Blog

  • প্রতিদিন বাড়ছে ঔষধের দাম,ভোগান্তিতে ক্রেতা ও দোকানদার

    প্রতিদিন বাড়ছে ঔষধের দাম,ভোগান্তিতে ক্রেতা ও দোকানদার

    শরিফা বেগম শিউলী স্টাফ রিপোর্টার

    রংপুরে ঔষধের পাতার গায়ে নির্ধারিত মূল্য না থাকায় দোকানদার ও ক্রেতাদের মাঝে ভোগান্তি বেড়ে গেছে। জীবন বাঁচাতে ঔষুধের প্রয়োজন অপরিহার্য। কিন্তু ঔষধ কিনতে গেলে বিভিন্ন ভাবে ভোগান্তির শিকার হতে হয় রোগীদের। ঔষুধের মূল্য তালিকা না থাকায় ক্রেতা ও সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে না, কোনটার দাম কতো ।

    এদিকে যে কোন মানুষের রোগ হলেই চিন্তার শেষ থাকে না। একটু শারীরিক সমস্যা দেখা দিলেই বিশেষজ্ঞ কোন ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে পরামর্শ ফি সর্বনিম্ন ৭শ থেকে ১হাজার টাকা পযর্ন্ত দিতে হয়। ডাক্তাররা বিভিন্ন টেস্ট করিয়ে প্রেসক্রিপশন ভর্তি করে ঔষধ লিখে দিয়েই তাদের দায়িত্ব শেষ করে দেন। আর সেই প্রেসক্রিপশন দিয়ে ফার্মেসী থেকে ঔষধ কিনতে গেলে, একেক সময় একেক রকম বিল দেওয়া লাগে । যা কোন দোকানের সাথে অন‍্য কোন দোকানের বিলের মিল থাকে না।

    কয়েকজন ঔষুধের দোকানদারের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, প্রায় প্রতিদিন ওষুধের দাম বাড়াতে আমাদের ও জনসাধারণের মাঝে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। কেন বা কি কারণে ঔষধের দাম বাড়াচ্ছে আমরা দোকানদার’রা কেউ কিছুই জানিনা । নোটিশ ছাড়াই আমাদের কাছে ঔষধের দাম বেশি নিচ্ছে কোম্পানি। ক্রেতারা ঔষুধ কিনতে এসে দাম শুনে বলে গতকাল কিনলাম একদাম আজকে আর এক দাম কেন?? কাল ছিলো ৭টাকা আর আজ হইলো ৮টাকা তর্কে জড়িয়ে পড়ায়, প্রায় সময় লস করে ওষুধ বিক্রি করতে হয় আমাদের। কোম্পানিগুলো ঔষদের দাম বাড়িয়ে কখন বন্ধ করে আর কখন সাপ্লাই দেয় বোঝা বড় দায়।

    কোন কোন কোম্পানি আছে বন্ধ হইলে নোটিশ প্রদান করে, আবার কিছু কোম্পানি আছে অনেক দিন বন্ধ রেখে আবার ওষুধ সাপ্লাই দেয়। তাতে করে ক্রেতাদের সাথে আমাদের ঝগড়া লেগে যায়। যেমন করোনাকালীন সময় থেকে প্যারাসিটামলসহ আরো কিছু ওষুধ আমাদের প্রয়োজন যদি হয় ১০ প্যাকেট কিন্তূ কোম্পানি দেয় এক প্যাকেট। ক্রেতাদের ওষুধ দিতে না পারলে চিল্লাচিল্লি শুরু করে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ থাকলেও কোম্পানি আমাদেরকে দেয়না। সেক্ষেত্রে আমরা বার বার ভোগান্তির শিকার হই ক্রেতাদের কাছে। বিক্রি করলেও দোষ আমাদের, না করলেও দোষ আমাদের। আমাদের দেশে কোন আইন নাই, ঊর্ধ্বগতি জিনিসের দাম বাড়তেই পারে, পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও আর কমে না। তাতে করে দ্বিগুণ লাভবান হয় কোম্পানি।

