Blog

  • রংপুরে মিথ্যা মামলাবাজ ভূমিদস্যু মিন্টু ও সাফীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

    রংপুরে মিথ্যা মামলাবাজ ভূমিদস্যু মিন্টু ও সাফীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

    শরিফা বেগম শিউলী -স্টাফ রিপোর্টার,

    রংপুর জেলা গংগাচড়া উপজেলার ৮ নং আলমবিদিতর ইউনিয়নের মিথ্যা মামলাবাজ ভূমিদস্যু আব্দুল রহমান মিন্টু ও তার ছেলে মেহেদী হাসান সাফীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী বৃন্দ।

    সোমবার (৩০ মে ২২) দুপুর ১টার দিকে স্থানীয় সুমি কমিউনিটি সেন্টারে এ প্রোগ্রামের আয়োজন করে।

    সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা দুইভাই সােহেল ও জুয়েল, বাড়ি আলম বিদিতর গঙ্গাচড়া রংপুর। আমাদের পার্শ্ববর্তী গ্রামের আব্দুর রহমান মিন্টু (৫৫)পিতা-মৃত জমসের আলী, ও তার ছেলে মেহেদী হাসান শাফি, রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার সয়ড়াবাড়ী আলমবিদিতর ফুলবাড়ী চওড়ায়, আমাদের জমির পার্শ্বে তাদের চাষাবাদের জন্য বিএডিসি সেচ পাম্প থাকায় তারা প্রতি মৌসুমে আমাদের আবাদি ক্ষেত নষ্ট করে এবং সেচের পানি দ্বারা ফসলাদি নষ্ট করে ফেলে।

    গত ১৯/০৩/২০২২ তারিখে সকাল বেলা আমাদের জমিতে লাগানো তামাক ক্ষেত আমার বড় ভাই সােহেল মিয়া দেখতে গেলে। সেখানে দেখতে পায় আমাদের ২০ শতাংশ জমির তামাক ক্ষেত পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। ফলশ্রুতিতে তাদের বিষয়টি অবগত করলে। তারা তাৎক্ষণিক ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি, বল্লম, সুরকীসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের উপর চড়াও হয়।

    এ অবস্থায় এলাকাবাসীর হস্তেক্ষেপে আমরা বিপদমুক্ত হয়ে চলে আসি। পরবর্তীতে ওই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমরা সয়ড়াবাড়ি বাজারে গেলে সোহেল ও তার ছােট ভাই জুয়েলকে বেধড়ক মারপিট করে আব্দুর রহমান মিন্টু, তার ছেলে মেহেদী হাসানসহ তাদের অজ্ঞাত লােকজনেরা। মারামারির এক পর্যায়ে সােহেলকে, মেহেদী হাসান ধারালাে ছোরা দিয়ে মাথা বরাবর মারার উদ্দেশ্যে চোট মারলে সােহেলে ডান হাত দ্বারা নিজেকে বাঁচাতে হাত উঁচু করলে উক্ত ছােরার চোট তার ডান হাতে লেগে যায় এবং গুরুতর আহত হয় এবং একই সংগে জুয়েলের মাথা বরাবর আব্দুর রহমানের ভাগিনা এরশাদুল চোট মারিলে ডান কানের নিচে চোট লেগে গুরুতর আহত হই। এ অবস্থায় উপস্থিত লােকজনের সহায়তায় সােহেল রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে,ও কাটা জায়গা সেলাই করে। জুয়েলকে স্থানীয় বাজারে চিকিৎসা নেয়। পরবর্তীতে আমরা গংগাচড়া থানায় গিয়ে এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে একটি এজাহার করি, যা থানায় গ্রহণ করেননি, ফলে নিরুপায় হয়ে কোর্টের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেই। পরবর্তীতে কোর্ট আবার থানাকে মামলা রুজু করতে নির্দেশ দেয়। মামলা নং- সি আর ১১/৭৭

