Blog

  • ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা ঈদগাঁও’তে

    ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা ঈদগাঁও’তে

    ঈদগাঁও প্রতিনিধি,

    কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঈদগাঁও’র মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ১ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

    এসময় লাইসেন্স বিহীন অবৈধভাবে করাত কল পরিচালনা করায় দুটি করাতকলকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। করাত কল দুটি থেকে দুইজনকে আটক করে পরে ছেড়ে দেয়া হয়।

    গতকাল বাজারের প্রধান রোডের ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স সংলগ্ন স্থান,বঙ্কিম বাজারের দক্ষিণ পাশে সমিলে এই অভিযান চালানো হয়। অন্যদিকে একইদিন রেজিষ্ট্রেশন ও লাইসেন্স বিহীন গাড়ি চালনার অপরাধে একটি ডাম্পার গাড়িকে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।

    অভিযান দুটি পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া। এ সময় উত্তর বনবিভাগের আওতাধীন ঈদগাঁও মেহের ঘোনা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা রিয়াজ রহমানসহ বন কর্মকর্তা, বন কর্মচারী ও থানার পুলিশ দল উপস্থিত ছিলেন।

  • বাবার পরিচয়হীন সন্তানের অভিভাবক মা হবে’ মর্মে রায় দেশের ধর্ম ও সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

    বাবার পরিচয়হীন সন্তানের অভিভাবক মা হবে’ মর্মে রায় দেশের ধর্ম ও সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

    ,,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

    ‘বাবার পরিচয়হীন সন্তানের অভিভাবক মা হবেন’ মর্মে রায় দেশের ধর্ম ও সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি বলেন, মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্ট এ রায়ে জানিয়েছে, যেসব সন্তানদের বাবার পরিচয় নেই তাদের অভিভাবক হিসাবে মায়ের নাম দিলে তা আইনত বৈধ হিসেবে সাব্যস্ত হবে।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে রায়টি আপাতত মানবতাবাদী মনে হলেও আদতে এটা নারীর ওপর মানসিক, আর্থিক ও সামাজিক চাপ প্রয়োগের আরেকটি অপকৌশল মাত্র। কারণ সন্তান জন্ম হওয়ার জন্য পুরুষের সংশ্লিষ্টতা অপরিহার্য। কোন সন্তানই পুরুষের সম্পৃক্ততা ছাড়া হতে পারে না। তাহলে পিতৃপরিচয়হীন শিশু হয় কী করে? এই রায় পরোক্ষভাবে এটা অনুমোদন করে যে, সন্তান জন্ম দিয়েও পুরুষ তার দায়িত্ব্ব এড়াতে পারে। একই সাথে এই রায় পরোক্ষভাবে এটাও বলছে যে, পুরুষ-নারীর সম্মিলিত ফসল যে সন্তান, সেই সন্তানের দায়িত্ব এককভাবে নারীর ওপর যে চাপানো হচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

    গতকাল ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে দলের মহাসচিব এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কৃষিবিদ মুহাম্মদ আফতাব উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, এডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, মাওলানা শেখ ফজলুল করীম মারুফ, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মুফতী দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, এডভোকেট হাফেজ মাওলানা এম হাসিবুল ইসলাম, জিএম রুহুল আমীন, মাওলানা নুরুল ইসলাম আল-আমিন প্রমুখ।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে এ ধরনের রায় দেশে জারজ সন্তান উৎপাদনের এক ধরনের অনুমোদন দিচ্ছে; যা দেশের ধর্মীয়-সংস্কৃতির ঐতিহ্যর সাথে সাংঘর্ষিক। অতএব অবিলম্বে এই রায় পুনর্বিবেচনা করতে হবে এবং পিতৃপরিচয়হীন সন্তান যাতে ভূমিষ্ট না হয় তার ব্যবস্থার নিতে হবে।

  • মেধা তালিকায় উত্তির্ণ দারুল হিদায়া তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার ৭ ছাত্র পটিয়া ৪৩ তম হিফজুল কুরআন প্রতিযোগীতায়

    মেধা তালিকায় উত্তির্ণ দারুল হিদায়া তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার ৭ ছাত্র পটিয়া ৪৩ তম হিফজুল কুরআন প্রতিযোগীতায়