    এব্যাপারে ওষুধ ক্রেতা আজিজার রহমান (৬২) বলেন, ওষুধের দাম তো অতিরঞ্জিত হয়ে গেছে। যেকোন ঔষধ নিতে যাবেন যে দাম, আমরা গরীব মানুষ, ওষুধের দাম বেশি হওয়ার আমাদের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। দুই দিন আগে কিনেছি একদাম আজকে আসি শুনি আর একদাম । দোকানদার বলে কোম্পানি বন্ধ সাপ্লাই কম তাই দাম বেশি।মূর্খ মানুষ পড়াশোনা করেছি অল্প। কোম্পানি দাম বাড়ায় না দোকানী বাড়ায় আমি তো কিছু বুঝি না। সরকারের কাছে আমার আবেদন সব কোম্পানির ঔষধ যদি নির্ধারিত মূল্য তালিকা দোকানে থাকতো তাহলে আমাদের জন্য সুবিধা হইতো।

    ঔষধ কেনার সময় কাজল মিয়া (৩০) বলেন, ওষুধ বিক্রেতা এরা মোটামুটি একটা সিন্ডিকেট হয়ে গেছে। এরা সংঘবদ্ধ গ্রুপের মতো, দাম নির্ধারণ করে বিক্রি করে, আগে যেমন এমআরপির পরেও আমাদেরকে অনার করে ১০% বা ৫% কম রেটে দিতো। এখন কিন্তু তারা এটা দিচ্ছে না। কারণ দোকানদারদের একটা ইউনিয়ন/সমিতি থাকে কোন দোকানদার যদি কমিশনে ছাড় দিয়ে ঔষধ দেয়। তাহলে সেই দোকানের কর্মচারীদের একটা পানিশমেন্ট হয়। আবার কিছু কিছু পরিচিত লোকের কাছে আড়াল করে কমিশনে দিচ্ছে।তাতেকরে কেউ সুবিধা পাচ্ছে কেউ পাচ্ছে না। আমি চাই আগের মতো কমিশন দিয়ে যদি ক্রেতাদের সহনীয় একটা দামের মধ্যে রাখে তাতে করে সকলের জন্য সুবিধা হবে।

    আরো এক ক্রেতা স্বচল হোসেন (৩২) কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইদানিং দেখা যাচ্ছে, ওষুধের দোকান গুলোতে কোন ছাড় দিচ্ছে না। এমআরপি লেখা থাকার পরেও বেশি দাম নিয়ে ঔষধ দিচ্ছে। দেখা যাচ্ছে গ্রাম থেকে সাদামাটা লোকগুলো রংপুর হাসপাতালে আসে কিছু বোঝেনা। তাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে কিছু কিছু দোকানদার ঔষধ ও সার্জিক্যাল জিনিস পত্রের দাম বেশি নিচ্ছে এতে করে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দূর দুরন্ত থেকে আসা গরিব মানুষ গুলো।

    বিশেষ করে গরীব অসহায় ক্রেতাদের জন্য খুবই কষ্ট সাধ‍্য হয়ে পড়েছে, অনেক গরীব অসহায় জটিল রোগগ্রস্ত রোগীরা টাকার অভাবে অভিমান করে ওষুধ ক্রয় করা থেকে বিরত থাকেন। ওষুধের গায়ে মূল্য সংযোজন না করার কারণেই এমনটি হয়ে থাকে। সব ওষুধের গায়ে মূল্য দেওয়া থাকলে, দোকানীরা ইচ্ছে মত বিল নিতে পারবে না। ক্রেতা ও সাধারণ মানুষের দাবি যেসকল ঔষধের পাতার গায়ে মূল্য লেখা নেই, সেসব ওষুধের গায়ে মূল্য সংযোজন করা হোক।

    বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগস এর কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচালক ও রংপুর জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মারুফ এলাহীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু ঔষধের দাম বাড়াতে কেমিস্টদের ও ক্রেতাদের মাঝে ভুল বুঝাবুকঝি সৃষ্টি হয়। নোটিশ ছাড়াই ওষুধের দাম বাড়ায় ঔষধ শিল্প সমিতি। তাতে আমাদের মধ্যেও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।এই প্রেক্ষাপটে আমরা দফায় দফায় আবেদন দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঔষধ শিল্প সমিতির সাথে বসার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা এখনো কোন সিডিউল দেয়নি। আমরা চেষ্টায় আছি বসে আলোচনা করে দেখি কি সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।

    এদিকে রংপুরে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম বলেন ওষুধ কোম্পানির কোন প্রোডাক্ট এর দাম বাড়লে সেটা আমাদের হেড অফিস নিয়ন্ত্রণ করেন। স্থানীয়ভাবে যদি কোন কেমিস্ট প্রোডাক্টের দাম বাড়ায়। আমরা তাদেরকে করে অভিযানের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করি।##

  • টেকনাফে ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রকল্প পরিচিতি সভা অনুষ্টিত

    টেকনাফে ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রকল্প পরিচিতি সভা অনুষ্টিত

    ইব্রাহীম মাহমুদ,টেকনাফ

    বেসরকারী সংস্থা ব্রাকের সহযোগিতায় এ্যালায়েন্স ফর কো-অপারেশন এন্ড লিগ্যাল এইড বাংলাদেশ (একলাব) এর বাস্তবায়নে সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রকল্প পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় সাবরাং ইউপি নুর হোসেন চেয়ারম্যান বি.এর সভাপতিত্বে ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর মোহাম্মদ সুমনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন সাবরাং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সেলিম সিআইপি,৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ শরীফ,৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজাউল করিম রেজু,৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুস ছালাম,উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হাসান,উপজেলা সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম। এতে স্বাগত বক্তব্যে প্রকল্পের পরিচিতি এর উপর উপস্থাপনা করেন একলাব প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার জুনায়েদ হোসেন,টেকনিক্যাল এডুকেশন অফিসার এজাজুল হক,প্রকল্প অফিসার পরিমল চাকমা, সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সিডিএ রাসেল উদ্দিন ও তারেকসহ মিডিয়া কর্মীগণ।

    সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন বি.এ বলেন, একলাবের বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে স্থানীয় ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা প্রকল্পটি দীর্ঘ দেড় বছর যাবৎ আমার সাবরাং ইউনিয়নে প্রতিবন্ধী ও হতদরিদ্র নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।যেমন-প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের হুইল চেয়ার,হেয়ারিং এইড,ওয়াকিং স্টিক,বগলের লাঠি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ডিভাইস দিয়ে আসছে। তাছাড়া অতিরিক্ত বৃষ্টিতে ডুবে যাওয়া সাবরাং ইউনিয়নে ৫শত পরিবারের মাঝে বিকাশের মাধ্যমে এককালিন ২ হাজার ৫শত টাকা বিতরণ করেন উক্ত প্রকল্পটি।
    এছড়া এ প্রকল্পটি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিভিন্ন লাইভলিহুড সাপোর্ট দিয়ে আসছে।বর্তমানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সেবার পাশাপাশি একলাবের এ প্রকল্পটি এডুকেশন সেক্টরে ২০টি একলাব প্রি-প্রাইমারি স্কুল চালু করেছে।সর্বোপুরি,আমি এ মহৎ কাজগুলোর জন্য একলাবের সর্বোচ্চ সফলতা কামনা করছি।

    উক্ত প্রকল্প পরিচিতি সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন,সাবরাং ইউনিয়নের ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য শাহেনা রহমান বিএ,৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য হাবিবা আক্তার,৭,৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য ফারিহা ইয়াছমিন,৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল ফয়েজ মেম্বার,৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান মেম্বার, ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কবির মেম্বার,
    ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিদ্দিক আহমদ প্রমুখ।