    তিনি আরো বলেন, আমার দুইভাই লিপটন, লিখন ও আমাদের প্রতিবেশি চাচা আশরাফুল আলম রিপন এই ঘটনার সাথে কোন প্রকার সংশ্লিষ্টতা না থাকার ফলেও তাদেরকে আব্দুর রহমান মিন্টু গং ওই মামলায় আসামী করেন।

    ঘটনাস্থলে গংগাচড়া সার্কেল ‘এ আরিফজ্জামান আরিফ উপস্থিত হয়ে আশরাফুল আলম রিপন এ ঘটনার সাথে জাড়ত ছিল না মর্মে তার নাম মামলা থেকে বাদ দেয়ার পরামর্শ দেন এস আই ফারুক আহম্মেদকে।

    এই আব্দুর রহমান মিন্টু ও তার ছেলে মেহেদি হাসান সাফীর বিরুদ্ধে গংগাচড়া থানায় এবং কোর্টে তারা কখনো বাদী আবার কখনো আসামি এরকম প্রায় ৭২ থেকে ৭৫ টা মামলা আছে।এ বিষয়ে গংগাচড়া থানার অফিসার ইনচার্জ এর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন মামলাটি আমাদের সিনিয়র স্যার এ সার্কেল দেখতেছেন। আপনি ওনার কাছে ও তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। তবে আমার জানা মতে মামলাটির তদন্ত চলমান আছে।##

  • বিরামপুর আদর্শ হাইস্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও দোআ মাহফিল

    বিরামপুর আদর্শ হাইস্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও দোআ মাহফিল

    এস এম মাসুদ রানা- বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি,

    ৩০ মে সোমবার, সকাল সাড়ে ১১ টায়, বিরামপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আদর্শ হাইস্কুলের ২০২০ ইং সালের এসএসসি ও এসএসসি (ভোক:) পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা ও দোআ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

    বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুহাদ্দিস ডক্টর এনামুল হক এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব পরিমল কুমার সরকার।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যথাক্রমে বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত ও উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার মো: আব্দুস সালাম।

    অন্যান্যের বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন আল মারূফ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারমান ও বিরামপুর টেকনিক্যাল অ্যাণ্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের সভাপতি আলহাজ্জ মাওলানা আশরাফুল ইসলাম, পাউশগাড়া ফাযিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা তাজুল ইসলাম, বিরামপুর টেকনিক্যাল অ্যাণ্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করিম সরকার সেলিম, বিরামপুর উপজেলা কলেজিয়েট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: শফিকুল ইসলাম, আদর্শ মহিলা দাখিল মাদরাসার সভাপতি মাওলানা আমজাদ হোসেন, আদর্শ ইসলামিক কিণ্ডার গার্টেনের সভাপতি সাজেদুর রহমান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ডা. রেজাউল করিম শামীম, প্রধান শিক্ষক মো: সাইদুর রহমান, সহকারী প্রধান শিক্ষক মোকছেদ আলী চৌধুরী, আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেরীনা খাতুন ও আদর্শ ইসলামিক কিণ্ডার গার্টেনের অধ্যক্ষ আবু হানিফ প্রমুখ।
    প্রধান অতিথি বলেন, ফলাফলের দিক দিয়ে আদর্শ হাইস্কুল উপজেলার মধ্যে সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বরাবরের মত এবারো এসএসসি পরীক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করবে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের অনেক অনেক বড় হয়ে দেশ ও জাতীর সেবা করার উদাত্ত আহবান জানান।

    অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। এতে হামদ, নাত, দেশাত্ববোধক গান, নাটিকা সহ সুস্থ্য সাংস্কৃতির অনেক পরিবেশনা উপস্থাপন করা হয়।

