Blog

  • রাজাপালং ইউনিয়ন সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    রাজাপালং ইউনিয়ন সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    কাজল আইচঃ- উখিয়া কক্সবাজার,

    কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির র‍্যালী ও
    আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

    অদ্য ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রিঃ মঙ্গলবার সকালে রাজাপালং ইউনিয়ন কমিটির উদ্যোগে “সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখুন,হিংসা বিদ্বেষ দূর করুন” এর আলোকে র‍্যালী ও আলোচনা সভায় উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মৃনাল বড়ুয়া।

    “সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখুন” এই স্লোগানকে ধারণ করে বক্তব্য রাখেন রাজাপালং ইউপি চেয়ারম্যান প্যানেল ও রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ সালাহ উদ্দিন, ইউপি সদস্য সরোওয়ার কামাল পাশা, ইউপি সদস্য মীর শাহাদুল ইসলাম রোমান, ইমাম প্রতিনিধি মৌলভী জাফর আলম, মুক্তিযুদ্ধ প্রতিনিধি সোলতান আহম্মদ, শিক্ষক প্রতিনিধি প্রধান শিক্ষক মৌলভী আব্দুল খালেদ, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি ব্রাম্মন হারাধন চক্রবর্তী,উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল হক খাঁন, কৃষকলীগ নেতা কাজি আকতার উদ্দিন টুনু, ছাত্রলীগ নেতা মোঃ ইব্রাহিম, ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরী জয়,
    বৌদ্ধ সমাজের প্রতিনিধি ঝিনু বড়ুয়া, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সমাজিক নেতৃবৃন্দ সহ অন্যান্য প্রতিনিধি বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    একটি দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার দায়িত্ব আপনার আমার সবার। কোনো দেশের সরকারের একার পক্ষে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করা আদৌ সম্ভব নয়, কারণ একটি বিশাল দেশের গ্রামে গ্রামে এবং বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পাহারা দেয়া সরকারের পক্ষে নিতান্তই অসম্ভব। তবে দেশের কোনো এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হচ্ছে দেখলে সরকারকে অবশ্যই দ্রুত একটা ব্যবস্থা নিতে হবে। ক’বছর ধরে সময়ে সময়ে আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের বিষয়টি স্পষ্টই লক্ষ করার যাচ্ছে। মূলত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য এদেশে কিছু প্রতিক্রিয়াশীল মানুষ ওঁৎ পেতে বসে থাকে। সুযোগ পেলেই এরা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে গুজবের সহায়তা নিয়ে বাংলাদেশের সরলপ্রাণ মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিয়ে মুহূর্তেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে দেয়। এ পর্যন্ত গুজবের বিষয়টি অসংখ্যবার প্রমাণিতও হয়েছে। রামু, নাছিরনগর, বেগমগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাঁশখালী, কুমিল্লা, সর্বশেষ নড়াইলের সাহাপাড়ায় যে ধরনের সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে আগুন দেয়া, মূর্তি ভাঙাসহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে ছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভুয়া খবর।