  • ৭,৯৯০ পিস ইয়াবাসহ আটক, এক রোহিঙ্গার মৃত্যুদণ্ড

    ৭,৯৯০ পিস ইয়াবাসহ আটক, এক রোহিঙ্গার মৃত্যুদণ্ড

    ইব্রাহীম মাহমুদ,টেকনাফ

    ৭,৯৯০পিস ইয়াবা পাচার মামলায় কক্সবাজারে
    এক রোহিঙ্গা যুবকের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (০৯ জুন) দুপুরে জেলার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন।

    এ সময় তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

    মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন, উপজেলার কুতুপালং ক্যাম্প ২ এব ডি ব্লকের মৃত আবদুল

    মোনাফ ও নামীয় খাতুনের ছেলে মো. আরিফ (৩৬)
    প্রকাশ মৌলভী আরিফ।

    রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত আইনজীবী (এপিপি) রঞ্জিত দাশ রায়ের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

  • স্বরূপকাঠিতে ফুপার লাঠির আঘাতে প্রাণ গেল যুবকের

    স্বরূপকাঠিতে ফুপার লাঠির আঘাতে প্রাণ গেল যুবকের

    পিরোজপুর প্রতিনিদি মোঃ আশ্রাফুল ইসলাম

    পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফুপার লাঠির আঘাতে নাজমুল ইসলাম নাইম নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বিন্না গ্রামে মঙ্গলবার দুপুরে ওই ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাতেই চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে নাঈমের মৃত্যু হয়।

    বুধবার দুপুরে নিহতের স্বজনরা লাশ নিয়ে স্বরূপকাঠি বাসষ্ট্যান্ডে পৌঁছালে নেছারাবাদ থানা পুলিশ সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসে।

    স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবুল বাহাদুর ও প্রতিবেশিদের মাধ্যমে জানা গেছে, উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের বিন্না গ্রামে মো. আলিমের ঘরে তার মেয়ের ননদ মুন্নি বেড়াতে আসে। সেই ঘর থেকে মুন্নির একটি মোবাইল হারিয়ে যায়। হারিয়ে যাওয়ার সময় ওই ঘরে আলিমের বোনের ছেলে সাগর উপস্থিত ছিল। এ সূত্র ধরে আলিমের ছেলে নাঈম তার ফুপাতো ভাই সাগরের কাছে মোবাইলের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথার কাটাকাটি হয়। তাদের কথা কাটাকাটির মধ্যে সাগরের বাবা কাঞ্চন মিয়া এসে উপস্থিত হয়। এক পর্যায়ে কাঞ্চন ছেলের পক্ষ নিয়ে একটি কাঠের বাটলা দিয়ে নাইমের মাথায় আঘাত করে। সাথে সাথে নাইম মাটিতে লুটিয়ে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। সেখান থেকে স্বজনরা নাঈমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে দ্রুত বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানকার ডাক্তার সাগরের অবস্থা সংকটাপন্ন দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যেতে বলে। রাতে ঢাকায় নেয়ার পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকেই কাঞ্চন ও তার পরিবারের লোকজন পালাতক রয়েছে।

    নেছারাবাদ থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন জানান, লাশের সুরাতহাল করা হয়েছে ময়না তদন্তের জন্য পিরোজপুর মর্গে প্রেরণ করা হবে। নিহতের পরিবারকে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • জোর করে কক্সবাজার আল ফুয়াদ হাসপাতালে সিজার : মারা গেলেন সাংবাদিক এস এন কায়সার জুয়েলের ছোট বোন ফারজানা

    জোর করে কক্সবাজার আল ফুয়াদ হাসপাতালে সিজার : মারা গেলেন সাংবাদিক এস এন কায়সার জুয়েলের ছোট বোন ফারজানা