  • ইভিএম বানাইছে সরকার না হলে ভোট রাতেই নিয়ে নিতাম, নৌকা প্রার্থী মুজিব

    ইভিএম বানাইছে সরকার না হলে ভোট রাতেই নিয়ে নিতাম, নৌকা প্রার্থী মুজিব

    চট্টগ্রাম বাঁশখালী সংবাদদাতা,

    গত ২৮ মে শনিবার চট্টগ্রামের বাঁশখালী ১০নং চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আলহাজ্ব মুজিবুল হক চৌধুরীর ১নং ওয়ার্ড ঘোদারপাড়ে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত পথসভায় তাহার দলীয় নেতা এবং সমর্থকদের বিশাল সমাগম হয়।পথসভায় সমর্থকদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যের লাইভ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরী বক্তব্যের এক মুহুর্তে বলেন, ইভিএম ভোট যদি না হতো ভোট দেওয়ার জন্য কাউকে খুঁজতাম না সব ভোট আমি রাতেই দিয়ে দিতাম, আমি ঐ মাল সুযোগ পেলে একবারে ২০হাজার নিয়ে ফেলি এই বক্তব্যের বিষয়ে বিভিন্ন মিডিয়া ফোনে আলাপ করলে নৌকা প্রার্থী মুজিবুল হক বলেন,

    এটা সম্পূর্ণ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এডিট ভিডিও ভাইরাল করে। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর তথ্য সূত্রে জানান, ভোটের দিন মারধরের হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে বারে বারে, নির্বাচন অফিসারের সাথে কথা বললে জানান, তদন্ত করে সঠিক তথ্য সূত্রে নির্বাচনের আচারণবিধি লংঘন হলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানায়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি জনগণের চোখে পড়লে পুরো এলাকা জুড়ে সমালোচনার ঝড় বহে।

  • বিরামপুরে অবহিতকরণ কর্মশালা পালিত

    বিরামপুরে অবহিতকরণ কর্মশালা পালিত

    এস এম মাসুদ রানা- বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি,

    দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্পের
    মাধ্যমে সোমবার (৩০মে)দুই দিনব্যাপী উপজেলার নব-
    নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান,মেম্বার,ও সমাজের
    সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে ইভটিজিং, যৌতুক,
    বাল্যবিবাহ ও নারী নির্যাতন বিরোধী অবহিতকরণ কর্মশালা
    উদ্বোধণ করেন।
    উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ইউএনও পরিমল কুমার
    সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত
    ছিলেন দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক
    বিশেষ অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু,
    ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা উম্মে কলছুম বানু,মেজবাউল
    ইসলাম, বিরামপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শিশির কুমার সরকার,
    ওসি সুমন কুমার মহন্ত, বিরামপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি
    আকরাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সহকারি অধ্যাপক মশিহুর
    রহমান, সাত ইউপি চেয়ারম্যন প্রমুখ।

  • বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধিসহ ৬ দফা প্রস্তাব ও ১৬ দফা দাবি ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর

    বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধিসহ ৬ দফা প্রস্তাব ও ১৬ দফা দাবি ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর

    আলমগীর ইসলামাবাদী- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    করোনা পরবর্তী শিক্ষাব্যবস্থার মহা সংকট উত্তরণে শিক্ষা খাতে মোট বাজেটের ন্যূনতম ১৫-২০% বা জাতীয় আয়ের ৪-৬% হওয়া প্রয়োজন বলে বাজেট প্রস্তাবনায় উল্লেখ করেছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ।

    ৩০ মে ২০২২ সকালে ঢাকার সেগুনবাগিচাস্থ শিশু কল্যাণ পরিষদ কনফারেন্স হলে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল করীম আকরাম-এর সভাপতিত্বে সংগঠনের পক্ষ থেকে বাজেট প্রস্তাবনা পেশ করেন সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিন।