    আর এসব খবর বিশ্বাস করে কতিপয় উগ্রবাদী সংখ্যালঘুদের মন্দিরে এবং বাড়িতে ভাঙচুর এবং হামলাগুলো চালিয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো এরা কারা? প্রতিবার কেমন করে এরা এসব ঘটনা ঘটিয়ে চলে যায়?
    প্রশাসনই বা প্রতিবার কী করে? প্রকৃতপক্ষে সাম্প্রদায়িক ঘটনাগুলোর সঙ্গে যে কোনো এলাকায় সব মানুষ জড়িত থাকে তা না, মূলত এসব ঘটনা ঘটায় কিছু মধ্যযুগীয় মনমানসিকতার মানুষ যারা ধর্মকে বুকে কখনো ধারণ করে না, তারা ধর্মকে বর্ম হিসেবে ব্যবহার করে। অনেক সময় অজ্ঞতা অর্থাৎ ধর্ম সম্পর্কে কিছুই না জানার ফলে মানুষ যা বলে তাই বিশ্বাস করে বসে এরা, ফলে গুজবকে এরা সঠিক হিসেবে ধরে নিয়ে সাম্প্রদায়িক হামলায় অংশ নেয়। অনেক সময় আবার এসব উগ্রবাদীদের একটি বিশেষ শ্রেণি ব্যবহার করে সরকারের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে ফায়দা হাসিল করতে ব্যস্ত থাকে, মাঝখানে সংখ্যালঘুদের যা ক্ষতি হওয়ার তাই হয়ে যায়। এ ধরনের সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা এদেশে সব সরকারের সময়ই হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে।
    বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বর্তমানে পরপর তিনবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আছে, কেন এমন সরকারের আমলেও সংখ্যালঘুদের ওপর বারবার হামলা হচ্ছে এই বিষয়টা চাইলে তারা নিজেরাই বের করতে পারে। প্রকৃতপক্ষে কোনো এলাকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য সে এলাকার সব দলের মানুষ ঐক্যবদ্ধ না থাকলে সে এলাকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা বেশ কষ্টসাধ্য। বিশেষ কোনো এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য ওই এলাকার সব দলের নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। মৌলভী, ব্রাহ্মণ, পাদ্রী, ভান্তেসহ সব ধর্মের ধর্মগুরুদের একসঙ্গে বসে গঠনমূলক আলাপ-আলোচনা করতে হবে এবং সেই আলাপ-আলোচনার পজেটিভ ম্যাসেজ সমাজের সব ধর্মের মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে ফলে মানুষ সঠিক ম্যাসেজ পাবে এবং তারা সহজে বিভ্রান্ত হবে না।
    তাছাড়া মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডায় বা উপাসনালয়ে কোনো ধর্মীয় আলোচনা হলে সে আলোচনা যাতে শতভাগ মানবিক হয় সে বিষয়ে সব ধর্মের ধর্মীয় গুরুদের সজাগ থাকতে হবে। অনেক সময় এসব ধর্মীয় স্থানগুলোতে অনেকেই বেফাঁস মন্তব্য করে বসে, ফলে তার এই মন্তব্য নিয়েও সমাজে অনেক অনর্থ ঘটে যায়। যে কোনো ধর্মীয় স্থানে বা সভায় মন্তব্য করার সময় সবাইকে যথেষ্ট দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় কোনো ধর্মীয় জায়গায় বা সভায় কিছু লোক ধর্মীয় বিধিবিধানের ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে কিংবা নিজের ইচ্ছামতো ধর্মীয় বিশ্বাসের ব্যাখ্যা দিচ্ছে, এ ধরনের ব্যাখ্যাকারীদের সব মানুষ মিলে প্রতিরোধ করা উচিত, কারণ এদের ধর্মের ভুল ব্যাখ্যার কারণে অনেক সাধারণ মানুষই ধর্মের ভুলটা আত্মস্থ করে তা প্রয়োগ করার চেষ্টা করে, ফলে সমাজে দেখা দেয় বিপত্তি। প্রকৃতপক্ষে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিষয়টি যেহেতু সমাজের একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে বিদ্যমান সেহেতু এ বিষয়ে কাজ করতে হলে সমাজের রুট লেভেলে গিয়েই কাজ করতে হবে তবেই সমাজে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকবে।

    আসলে সব ধর্মের মানুষ এবং সব দলের মানুষ এক হয়ে কাজ করলে সমাজে সম্প্রীতি বিনষ্ট হওয়ার ঝুঁকি একেবারেই কমে যায়। তাই আসুন যার যার ধর্ম অন্তরে লালন করে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানুষের জন্য কাজ করি এবং দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখি।

  • ভয় পেয়েই ভয় দেখাচ্ছে আওয়ামী লীগ: ডা. শাহাদাত

    ভয় পেয়েই ভয় দেখাচ্ছে আওয়ামী লীগ: ডা. শাহাদাত

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সারাদেশে বিএনপির সমাবেশে গণজোয়ার দেখে আওয়ামী লীগ ভয় পেয়েছে। ভয় পেয়েই তারা ভয় দেখাচ্ছে।

    রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগরীর কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হামলার প্রতিবাদে এ সমাবেশ ডাকা হয়।