    টেকনাফ প্রতিনিধি

    কক্সবাজারের একটি বেসরকারি ক্লিনিক থেকে এক প্রসূতি রোগিকে তুলে নিয়ে ফুয়াদ আল খতিব হাসপাতালে জোরপূর্বক সিজার করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ডাক্তার ও সহকারীদের বিরুদ্ধে। স্বজনদের অনুপস্থিতির সুযোগে এমন কান্ড তৈরি করেছে ফুয়াদ আল খতিব হাসপাতালের চিকিৎসক ফাতিমা জান্নাত। এমন ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আইনি ঝামেলা এড়াতে ভুক্তভোগি পরিবারের সাথে বারবার সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মৃত প্রসূতি রোগী ফারজানা (২৭) টেকনাফ পৌরসভার নাইক্ষ্যংপাড়া এলাকার জিয়াউর রহমানের স্ত্রী।

    জোর করে অন্য ক্লিনিক থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে সিজারের মাধ্যমে হত্যা করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগি পরিবার। অপরাধীদের বিচারের দাবীতে বুধবার (৮ জুন) দুপুরে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের মাধ্যমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন অনিয়ম ও ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলেন ধরেন ভুক্তভোগিরা। এরপর পরেই কক্সবাজার আদালত প্রঙ্গনে মানববন্ধনের মাধ্যমের বিচার চান তারা।

    নিহতের স্বামী জিয়াউর রহমান বলেন, গত শনিবার (৪ জুন) টেকনাফ থেকে আমার স্ত্রী, আমি ও দুই সন্তানসহ কক্সবাজার এসে একটি হোটেলে উঠি। হোটেলে জিনিস পত্র রেখে বিকালে সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে যায় স্ত্রীসহ সন্তানদের নিয়ে। ওখান থেকে সন্ধ্যায় হোটেলে ফিরে যায়। এরপর রাত ৮ টার দিকে ফুয়াদ আল খতিব হাসপাতালে আমার স্ত্রীকে ডাক্তার দেখা যায়। ডাক্তার দেখানোর পর পরীক্ষা দেওয়া হয়। পরীক্ষা দিতে শেভরন ক্লিনিকে নিয়ে যায় আমার স্ত্রীকে। ওখানে পরীক্ষা দিয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় রাখা হয় রিপোর্টের জন্য। ওই সময়ে আমি দুই সন্তান নিয়ে খাবার খেতে কলাতলীর একটি রেস্টুরেন্টে যায়। খাবার খাওয়ার সময় রাত ১১ টার দিকে স্ত্রীর মোবাইল থেকে ফোন আসে ওনাকে দুইজন লোক ফুয়াদ আল খতিব হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। তখন আমি বলছি তুমি এখন যাবে না, আমি আসলে যাবে। এই কথা বলার পরও তারা জোর করে নিয়ে যায়।

    সাড়ে ১১ টার দিকে আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখি আমার স্ত্রীকে অপারেশন রুমে নিয়ে গেছে। ওই সময় ডাক্তার ফাতিমা জান্নাত বলেন; আপনার স্ত্রীর অবস্থা বেশি খারাপ। এখন সিজার করতে হবে। ডাক্তারের এমন কথা শুনে আমি দিশেহারা হয়ে পড়ি।

    জিয়াউর রহমান বলেন- আমার স্ত্রী সম্পূর্ণ সুস্থ। সমুদ্রসৈকতে হাটা চলা ফেরাও করেছে বিকালে। আল্ট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট অনুযায়ী আমার স্ত্রীর আরো ১ থেকে ২ সপ্তাহ সময় আছে। কিন্তু চিকিৎসক নিশ্চিত করে জানালেন এখনই সিজার করতে হবে। অন্যথায় বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে। তখন বাজে রাত ১১ টা ৪০ মিনিট। এত রাতে সিজার করতে টাকা পাব কয়! আমি আমার স্বজনদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য আমার স্ত্রীর বড় ভাই সাংবাদিক কাইসারুল হক জুয়েলকে নিয়ে বের হয়। আমার এক চাচার কাছে গিয়ে টাকা নিয়ে প্রায় রাত সাড়ে ১২টার সময় হাসপাতালে এসে দেখি আমার স্ত্রী নেই। হাসাপাতলের একজন দায়িত্বরত স্টাফ আমাকে বলল আপনার স্ত্রীকে সিজার করতে ডাক্তার ভেতরে নিয়ে গেছে।

