Blog

  • উখিয়ায় জাতীয় শিক্ষক দিবস পালিত-UkhiyaVoice24.Com

    উখিয়ায় জাতীয় শিক্ষক দিবস পালিত-UkhiyaVoice24.Com

    কাজল আইচ, উখিয়া কক্সবাজার

    কক্সবাজারের উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় শিক্ষক দিবস-২০২২, বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) শিক্ষক দিবস উপলক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষক সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।এদিকে ‘শিক্ষক দিবস-২০২২’ উদযাপন উপলক্ষে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষকদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে উখিয়া উপজেলা শিক্ষা একাডেমির তত্বাবধানে দিবসটি পালন করা হয়েছে।

    উক্ত আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজীব, উপজেলা শিক্ষা অফিসার গোলসান আক্তার, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, উখিয়া থানা তদন্ত কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দে,
    মাধ্যমিক শিক্ষা একাডেমির সুপারভাইজার বদরুল আলম, উখিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইরফান উদ্দিন, উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসাইন সিরাজী,

    এছাড়া এতে জানানো হয়, দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের জন্য র‌্যালি ও আলোচনা সভায়, আবৃত্তি, বৃক্ষরোপন ও পুরষ্কার বিতরণে অংশ নেন নেতৃবৃন্দ ও প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি কলেজ, সরকারি মাধ্যমিক ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মন্ডলীগন উপস্থিত ছিলেন।

  • বালুখালী পানবাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর শুভেচ্ছা বিনিময়

    বালুখালী পানবাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর শুভেচ্ছা বিনিময়

    কাজল আইচ, উখিয়া কক্সবাজার

    কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালীস্থ বৃহত্তর পানবাজারের ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর
    নব-নির্বাচিত সভাপতি/ সম্পাদক সহ কমিটির সকল সদস্যগন ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর সাথে।

    ২৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর বাসভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে আসেন নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি আলমগীর আলম, সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশর রানা, সহ-সভাপতি নুরুল আলম, কোষাদক্ষ মোঃ আনোয়ারুল ইসলম, জিয়াবুল হক,দিদারুল আলম, আব্দুল হাকিম, জসিম উদ্দিন,সাইফুল ইসলাম, মোঃ আলী, মোঃ রফিক, জাহাঙ্গীর আলম,

    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন
    পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ১নং ওয়ার্ডের সভাপতি আব্দুর রহিম রাজা,পালংখালী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহব্বাযক আব্দুল গফুর নান্নু ও নুরুল আবছার।

  • বিরামপুর ভ্রাম্যমান মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় ২ জনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড

    বিরামপুর ভ্রাম্যমান মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় ২ জনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড

    এস এম মাসুদ রানা, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি,

    (২৬ শে অক্টোবর) বুধবার দুপুর ১২ঃ০০ টায় দিনাজপুর থেকে আগত মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর এর উপ-পরিদর্শক মিশকাতুল জাবির এর নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিরামপুর নতুন বাজার মুক্তিযোদ্ধা দাওয়াখানায় অভিযান পরিচালনা করেন, পরিচালনা কালে দোকানে মজুদ মোদক এর ভিতর ভাঙ্গ ও গাজার গুড়া মিশ্রিত করে বিক্রি কালে সেবনকারী কে হাতেনাতে আটক করে। এমত অবস্থায় ঘটনাস্থলে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার উপস্থিত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা দাওয়াখানার বিক্রেতা বিরামপুর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের বামনাহার গ্রামের আব্দুস সাত্তার এর ছেলে আবু তাহেরকে কে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড সহ মাদক সেবনকারী বিরামপুর উপজেলার পুলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের ভেটাই গ্রামের শ্রী গোপালের ছেলে সঞ্চয় সঞ্জয় সরকার কে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন এবং মুক্তিযোদ্ধা -দাওয়াখানা টিকে সীলগালা করে।

  • সরকারি রাস্তা নিজ সম্পত্তি হিসাবে দাবি করেন হাফেজ ফারুক

    সরকারি রাস্তা নিজ সম্পত্তি হিসাবে দাবি করেন হাফেজ ফারুক

    নিজস্ব প্রতিবেদক,

    দীর্ঘদিন যাবত ধরে কয়েকটি পরিবারের সরকারি রাস্তাটি জোরপূর্বক দখল করে রাখেন হাফেজ ফারুক নামের এক ব্যক্তি।
    বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেশি এস এম ওবায়দুল্লাহ প্রতিবাদ করলে তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে জানান।

