Blog

  • পদোন্নতির দাবিতে দাড়ে দাড়ে ঘুরছে ইসলামী ব্যাংকের স্থায়ী সাব স্টাফরা

    পদোন্নতির দাবিতে দাড়ে দাড়ে ঘুরছে ইসলামী ব্যাংকের স্থায়ী সাব স্টাফরা

    কপিল উদ্দিন জয়,বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি,

    কোন কারণ ছাড়াই পাচ বছর যাবত বন্ধ রয়েছে ইসলামি ব্যাংকের স্থায়ী সাব স্টাফদের পদোন্নতি প্রক্রিয়া। দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাংকের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে দেন দরবার করে ন্যায্য অধিকার আদায়ে ব্যর্থ হয়ে সাব স্টাফ কর্মিরা বাংলাদেশ ব্যাংকের স্মরণাপন্ন হয়ে গভর্নরের দফতরে আবেদন করে কিন্তু বিদায়ী গভর্নর বিষয়টির সুরাহা না করায় কোনো দৃশ্যমান ফলাফল হয়নি।

    সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা সাব-স্টাফদের নিকট থেকে জানা যায় ২০১৭ সালে ৫৫ জনকে এই লেভেল থেকে পদোন্নতি দিয়ে কোন কারণ ছাড়াই প্রক্রিয়াটি বন্ধ করে দেয়া হয়। যখন যোগ্যতা সম্পন্ন ছয় শতাধিক পদোন্নতি বঞ্চিত রয়ে যায় যাদের মধ্যে দেড় শতাধিক রয়েছে ব্যাংকিং ডিপ্লোমাধারী।

    এই বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন কোন ব্যাংক দেউলিয়া না হলে তার কর্মকর্তা কর্মচারীদের সুযোগ সুবিধা বন্ধ করতে পারে না।

    বিষয়টি নিয়ে ইসলামি ব্যাংকের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন সাব-স্টাফদের অভিজ্ঞতা এবং যোগ্যতার মাপকাঠিতে পদোন্নতি দিলে ব্যাংক উপকৃত হবে। তাছাড়া ব্যাংকের ৩৮৫ টি শাখা এবং ২২০ টি উপশাখা রয়েছে সেখানে তাদের এডাপ্টেড করা অসম্ভব নয়।তবে বিষয়টি মালিক পক্ষের উপর ডিপেন্ডেবল।
    স্থায়ী সাব-স্টাফদের মধ্যে ছয় শতাধিক স্নাতক ও স্নাতকোত্তরসহ দেড় শতাধিক ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পাস রয়েছেন যারা পদোন্নতির আশায় এই পদে যোগদান করে সততা,নিষ্ঠা ও সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। আবার এদের সবার চাকুরির বয়স ১২ থেকে ১৭ বছর হয়ে গেছে। তাদের সবার সরকারি চাকুরির বয়সও পার হয়ে গেছে। সব মিলে এক ধরণের হতাশা ঘিরে ধরেছে এই সব স্টাফদের । একটি সূত্র দাবি করেছে, এ সব স্টাফদের পদোন্নতি ব্যাংকের একটি সাধারণ প্রক্রিয়া। এর জন্য দেন দরবারের প্রয়োজন হওয়ার কথা না। কিন্তু ইসলামী ব্যাংকে এটা হচ্ছে। যা ব্যাংকটির ঐতিহ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। কারণ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ ব্যাংকটির সর্বস্তরের কর্মিরা কর্মদক্ষতা, সততা, আন্তরিকতা দিয়ে দেশে বিশ্বমানের ব্যাংকিং এর উদহরণ সৃষ্টি করেছে। বিশ্বের সেরা ১০০০ ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে এ ব্যাংকটির অবস্থান।
    ব্যাংকের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে ব্যাংকটির উধর্বতন কর্তৃপক্ষের এক রোখা দৃষ্টি ভঙ্গির কারণে RDS( আরডিএস) কর্মিরা আদালত মুখি হতে বাধ্য হচ্ছে । একটা সময় হয়তো সাব-স্টাফদেরও আদালতে যেতে বাধ্য করবে।
    সূত্রমতে, অনেকটা প্রশ্নহীন ভাবে ব্যাংকে একের পর এক নিয়োগ পাচ্ছে একটি বিশেষ অঞ্চলের মানুষ। আর আটকে রাখা হয়েছে যোগ্যতা সম্পন্ন কর্মিদের রেগুলার পদোন্নতির মতো বিষয় । উল্লেখ্য, সাব-স্টাফদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আছেন যাদের বক্তব্য ইসলামী ব্যাংকে এখনো বিতর্কিত একটি দলের লোক এমডি ডিএমডি হতে পারলে আমরা অফিসার হতে সমস্যা কোথায়? প্রয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বরনাপন্ন হব এটি আমাদের প্রাণের দাবি। নতুবা দেশের সর্বোচ্চ আদালতে যেতে বাধ্য হব।
    এ বিষয়ে ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল মাওলার নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে মোবাইল রিছিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