    নিহতের স্বামী বলেন, প্রায় ৩ ঘন্টা পর আমাদেরকে ডাক্তারে এসে বলল; আপনার সন্তান নেন। আপনার স্ত্রীর অবস্থা ভালনা। তখন ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করলাম কি সমস্যা হয়েছে। ডাক্তার উত্তর না দিয়ে চলে গেছেন এবং আমার স্ত্রীকে রেফার করলেন জেলা সদর হাসপাতালের আইসিইউতে। এরভিতরে ৭ ব্যাগ রক্তও সংগ্রহ করে দিয়েছি ডাক্তারের কথা মতো। কিন্তু তারা আইসিইউতে রেফার করেন।
    জিয়াউর রহমান বলেন- আমার ধারণা তারা যখন রেফার করছে আইসিইউতে এর আগে আমার স্ত্রী মারা গেছে। আমার স্ত্রীকে জোরপূর্বক সিজার করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যা করেও তারা গোপন রেখে অন্য হাসপাতালে রেফার করেন।

    নিহতের বড় ভাই সাংবাদিক কায়সারুল হক জুয়েল বলেন, আমাদের না জানিয়ে এবং আমাদের অনুপস্থিতিতে কেন আমার বোনকে সিজার করা হয়েছে। আমার বোন ফারজানা সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল। ভুল চিকিৎসায় তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।

    এবিষয়ে চিকিৎসক ডাক্তার ফাতিমা জান্নাতের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। এতে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

    কক্সবাজার ফুয়াদ আল খতীব হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন খালিদ জানান, আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ বোর্ড গঠন করে চেষ্টা করেছি। হয়ত তার হায়াত এতটুকুই ছিল।
    তিনি বলেন, স্বামীর এবং তার স্বজনদের দরখাস্ত নিয়েই আমরা সিজার করেছি।

    কক্সবাজার সদর মডেল থানার (ওসি) তদন্ত মো. সেলিম উদ্দিন জানান, ফুয়াদ আল্ খতীব হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় এখনও কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে রোগীর চিকিৎসার সব কাগজপত্র দেখা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • বিরামপুরে শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ করেন- জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী

    বিরামপুরে শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ করেন- জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী

    এস এম মাসুদ রানা, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ

    দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত অসচ্ছল মেধাবী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ হিসেবে বাইসাইকেল বিতরণ করা হয়েছে।

    বুধবার (৮ জুন) বিকেলে বিরামপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে অসচ্ছল মেধাবী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ছাত্র-ছাত্রীদের ৩০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ করেন প্রধান অতিথি দিনাজপুর জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী।

    এ সময় অন্যদের মধ্যে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আসলাম উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পরিমল কুমার সরকার, বিরামপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এ কে এম ওহিদুন্নবী, বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত, বিরামপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আকরাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মশিহুর রহমান, উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, সুধীমন্ডলীবৃন্দ সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

  • উখিয়ায় সার্চ মানবাধিকার সোসাইটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