    কর্নফুলী উপজেলা গ্রাম দৌলতপুর ২ নং বড়উঠান ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড শেখ ইউসুফ তালুকদারের বাড়ির রাস্তাটি দখল করে রাখেন হাফেজ ফারুক। এবিষয় নিয়ে এস এম ওবায়দুল্লাহ কর্নফুলী উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা পিযুষ কুমার চৌধুরী কে জানালে তিনি সাথে সাথে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা তৌহিদুল আলমকে দেখার নির্দেশ দেন ০৭ সেপ্টেম্বর রোজ বুধবার সরেজমিনে গিয়ে জায়গায় সিট অনুযায়ী সরকারি রাস্তা হিসাবে তিনি বলেন সাথে সাথে দখলকৃত রাস্তাটি চলাচলের জন্য ব্যবস্তা করে দেন।

    এদিনে ঘটনাস্থল থেকে আসার পথে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা তৌহিদুল আলমকে নানান ভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন হাফেজ ফারুক ও তার সহযোগী একিই এলাকায় বাসিন্দা শুক্কুর নামে এক ব্যক্তি

    চলাচলের রাস্তাটি খুলে দিয়ে আসার পর পরই হাফেজ ফারুক ও তার সহযোগী মিলে রাস্তার দুপাশ থেকে টিনের সেট দিয়ে ভেতর থেকে ইট দিয়ে পাকা দেওয়াল তুলে দেন।

    সহকারী ভূমি কর্মকর্তা তৌহিদুল আলম রাস্তাটি খুলে দেওয়ার পর আবারো চলাচল না করার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হলে বিষয়টি ভূমি কর্মকর্তা পিযুষ কুমার চৌধুরীকে জানানো হয় তিনি বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ০২ অক্টোবর রোজ রবিবার গিয়ে স্থানীয় লোকজন কে সাথে নিয়ে চলাচলের রাস্তাটি সিট ধরে আবারো ভেঙ্গে দিয়ে আসেন। সাথে সাথে জোর কাটানো ব্যক্তিকে কঠিন ভাবে জানিয়ে দেন আগামীতে এধরণের কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য।

    ঘটনাস্থলে যখন ভূমি কর্মকর্তা পিযুষ কুমার চৌধুরী সহকারী ভূমি কর্মকর্তা তৌহিদুল আলম স্থানীয় থানার লোকজন নিয়ে উপস্থিত হন।তখন হাফেজ ফারুক নানান ধরণের কথা বলে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য রাস্তা তার সেটা বার বার বলে যাচ্ছেন কিন্তু রাস্তাটি আগের থেকে সরকারী রাস্তা হিসাবে রয়েছে তারপরও মানতে রাজি নন হাফেজ ফারুক ও তার সহকারী জোর কাটিয়ে পূণরায় দখল করে রাখতে চান বলে দাবি করেন এস এম ওবায়দুল্লাহ।

    স্থানীয় বাসিন্দা এস এম ওবায়দুল্লাহ বলেন আমি ঢাকায় থাকি কিন্ত নিজ বাড়িতে আসি মাঝে মধ্যে আমি আইন কে সম্মান করি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বিষয়টি কর্নফুলী উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা পিযুষ কুমার চৌধুরী কে জানাই।আমি চলাচল না করার জন্য আমার বাড়ি ভিটা জোরপূর্বক দখল করার জন্য আমাকে এরা বার বার হামলা করে আসছে।বিষয় গুলো নিয়ে আমি থানায় অভিযোগ ও করে রাখি। আমাকে আর আমার পরিবার কে হুমকি দিয়ে আসছেন তারা। আমি এখন নিরুপায় আমার সামনে সরকারি রাস্তা থাকার পরও আমরা যাতায়াত করতে পারছি না।

    এদিকে হাফেজ ফারুক শেখ সেলিম মোহাঃ শুক্কুর সহ তাদের আরও লোকজন মিলে সবাই। এস এম ওবায়দুল্লাহর সাথে ষড়যন্ত্র করছে বলে দাবি করেন।