  • মাকে বাঁচাতে নিজের লিভার দিচ্ছেন ফটিকছড়ির ‘মাসুদ

    মাকে বাঁচাতে নিজের লিভার দিচ্ছেন ফটিকছড়ির ‘মাসুদ

    তালহা চৌধুরী রুদ্র- ফটিকছড়ি প্রতিনিধি।

    নিজের লিভার কেটে মাকে দান করতে যাচ্ছেন ফটিকছড়ি করোনেশন সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কমিল্লার ময়নামতি মেডিকেল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী সদ্য পাশ করা নবীন চিকিৎসক ডা. মাসুদুল করিম। বেশ কিছুদিন আগে তার মায়ের লিভার টিউমার ধরা পড়ে।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ও টিমের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৩০ শতাংশ লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করতে হচ্ছে। এজন্য ভারতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়েছে ডা. মাসুদের মাকে।

    উপরোক্ত তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডা. মাসুদুল করিম। মায়ের সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি। এছাড়াও তার পিতা ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত।

    ডা.মাসুদ ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চননগর ইউপির বাসীন্দা এবং ফটিকছড়ি করোনেশন সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক মোহাম্মদ আজাহারুল ইসলামের ছেলে।

    এদিকে, ডা. মাসুদের মায়ের অসুস্থতা নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন এফডিএসআর এর স্টুডেন্টস উইংয়ের আহ্বায়ক ডা. জোবায়ের রাফি।

    তিনি লিখেছেন, `আন্টির চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক টিম সিদ্ধান্ত দিলেন লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করাতে হবে। কিভাবে করবে সবাই চিন্তিত। কে দিবে আন্টিকে লিভার (কলিজা)। হন‍্য হয়ে খোঁজ করতে লাগলো। কিন্তু কিভাবে সম্ভব?

    যে দেশ মুমূর্ষ রোগীর জন‍্য রক্ত লাগলে হন‍্য হয়ে খুঁজতে হয়। একজন সুস্থ মানুষ রক্ত দিতে ভয় পায়! সে দেশে কলিজা ডোনেট! কল্পনার রাজ‍্যে বসবাস ছাড়া কিছুই নয়।

    পরিবারের অন্য সবার পরীক্ষা নিরীক্ষা হলো তিনজনের ওর ছোটবোন ছোটভাই আর মাসুদের সাথে সবকিছু ম্যাচ করে, বাকি ভাই বোন দুজনের বয়স কম। এখনো সবকিছু বুঝার ক্ষমতা হয়ে উঠেনি। মাসুদ সিদ্ধান্ত নিল, ওর আম্মুকে বাচাঁতে হলে নিজেকেই কিছু একটা করতে হবে। মাসুদ সিদ্ধান্ত নিল, ওর কলিজা দিয়ে আম্মু বেঁচে থাকবে। এর থেকে ভালো কাজ জীবনে কি হয়? মাসুদের কলিজার ৩০% ওর আম্মুর জন্য ডোনেট করবেন।

    আমি তো বলি, ৩০% শতাংশ কলিজা তো কেটে দিবে মাত্র। ও তো পুরো কলিজাটাই মা-বাবার জন্য দিয়ে দিয়েছে।’

    ডা.মাসুদের এহেন কর্মকান্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে যাওয়ার পর থেকেই অনেকে আবেগঘন স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তার প্রতি ভূয়সী প্রশংসা করেন।