    বাজেট প্রস্তাবনায় ৬টি বিশেষ খাতের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা ও ১৬ দফা দাবি পেশ করা হয়।
    প্রস্তাবনাগুলো মধ্যে রয়েছে:
    ১. দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ও মূল্যস্ফীতি রোধ: মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার মনিটরিংয়ের পাশাপাশি বেসরকারি সেক্টরে বিনিয়োগ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে বাজেটে প্রণোদনা ও বরাদ্দ থাকতে হবে, পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আমদানি কমিয়ে দেশে উৎপাদনের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
    ২. শিক্ষা খাত: করোনা পরবর্তী শিক্ষাব্যবস্থার মহা সংকট উত্তরণে শিক্ষা খাতে মোট বাজেটের ন্যূনতম ১৫-২০% বা জাতীয় আয়ের ৪-৬% হওয়া প্রয়োজন করছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশে তা জাতীয় বাজেটের মাত্র ১১.৯২ শতাংশ। বছরের পর বছর শিক্ষা খাতে কম বরাদ্দ রাখার ফলে জ্ঞান সূচকে ১৩৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১২তম। আমাদের ওপরে নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভূটান, ভারত, পাকিস্তান রয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে দেশের উচ্চশিক্ষা খাত ও গবেষণা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দের ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। কারিগরি, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও কৃষি শিক্ষার প্রসারে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখতে হবে।
    ৩. কৃষি খাত: বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ হওয়া সত্ত্বেও প্রতি বছর দেশের মানুষের খাদ্য চাহিদা মিটাতে আমদানি নির্ভর হতে হয়। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে কৃষক যেন দুশ্চিন্তায় নিপতিত না হয় এটা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি কৃষি গবেষণা ও উন্নয়নে বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
    ৪. স্বাস্থ্য খাত: বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টসের ষষ্ঠ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মোট স্বাস্থ্য ব্যয়ের ৬৮ শতাংশ আসছে নাগরিকদের পকেট থেকে, আর সরকারের কাছ থেকে আসছে ২৩ শতাংশ। এরপরেও দেশের সাধারণ জনগণ যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে না।তাই স্বাস্থ্য খাতে গতানুগতিকভাবে বাজেটের ৫ শতাংশ বরাদ্দ না দিয়ে এই খাতে কমপক্ষে ১০ শতাংশ বরাদ্দ দিতে হবে।
    ৫. সামাজিক নিরাপত্তা: বাংলাদেশে বেকারত্ব ও দারিদ্র্যের হার উর্ধ্বমুখী। দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৭৭ লাখের বেশি। বিআইজিডি ও পিপিআরসির সর্বশেষ জরিপ বলছে, দেশে করোনাকালে ৩ কোটি ২৪ লাখ মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের ব্যয় শুধুমাত্র নির্ধারিত কিছু মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে দেশের চরম দরিদ্র, নিম্নবিত্ত ও করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় এই খাতে এই অর্থবছর (২০২২-২৩) বাজেটের ২০-২২ শতাংশ বরাদ্দ দিতে হবে।
    ৬. শ্রমবাজার ও কর্মসংস্থান: দেশে প্রতিবছর ২০ লাখের বেশি জনশক্তি শ্রমবাজারে প্রবেশ করে। যেখানে কর্মসংস্থানের মাত্র ৫ শতাংশ সরকারি খাতে আর ৯৫ শতাংশই বেসরকারি উৎসে। কর্মসংস্থান বাড়ানোর উদ্দেশ্যে বাজেটে সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা নির্ধারণ করা জরুরি। বেকার, দরিদ্র নারী ও প্রবীণ জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা উন্নয়নের লক্ষ্যে বাজেটে বিশেষভাবে অগ্রাধিকার দিতে হবে। নারীবান্ধব কর্মসংস্থান তৈরিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

    ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেটে উল্লেখিত ১৬ দফা দাবী নিম্নরূপ:
    ০১. সর্বগ্রাসী পুঁজিবাদ, সাম্রাজ্যবাদ ও সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পরিবর্তে জনকল্যাণমুখী ইসলামী অর্থব্যবস্থা চালু করতে হবে।
    ০২. ঋণ নির্ভর বাজেট থেকে অতিদ্রুত ফিরে আসতে হবে।
    ০৩. প্রবৃদ্ধিতে অসমতা দূর করতে হবে।
    ০৪. অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে হবে।
    ০৫. বিদেশ থেকে ভোগ্যপণ্য আমদানিকে নিরুৎসাহিত করতে হবে।
    ০৬. অপ্রয়োজনীয় আমদানি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রয়োজনে দামি কিছু বিলাসপণ্য আমদানি কয়েক মাসের জন্য বন্ধ করতে হবে।
    ০৭. নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ সচল রাখতে হবে। আমদানির ক্ষেত্রে খাদ্যসামগ্রীর করের হার কমাতে হবে।
    ০৮. আমদানি ও রপ্তানির সার্বিক মূল্যে ভারসাম্যতা আনতে হবে।
    ০৯. জনপ্রশাসনে বাজেট কমিয়ে ১২ শতাংশের বেশি দেয়া যাবে না। এছাড়াও প্রশাসনিক ব্যয় ও মন্ত্রী-আমলাদের বেতনে শতকরা ৬০ শতাংশ খরচ কমাতে হবে। সরকারি গাড়ি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় শতকরা ৫০ শতাংশ কমাতে হবে।
    ১০. দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং মূল্যস্ফীতি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
    ১১. কর ফাঁকি এবং মুদ্রা ফাঁকি বন্ধ করতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
    ১২. কালো টাকা সাদা করার ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে।
    ১৩. অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণে গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। যেমন বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা ইত্যাদি।
    ১৪. বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশিদের কর ফাঁকি বছরে ১২ হাজার কোটি টাকা। এই বিশাল কর ফাঁকি রোধ করে কর আদায় করতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
    ১৫. বিদেশে টাকা পাচার রোধ, ঋণখেলাপী বন্ধ করতে, এবং সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে ১০ টাকার জিনিস হাজার টাকায় ক্রয়ের মত জালিয়াতি বন্ধ করতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
    ১৬. বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়াবে না এমন অবকাঠামো খাতে এ বছর বাড়তি অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করতে হবে।

    বাজেট প্রস্তাবনা অনুষ্ঠানে আরও আলোচনা করেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল ইউসুফ আহমাদ মানসুর, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মাদ ইবরাহিম হুসাইন মৃধা, প্রশিক্ষণ সম্পাদক নূরুল বশর আজিজী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সুলাইমান দেওয়ান সাকিব, দফতর সম্পাদক মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, প্রচার ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক মুনতাছির আহমাদ, বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মাহবুব হোসেন মানিক প্রমুখ।

  • সমস্ত বাঁধা পেরিয়ে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন, আলোচিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাওলানা আরিফ উল্লাহ

    সমস্ত বাঁধা পেরিয়ে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন, আলোচিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাওলানা আরিফ উল্লাহ

    আলমগীর ইসলামাবাদী- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গণ্ডামারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা আরিফ উল্লাহ প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।

    রবিবার (২৯ মে ২২) বিকাল ৪টায় হাইকোর্টের আপিল বিভাগে তার প্রার্থিতা বহাল রাখতে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে আদেশ দিয়েছেন।

    বিচারপতি মুহাম্মদ খসরুজ্জামান এবং মুহাম্মদ ইকবাল কবীরের নেতৃত্বে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ-১৫, এনেক্স-এ শুনানি শেষে আদালতের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন। মাওলানা আরিফ উল্লাহর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট খায়ের এজাজ মাসুদ ও অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মুসা।

    মাওলানা মোহাম্মদ আরিফ উল্লাহ চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

    এর আগে গত ১৭ মে যাচাই-বাছাইকালে আয়করের রশিদ জমা না দেওয়ার অভিযোগ এনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাওলানা আরিফ উল্লাহর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