    উখিয়ায় সার্চ মানবাধিকার সোসাইটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    সার্চ মানবাধিকার সোসাইটি কক্সবাজার, উখিয়া উপজেলার উদ্যেগে জালিয়াপালং ইউনিয়ন কমিটির পরিচিতি সভা-২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বুধবার ৮ জুন ২০২২ইং কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলাধীন ইনানী পেলব স্টোন রেস্টুরেন্ট হল রুমে উখিয়া উপজেলা সার্চ মানবাধিকার সোসাইটি কতৃক আয়োজিত জালিয়াপালং ইউনিয়ন কমিটির পরিচিতি সভা-২০২২ অনুষ্ঠিত হয়ে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় পরিচালক ও কক্সবাজার জেলা সার্চ মানবাধিকার সোসাইটির সভাপতি মোঃ আলী মুন্না।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় লাইভ মেম্বার ও কক্সবাজার জেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমাম হোসেন ইমন, লাইভ মেম্বার ও জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলিম ভান্ডারি, জেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি আনোয়ার সিকদার, সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন কাদের, নুরুল ইসলাম বিজয়, সাজেদুর রহমান ও জালিয়া পালং ইউনিয়নের নবগঠিত কমিটির সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক সহ জেলা, উপজেলার বিভিন্ন সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    সভায় সভাপতিত্ব করেন নিজাম উদ্দিন সভাপতি, উখিয়া উপজেলা সার্চ মানবাধিকার সোসাইটি।
    সঞ্চালনা করেন আবছার কামাল ট্রাস্ট, সাধারণ সম্পাদক, উখিয়া উপজেলা সার্চ মানবাধিকার সোসাইটি।

  • বিরামপুরে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা মূলক কর্মশালা

    বিরামপুরে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা মূলক কর্মশালা

    এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-

    আপনার পরিবেশ দূষণ মুক্ত রাখুন, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ দূষণ মুক্ত রাখুন” শ্লোগানকে সামনে রেখে দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে পরিবেশ দিবস ২০২২ উপলক্ষ্য আয়োজিত সভা এবং ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমম্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প’ এত আওতায় সরকারি পেশাজীবি, পরিবহন চালক, সাংবাদিকদের নিয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেনঅ অতিরিক্ত মহাপরিচালক,পরিবেশ অধিদপ্তর (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ হুমাউন কবীর।

    বুধবার (৮ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিরামপুর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে
    উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পরিমল কুমার সরকারের সভাপতিত্বে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন
    অতিরিক্ত মহাপরিচালক,পরিবেশ অধিদপ্তর (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ হুমাউন কবীর,বিশেষ অতিথি দিনাজপুর জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী, দিনাজপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন পিবিএম(বার), সিভিল ডাঃ এ এইচ এম বোরহান-উল ইসলাম সিদ্দিকী, বিশেষ অতিথি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু, বিশেষ বিরামপুর পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আক্কাস আলী, বিশেষ অতিথি দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মোমেনুল হক, পরিবেশ অধিদপ্তর রংপুরের পরিচালক সৈয়দ ফরহাদ হোসেন,পার্বতীপুর ল্যাম্ব হাসপালের পরিচালক খায়েল স্কর্ট প্রমুখ।

     

    এতে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলছুম বানু, বিরামপুর সরকারি কলেজের, অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেন, বিরামপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শিশির কুমার, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল (বিরামপুর-নবাবগঞ্জ) এ কে এম ওহিদুন্নবী, বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত, পৌরসভার প্যানেল মেয়র আব্দুল আজাদ বকুল, উপাধ্যক্ষ মেজবাউল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সভাপতি আকরাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মশিহুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নুর আলম, সমাজসেবা অফিসার রাজুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক আরমান হোসেন, একাডেমি সুপার ভাইজার আব্দুস সালাম, পৌর কাউন্সিলবৃন্দ, ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ, ইউপি মেম্বারবৃন্দ, উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ, পরিবহন চালকবৃন্দও সুধীমন্ডলীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • টেকনাফ সাগরে অবৈধ ভাবে মাছ ধরার দায়ে ২ জেলে বিনাশ্রম কারাদণ্ড

    টেকনাফ সাগরে অবৈধ ভাবে মাছ ধরার দায়ে ২ জেলে বিনাশ্রম কারাদণ্ড

    ইব্রাহীম মাহমুদ,টেকনাফ:

    সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে সাবরাং ইউনিয়ন মুন্ডার ডেইল এলাকা ও দক্ষিণ লম্বরী ঘাটে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে অবৈধ ভাবে সাগরে মাছ ধরার দায়ে ২ জন জেলেকে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