    ,,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

    বাংলাদেশ তাহফিজুল কুরআন সংস্থার উদ্যোগে ৪৩তম পটিয়া হিফজুল কুরআন প্রতিযোগীতায় চট্টগ্রাম পাঁচলাইশ দারুল হিদায়া তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার মেধাবী ছাত্র রহমতুল্লাহ বিন আলমগীর ইসলামাবাদীসহ ৭ জন মেধা তালিকায় উত্তির্ন হয়ে সম্মাননা সনদ ও আকর্ষনিয় পুরস্কার প্রদান করেছেন।
    পরিস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ্ হাফিজাহুল্লাহ্, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামিয়া পটিয়ার শায়খুল হাদীস আল্লামা শাহ্ আহমদ উল্লাহ সাহেব হাফিজাহুল্লাহ্ সহ জামিয়ার শিক্ষক বৃন্দ। বিভিন্ন মাদরাসা থেকে আগত ছাত্র ও শিক্ষকবৃন্দের প্রতি আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ্ হাফিজাহুল্লাহ্ নসিহত করেন
    নবীদের উত্তরসূরি হিসেবে কুরআন- সুন্নাহর আলোকে জাতিকে নির্দেশনা দেয়া আলেম সমাজের দায়িত্ব ও কর্তব্য। কল্যাণের প্রতি আহ্বান জানানো ও অকল্যাণের পরিণতি সম্পর্কে সজাগ করতে আলেমদের স্বয়ং আল্লাহ ও মহানবী (সা.) নির্দেশ দিয়েছেন। মানুষের ঈমান-আকিদার হেফাজত করা, মানুষকে পরকালমুখী করা, প্রচলিত শিরক-বিদআত ও কুসংস্কারসমূহ রদ করা এবং শরিয়তবিরোধী সব কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ভূমিকা পালনের শিক্ষার পাশাপাশি দেশপ্রেম এবং জাতির প্রতি দায়বদ্ধতা ও ভালোবাসার শিক্ষা দেয়া আলেমদের অন্যতম জিম্মাদারী। তাই কোনো অবস্থাতেই আলেম সমাজের পক্ষে এ দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। তাঁরা বলেন, ইসলামী চিন্তাধারার অনুসারীদের মধ্যে বুদ্ধিবৃত্তিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারিত করতে হবে। একে অন্যকে অভিযুক্ত করার প্রবণতা পরিহার করে মতপার্থক্যের যে সব বিষয় রয়েছে সেগুলোকে সংলাপের মধ্য দিয়ে নিষ্পত্তি ও সংশোধন করা গেলে মুসলিম উম্মাহকে কার্যকর ঐক্যবদ্ধ ও স্বাতন্ত্র্যমণ্ডিত করে তোলা সম্ভব। ওবায়দুল্লাহ হামযাহ্ হাফিজাহুল্লাহ্ বলেন, উম্মাহর ক্রান্তিলগ্নে সব মুসলিমকে একত্রিত করার দায়বদ্ধতাকে বিশেষভাবে উপলব্ধি করতে হবে। সংযমের মাধ্যমে মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও সাদৃশ্যের বন্ধনকে জোরদার করতে হবে এবং পরিত্যাগ করতে হবে শত্রুতা ও বিভাজনের প্রবণতা। একই সাথে চরমপন্থা, সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদের সকল রূপ প্রত্যাখ্যান করতে হবে এবং অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের সাথেও মুসলমানদের সর্বোত্তম পদ্ধতিতে সহযোগিতা করতে হবে।
    চট্টগ্রাম পাঁচলাইশ দারুল হিদায়া তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার মেধাবী প্রতিযোগী ছাত্ররা হলেন যতক্রমে ৩০পারা গ্রুপে মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বিন আলমগীর ইসলামাবাদী ১ম গ্রুপে ১ম বিভাগে উত্তির্ন,মোহাম্মদ হাসান মুহাম্মাদ সাবিত ২য় বিভাগে উত্তির্ন,মুহাম্মদ সিফাত ৩য় বিভাগে উত্তির্ন, মুহাম্মদ মাহফুজ ২য় বিভাগে উত্তির্ন,মুহাম্মাদ জুনাইদুল ইসলাম ২য় বিভাগে উত্তির্ন,মুহাম্মদ হাম্মাদ ৩য় বিভাগে উত্তির্ন,মুহাম্মাদ সাকিবুল হাসান জাওয়াদ১ম গ্রুপে ২য় বিভাগে উত্তীর্ণ, মুহাম্মাদ ফাহাদ১ম গ্রুপে ২য় বিভাগে উত্তীর্ণ, মুহাম্মাদ ফাহিম মুনতাসির ২য় গ্রুপে ২য় বিভাগে উত্তীর্ণ।
    ১৮,১৯,২০ জানুয়ারি ২০২৩ খৃষ্টাব্দ (বুধ, বৃহস্পতি ও জুমাবার) বাংলাদেশ তাহফীজুল কুরআন সংস্থার উদ্যোগে ৩ দিনব্যাপী ৪৩তম হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত ৬৩৪ টি মাদরাসা থেকে প্রায় ১২৬৮ জন প্রতিযোগী অংশ গ্রহণ করেছে।
    হল বিন্যাস :
    তিনটি হলে ছাত্রদের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    (১) শিক্ষা ভবন ৩য় তলা (সম্মেলন কক্ষ), সেখানে ৩০ পারা গ্রুপের ১নং সিরিয়াল থেকে ৮৩৯ সিরিয়াল পর্যন্ত প্রতিযোগীদের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    (২) আল-জামিয়ার জামে মসজিদ ৩য় তলা, সেখানে ১৫ পারা গ্রুপের ২ নং সিরিয়াল থেকে ৮৪১ সিরিয়াল পর্যন্ত প্রতিযোগীদের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    (৩) জামাতে শাশুমের দরসেগাহ, সেখানে ৩০ পারা গ্রুপের ৮৪২ নং সিরিয়াল থেকে ১২৬৮ এবং ১৫ পারা গ্রুপের ৮৪৩ সিরিয়াল থেকে ১২৬৬ পর্যন্ত প্রতিযোগীদের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার সকাল ৮ঘটিকা থেকে প্রত্যেক হলের প্রতিযোগিতা আরম্ভ হয়েছে।