    গত ২৩ অক্টোবর রোজ রবিবার সহকারী ভূমি কর্মকর্তা তৌহিদুল আলম আবারও শেখ ইউসুফ তালুকদারের বাড়িতে যান দু’পক্ষের লোকজন উপস্থিত ছিলো। সহকারী ভূমি কর্মকর্তা তৌহিদুল আলম বলেন এ রাস্তা দিয়ে লোকজন যাতায়াত করবেন কোনো প্রকার যেনো রাস্তাটি বন্ধ করা না হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত সরকারি সার্ভেয়ার এসে পরিমাপ করে দিবেন না ততদিন পযন্ত রাস্তাটি এভাবে থাকবে এবং রাস্তার উপর এখন কোনো প্রকার কাজ না করার জন্য আহবান করেন।

    অপর দিকে সেদিন হাফেজ ফারুক ও তার সহযোগী সবাই মিলে এস এম ওবায়দুল্লাহ কে অকাত্য ভাষায় গালিগালাজ করেন নানান দিক থেকে একাধিক হুমকি ও দিয়ে আসছেন। অন্য দিকে নেতা শেখ সেলিম পরিচয় দিয়ে ভূমি মন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে ভূমি কর্মকর্তা তৌহিদুল আলমকে হুমকি দিয়ে আসেন।তার পাশাপাশি শুক্কুর নামে এ ব্যক্তি উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরীর নাম বলে ও হুমকি প্রদর্শন করে থাকেন। তিনি আরোও বলে থাকেন একাধিক সাংবাদিক নাকি তার পকেটে থাকে।সাংবাদিকদের ও নানান ভাষায় গালিগালাজ করে থাকেন।সাংবাদিক খাওয়ার তার সময় নাই। সেই আরোও বলেন তোরা ফারুক চেয়ারম্যান কে ছিনস আয় ফারুক চেয়ারম্যানের রাজনিতি করি তোরার মত সাংবাদিক কত আসে যায়।

    এবিষয়ে কর্নফুলী উপজেলা ফারুক চেয়ারম্যানের কাছ থেকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার সাথে সাথে ব্যস্ত আছি বলে কলটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

    এদিকে হাফেজ ফারুক তার সহযোগী সবাই মিলে সরকারি সিদ্ধান্ত মানতে রাজি নন কোনো প্রকার বিভিন্ন মন্ত্রী ও নেতাদের নাম বলে বলে হুমকি দিয়ে আসছেন প্রতিনিয়ত। এদিকে এলাকায় লোকজন বলেন যতক্ষণ পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্তা নিয়ে সমাধান করবেন না ততক্ষণ পর্যন্ত এ ঝামেলা চলমান থাকবে বলে জানান।

    এস এম ওবায়দুল্লাহ বলেন সরকারি রাস্তার উপর আমার নতুন বিল্ডিং হওয়াতে জনগনের চলাচলে অসুবিধা হবে বলে মনে করে ভূমি অফিস থেকে রাস্তার জায়গায় ছেড়ে দেওয়ার কথা বললে আমি নিজ দায়িত্বে মিস্ত্রি দিয়ে আমার নিছ তলায় দুটি রুম ভেঙ্গে দিয়ে থাকি।আমার লক্ষ টাকা বিল্ডিং আইনকে সম্মান করে ভেঙ্গে পেলি কিন্তু কথা হলো আমার ঘরের সামনে সরকারি যতটুকু রাস্তা আছে একটি গ্রুপ সেই চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দেন বার বার আমাকে আর আমার পরিবারকে নিয়ে নানান ধরনের মন্তব্য করে যান আমার একটি মাত্র ছেলে তাকেও গুম করে ফেলার হুমকি দিয়ে থাকেন।

    এস এম ওবায়দুল্লাহ আরোও বলেন আমি যেনো আমার পরিবার নিয়ে বাড়িতে যাতায়াত করতে পারি প্রশাসনের কাছ থেকে সহযোগিতা কামনা করছি।

  • উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন পরিষদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন পরিষদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    কাজল আইচ, উখিয়া।