    আজ ৮ই জুন সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৩টা পযর্ন্ত সাবরাং ইউনিয়ন মুন্ডার ডেইল এলাকা ও সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী ঘাটে ২ জেলেকে আটক করা হয়।

    বিনাশ্রম কারাদণ্ডরা হলেন,সাবরাং ও সদর ইউনিয়নের মুন্ডার ডেইল এলাকার নজির আহমদের ছেলে আমির হোছন (৪০) নাজির হোছনের ছেলে কামাল হোছন (৩৩) কে ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা করেন, টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ এরফানুল হক চৌধুরী।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন, টেকনাফ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসাইন, কোষ্টগার্ড ও র্যাব সহ অনেকে।

    উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসাইন জানান, যতদিন সাগরে নৌকা নামা বন্ধ হবে না, ততদিন পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

    সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ এরফানুল হক চৌধুরী জানান, সাবরাং ইউনিয়নের মুন্ডার ডেইল ও সদর ইউনিয়নের দ. লম্বরী ঘাটে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে নিষেধাজ্ঞা কালীন সময়ে সাগরে মাছ ধরার দায়ে ২ জন জেলেকে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

  • বিশ্বব্যাপী ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলনে শামিল হোন-পীর সাহেব চরমোনাই

    বিশ্বব্যাপী ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলনে শামিল হোন-পীর সাহেব চরমোনাই

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তৈরি করে বিশ্বব্যাপী অশান্তি সৃষ্টি করছে। সাম্প্রদায়িক বিজেপি সরকার শুধু বিশ্বের জন্য নয় ভারতের জন্যও হুমকি স্বরূপ। উগ্রবাদী বিজেপি নেতাদের মহানবী সা. ও উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রা. সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করে বিশ্বের দুইশ কোটি মুসলমানের কলিজ্বায় আঘাত করেছে। কিন্তু তারা জানে না মুসলমানদের কাছে নবী সা. এর সম্মান ও মর্যাদা তাদের জীবনের চেয়েও বেশি। পীর সাহেব চরমোনাই আজ এক বিবৃতিতে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

    তিনি আরো বলেন, বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মা ও দিল্লি শাখার গণমাধ্যম প্রধান নবীন কুমার জিন্দাল রাসূল সা.-কে নিয়ে কটূক্তি করে সমগ্র মুসলিম উম্মাহর কলিজায় আঘাত করেছে। ফলে কোনোভাবেই রাসূল সা.-এর সামান্যতম অসম্মান আমরা বিশ্বের মুসলমানেরা বরদাশত করতে পারি না। আমরা ঘৃণার সাথে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, রাসূল সা.-এর অবমাননার প্রতিবাদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবাদ জানালেও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এখনো প্রতিবাদ না করায় আমরা ক্ষুব্ধ, মর্মাহত এবং ব্যথিত। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে অবিলম্বে জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাশ করতে হবে এবং ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে রাসূল সা.-এর অবমাননার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে হবে। অন্যথায় ঈমানদার জনতা ঈমানের তাগিদে ময়দানে নেমে আসলে সরকারের আখের রক্ষা হবে না।

    #কর্মসূচি :
    ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি মুখপাত্র কর্তৃক মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. ও উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রা. এর শানে আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে আগামী ১০ জুন’২২ইং শুক্রবার বাদ জুম’আ, বায়তুল মোকাররম মসজিদ উত্তর গেইটে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং একইদিন সারাদেশের জেলা ও মহানগর শাখায় পৃথক পৃথক বিক্ষোভ সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। ঢাকার বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দিবেন সংগঠনের মুহতারাম নায়েবে আমীর হযরত মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই।

    পীর সাহেব বিশ্বব্যাপী ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলনে শামিল হওয়ার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি শুক্রবার সারাদেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল সফল করার আহ্বান জানান।