    সেই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আরিফ উল্লাহর পক্ষে আবেদন করা হলেও প্রথমে মনোনয়নপত্র বাতিলের আদেশ বহাল রেখে আপিলটি খারিজ করে দেন আদালত। পরে মনোনয়ন ফিরে পেতে ফের রিট করেন তিনি। শুনানি শেষে বিচারপতি মুহাম্মদ খসরুজ্জামান এবং মুহাম্মদ ইকবাল কবীরের যৌথ বেঞ্চ তার প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেন। একই সাথে প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ দিতে রির্টানিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।

    বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সুত্রে জানা যায়, আগামী ১৫ জুন বাঁশখালী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে গণ্ডামারা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে চার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

    রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সাল আলম জানান, উচ্চ আদালত থেকে মাওলানা আরিফ উল্লাহর প্রার্থিতা বহালের নোটিশ এখনও আমার কাছে পৌছায়নি। নোটিশ পৌঁছালে মাওলানা আরিফ উল্লাহকে প্রতীক দেওয়া হবে।

    প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আরিফ উল্লাহ চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিকে বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা গণ্ডামারা এলাকাবাসীর দোয়ায় আমি প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছি। গণ্ডামারাবাসীর কাছ থেকে কেউ আমাকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না।

  • বরিশালে কবলিত সড়ক দুর্ঘটনা

    বরিশালে কবলিত সড়ক দুর্ঘটনা

    পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ- মোঃ আশ্রাফুল ইসলাম,

    ঢাকা থেকে ভান্ডারিয়া গামি একটি বাস (যমুনা পরিবহন)বরিশাল উজিরপুর বামরাইল পৌঁছালে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলে আনুমানিক সকাল ৫.০০ সময় একটি গাছের সাথে ধাক্কা লেগে বাসটি পুরো পুরি বেঙ্গে চুরমার হয়ে যায় । এ দুর্ঘটনা হওয়ার পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম সেখানে উপস্থিত হয়। তারা আহত এবং নিহতো দের উদ্ধার কায্য চালিয়ে যাচ্ছে।

    ঐখান থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ি যানা গিয়েছে ১০ জনের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এবং আহত রোগীর সংখ্যা অনেক আহত রোগী দেরকে বরিশাল শের-ই-রাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে যানা গিয়েছে যে নিহতদের সংখ্যা আরো বারতে পারে।

  • বিরামপুর বাজার সুস্বাদু তালশাঁস খেতে ভিড় জমাচ্ছে ক্রেতারা

    বিরামপুর বাজার সুস্বাদু তালশাঁস খেতে ভিড় জমাচ্ছে ক্রেতারা

    এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি,

    দিনাজপুরের বিরামপুর বাজারে উঠতে শুরু করেছে তালশাঁস। সুস্বাদু তালশাঁস খেতে বাজারে ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন। গত বছরের চেয়ে এই বছর তালশাঁসের দাম অনেকটা বেশি অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। তবে বিক্রেতারা জানান, উৎপাদন কম হওয়ায় দাম বেড়েছে।

    রোববার (২৯ মে) ১২টার দিকে বাজার ঘুরে দেখা যায়, সোনালী ব্যাংকের সামনে মোকসেদ নামে এক ব্যক্তি অল্প কিছু তাল নিয়ে বসে আছেন। মৌসুমের শুরুতে তাই অল্প তাল বাজারজাত করেছেন তিনি। তবে অল্প তালের ক্রেতা বেশি, তাই তাল কেটে শাঁস বেড় করতে ব্যস্ত তিনি।

    মোকসেদ বলেন, ‘এবার তালের ফলন অনেকটাই কম। গেলো বছর ৫০ থেকে ২৫০ টাকা দিয়ে তাল গাছ ক্রয় করতেন ব্যবসায়ীরা। তবে বর্তমান গাছের দাম আগের মতোই আছে, কিন্তু ফলন অনেক কম। যার কারণে তালশাঁসের দাম বেশি। গত বছর প্রতিটি তাল শাঁস বিক্রি করেছিলাম ৫ থেকে ৬ টাকা পিচ। এ বছর বিক্রি করছি ৭ থেকে ৮ টাকা পিচ।‘