    প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদেরকে পুরস্কার ও সনদ প্রদানের পাশাপাশি সকল অংশগ্রহণকারীদেরকে সান্ত্বনা পুরস্কার এবং তাদের শিক্ষকমণ্ডলীকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

  • বিরামপুর থানা পুলিশের অভিযানে হেরোইন ও ইয়াবা ট্যাবলেট সহ আটক ১

    বিরামপুর থানা পুলিশের অভিযানে হেরোইন ও ইয়াবা ট্যাবলেট সহ আটক ১

    এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি

    -২৪ শে জানুয়ারি মঙ্গলবার ভোর ০৫.৩৫ ঘটিকায় বিরামপুর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী আটক করেছেন। উক্ত অভিযানে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সুমন কুমার মহন্তর নির্দেশনায় দিনাজপুরে বিরামপুর পৌরসভাধীন কৃষ্টচাঁদপুর গ্রামের হাফিজুল ইসলামের ছেলে রহিত মন্ডল তার বসতবাড়ি এলাকার মাদক ব্যবসায়ী মোঃ রহিত মন্ডল (২৬).পিতা-মোঃ হাফিজুল ইসলাম, সাং- কৃষ্টচাঁদপুর,থানাঃ বিরামপুর,জেলাঃ দিনাজপুর এর বসতবাড়ি হতে তার হেফাজতে থাকা ০২(দুই) গ্রাম হেরোইন এবং ৩০ (ত্রিশ) পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ তাকে হাতে নাতে গ্রেফতার করা করেন। এই ঘটনায় বিরামপুর থানার মামলা নং-০৭, তারিখ- ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ধারা-৩৬(১) সারণির ৮(ক)/৩৬(১) সারণির ১০(ক) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন- ২০১৮ রুজু করা হয়েছে। আসামির বিরুদ্ধে পূর্বের একাধিক মাদক মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। উদ্ধারকারী অফিসার এসআই/মোঃ মিজানুর রহমান ও সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স। অভিযান চলমান আছে বলে জানা যায়।