  • টেকনাফে ১৩ টি স্বর্ণের বার জব্দ

    টেকনাফে ১৩ টি স্বর্ণের বার জব্দ

    টেকনাফ প্রতিনিধি,

    কক্সবাজারের টেকনাফে ২ হাজার ১৫৯.৪৩ গ্রাম ওজনের ১৩টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সদস্যরা। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

    রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে টেকনাফ স্থলবন্দর সংলগ্ন বরইতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। দুপুরে টেকনাফ কোস্ট গার্ডের অফিসে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কোস্ট গার্ডের টেকনাফ স্টেশন ইনচার্জ লে. কমান্ডার মো. আশিক আহমেদ এ তথ্য জানান।

    তিনি জানান, মিয়ানমার থেকে আসা ট্রলারে স্বর্ণ পাচার করার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোস্ট গার্ডের একটি দল বরইতলী প্যারাবন এলাকায় অবস্থান নেয়। এ সময় সন্দেহভাজন একজনকে দেখে থামার সংকেত দিলে কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে একটি বস্তা ফেলে প্যারাবনের ভেতরে ঢুকে পড়ে ওই ব্যক্তি। পরে ফেলে যাওয়া বস্তাটি তল্লাশি করে ১৩টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।

    স্টেশন ইনচার্জ আরও জানান, উদ্ধার করা স্বর্ণের বারগুলোর দাম ১ কোটি বায়ান্ন লাখ পঁয়তাল্লিশ হাজার টাকা। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান কোস্ট গার্ডের এই কর্মকর্তা।

  • ফটিকছড়িতে পানিতে ডুবে ১ম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যু

    ফটিকছড়িতে পানিতে ডুবে ১ম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যু

    তালহা চৌধুরী রুদ্র,

    চট্টগ্রাম ফটিকছড়িতে পুকুরে গোসল করতে নেমে ১ম শ্রেণির এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই শিক্ষার্থীর শিক্ষক মো. ওসমান খান।

    রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার লেলাং বন্দেরাজা-এ মহিলা মাদ্রাসা সংলগ্ন কাসেম চেয়ারম্যান এর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

    নিহত ওই শিক্ষার্থী আফিয়া ইবনাত (০৫) ওই এলাকার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন এর কন্যা সন্তান।

    এ ব্যাপারে ওই শিক্ষার্থীর মাদ্রাসা শিক্ষক মো.ওসমান খান জানান, আমার ওই ছাত্রী আজও নূরানীতে ক্লাস করেছেন। দুপুরে মাদ্রাসা থেকে যাওয়ার পর পুকুরে গোসল করতে নেমে তার এমন মৃত্যু আমি মেনে নিতে পারছিনা। প্রতিদিনের মত আজও ক্লাসে গিয়ে ওকে আদর করেছি, জানতাম না এটাই শেষ আদর।

  • রামুতে সকল সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে আন্তঃ ধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত

    রামুতে সকল সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে আন্তঃ ধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    ‘সংঘাত নয়, ঐক্যের বাংলাদেশ চাই’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ০৩ টায় দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশের সার্বিক সহযোগিতায় রামু উপজেলা পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ- পিএফজির উদ্যোগে উক্ত উপজেলার মিলনায়তনে রামুতে বসবাসরত সকল ধর্মের অনুসারীদের অংশগ্রহণে রামুর বিদ্যমান সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং ঐক্যকে গতিশীল রাখার লক্ষ্যে এক আন্তঃ ধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। রামু উপজেলা পিএফজির পিস এ্যাম্বাসেডর ও সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন’র সভাপতি মোহাম্মদ আলম মাস্টারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রামু ল্যাবরেটরি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুল আলম। সভায় আগত অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, সমগ্র বাললাদেশের মধ্যে রামু উপজেলা তার বৈচিত্রপূর্ণ সংস্কৃতির জন্য আলাদাভাবে পরিচিত। হাজার বছর ধরে এখানকার মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করে চলেছে। কিন্তু ২০১২ সালে কতিপয় দুস্কৃতিকারী এখানকার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়ে হামলা করে রামুর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে নষ্ট করার পায়তারা করে। সাম্প্রতিক সময়েও দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ ধরণের সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার হচ্ছে সংখ্যালঘূরা। এমতাবস্থায় রামুতে এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে মুসলিম, হিন্দু ও বৌদ্ধদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি রামুর উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে এ বিষয়ে সর্ব্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সম্প্রীতি রক্ষায় পাড়ায় পাড়ায় সকল ধর্মের অনুসারীদের নিয়ে সম্প্রীতি কমিটি গঠন করতে হবে। উক্ত সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামু থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল হোসাইন। অন্যদিকে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিরুপম মজুমদার, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন রামু উপজেলার চেয়ারম্যান হাফেজ আহমদ, বাংলাদেশ মুসলিম হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব সুরেশ বরুয়া বাঙ্গালী, বাংলাদেশ মুসলিম হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ রামু উপজেলার সভাপতি নুরুল হাকিম, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ রামু উপজেলার আহ্বায়ক সুজন শর্মা, সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন’র সহ সভাপতি হোসনে আরা বেগম, সোশ্যাল এইডের চেয়ারম্যান প্রসূণ বড়ুয়া, রামু প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক নুরুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেক, রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামশুল আলম মন্ডল, বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা নিশাত আক্তার মুন্নি, রামু উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মফিজুল আলম, সাংবাদিক সোয়েব সাঈদ, প্রমুখ। এছাড়াও সভার মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামুর মুসলিম সম্প্রদায়ের মাওলানা বখতিয়ার আহমদ ও মাওলানা হেফাজতুর রহমান, হিন্দু সম্প্রদায়ের সজল ব্রাহ্মণ চৌধুরী ও প্রকাশ শিকদার, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের তাপস সেন বড়ুয়াও শরণ সেন বড়ুয়া প্রমুখ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ। পাশাপাশি রামুর সকল রাজনৈতিক দল, সুশীল ও তরুণ সমাজের নেতৃবৃন্দ উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে রামুর চলমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে আরো গতিশীল রাখার বিষয়ে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

  • রংপুর জেলার পীরগাছা থানায় বাংলাদেশ কংগ্রেসের কমিটি ঘোষণা

    রংপুর জেলার পীরগাছা থানায় বাংলাদেশ কংগ্রেসের কমিটি ঘোষণা

    স্টাফ রিপোর্টার এম এ হোসেন পাটোয়ারী।

    শাহাদৎ হোসেন সভাপতি ও রফিকুল ইসলাম রবিকে সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রবিউল ইসলাম সোহেল মোল্লা কে নিয়ে বাংলাদেশ কংগ্রেস এর পীরগাছা থানার ৩১সদস্য বিশিষ্ট পুণঃ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কংগ্রেস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল করিম ও কংগ্রেসের মহাসচিব এ্যাডভোকেট মোঃ ইয়ারুল ইসলামের সুপারিশে কমিটি অনুমোদন করেন।উল্লেখ্য গত ২৪.০৯.২০২২ইং তারিখ রোজ শনিবার বিকাল ৩ ঘটিকায় পীরগাছা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট রেজাউল করিম ও কংগ্রেস মহাসচিব এ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল মোর্শেদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ দেলাব্বর । রংপুর জেলার নির্বাহী সদস্য ও আহ্বায়ক এম এ আকরাম। রংপুর জেলার সদস্য সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম পাটোয়রী। আরো উপস্থিত ছিলনে পীরগাছা থানার সকল কংগ্রেস নেতা ও কংগ্রেস প্রেমিক জনগণ।

  • ভিলেজার পাড়া লেড়া মিয়া গ্যাং’র হাতে দফায় দফায় হামলার শিকার সাংবাদিক জামালের পরিবার

    ভিলেজার পাড়া লেড়া মিয়া গ্যাং’র হাতে দফায় দফায় হামলার শিকার সাংবাদিক জামালের পরিবার

    বাঁশখালী প্রতিনিধি :

    চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভার দক্ষিণ জলদি দারোগা বাজারের পূর্ব পাশে ভিলেজার পাড়া তথা ডাংগার মাঠ এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক মোঃ জামাল উদ্দিনের বিগত ৬ বছর আগে খতিয়ান ভুক্ত ৭ গন্ডা জায়গা ক্রয়করে পিলার দিয়ে ঘেরাও দিতে গিয়ে গত ১৯ আগস্ট জুমাবার পাশের বাড়ী ওয়ালাদের বাধার সম্মুখিন হয় এবং কথায় কথায় অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে। সাংবাদিক এবং মেয়র পর্যন্ত ছাড় পাইনি আপত্তিকর মন্তব্য ও অশালিন গালিগালাজ থেকে। যাবতীয় ভিড়িও প্রমাণসহ আছে। সেদিন জমি বিক্রেতার বড় ছেলে মোঃ হেলাল উদ্দিন উপস্থিত হয়ে বিষয়টা সমাধানের জন্য সার্ভেয়ার অর্থাৎ আমিনের মাধ্যমে দিয়ে জায়গা টা মাপ দিয়ে ঝামেলা মুক্ত করার জন্য গত ২ সেপ্টেম্বর জুমাবার দিন তারিখ ধার্য করেন। এরপর গত ২ সেপ্টেম্বর জুমাবার যখন সার্ভেয়ার মাওলানা কাউসারসহ উক্ত জমি মাপ দিতে গিয়ে পাশের বাড়ীর ভাড়াটিয়া গুন্ডাবাহিনীর দল দা ক্রিস নিয়ে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিক এবং সার্ভেয়ারসহ পরিবারের সবাইকে খুন ও গুমের হুমকি দেয় আরও সাংবাদিকদের নিয়ে অশালীন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দেন। তাদের বিরুদ্ধে মোঃ জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে পৌরসভায় মেয়র বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে দুয়েকদিনের মধ্যে সমাধানের আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত ফলাফল শূন্য।

    উল্লেখিত ঘটনার পরে হঠাৎ গত ২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার সময় আবার ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল বাহিনীরা দা ক্রিস নিয়ে জামালের পরিবারের হামলা চালাই। প্রাণ হারানোর ভয়ে এখনো পালাতক জামালের বাবা।
    পৌরসভা ৮ নং ওয়াডের কমিশনার প্রনব দাসের সাথে মুঠোফোনে আলাপ করলে তিনি জানান; তিনি বলেন অতি শীঘ্রই সমাধানের ব্যবস্থা করতেছি।

  • কাজিপুরে শেখ রাসেল রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অন্যরকম বিদ্যানিকেতনের সাফল্য

    কাজিপুরে শেখ রাসেল রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অন্যরকম বিদ্যানিকেতনের সাফল্য

    এনামুল হক মনি) কাজিপুর সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি।

    উপজেলা পর্যায়ে শেখ রাসেল রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় কাজিপুরের অন্যরকম বিদ্যানিকেতন স্কুল এন্ড কলেজের ছয়জন শিক্ষার্থী স্থান করে নিয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে দশটায় উপজেলা পরিষদ আদর্শ একাডেমি স্কুলে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় রচনা প্রতিযোগিতায় গ বিভাগে দ্বিতীয় হয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাজিদ সরকার । খ বিভাগে তূতীয় স্থান পেয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণির সাজিদ। গ বিভাগে তৃতীয় হয়েছে ১০ম শ্রেণির নাইম সরকার। খ বিভাগে ৩য় স্থান পেয়েছে সুমাইয়া খাতুন ৮ম শ্রেণি।

    এছাড়া চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ক বিভাগে প্রথম হয়েছে ৩য় শ্রেণির আরবী সুলতানা সখ। ২য় স্থান পেয়েছে ইবনে ছোয়াদ সুপ্ত। প্রতিযোগিতা শেষে বিকেলে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই ফলাফল ঘোষণা করেন কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) এবিএম আরিফুল ইসলাম।
    এসময় উপস্থিত বিচারক মন্ডলীর সদস্য উপজেলা শিক্ষা অফিসার এসএম হাবিবুর রহমান, আমিনা মনসুর ডিগ্রি কলেজের সহকারি অধ্যাপক ও কাজিপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল, উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার তহুরা খাতুন প্রমূখ।
    এদিকে এই সাফল্যের বিষয়ে অন্যরকম বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক ইয়াছিন আলী জানান, আমরা সবেমাত্র সরকারিভাবে পাঠদানের অনুমতি পেয়েছি। বারো বছরের সাধনায় আমরা আজ এ অবধি আসতে পেরেছি। আশা করি সামনে আমাদের বিদ্যালয় আরও ভালো ফলাফল করবে ইনশা আল্লাহ।