    কক্সবাজারের উখিয়া মডেল সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন পরিষদের চলমান মতবিনিময সভায় গেঞ্জি, ক্যাপ, কাপ ও ব্যাগ চয়েস নির্ধারণ করণ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে ।

    ২৫ অক্টোবর-২০২২ খ্রিঃ সোমবার রাতে উখিয়া মডেল সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হলরুমে এ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন অত্র বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী। উদযাপন পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক নুরুল আমিন সিকদার ভুট্রো, উদযাপন পরিষদ প্রধান সমন্বয়কারী মৌলভী হারুন অর রশিদ, অধ্যাপক তহিদুল আলম তহিদ, মাষ্টার রফিক উদ্দিন, সাংবাদিক সরোওয়ার আলম শাহীন, সাংবাদিক কাজল আইচ ও উখিয়ার বিশিষ্ট তরুন ব্যবসায়ীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হুমায়ুন কবির রুবেল, তোফাইল আহমদ, বাবু প্রদীপ সেন, পেক্স নুরুল ইসলাম, ছৈয়দ আলম ভুট্রো সহ বিভিন্ন ব্যাচ প্রতিনিধি ও বিশিষ্ট সম্মানিত প্রাক্তন ছাত্ররা উপস্থিত ছিলেন।

  • চট্টগ্রামের ৬৬ ইউনিয়নে ৫৮৫৪ ঘর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এ বিধ্বস্ত

    চট্টগ্রামের ৬৬ ইউনিয়নে ৫৮৫৪ ঘর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এ বিধ্বস্ত

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    উপকূলে বৃষ্টি ঝরিয়ে শক্তি হারিয়ে মধ্যরাতে উপকূল অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। নামানো হয়েছে বিপদ সংকেত। তবে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এ বড় ধরনের তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল।

    ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সৃষ্ট বাতাসে নগরের পতেঙ্গা এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে বেশকিছু ঘরবাড়ি। এছাড়া জোয়ারের পানিতে আসবাবপত্র সরাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন মোহরার এক যুবক। আহত হয়েছেন একই পরিবারের আরও দুজন। এছাড়া আনোয়ারা ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় সড়কে গাছ উপড়ে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল ব্যাহত ছিল।

    এদিকে গত ২৪ ঘণ্টার জেলা-উপজেলার তথ্য সংগ্রহের পর আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এর প্রভাবে চট্টগ্রামের উপজেলার মোট ৬৬টি ইউনিয়নের দুর্যোগের কবলে পড়ে। এর মধ্যে ৫৮ হাজার ৫৭২ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এছাড়া আংশিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে ৫ হাজার ৭৬০ এবং সম্পূর্ণ বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে প্রায় ৯৪টি।

    অন্যদিকে নিখোঁজ এবং উদ্ধারের তথ্য জানিয়ে কন্ট্রোল রুম থেকে আরও জানানো হয়, চট্টগ্রামের কোথাও নিখোঁজের সংবাদ না পেলে মিরসরাই উপজেলায় একটি বালু উত্তোলনের ড্রেজার উল্টানো অবস্থায় পাওয়া যায়। সেটি উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। সেই তথ্যের ভিত্তিতে উদ্ধার তৎপরতায় নেতৃত্ব দেওয়া মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিনহাজুর রহমান ঘটনাস্থল থেকে সিভয়েসকে বলেন, ‘রাতের কোন সময়ে এ ড্রেজার ডুবির ঘটনা ঘটেছে সেটা নিশ্চিত নয়। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন মঙ্গলবার সকালে গিয়ে দেখে এসেছেন ড্রেজারের ভেতরই নিখোঁজ ৮ শ্রমিক বালি চাপা পড়ে আছে। প্রবল স্রোতের কারণে উদ্ধার তৎপরতায় বিঘ্ন হচ্ছে। ড্রেজারে থাকা বেঁচে ফেরা এক শ্রমিকের নাম আব্দুস সালাম। তিনি গতকাল সন্ধ্যার দিকে ফিরে আসেন। ওই শ্রমিক জানিয়েছেন, তার সঙ্গে থাকা অপর ৮ শ্রমিক ড্রেজারের ভেতর হেজেই ছিল তখন। সেখানকার হেজে থাকার কারণে ডুবে যাওয়ায় তারা সেখানেই আটকা পড়ে। এসব কারণে ধারণা করছি তারা ড্রেজারের হেজেই মৃত অবস্থায় আটকে আছে। বালি চাপা পড়ায় মরদেহ উদ্ধারে বিঘ্ন হচ্ছে।’

