জড়িতদের তদন্তপূর্বক আইনের আওতায় আনতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের পাঠদান উপযোগী পাঠ্যক্রম তৈরি করতে যোগ্য ব্যক্তিদের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে।

    ধারাবাহিক কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আগামী ২৯ জানুয়ারি’২৩ রবিবার সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে দেশব্যাপী মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট চিঠি প্রেরণ করবে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ। তারপরও বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিল না করলে সারাদেশের সচেতন ছাত্রজনতা কঠোর কর্মসূচী নিয়ে রাজপথে নেমে আসবে বলে হুশিয়ারি দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ।

  • শেখ কামাল আন্তঃ স্কুল মাদ্রাসা এ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ

    শেখ কামাল আন্তঃ স্কুল মাদ্রাসা এ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ

    কাজল আইচ।

    শেখ কামাল আন্তঃ স্কুল মাদ্রাসা এ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব ইমরান হোসাইন সজীব এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী। উপজেলা শিক্ষা অফিসার ভারপ্রাপ্ত জনাব বদরুল আলম,
    আরো উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন শাহীন, উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসাইন সিরাজী সহ বিভিন্ন স্কুল পর্যায়ের শিক্ষক ও প্রতিযোগি ছাত্র / ছাত্রী বৃন্দ।

    ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ শেখ কামাল আন্তঃ স্কুল মাদ্রাসা এ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ করেন অতিথি বৃন্দ।

  • সামাজিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি করণের লক্ষে ক্যাম্পে দিনব্যাপি কর্মশালা অনুষ্ঠিত

    সামাজিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি করণের লক্ষে ক্যাম্পে দিনব্যাপি কর্মশালা অনুষ্ঠিত

    ইব্রাহীম মাহমুদ- টেকনাফ,

    কক্সবাজারের টেকনাফ রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পর্যায়ে হোষ্ট কমিউনিটির সাথে রোহিঙ্গা কমিউনিটির মধ্যে সামাজিক সম্প্রীতি বৃদ্ধিকরণ এবং সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত করণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দিনব্যাপি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    এফ আই ভিডিবির আয়োজনে এবং প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সহযোগিতায় গতকাল ক্যাম্প ২২ এর সিআইসি কার্যালয়ে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
    এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, ক্যাম্প-ইন-চার্জ মোঃরফিকুল হক,কর্মশালায় সামাজিক সম্প্রীতি বৃদ্ধিকরনের উপর সামগ্রীক আলোচনা করেন, প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর,সালাউদ্দিন মল্লিক,আরো উপস্থিত ছিলেন,সিবিসিপি অফিসার নাজমা খাতুন,কেইস ম্যানেজমেন্ট অফিসার মো:শাহীন।

    টেকনিক্যাল কোঅর্ডিনেটর মো:মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন,এপিবিএন,এস আই বাংলাদেশ পুলিশ, এনএসআই,ডিএসবি এর সদস্যসহ ক্যাম্পে কর্মরত অনান্য এনজিওএর প্রতিনিধি এবং সিবিসিপি কমিটির সদসরা উপস্থিত ছিলেন।

  • আদালতের ১৪৪ ধারা অমান্য করে বীরদর্পে চলছে দখলবাজদের ভবন নির্মাণের দৌরাত্ম

    আদালতের ১৪৪ ধারা অমান্য করে বীরদর্পে চলছে দখলবাজদের ভবন নির্মাণের দৌরাত্ম

    নিজস্ব প্রতিবেদক:

    কক্সবাজার জেলার সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জাতীয় দৈনিক নবচেতনার কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি নুরুল আলম সিকদারের পৈত্রিক সম্পত্তি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নুরুল আলম সিকদার বাদী হয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং এম আর ৯৭/২০২৩ । মামলার আসামি রাশেদুল ইসলাম গং, পিতা মোঃ সেকান্দর।

    এতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৪ ধারা মোতাবেক টেকনাফ উপজেলা ভূমি কর্মকর্তাকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন প্রদান ও টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নির্দেশনা প্রদান করেন।

    এদিকে, উক্ত জমিতে আদালতের ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ ধারা মামলা চলমান থাকা অবস্থায় বীরদর্পে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে দখলবাজ সিন্ডিকেট। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আদালতের নির্দেশনাকে অমান্য করে অবৈধ টাকার জোরে দখলবাজদের দৌরাত্ম থেমে নেই।

    এছাড়াও এই দখলবাজ সিন্ডিকেট কিছুদিন পূর্বে সাংবাদিক নুরুল আলম সিকদারকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেয়। এঘটনায় নুরুল আলম সিকদার বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় একটি জিডি লিপিবদ্ধ করেন।