    সমাবেশে ডা. শাহাদাত বলেন, জ্বালানি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং তিনজন কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে বিএনপির সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হচ্ছেন। এটি দেখে সরকার এখন বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ প্রতিহত করতে মরিয়া। ঢাকাসহ সারাদেশে বিএনপির সমাবেশে হামলা চালিয়ে বরকত উল্লাহ বুলুসহ নেতাকর্মীদের আহত করেছে। তারা অতীতেও একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। আওয়ামী লীগ একটি গণতন্ত্রবিরোধী সন্ত্রাসী শক্তি।

    তিনি বলেন, এখনো আওয়ামী লীগ একই উদ্দেশ্যে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তারা সারাদেশে একই কায়দায় বিএনপির সমাবেশে হামলা করছে। পুরোপুরিভাবে উসকানি দিয়ে সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। বিএনপির পক্ষে গণজোয়ার দেখে আওয়ামী লীগ ভয় পেয়েছে। ভয় পেয়েই তারা ভয় দেখাচ্ছে।

    মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, অ্যাড. আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, হাজী মো. আলী, মাহবুব আলম, নিয়াজ মো. খান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. আজম, হাজী মো. সালাউদ্দীন, মো. সেকান্দর, হাজী হানিফ সওদাগর, আবদুল্লাহ আল হারুন, ডা. নুরুল আবছার, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, হাজী বাদশা মিয়া, আবদুল কাদের জসিম, মহিলাদলের মনোয়ারা বেগম মনি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, কৃষকদলের আহ্বায়ক মো. আলমগীর, সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক নুরুল হক ও ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম প্রমুখ।

  • নাইক্ষ্যংছড়ি বাইশারীতে অস্ত্র সহ এক উপজাতীয় যুবক আটক মটর সাইকেল জদ্ব

    নাইক্ষ্যংছড়ি বাইশারীতে অস্ত্র সহ এক উপজাতীয় যুবক আটক মটর সাইকেল জদ্ব

    কপিল উদ্দিন জয়ঃ- বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি,

    বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলার বাইশারীতে পুলিশের অভিযানে দেশীয় তৈরী লম্বা বন্দুক সহ এক উপজাতীয় যুবককে আটক করা হয়েছে। আটক যুবক লামা উপজেলার ফাসিয়খালী ইউনিয়নের সাপের গাড়া গ্রামের বাসিন্দা প্রমাংরী মার্মার ছেলে উচপ্রু মার্মা (২০)।

    বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক আবুল হাসেম জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনা ও নাইক্ষংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ পরিদর্শক টান্টু সাহার পরিকল্পনা মোতাবেক এস আই হাবিব, এ এস আই মুসলিম সহ সংগীয় ফোর্স নিয়ে বাইশারী ইউনিয়ন এর ৪ নং ওয়ার্ড তিতার এলাকায় রাস্তার উপর মটর সাইকেল থামিয়ে তল্লাশি কালে বস্তার ভিতর লুকিয়ে রাখা অবস্থায় এক নলা বন্দুক সহ অংচাপ্রু কে আটক করতে সক্ষম হয়। তবে মটর সাইকেল থামিয়ে তল্লাশি কালে আরো ২ যুবক পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। আটক যুবক কে নাইক্ষংছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

    এবিষয়ে নাইক্ষংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ পরিদর্শক টান্টু সাহা বলেন অস্ত্র সহ এক উপজাতীয় যুবক আটক হয়েছে। যাচাই বাছাই করে আসল রহস্য খুজে বের করার চেষ্টা চলছে এবং তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করে আদালতে প্রেরন করা হবে।

  • সীমান্তে উত্তেজনা ঘুনধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরিক্ষা কেন্দ্র স্থানান্তর

    সীমান্তে উত্তেজনা ঘুনধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরিক্ষা কেন্দ্র স্থানান্তর

    কপিল উদ্দিন জয়ঃ- বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি,

    বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু- ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমার মিয়ানমারারের ছোঁড়া মর্টারশেল বিস্ফোরণে মো. ইকবাল (১৭) নামে এক রোহিঙ্গা নিহত ও সাত ৭ জন আহত হয়। এর আগে মাইন বিস্ফোরণে এক বাংলাদেশির পা উড়ে যায়।