    একই কথা জানিয়ে উদ্ধার অভিযানে থাকা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রামের উপ সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ হারুন পাশা ঘটনাস্থল থেকে সিভয়েসকে বলেন, ‘ঘটনা রাতে ঘটলেও আমাদের মঙ্গলবার বেলা ১১টার পর জানানো হয়। আমরা ১২টার পর থেকে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করি। বর্তমানে দুজন ডুবুরিসহ আমাদের টিম কাজ করছে। সাগরে পানির স্রোত প্রবল হওয়ায় উদ্ধার তৎপরতায় বেগ পোহাতে হচ্ছে।’

    নিখোঁজদের মৃতদেহ পাওয়া গেছে কিনা— এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে পানির উপরে না আনা পর্যন্ত আমি তা অফিসিয়ালি বলতে পারব না। তবে ড্রেজারের ভেতর যে লাশ নেই সেটাও বলতে পারছি না। কিছুক্ষণের মধ্যে সেটি স্পষ্ট হবে।’

    অন্যদিকে চট্টগ্রাম নগর এবং উপজেলায় কোনো আহত এবং মৃত্যুর খবর জানাতে পারেনি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কন্ট্রোল রুম। তবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ‘মধ্যরাত থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত মোট ৫ জন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে উত্তর মোহরার একই পরিবারের তিনজন এবং কর্ণফুলী ও কক্সবাজারের দুইজন চমেক হাসপাতালে ভর্তি হন। তার মধ্যে একই পরিবারের ৩ জনের মধ্যে মোবারক হোসেন নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করেছে কর্তব্যরত চিকিৎসক। বাকিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    এছাড়া ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে যারা খাবার খেতে সমস্যায় পড়েছিলেন তাদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের ম্যাজিস্ট্রেটরা। এর মধ্যে চাল দেওয়া হয়েছে ২১ মেট্রিক টন, শুকনো খাবার ৮শ’ প্যাকেট, অলিম্পিক ড্রাই কেক ৩৭৫ কার্টুন এবং বিস্কিট ৫২০ প্যাকেট। একইসঙ্গে দুর্যোগে পরা মানুষদের মধ্যে ১৫ হাজার পোশাক বিতরণ করা হয়েছে।

    অন্যদিকে চট্টগ্রামের ঝুঁকিপূর্ণ ৬টি উপজেলার জন্য দেওয়া হয়েছে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। উপজেলাগুলো হলো— সন্দ্বীপ, বাঁশখালী, সীতাকুণ্ডে, আনোয়ারা, মিরসরাই এবং কর্ণফুলী। একইসঙ্গে যাদের ঘর ভেঙে গেছে তাদের জরুরি উপকরণ হিসেবে ঢেউটিন এবং গৃহনির্মাণ মজুরি দেওয়া হয়েছে।

    উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এর প্রভাবে গত ২৪ ঘন্টায় জোয়ারের পানিতে তলিয়ে চট্টগ্রামের বৃহত্তর পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে প্রায় শত কোটি টাকার পণ্যের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাতুনগঞ্জ হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী।

    অন্যদিকে ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র মোবিলাইজার কফিল উদ্দিন সিভয়েসকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে চট্টগ্রাম নগরে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি। তবে উপজেলার আনোয়ারা ও রাঙ্গুনিয়ায় গত রাত ৭টা ৪৫ মিনিটে একটি ও রাত ৮টা ২৫ মিনিটে একটি গাছ উপড়ে পড়ার ঘটনা ঘটে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি টিম সড়কে ভেঙে পড়া গাছ দুটি অপসারণ করে। উদ্ধার করা পর্যন্ত সাময়িক যান চলাচল বন্ধ ছিল।’

  • বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত/ বেশি ক্ষতি কৃষকদের

    বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত/ বেশি ক্ষতি কৃষকদের

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    জোয়ারের পানি অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় বাঁধ ভেঙে কয়েকটি পয়েন্টে পানি প্রবেশ করে লোকালয়ে

    ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব পড়েছে বাঁশখালীর উপকূলীয় অঞ্চলে। ২৪ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে বাড়তে থাকে জোয়ার। অতিরিক্ত জোয়ারের প্রভাবে বেড়িবাঁধ ভেঙে উপকূলীয় এলাকার খানখানাবাদ, বাহারচড়া, সরল, কাথরিয়া, গন্ডামারা, শিলকূপ, চাম্বলের পশ্চিমাঞ্চল, শেখেরখীল, পুঁইছড়ি, ছনুয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৭০ ভাগ বসতঘরে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে। তলিয়ে গেছে মাছের ঘের, পুকুর ও রাস্তাঘাট। অনেক এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ধানি জমিসহ ফসলি বিভিন্ন জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। গতকাল বৃষ্টি ও ধমকা হাওয়া বাতাসে বিভিন্ন এলাকায় গাছ পড়ে বিচ্ছিন্ন আছে বিদ্যুৎ সংযোগ।
    স্বাভাবিকের চেয়ে ৩-৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। উপজেলার নিম্নাঞ্চলে সবজি ক্ষেত ও ধানি জমি পানিতে ডুবে গেছে। এতে ক্ষেত নষ্ট হয়ে কৃষকদের অপূরণীয় ক্ষতির আশংকা করছে। প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হলেও টেকসই বেড়িবাঁধ এখনো অধরাই থেকে গেল। বাঁশখালীর প্রায় ২৬ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকত এলাকার বৃহত্তম অংশ জুড়ে এখনো অরক্ষিত বেড়িবাঁধ।

    শেখেরখীল থেকে স্থানীয় মোহাম্মদ আতাউর রহমান মানিক জানান, ‘আমাদের শেখেরখীল ব্রিজ হতে সরকার বাজার পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ অরক্ষিত। গতকাল রাতের জোয়ারের পানি অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় বাঁধ ভেঙে কয়েকটি পয়েন্টে পানি প্রবেশ করে লোকালয়ে। এতে সংলগ্ন এলাকার ৯৫ ভাগ বসতঘরে পানি প্রবেশ করেছে বলে জানান। তলিয়ে যায় মাছের প্রজেক্ট ও ধানি জমি।’

    শীলকূপ ইউপির সদস্য সিদ্দিক আকবর বাহাদুর বলেন, ‘জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় জালিয়াখালী জলকদর খালের ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ডুকেছে। এতে নোয়াপাড়া, হেডপাড়ার বেশকিছু বসতঘরে পানি ঢুকেছে।
    সরল থেকে এম জসিমউদদীন মিছবাহ জানান, ‘ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে অতিরিক্ত জোয়ারের ফলে আমাদের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এতে অনেক কৃষকের জীবন জীবিকার টমেটো ক্ষেত ডুবে গেছে। এতে করে তারা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।’

    পানি উন্নয়ন বোর্ডর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী প্রকাশন চাকমা বলেন, ‘বাঁশখালীর জলকদর খালের অরক্ষিত বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ প্রক্রিয়াধীন। এ বিষয়ে আমাদের একটি প্রকল্প নিশ্চিতে আছে। জলকদর খালের দু’পাড়ের ভাঙনের কাজ সংস্কার করা হবে। কবে নাগাদ জলকদরের ভাঙনরোধে বেঁড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘টেইকসই কাজ করতে অনুমোদন হওয়া লাগে। বড় আকারের কাজ এ মুহূর্তে সম্ভব না। বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে জরুরি কাজগুলো দ্রুতই সমাধান করা হবে।

  • সাংবাদিকদের নিয়ে মহেশখালীর ইউএনও ইয়াসিন এর বিরূপ মন্তব্য; প্রতিবাদে সাংবাদিকদের সমাবেশ

    সাংবাদিকদের নিয়ে মহেশখালীর ইউএনও ইয়াসিন এর বিরূপ মন্তব্য; প্রতিবাদে সাংবাদিকদের সমাবেশ

    মিছবাহ উদ্দীন আরজুঃ- (মহেশখালী প্রতিনিধি),

    কক্সবাজারের মহেশখালীতে ইউএনও কর্তৃক সাংবাদিকতা পেশা নিয়ে অশালীন ও আপত্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে সাংবাদিক সমাবেশ করেছে মহেশখালীতে কর্মরত সাংবাদিকরা।

    রবিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর ১২ টায় মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    সমাবেশে মহেশখালী উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রায় ৫০ জন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

    এসময় সমাবেশ শেষে সাংবাদিক নেতা দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিনিধি আবুল বশর পারভেজ, দৈনিক সকাল বেলার জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ ইউনুস, দৈনিক যুগান্তরের প্রতিনিধি মাহবুব রোকন, দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিনিধি জয়নাল আবেদীন চার দফা দাবী উত্থাপন করেন। দাবী গুলো হলো- চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে ইউএনওকে ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের যাবতীয় ইতিবাচক নিউজ বর্জন করা হবে, ২৫ অক্টোবর সর্বস্তরের সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের সমন্বয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে, তারপর ২৭ অক্টোবর কক্সবাজার জেলা সদরে মানববন্ধনের পর জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট দফতরে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।

    এর আগে ২২ অক্টোবর মহেশখালী উপজেলা প্রশাসন ও বিসিকের আয়োজনে লবনচাষীদের নিয়ে সেমিনার করা হয়। সে সেমিনারের বিষয়ে মহেশখালীতে কর্মরত কোন সাংবাদিককে জানানো হয়নি। পরে অনুষ্ঠানের বিষয়ে জানতে বিসিক চেয়ারম্যানের বক্তব্য নিতে যান সাংবাদিকরা। তখন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ইয়াছিন সাংবাদিকদের উপর ক্ষেপে যান এবং সংসদ সদস্যের সামনে সাংবাদিক নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন।

    ওই সময় সেখানে উপস্থিত সাংবাদিক এস এম রুবেল, রমজান আলী, আবু বক্কর ও বাপ্পী জানান- সংসদ সদস্য ইউএনওকে উদ্দেশ্য করে সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠান গুলোতে সাংবাদিকদের জানানোর অনুরোধ করেন।

    তখন ইউএনও মুহাম্মদ ইয়াসিন রেগে গিয়ে বলেন, “সাংবাদিক মিনস কি তারা জানে? তাদের কেন ডাকবো? তারা নিজেরা আসতে পারেনা। আর সাংবাদিকদের ডেকে আমি ভাতের প্যাকেট কোত্থেকে দিবো? তাদেরকে চিঠি দিতে হবে! চেয়ার দিতে হবে? অনারিয়াম দিতে হবে? খবর দিতে হবে নতুন জামাইর মত!

    সমাবেশে বক্তারা বলেন- “মহেশখালীতে সরকারের মেগা প্রকল্প সহ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সরকার নানান উদ্যোগ নিয়েছেন এবং এখনো উন্নয়ন কাজ চলছে। তার পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী সংস্থা এখানে কাজ করছেন। আর এখানকার মানুষ নানান ভাবে সরকারী প্রকৃত সেবা থেকে বঞ্চিত। কিন্তু এসব তথ্য সাংবাদিকদের জানায়না উপজেলা প্রশাসন। তারা গোপনে বিভিন্ন মিটিং, সমাবেশ, সেমিনার সম্পন্ন করেন। যার কারণে প্রকৃত উন্নয়নের তথ্য মানুষের নাগালে পৌঁছায়না।”

    তারা আরো জানান- ইউএনও যোগদানের পর থেকে সেবাপ্রাপ্তিদের সাথে অশালীন আচরণ করেন। ইতিপূর্বে তিনি এক সাবেক চেয়ারম্যান, বর্তমান ইউপি সদস্য ও স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অপদস্থ করেন বলে অভিযোগ উঠেছিল।

    বার্তা প্রেরক-
    মিছবাহ উদ্দীন আরজু
    (মহেশখালী)
    মোবাঃ 01811323339

  • ওয়ার্ড দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও ইউনিয়ন দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সমন্বন সভা অনুষ্ঠিত

    ওয়ার্ড দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও ইউনিয়ন দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সমন্বন সভা অনুষ্ঠিত