  • নাইক্ষ্যংছড়িতে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

    নাইক্ষ্যংছড়িতে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

    কপিল উদ্দিন জয় বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি

    বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে মাসিক আইন শৃঙ্খলা ও সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারী) সকাল ১১টার সময় উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মা,প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিউল্লাহ।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,
    উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মংলাওয়ে মার্মা,মাননীয় পার্বত্য মন্ত্রী প্রতিনিধি খাইরুল বশর,নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা হাসপাতালের প্রধান আবু জাফর সেলিম,উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষাঅফিসার ত্রিরতন চাকমা,উপজেলা কৃষি অফিসার এনামুল হক,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমন্ডার রাজা মিয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও দোছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো; ইমরান,নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারমম্যান নুরুল আবছার ইমন, ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঈীর আজিজ, সোনাইছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান এন্যানিং মার্মা,নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্টাতা সভাপতি মাঈনুদ্দিন খালেদ, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম কাজল, সদস্য জয়নাল আবেদ্দীন টুক্কু, আওয়ামীলীগ নেতা ডাঃ সিরাজ,প্রমুখ।
    এছাড়াও সভায় উপজেলার সকল কর্মকর্তা ও সাংবাদিক এবং বিভিন্ন বিভাগের গোয়েন্দাসহ সকল স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
    এ সময় প্রধান অতিথি অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিউল্লাহ বলেন, উপজেলার মানুষ যেন নিরাপত্তাহীনতা বোধ না করে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অপরাধ দমনে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে মাদক, সন্ত্রাসবাদসহ সব ধরনের অপরাধ নির্মূল করতে হবে।
    সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা তাঁর বক্তব্যে নাইক্ষ্যংছড়ির সার্বিক অবস্থার বর্ণনা দেন,এরপর সকল কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন এবং তিনি সকল বক্তার বিভিন্ন বিষয়ের আলোকপাত করেন ও উপজেলার আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।

  • নাইক্ষ্যংছড়িতে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

    নাইক্ষ্যংছড়িতে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

    কপিল উদ্দিন জয় বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি

    বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে মাসিক আইন শৃঙ্খলা ও সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারী) সকাল ১১টার সময় উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মা,প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিউল্লাহ।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,
    উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মংলাওয়ে মার্মা,মাননীয় পার্বত্য মন্ত্রী প্রতিনিধি খাইরুল বশর,নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা হাসপাতালের প্রধান আবু জাফর সেলিম,উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষাঅফিসার ত্রিরতন চাকমা,উপজেলা কৃষি অফিসার এনামুল হক,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমন্ডার রাজা মিয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও দোছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো; ইমরান,নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারমম্যান নুরুল আবছার ইমন, ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঈীর আজিজ, সোনাইছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান এন্যানিং মার্মা,নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্টাতা সভাপতি মাঈনুদ্দিন খালেদ, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম কাজল, সদস্য জয়নাল আবেদ্দীন টুক্কু, আওয়ামীলীগ নেতা ডাঃ সিরাজ,প্রমুখ।
    এছাড়াও সভায় উপজেলার সকল কর্মকর্তা ও সাংবাদিক এবং বিভিন্ন বিভাগের গোয়েন্দাসহ সকল স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
    এ সময় প্রধান অতিথি অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিউল্লাহ বলেন, উপজেলার মানুষ যেন নিরাপত্তাহীনতা বোধ না করে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অপরাধ দমনে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে মাদক, সন্ত্রাসবাদসহ সব ধরনের অপরাধ নির্মূল করতে হবে।
    সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা তাঁর বক্তব্যে নাইক্ষ্যংছড়ির সার্বিক অবস্থার বর্ণনা দেন,এরপর সকল কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন এবং তিনি সকল বক্তার বিভিন্ন বিষয়ের আলোকপাত করেন ও উপজেলার আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।