    এ ঘটনায় সীমান্তে উত্তেজনা ও আতংক বিরাজ করছে।
    এ পরিস্থিতি ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা ফেরদৌস।
    তিনি জানান, আতংকের কারণে পরিক্ষা কেন্দ্র পরিবর্তণ করা হয়েছে। পরিক্ষার্থীর মানসিক এ কথা চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াসিন পারভেজ তিরমিজিও বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন পরিক্ষার্থীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এই কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
    উল্লেখ্য মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেল এসে পড়েছে সীমান্তের নো ম্যান্স ল্যান্ডে। সেটি বিস্ফোরণে সেখানে বসবাসরত মো. ইকবাল (১৭) নামে এক রোহিঙ্গা নিহত হ‌য়ে‌ছেন বলে জানা গেছে। এই সময় আহত হয়েছে আরও পাঁচ জন।

  • ঘুমধুম হাইস্কুল কেন্দ্র এসএসসি পরীক্ষার্থীদের উখিয়া কুতুপালং কেন্দ্রে বাসে করে আনা হলো

    ঘুমধুম হাইস্কুল কেন্দ্র এসএসসি পরীক্ষার্থীদের উখিয়া কুতুপালং কেন্দ্রে বাসে করে আনা হলো

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ,উখিয়া।

    পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান
    নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বাসে করে উখিয়ার কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছে পুলিশ ও ছাত্রলীগ। অদ্য ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রিঃ শনিবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে শনিবার সকাল ৭ ঘটিকার দিকে কয়েক শত এসএসসি পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা জড়ো হয়।

    উদ্দেশ্য, সেখান থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে পাশের জেলা কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে যাওয়া। কারণ, ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তের বিপরীতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পাহাড়ে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী বেপরোয়া গুলিবর্ষণ, আর্টিলারি ও মর্টার সেল নিক্ষেপ করছে, যার কিছু এসে পড়ছে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে। গোলা এসে পড়ার ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতে শূন্যরেখার আশ্রয়শিবিরের মোহাম্মদ ইকবাল নামের এক রোহিঙ্গা কিশোর নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৫ পাঁচজন। এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রটি সরিয়ে উখিয়ায় স্থানান্তর করা হয়েছে।

    ঘুমধুম কেন্দ্রের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের উখিয়ার কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে একাধিক বাসের ব্যবস্থা করেছে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ। এ ছাড়া কক্সবাজার জেলা পুলিশ দুটি বাস ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে অন্যান্য যানবাহন করে শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাসগুলোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিয়ে কেন্দ্র পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে উখিয়া থানার পুলিশ। ঘুমধুম থেকে কুতুপালং কেন্দ্রে পৌঁছাতে বাসের সময় লাগে ৩৩০ থেকে ৩৫ মিনিট।

  • মাদরাসা মারকাযুন নুর গাজীপুর এর উদ্যোগে ৭ সালা দস্তারবন্দী ইসলামী সম্মেলন আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর

    মাদরাসা মারকাযুন নুর গাজীপুর এর উদ্যোগে ৭ সালা দস্তারবন্দী ইসলামী সম্মেলন আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর

    শফিউল বিন নুরী।

    মাদরাসা মারকাযুন নুর গাজীপুর এর উদ্যোগে ৭ সালা দস্তারবন্দী ইসলামী মহা সম্মেলন আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর রবিবার বাদ আসর রতন মিয়ার নতুন বাড়ি সংলগ্ন মাঠ, বটতলা রোড, মৃধা বাড়ি, বোর্ড বাজার,গাজীপুরে অনুষ্ঠিত হবে। ইনশাআল্লাহ।