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    কক্সবাজার জেলাধীন উখিয়া উপজেলার সদর ৪নং রাজাপালং ইউনিয়নের ৫, ৭ ও ৮ নং এই তিন ওয়ার্ডের ৪৮ জন সদস্য নিয়ে রাজাপালং ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সমন্বন সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত ওয়ার্ড দূর্যোগ ব্যবস্হাপনা কমিটি ও ইউনিয়ন দূর্যোগ ব্যবস্হাপনা কমিটি রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে গতকাল ২৪ অক্টোবর ২০২২ খ্রিঃ সোমবার সকাল ১০ ঘটিকার দিকে অনুষ্ঠিত হয়।

    রাজাপালং ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সমন্বন সভাটি কারিতাস বাংলাদেশ ও জার্মান কোপারেশন সংস্থার আয়োজিত সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    উক্ত সভায় সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং এর সমসাময়িক পরিস্থিতি মোকাবেলা করণে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন কারিতাস এরিয়া কো-অরডিনেটর শশাঙ্ক রিছিল, কারিতাস বাংলাদেশ কক্সবাজার এরিয়া প্রোগ্রাম অফিসার জনাব মোঃ শরিফ, উখিয়া প্রোগ্রাম অফিসার মোজাম্মেল হক, রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য জনাব ইন্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন মেম্বার, ইউপি সদস্য জনাব মীর সাহেদুল ইসলাম রোমান চৌধুরী, প্যানেল চেয়ারম্যান জনাব সালাউদ্দিন মেম্বার, ইউপি সদস্য জনাব আব্দুর রহিম মেম্বার, ইউপি সদস্য জনাব নুরুল কবির মেম্বা, ইউপি সদস্য জনাব আব্দুল হক মেম্বার, ইউপি সদস্য জনাব ইকবাল মেম্বার, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য জনাবা শামসুন্নাহার, জনাবা খুরশিদা বেগম, জনাবা রোকসানা বেগম, কারিতাস বাংলাদেশ ইন্জিনিয়ার সুমন আহমেদ, ফিল্ড সুপারভাইজার নুরুল আমিন ও কারিতাস বাংলাদেশ রাজাপালং ৩ ওয়ার্ডের দায়িত্বশীল ভলান্টিয়ারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

    উক্ত আলোচনা সমাপ্তি হওয়ার পূর্বে কারিতাস বাংলাদেশ রাজাপালং ইউনিয়নের কর্মযোগ্যের প্রতি আনন্দিত হয়ে রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী আন্তরিক শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে ক্রেস্ট প্রদান করেন কারিতাস বাংলাদেশ এর স্টাফদের।

  • ঈদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রথম বর্ধিত সভা আগামী শুক্রবার

    ঈদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রথম বর্ধিত সভা আগামী শুক্রবার

    ইমরান তাওহীদ রানাঃ- ঈদগাঁও

    বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ঈদগাঁও ইউনিয়ন শাখার এক জরুরী মিটিং সম্পন্ন হয়েছে, উক্ত মিটিংয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি তারেক আজিজ এর সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক রাশেদ উদ্দিন রাসেল সঞ্চলনায় চলা এই মিটিংয়ে ঈদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কে সু সংগঠিত করার জন্য আগামী ২৮ অক্টোবর রোজ শুক্রবার ঈদগাঁও পাবলিক লাইব্রেরিতে।

    কার্যকরী কমিটি ও ১ থেকে ৯ ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ সকল নেতা কর্মীদের নিয়ে ১তম বর্ধিত সভা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, এজেন্ডা ভিত্তিক আলোচনায় উপস্থিত সকলে মতামত ভিত্তিতে আগামী বর্ধিত সভা সফল করার জন্য সকলে একমত পোষণ করেন এবং নিজ নিজ অভিমত পেশ করেন এতে উপস্থিত ছিলেন সাবেক যুবনেতা নুরুল আবছার, গিয়াস উদ্দিন, ফিরোজ আহমদ, সোলতান আহমদ, ইমন আকবর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু হেনা সাগর, নুরুল আলম।

    সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর নির্দেশক্রমে দপ্তর সম্পাদক মাহবুব আলম মাবু এর প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিচ্ছিত হয়।

    সকলের মতামতের ভিত্তিতে ঈদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভা আগামী শুক্রবার বিকেল তিনটায় পাবলিক লাইব্রেরীতে করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহীত হয়।