  • বিরামপুরে ছাত্রলীগ ইউনিয়ন নেতার বিরুদ্ধে অর্থ গ্রহণের অভিযোগ

    বিরামপুরে ছাত্রলীগ ইউনিয়ন নেতার বিরুদ্ধে অর্থ গ্রহণের অভিযোগ

    বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি।

    একদিন দুপুরবেলা ছাত্রলীগ নেতা গেলেন এক গুচ্ছগ্রামে। সেখানে গিয়ে এক দোকানীকে জিজ্ঞেস করেন, আপনাদের গ্রামে টাকার ভাবে চিকিৎসা নিতে পারছেনা এমন কেউ আছে নাকি। দোকানী বললেন আছে, বেশ কয়েকজন নাম বললেন ওই দোকানী। ছাত্রলীগ নেতা তখন গেলেন, সেই রোগীর বাড়িতে। রোগীর পেশা ফেরিওয়ালা। গ্রামে গ্রামে কাপড় বিক্রি করেন তিনি। ওই ছাত্রলীগ নেতা সেখানে গিয়ে ওই বৃদ্ধাকে বলেন, চাচী আপনি কি অসুস্থ। আপনার কি কিডনির সমস্যা, টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছেন না। অসুস্থ বৃদ্ধ মহিলা তখন বললেন, জ্বী বাবা আমি টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছি না। ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা তখন ওই বৃদ্ধ মহিলাকে বলেন, আমি আপনার চিকিৎসা খরচের টাকা ব্যবস্থা করে দিব, তা দিয়ে আপনি চিকিৎসা করাবেন মর্মে ওই ছাত্রলীগ নেতা অসুস্থ বৃদ্ধার কাছ থেকে ১৪,৬০০ টাকা নেন। এমনটি ঘটেছে দিনাজপুরে বিরামপুর উপজেলা জোতবানী ইউনিয়নের পলিখিয়ার মাহমুদপুর গুচ্ছগ্রামে।

    ওই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতার নাম তানভীর রাজন সৌরভ। তিনি জোতবানী ইউনিয়নের
    সাধারণ সম্পাদক। সে জোতবানী ইউনিয়নের কসবাসাগপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য নরুল ইসলামের ছেলে।

    এবিষয়ে ওই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর রাজন সৌরভের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে, সে কল রিসিভ করেন নি।

    ভোক্তাভোগী আনজুয়ারা বেগম বলেন, আমার কাছে ওই ছাত্রলীগ নেতা চিকিৎসা করার জন্য টাকার ব্যবস্থা করে দিবেন, বলে আমার কাছ থেকে ১৪,৬০০ টাকা নেয়। কিন্তু ৩-৪ মাস পার হলো তার সাথে যোগাযোগ করলে সে ফোন ধরেন না বরং বিভিন্ন তাল বাহানা করে সময় পার করেন। ভবিষ্যতে কারো সাথে এমন না করতে পারে সেজন্য আমি ওই ছাত্রলীগ নেতার বিচার চাই।

    বিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তানভীর রাজন সৌরভ জোতবানী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা শুনেছি। আর আইনি প্রক্রিয়ায় যদি তানভীর রাজন সৌরভ দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাংগঠনিক ভাবে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সাতকানিয়া-লোহাগাড়া কারাতে একাডেমি’র ১০ম কারাতে ২২জনকে বেল্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান

    সাতকানিয়া-লোহাগাড়া কারাতে একাডেমি’র ১০ম কারাতে ২২জনকে বেল্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান

    (বিশেষ প্রতিনিধি)

    চট্টগ্রামের লোহাগাড়া-সাতকানিয়া কারাতে একাডেমির ১০ম কারাতে বেল্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। এসময় ২২জন শিক্ষার্থীকে সম্মাননা স্বরূপ বেল্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

    সোমবার (২৩ জানুয়ারী”২০২৩ইং) উপজেলা শহীদ মিনার চত্বরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    অনুষ্ঠানে (এস এল কে এ)’র সভাপতি ও লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান এম ইব্রাহীম কবির’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ উল্ল্যাহ্।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ শাহজাহান, লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুুহাম্মদ আতিকুর রহমান।

    অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, লোহাগাড়া শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক বাবু রুপন কান্তি নাথ, লিডারশিপ স্কুলের পরিচালক মোঃ ইমরান উদ্দিন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিসবাহ উদ্দিন, মুহাম্মদ সাইফুদ্দিন, একাডেমি সাবেক ছাত্র রমিজ উদ্দিন, মাওলানা মোছা তুরাইন, মোঃ জুবায়ের, মোহাম্মদ জিকু সহ একাডেমির অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রী বৃন্দ’রা।

    অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বর্তমানে ছোট ছোট বাচ্চাদের শরীরচর্চার চেয়ে ডিভাইসের প্রতি আসক্তি বেশি। এ কারণে অনেকেই নানান রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। এজন্য প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে নিজ উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন। কারাতে হতে পারে শারীরিক, মানসিক ও আত্মবিকাশের অন্যতম একটি মাধ্যম বলেও জানান তারা।