    মোহাম্মদ শাহাজাদা মৃধা’র সভাপতিত্বে হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ি প্রদান করবেন আল্লামা আব্দুল ওয়াহীদ কাসেমী দা: বা:, মুহতামিম, মুসলিম বাজার মাদ্রাসা, মীরপুর-১২ ঢাকা। আমন্ত্রিত আলোচক হিসাবে আলোচনা পেশ করবেন যথাক্রমে মারকাযুত তারবিয়াহ, বাংলাদেশ এর মুহতামিম, সুলতানুল ওয়ায়েজীনখ্যাত আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবী দা: বা: জামিয়া তালিমিয়া ঢাকার মুহতামিম, খতিবুল উম্মাহখ্যাত মাওলানা হাফিজুর রহমান ছিদ্দীক (কুয়াকাটা), মুফতী ওয়ালীউল্লাহ দা: বা: (রামপুরা, ঢাকা), মুফতী উবাইদুর রহমান হুজাইফী হাফি. মুফতী আব্দুল্লাহ সালেহী হাফি, মুফতী আবিদ আল আহসান হাফি.।

    এছাড়াও প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আলহাজ্ব আব্দুল্লাহ আল মামুন মন্ডল, কাউন্সিলর ৩৫নং ওয়ার্ড, গাজীপুর সিটি। মাদরাসার পরিচালক, মুফতী রিজওয়ান রফিকী সাহেব
    মাহফিল সফল করার সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

  • People living on the border of South Chitrala are in panic.

    People living on the border of South Chitrala are in panic.

    People living on the border of South Chitrala are in panic.

    Omar Faruk Ukhia – Cox’s Bazar.

    In recent times, the sound of ammunition on the border has spread fear in several places. Due to insecurity, farmers are unable to cultivate, students are unable to go to schools, colleges, madrasas. Also, workers are unable to go to various activities including donation farming, jum farming, shop teaching.

    All in all, the people there are passing through a terrible situation.
    Across the border, in the mountains of Myanmar’s Rakhine state, shelling continues. Panic spread in the slums of Ghumdhum as the ammunition sometimes rushed across.
    Due to the shelling, the parents have not allowed the students to go to school, college, madrasa for many days, thinking about the security.
    The number of absentees in schools, colleges, madrasas, attendance registers is very high. Currently, the annual and central examination time table of the students has been published.

    Meanwhile, the victims of the area are more worried because of the shelling on the other side of the border on Sunday morning.

    As mortar shells fired by Myanmar security forces landed next to the rubber plantation on September 3, several sources in charge of border security and local public representatives said that there is no predicting when the shelling will start or stop in Rakhine State. If mortar shells or bullets arrive in the territory of Bangladesh, there is an alarm. Before this, Bangladesh had strongly protested by summoning the ambassador of Myanmar to the Ministry of Foreign Affairs in the incident of two mortar shells fired from a helicopter.
    According to several newspapers, Naikxyongchari Upazila Nirbahi Officer (UNO) Salma Ferdous said that the local people reported the news that bullets fired from Myanmar had reached Konapara on Tumbru border. No casualty occurred in this incident. Gunshots are heard beyond them at the border. In between, there was a ceasefire on the Tumbru border for only two days. Since then there has been shelling. We are monitoring the border and tight security has been beefed up at the Naikshyongchari border to prevent Rohingya infiltration. Local residents have been advised not to panic by the administration.

    Over the past two days, a number of Rohingyas have taken refuge in Ukhiyar Kutupalong and Balukhali camps in Cox’s Bazar, again crossing the border into Bangladesh due to the conflict inside Myanmar.
    According to local sources, hundreds of thousands more Rohingyas are preparing to go to Bangladesh. They are waiting to pass through the various borders of Ghumdhum, Tumbru, Ukhia and Teknaf in Naikshyongchari of Bandarban.

    Ukhiya Palongkhali Union Parishad Chairman Abdul Gafur said that the Rohingyas are fleeing to Bangladesh on the pretext of ongoing conflict inside Myanmar.