    জানা যায়, সাংবাদিক নুরুল আলম সিকদারের পৈতৃক সম্পত্তি জবর দখল করে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে হয়রানি করে আসছে। এই সিন্ডিকেটের রাশেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাদক আইনে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। অন্যজন মোজাহের মিয়া, সে ও রাশেদুল ইসলাম সম্পর্কে জামাই শশুর। দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রটি জমি দখলের সাথে সম্পৃক্ত।

    এঘটনায় টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হালিম বলেন, আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। তবে নির্মাণ কাজ চলমান সম্পর্কে আমি অবগত নয়। অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

  • ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা ঈদগাঁও’তে

    ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা ঈদগাঁও’তে

    ঈদগাঁও প্রতিনিধি,

    কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঈদগাঁও’র মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ১ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

    এসময় লাইসেন্স বিহীন অবৈধভাবে করাত কল পরিচালনা করায় দুটি করাতকলকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। করাত কল দুটি থেকে দুইজনকে আটক করে পরে ছেড়ে দেয়া হয়।

    গতকাল বাজারের প্রধান রোডের ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স সংলগ্ন স্থান,বঙ্কিম বাজারের দক্ষিণ পাশে সমিলে এই অভিযান চালানো হয়। অন্যদিকে একইদিন রেজিষ্ট্রেশন ও লাইসেন্স বিহীন গাড়ি চালনার অপরাধে একটি ডাম্পার গাড়িকে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।

    অভিযান দুটি পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া। এ সময় উত্তর বনবিভাগের আওতাধীন ঈদগাঁও মেহের ঘোনা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা রিয়াজ রহমানসহ বন কর্মকর্তা, বন কর্মচারী ও থানার পুলিশ দল উপস্থিত ছিলেন।

  • বাবার পরিচয়হীন সন্তানের অভিভাবক মা হবে’ মর্মে রায় দেশের ধর্ম ও সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

    বাবার পরিচয়হীন সন্তানের অভিভাবক মা হবে’ মর্মে রায় দেশের ধর্ম ও সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

    ,,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

    ‘বাবার পরিচয়হীন সন্তানের অভিভাবক মা হবেন’ মর্মে রায় দেশের ধর্ম ও সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি বলেন, মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্ট এ রায়ে জানিয়েছে, যেসব সন্তানদের বাবার পরিচয় নেই তাদের অভিভাবক হিসাবে মায়ের নাম দিলে তা আইনত বৈধ হিসেবে সাব্যস্ত হবে।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে রায়টি আপাতত মানবতাবাদী মনে হলেও আদতে এটা নারীর ওপর মানসিক, আর্থিক ও সামাজিক চাপ প্রয়োগের আরেকটি অপকৌশল মাত্র। কারণ সন্তান জন্ম হওয়ার জন্য পুরুষের সংশ্লিষ্টতা অপরিহার্য। কোন সন্তানই পুরুষের সম্পৃক্ততা ছাড়া হতে পারে না। তাহলে পিতৃপরিচয়হীন শিশু হয় কী করে? এই রায় পরোক্ষভাবে এটা অনুমোদন করে যে, সন্তান জন্ম দিয়েও পুরুষ তার দায়িত্ব্ব এড়াতে পারে। একই সাথে এই রায় পরোক্ষভাবে এটাও বলছে যে, পুরুষ-নারীর সম্মিলিত ফসল যে সন্তান, সেই সন্তানের দায়িত্ব এককভাবে নারীর ওপর যে চাপানো হচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

    গতকাল ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে দলের মহাসচিব এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কৃষিবিদ মুহাম্মদ আফতাব উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, এডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, মাওলানা শেখ ফজলুল করীম মারুফ, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মুফতী দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, এডভোকেট হাফেজ মাওলানা এম হাসিবুল ইসলাম, জিএম রুহুল আমীন, মাওলানা নুরুল ইসলাম আল-আমিন প্রমুখ।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে এ ধরনের রায় দেশে জারজ সন্তান উৎপাদনের এক ধরনের অনুমোদন দিচ্ছে; যা দেশের ধর্মীয়-সংস্কৃতির ঐতিহ্যর সাথে সাংঘর্ষিক। অতএব অবিলম্বে এই রায় পুনর্বিবেচনা করতে হবে এবং পিতৃপরিচয়হীন সন্তান যাতে ভূমিষ্ট না হয় তার ব্যবস্থার নিতে হবে।