    অনুষ্ঠানে সঞ্চালনায় ছিলেন, বিচিত্রা দেবী।
    সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন, অত্র একাডেমির প্রধান প্রশিক্ষক ও সাধারণ সম্পাদক (এস এল কে এ)’র মোঃ সলিম উদ্দিন।

  • লোহাগাড়ায় পানিতে ডুবে এক হেফজখানার ছাত্র’র মৃত্যু

    লোহাগাড়ায় পানিতে ডুবে এক হেফজখানার ছাত্র’র মৃত্যু

    (বিশেষ প্রতিনিধি)

    চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় পুকুরের পানিতে ডুবে মোঃ তাহাসান (০৭) নামে এক হেফজখানার ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।

    সোমবার (২৩ জানুয়ারী”২০২৩ইং) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়ন ২নং ওর্য়াডের পুরাতন থানা বরকত আলি সওদাগর পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়হাতিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কাইছার হাসান বাপ্পি।

    মারা যাওয়া মোঃ তাহাসান উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বেপারী পাড়ার কাতার প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের একমাত্র ছেলে। বর্তমানে শিশুটির মাতা তাসমিন সোলতানা ঘটনাস্থল সংশ্লিষ্ট এলাকার আসহাব মিয়া মাস্টারের কলোনীতে ভাড়াটিয়ে বাসায় বসবাস করছেন।

    জানা যায়, ঘটনার দিন হেফজখানায় পড়ুয়া ছাত্র মোঃ তাহাসান হেফজখানায় যায়নি। উপরে উল্লেখিত যেকোন এক সময় পুকুরে ডুবে মৃত্যু হয়। তাহাসানকে খোজাখুঁজির পর পুকুরে ভাসমান অবস্থায় স্থানীয়দের দৃষ্টিগোচর হয়। তখন স্থানীয়’রা অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলার একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

    শিশুটি আজ বাদে আছর নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

  • ঈদগাঁও আলমাছিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্রী ভর্তিতে বাধা প্রদান ও অনিয়মের অভিযোগ

    ঈদগাঁও আলমাছিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্রী ভর্তিতে বাধা প্রদান ও অনিয়মের অভিযোগ

    বার্তা পরিবেশক:

    কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও থানার আওতাধীন আলমাছিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মৌলানা হেফাজত উল্লাহ নদভীর বিরুদ্ধে ছাত্রী ভর্তিতে হয়রানিসহ নানা ধরনের অনিয়মের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঈদগাঁও আল মাছিয়া ডিগ্রি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ  দীর্ঘদিন ধরে ২ জন মাদ্রাসা ছাত্রীকে ভর্তি করতে নিষেধ করছে‌ন। ছাত্রীদের কোনো ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া একতরফাভাবে অনিয়ম,দুর্নীতি এবং তাহার  স্ত্রীর কথায় মাদ্রাসা পরিচালনা করে আসছেন তিনি। ইতিমধ্যে তাহার স্ত্রীর কথায়
    স্ত্রীর জন্য মাদ্রাসায় একটি অফিসও দিয়েছেন।ভর্তিচ্ছুক দু’জনই ছাত্রী। তারা দীর্ঘদিন থেকে অত্র প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে আসছে। তাদের মধ্যে একজন ৩য় শ্রেণী থেকে বার্ষিক পরিক্ষায় সফলতার সাথে ৪র্থ স্থানে উত্তীর্ণ হয়। আরেকজন ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে উত্তীর্ণ হয়ে ৭ম শ্রেণীতে ভর্তি হবে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই ২ ছাত্রীদেরকে ৪র্থ ও ৭ম শ্রেণীতে ভর্তি হতে বাধা প্রদান করছেন স্বয়ং অধ্যক্ষ নিজেই।