  • আতঙ্ক হয়ে আছে দক্ষিণ চট্রলার সীমান্তে বসবাসকারী লোকজন।

    আতঙ্ক হয়ে আছে দক্ষিণ চট্রলার সীমান্তে বসবাসকারী লোকজন।

    ওমর ফারুক উখিয়া -কক্সবাজার।

    সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্তে গোলাবারুদের আওয়াজে ভীতি ছড়িয়েছে বেশ কয়েকটা জায়গা। নিরাপত্তাহীনতায় থাকায় চাষিরা করতে পারছেন না চাষাবাদ, শিক্ষার্থীরা যেতে পারছেনা স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা।এছাড়া শ্রমিকরা যেতে পারছেননা দান চাষ, জুম চাষ, দোকান পাঠ সহ বিভিন্ন কাজে।

    সবকিছু মিলিয়ে এক ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দিন পার করছেন সেখানকার লোকজন।

    সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পাহাড়ে সমানে চলছে গোলাগুলি। মাঝেমধ্যে গোলাবারুদ এপারেও ছুটে আসায় ঘুমধুমের জনবসতিতে ছড়িয়েছে আতঙ্ক।

    গোলাগুলির কারণে নিরাপত্তার কথা ভেবে অনেক দিন ধরে অভিভাবকরা স্কুলে, কলেজ,মাদ্রাসায় যেতে দিচ্ছেনা শিক্ষার্থীদের।
    স্কুল, কলেজ মাদ্রাসা,উপস্থিতি খাতায় অনুপস্থিতর সংখ্যা খুব বেশি। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক,ও কেন্দ্রীয় পরিক্ষার সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে।

    এদিকে রোববার সকালেও সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি হওয়ায় আরো বেশি আতংকে রয়েছেন এলাকার ভুক্তভোগি লোকজন।

    গত ৩ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর ছোড়া মর্টার শেল রাবার বাগানের পাশে এসে পড়ায় সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা একাধিক সূত্র এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, রাখাইন রাজ্যে কখন গোলাগুলি শুরু হয়, কখন থামে- সেটার কোনো পূর্বাভাস নেই। বাংলাদেশের ভূখণ্ডে মর্টার শেল কিংবা গুলি এসে পড়লে শঙ্কা দেখা দেয়। এর আগেও দু’বার হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া দুটি মর্টার শেল এসে পড়ার ঘটনায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছিল বাংলাদেশ।

    কয়েকটা পত্রিকার সুত্রে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা ফেরদৌস জানান, মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি (বুলেট) তুমব্রু সীমান্তের কোনাপাড়া এসে পড়ার খবর স্থানীয় লোকজন অবহিত করে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সীমান্তে তাদের ওপারে গোলাগুলি শব্দ হচ্ছে। মাঝখানে মাত্র দুইদিন তুমব্রু সীমান্তে গোলাগুলি বন্ধ ছিল। তারপর থেকে সেখানে গোলাগুলি চলছে। আমরা সীমান্তের খোঁজখবর রাখছি।এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় এলাকাবাসীদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

    মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘর্ষের কারণে সীমান্ত দিয়ে আবারও বাংলাদেশে গত দুই দিনে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে ডুকার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে আরও কয়েক হাজার রোহিঙ্গা। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, তুমব্রু, উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ডুকার অপেক্ষায় আছেন তাঁরা।

    উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল গফুর জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘর্ষ চলার অজুহাতে রোহিঙ্গারা পালিয়ে আসছেন বাংলাদেশে

  • বিরামপুরে ধর্মীয় উপাসনালয় ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন

    বিরামপুরে ধর্মীয় উপাসনালয় ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন

    এম এ মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি- বিরামপুর উপজেলার দিঘলচাঁদ গ্রামে খ্রীষ্ট ধর্মীয় উপাসনালয় ভাংচুর,

    বাইবেল ও ক্রুশ অবমাননাকারীদের শাস্তির দাবিতে রবিবার (১১ সেপ্টে:) বিরামপুর
    প্রেসক্লাব মোড়ে মহাসড়কের পাশে খ্রীষ্ট সম্প্রদায়ের লোকজন মানববন্ধন করেছে।

    দুপুর ১২টায় ঐ এলাকার নারী-পুরুষদের নিয়ে মানববন্ধনে দিঘলচাঁদ
    ইউনাইটেড বেথানী চার্চের সভাপতি ও পালক ইলিয়াস সরেন বলেন, ২০০৬ সালে
    দিঘলচাঁদ গ্রামের মুচিয়া মার্ডি ও তার ছেলেরা খ্রীষ্টধর্ম গ্রহণের আবেদন করে।