    এক সময় গ্রামগঞ্জের মাঠে-ঘাটে আর রাস্তার পাশে দেখা যেতো তালের গাছ। এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। আগের দিনে মানুষ তালের শাঁস কিনে খেতো কম, কেননা হাতের নাগালেই পাওয়া যেতো। এখন সেই তাল টাকার বিনিময়ে কিনে খেতে হচ্ছে।

    কথা হয় তালশাঁস কিনতে আসা রফিকুল এর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘তালের শাঁস স্বাদে ভরা। আমার পরিবারের সবার পছন্দ, তাই তালশাঁস কিনতে এসেছি। দাম অনেক বেশি, পরিবারের জন্য ১০টির অর্ডার দিয়েছি।

    ’অপর ক্রেতা সোহেল বলেন, ‘অন্যান্য ফলের চেয়ে তালশাঁসের স্বাদ আলাদা। প্রতি বছর তাল উঠলে আমি প্রতিদিন ৩থেকে ৫টা করে তালশাঁস খেয়ে থাকি।’

    তাল ব্যবসায়ী মোকসেদ বলেন, ‘তিলকপুর থেকে তাল নিয়ে বিরামপুর বাজারে এসেছি। প্রায় ১০ বছর ধরে এই তালশাঁসের ব্যবসা করছি। গত কয়েক বছর ধরে বিরামপুর বিভিন্ন স্থানে তালশাঁস বিক্রি করি। মৌসুমি ফল তালশাঁস আজ প্রথম বিরামপুরে আনলাম। বেশি আনিনি, অল্প করে এনেছি। সবাই কেনার জন্য আসছে, তবে দাম বেশি হওয়াতে কম করে নিচ্ছে সবাই।’

  • বিরামপুরে গরু ব্যবসায়ী হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

    বিরামপুরে গরু ব্যবসায়ী হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

    এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর ) প্রতিনিধি,

    বিরামপুর উপজেলার গরু ব্যবসায়ী খাদিমুল ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে বিরামপুর থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম সায়েম আলী শাহীন। বিরামপুর থানা পুলিশ জানিয়েছে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে গরু ব্যবসায়ী খাদিমুল ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামী সায়েম আলী শাহীনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে নিহত গরু ব্যবসায়ী খাদেমুল ইসলাম মঙ্গলবার (১৭ মে) সন্ধ্যা থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এ বিষয়ে তার ছেলে রায়হান কবির গত ২২ মে বিরামপুর থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেন। বিরামপুর থানার ওসি সুমন কুমার মহন্ত জানান, মঙ্গলবার (২৪ মে) বিকেলে নিখোঁজের বাড়িতে অনুসন্ধান করতে গিয়ে প্রাচীর সংলগ্ন মাটি দেখে সন্দেহ হলে সেখানে মাটি খুঁড়ে নিহতের অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।দিনাজপুর) প্রতিনিধি- বিরামপুর উপজেলার গরু ব্যবসায়ী খাদিমুল ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে বিরামপুর থানা পুলিশ।

    গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম সায়েম আলী শাহীন। বিরামপুর থানা পুলিশ জানিয়েছে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে গরু ব্যবসায়ী খাদিমুল ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামী সায়েম আলী শাহীনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে নিহত গরু ব্যবসায়ী খাদেমুল ইসলাম মঙ্গলবার (১৭ মে) সন্ধ্যা থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এ বিষয়ে তার ছেলে রায়হান কবির গত ২২ মে বিরামপুর থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেন। বিরামপুর থানার ওসি সুমন কুমার মহন্ত জানান, মঙ্গলবার (২৪ মে) বিকেলে নিখোঁজের বাড়িতে অনুসন্ধান করতে গিয়ে প্রাচীর সংলগ্ন মাটি দেখে সন্দেহ হলে সেখানে মাটি খুঁড়ে নিহতের অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়

  • গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে বই প্রদান করলেন, শিবলী সাদিক এমপি এর পক্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু

    গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে বই প্রদান করলেন, শিবলী সাদিক এমপি এর পক্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু

    এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি,

    বিরামপুরে পৌর শহরের গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে একাদশ শ্রেণীর নতুন বই প্রদান করলেন, দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক (এমপি) মহোদয়ের পক্ষে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু ৷

    শনিবার (২৮ মে) সকালে এ্যাকুয়া থিম পার্কে দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক এমপি’র নির্দেশে তার নিজ অর্থায়নে কলেজ পড়ুয়া একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুমনকে নতুন বই প্রদান করেন এবং লেখাপড়ার সব ধরনের সার্বিক সহয়োগিতার আশ্বাস প্রদান করেন, উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু।

    সুমন বাবুর মা সুলতানা বেগম বলেন, আমার স্বামী নাই, এক বছর হলো আমার স্বামী মারা গেছে। অনেক কষ্ট করে অন্যের ফসলের মাঠে কাজ করে,যা আয় করি তা দিয়ে কোন রকম সংসার চলায় এবং সুমনের লেখাপড়া করায়। তবুও অনেক কষ্ট করে সংসার চালিয়ে সুমনকে বিরামপুর উপজেলা কলেজিয়েট হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাশ করিয়েছি। অন্যের কাছ থেকে টাকা কর্য্য নিয়ে এবছরেই ছেলেকে কলেজে ভর্তি করিয়েছি। অসেক কষ্ট করে সুমনকে কলেজে ভর্তি করিয়েছে কিন্তু আমার অভাবি সংসার হওয়ায় অর্থের অভাবে সুমনকে নতুন বই কিনে দিতে পারছিলাম না। এমন সময় সুমন নতুন বই কিনতে না পারা বিষয়টি এমপি শিবলী সাদিক কে জানালে তিনি তাৎক্ষনিক সুমনকে নতুন বই কিনে দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। সেজন্য আমি ও আমার ছেলে দিনাজপুর-৬ আসনের এমপি শিবলী সাদিক ও উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে চির কৃতজ্ঞ। আমি দোয়া করি আল্লাহ যেন তাঁদেরকে বেঁচে রাখে ভালো রাখে।

    জানতে চাইলে, উপজেলা চেযারম্যান খায়রুল আলম রাজু বলেন, পৌর শহরের মীরপুর গ্রামের গরীব অসহায় সুলতানা বেগমের ছেলে সুমন বাবু টাকার অভাবে একাদশ শ্রেণীর নতুন বই কিনতে পারছিলো না। সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক আমাদের দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক এমপি’র মহোদয়ের দির্দেশে সুমনকে শিবলী সাদিক এমপি’র নিজ তহবিল থেকে নতুন বই প্রদান করি, সেই সাথে সুমনের লেখাপড়ার সব ধরনের সার্বিক সহয়োগিতার আশ্বাস প্রদান করি। তিনি আরো বলেন, দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক এমপি’র নির্বাচনী এলাকায় ও আমার উপজেলা এলাকায় কোন শিক্ষার্থী টাকার অভাবে নতুন বই কিনতে পারছে না বা কোথাও ভর্তি হতে পারছে না সেই সব পবিরাবের পাশে আমরা সবসময় আছি এবং থাকবো ইনশাল্লাহ। তিনি আরো বলেন, পড়ালেখার জন্য আমাদের দরজা সব সময় খোলা। টাকার জন্য পড়ালেখা করতে সমস্যা হলে আমাকে জানাবে, যতটুকু সম্ভব আপনাদের সহযোগিতা করবো।

    এসময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শিবেশ কুমার কুন্ডু, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুরাদ ইসলামসহ আরো অনেক উপস্থিত ছিলেন।