    ছাত্রীদের অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েরা অত্যান্ত মেধা, প্রজ্ঞা ও সুনামের সাথে মাদ্রাসায় দীর্ঘ দিন ধরে পড়ালেখা করে আসছে। নতুন বছরে মেয়েদের ভর্তির বিষয়ে মাদ্রাসায় যোগাযোগ করলে আমার মেয়েদের ভর্তি করাবেনা বলে অফিস থেকে জানানো হয়।তাদের বড় ভাই  কেন ভর্তি করাবেন না মর্মে জানতে চাইলে, অধ্যক্ষের নিষেধ আছে বলে জানান অফিস কর্তৃপক্ষ। অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তাদেরকে  মাদ্রাসা থেকে বের করে দেন। অধ্যক্ষের বীণা কারণে এমন অপমানজনক আচরণের বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার, ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভুগী এক মহিলা বলেনঃঅধ্যক্ষ মৌলানা হেফাজত উল্লাহর স্ত্রীঃ অধ্যক্ষের সাথে আমার  অনৈতিক সম্পর্ক আছে বলে কিছু দিন আগে আমার সাথে  অধ্যক্ষের স্ত্রীর সাথে আমার কথা-কাটাকাটি হয় একপর্যায়ে মারামারির ঘটনাও ঘটেছে আমার নিজ বাসায়। এমন অনৈতিক সন্দেহের কারণে আমার পাসের বাসার আরও কয়েকজনের সঙ্গে  মারামারির কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। অধ্যক্ষ ও তার স্ত্রীর এমন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভুগী আরও এক মহিলা বলেনঃ অধ্যক্ষের স্ত্রী  অধ্যক্ষের সাথে আমার অনৈতিক সম্পর্ক আছে  মর্মে সন্দেহ করে আমার বাসায় এসে এবং মোবাইলে বারবার ফোন দিয়ে বিরক্ত করতেছে তাহার স্ত্রীর এমন কর্মকাণ্ডে বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি ।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভুগী আরও তিন জন মহিলা বলেনঃঅধ্যক্ষ মৌলানা হেফাজত উল্লাহর স্ত্রীঃ অধ্যক্ষের সাথে আমাদের  অনৈতিক সম্পর্ক আছে বলে আমদের বাসায় এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। উক্ত ঘটনার বিষয়ে অধ্যক্ষের কাছে বিচার দিতে গেলে অধ্যক্ষ বলেন আপনারা কারা আমি চিনি না আপনাদের সাথে আমার কোন কথা নেই।আমার স্ত্রীর বিষয়ে  কিছু বলতে পারব না।অধ্যক্ষ ও তার স্ত্রীর এমন কর্মকাণ্ডে বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি ।

    সূত্র জানায়, অধ্যক্ষের স্ত্রী মাদ্রাসায় আগত মহিলা অভিভাবকদের অনেকের সাথে অধ্যক্ষের অনৈতিক সম্পর্ক চলছে মর্মে সন্দেহ করতে থাকে। সন্দেহ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাওয়ায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বেকায়দায় পড়েছে। এমন অনৈতিক সন্দেহের কারণে বিচ্ছিন্নভাবে মারামারিসহ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। অধ্যক্ষ ও তার স্ত্রীর এমন কর্মকাণ্ডে মাঝখানে বলি হচ্ছে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। ফলে, মাদ্রাসায় কোন কোন ছাত্রী ভর্তি হবে তা ঠিক করে দেন তাহার স্ত্রী। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনার কারণে স্ত্রীর পরকিয়া সন্দেহ বিষয়টি তোলপাড় চলছে মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায়। বিষয়টি সম্পর্কে স্থানীয় মেম্বার অবগত রয়েছেন।

    এবিষয়ে স্থানীয় এক মেম্বার বলেন, অধ্যক্ষ মৌলানা হেফাজত উল্লাহর স্ত্রীর অভিযোগ তিনি পরকিয়ায় আসক্ত। সুনির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়, তিনি কেন ছাত্রীদের মাদ্রাসায় ভর্তি করাচ্ছেন না। হয়তো উনার স্ত্রী নিষেধ করেছেন। আমরা সামাজিকভাবে বিষয়টি দেখছি।

    কেন ছাত্রীদের ভর্তি করানো হচ্ছে না জানতে চাইলে এ প্রতিবেদককে অধ্যক্ষ মৌলানা হেফাজত উল্লাহ বলেন, আপনাকে এতো কিছু কেন বলতে হচ্ছে। এসব বিষয়ে আমি কিছু জানি না। ছাত্রীদের ভর্তির বিষয়ে তিনি মাদ্রাসার সভাপতির সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।