    সেই মোতাবেক ২০০৬ সালের ৩০ জুন তারা খ্রীষ্ট ধর্মে দীক্ষিত হন। মুচিয়া
    মার্ডি গ্রামে গির্জা নির্মানের জন্য ৩৩ শতক জমি দান করেন। ২০১৪ সালে
    মুচিয়া মার্ডি মারা গেলে তার ছেলেরা জমি দখলের চেষ্টা করে।

    চলতি বছর ২১ এপ্রিল বিবাদিরা গির্জার দরজা জানালা ভাংচুর করে এবং ১০ জুন ঘরের টিন ও
    আসবাবপত্র নিয়ে যায়। এসময় তারা বাইবেল অবমাননা ও ক্রুশ ভাংচুর করে। এঘটনায়
    মুচিয়া মার্ডির ছেলে বিষান মার্ডিসসহ ১১জনকে আসামী করে গির্জার
    সেক্রেটারী জোহান হাঁসদা ২০ জুলাই আদালতে মামলা করেছে।

    তিনি ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে খ্রীষ্ট ধর্মীয় উপাসনালয় ভাংচুর, বাইবেল ও ক্রুশ অবমাননাকারী
    প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এসময় একই দাবিতে আরো বক্তব্য
    রাখেন, পারগানা কেরোবিন হেমরম, আলেকসিউস হেমরম প্রমূখ। এতে গির্জার
    সেক্রেটারী জোহন হাঁসদাসহ এলাকার শতাধিক নারী পুরুষ অংশ গ্রহণ করেন।

  • ভিত্তিহীন ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে নিরীহ ২ যুবকের মানহানি (ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা) বন্ধ করুন স্টাটাস বানিজ্য

    ভিত্তিহীন ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে নিরীহ ২ যুবকের মানহানি (ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা) বন্ধ করুন স্টাটাস বানিজ্য

    নিজস্ব প্রতিবেদক:

    টেকনাফ উপকূলীয় অঞ্চলের নানা পেশার মানুষ ঝুঁকছে অবৈধ পথে মালয়েশিয়া প্রবেশ করতে।

    তবে এসব মানবপাচার চক্র রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝিমাল্লা বলে একাধিক সূত্রে: প্রমাণ মিলেছে।

    তার আগে ও বেশ কয়েক দফা উপকূলীয় অঞ্চলের বাহারছড়া উত্তর শিলখালী বাইলারছড়া ও শামলাপুর জাহাজ পুরা এলাকা থেকে অবৈধ পথে মালয়েশিয়া প্রবেশ করেছে, অনেকেই মায়ানমার থাইল্যান্ড মালয়েশিয়া অবস্থানে রয়েছে বলে ভিকটিমের পরিবার থেকে জানা গেছে।

    এদিকে স্থানীয়দের দাবি, বাহারছড়া উত্তর শিলখালী’র আব্দুল আমিনের পুত্র: আনিছুল ইসলাম ও ছালেহ আহাম্মদের পুত্র: জাকের হোসেন দুই যুবকের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক একটি উপকূলীয় সাংবাদিক ফোরাম নামে ফেসবুক আইডি থেকে তাদের ছবি দিয়ে মানবপাচারে জড়িত বলে মালয়েশিয়া গমনকারী জালালের পিতা খাইরুল আমিন একটি ফেসবুক ব্যবহারকারীকে ভুল তথ্য দিয়ে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট স্টাটাস দিয়ে প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করার পাশাপাশি দুটি পরিবারকে হয়রানি করছে।