  • আগামী-১৯ ও ২০ নভেম্বর উখিয়ার চাকবৈঠা দারুল হেদায়া মাদ্রাসা ৪র্থ তম বার্ষিক সভা

    আগামী-১৯ ও ২০ নভেম্বর উখিয়ার চাকবৈঠা দারুল হেদায়া মাদ্রাসা ৪র্থ তম বার্ষিক সভা

    এইআ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ,উখিয়া।

    কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার পূর্ব অঞ্চলের নবগঠিত স্বনামধন্য দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, চাকবৈঠা দারুল হেদায়া মাদ্রাসা”র ৪র্থ তম বার্ষিক সভা ও ইসলামী সম্মেলন।

    উক্ত ৪র্থ তম বার্ষিক সভা ও ইসলামী সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা পেশ করবেন, দেশবরেণ্য মোফাচ্ছিরে কোরআন বর্তমান সময়ের সাড়াজাগানো বক্তা, সুমধুর কন্ঠের অধিকারী হযরত মাওলানা হাফিজুর রহমান ছিদ্দিক (কুয়াকাটা বরিশাল)।

    প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী,

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব নুরুল কবির চৌধুরী।

    উক্তা সভায় এছাড়া আরো দেশবরেণ্য ওলামায়েকেম ও বুজুর্গানে দ্বীনগন তাশরিফ আনবেন এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন।

    নিবেদকঃ
    হাফেজ মাওলানা মুফতি রিদওয়ানুল কাদির সাহেব
    পরিচালক অত্র মাদ্রাসা, উখিয়া কক্সবাজার।
    যোগাযোগ ০১৮১২-৭৬৬৮৯৩

  • উখিয়া থানায় কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত

    উখিয়া থানায় কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত

    কাজল আইচ, উখিয়া কক্সবাজার

    কক্সবাজারের উখিয়া থানাস্থলে অদ্য ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২খ্রিঃ শনিবার বিকাল ৩ ঘটিকার দিকে উখিয়া থানা কর্তৃক আয়োজিত কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ ও পুলিশ সুপার পিপিএম-বার মোঃ মাহফুজুল ইসলাম সভাপতিত্ব পুলিশই জনতা-জনতাই পুলিশ এই স্লোগানকে সানে রেখে উখিয়া থানা কমিউনিটি পুলিশিং সভার উখিয়া সার্কেল বিপিএম শাকিল আহাম্মেদ এর সঞ্চালনার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানটি স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে সুসম্পন্ন হয়।

    পুলিশই জনতা-জনতাই পুলিশ এই স্লোগানকে সানে রেখে
    মাদক, সন্ত্রাস, মানব পাচার, বাল্য বিবাহ, ইভটিজিং, সাইভার ক্রাইম,কিশোর গ্যাং সহ সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধ মূলক বক্তব্য রাখেন
    উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজীব, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি উখিয়া উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং নুরুল হুদা ও উখিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী, উখিয়া উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়ছার।

    আরো বক্তব্য রাখেন জালিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম সৈয়দ আলম, উখিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাঈদ মোঃ আনোয়ার, হলদিয়া পালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাজান সাজু, ইউপি সদস্য স্বপন শর্মা রনি, রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ সালাহ উদ্দিন, রাজাপালং ইউপি সদস্য ইঞ্জিয়ার হেলাল উদ্দিন, কক্সবাজার জেলা যুব মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তসলিমা আক্তার রোমানা, ছাত্রনেতা মোঃ ইব্রাহীম, পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর শুক্রুর মেম্বার, রত্না পালং ইউনিয়ন থেকে কার্শেদ নুর ও অন্যান্য প্রতিনিধিবৃন্দ।

    এর আগে কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠানে আগত অতিথি বৃন্দদের ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেন উখিয়ার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।