    অন্যদিকে স্টাটাসের কমেন্টে সুশীল সমাজের জনপ্রতিনিধি সহ সাংবাদিক ও সচেতন মহলের ভিত্তিহীন স্টাটাসের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে দেখা গেছে।
    উল্লেখিত ফেসবুক পোস্টে’র কমেন্টে ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হুমায়ুন কাদেরের লেখাটি হুবহু তুলে ধরা হলো,(প্রিয় কলম সৈনিক আপনারা জাতির বিবেগ, নিউজ বুলেটিন করার সময় সঠিকভাবে তদন্ত করে যদি করা হয়, আমাদের হ্নদয়ের অনুভূতি আপনাদের প্রতি অনিবার্য থাকে, যেহেতু আনিস অদূর ভবিষ্যতে ছিলো কি-না এবং বর্তমানে আছে কি-না..? সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রমাণ সহকারে নিউজ করা হক)
    ২য় কমেন্ট: পাচার রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি ধর্মীয় মূল্যবোধের ব্যাপক প্রচার ও প্রসার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। মানুষকে সদুপদেশের মাধ্যমে ইহকালীন লাঞ্ছনা ও পরকালীন ভয়াবহ পরিণতির কথা স্মরণ করে সচেতন থাকতে উদ্বুদ্ধ করা দরকার। তবে সুনির্দিষ্ট তত্ত্ব সাপেক্ষে বিবেচনা করে নাম প্রকাশ করা জন্য অনুরুধ করছি, কারণ আপনারা কলম সৈনিক কেউ যদি মিথ্যা তত্ত্ব দিয়ে ভালো কলম সৈনিকদের কে কুলোসিত করছে কি-না, যেহেতু মানুষের পারিবারিক সামাজিক দ্বন্দ্ব থাকে..?)

    অন্যদিকে উপকূলীয় সাংবাদিক ফোরাম নামে মালিকবিহীন যে ফেসবুক আইডি থেকে ভিত্তিহীন মিথ্যা বানোয়াট পোস্ট করা হয়েছে, সেই নামের আসল ফোরামের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের কমেন্ট ও হুবুহু তুলে ধরা হলো
    (প্রিয় সহকর্মী ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি সঠিক ডকুমেন্ট থাকলে নিউজ করতে সমস্যা নাই। কারো কান ফোঁসকানি কথা নিয়ে এভাবে মানহানি করা ভাল না)
    রনি ক্স কমেন্ট:(একজন নাগরিকে বিরোধে সংবাদ প্রচার করতে ১০০% প্রমান তাকতে হবে। সাধারণ জনগণের উপর বিত্তিহীন নিউজ করার কোনো সংবাদ গনম্যাধমের একক্তিয়ার নেই)
    মোঃ কফিল উদ্দিন কমেন্টে:( কার থেকে কপি করেছেন?
    নিউজ করার সময় পর্ব ১ অথবা ২
    এইসব লেখা শিখছেন কোত্থেকে।
    সুষ্ঠু তদন্ত করুন, নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করা শিখবেন কবে?)

    এবিষয়ে অভিযুক্ত আনিসুল ইসলাম ও জাকের হোসেন বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে ভিন্ন একটি ইস্যু নিয়ে খাইরুল আমিনের কেবল একটি পরিবার উঠেপড়ে লেগেছে, মানবপাচারে জড়িত সন্দেহে উপকূলীয় সাংবাদিক ফোরাম নামে একটি আইডি থেকে ভিত্তিহীন স্টাটাস দিয়ে আমাদের মান ক্ষুণ্ন করেছে।
    তবে খাইরুল আমিন এই বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে নারাজ হয়।

    আনিস আরো বলেন, আজিজ উল্লাহ নামের একজন ব্যক্তি নামধারী ফেসবুক সাংবাদিক উল্লেখিত ফোরাম থেকে আমাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্রমূলক ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে আমাদের মান ক্ষুণ্ন করেছে, তার বিরুদ্ধে এর আগেও দেশ-বিদেশ পত্রিকায় মনখালী থেকে চাঁদাবাজির অডিও রেকর্ড ভাইরাল সহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় চাঁদাবাজি ও ফেসবুক বানিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।

    তাঁরা আরো বলেন,সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আমরা জড়িত থাকলে আমাদের ফাঁসি হওয়া উচিত।
    আমাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্রমূলক ফেসবুক পোস্ট’কারীর বিরুদ্ধে শিঘ্রই আইনি আশ্রয় নেবো।

    এ বিষয়ে শামলাপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নূর মোহাম্মদ জানান, মানবপাচার চক্র সক্রিয়, তাদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে,
    তবে আনিসুল ইসলাম ও জাকের হোসেনের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।
    তদন্ত করা হচ্ছে, জড়িত থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।