Blog

  • রংপুরে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা দাবিয়ে রাখতে পারেনি- জিতু রায়কে

    রংপুরে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা দাবিয়ে রাখতে পারেনি- জিতু রায়কে

    শরিফা বেগম শিউলী স্টাফ রিপোর্টার

    রংপুরে তাজহাট মোল্লাপাড়ার মহেন্দ্র রায়ের প্রতিবন্ধী ছেলে জিতু রায়। তিনি তিন ভাই- বোনের মধ্যে সবার বড়। জিতু রায় ১৯৮৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর জন্ম গ্রহন করেন। তিনি তিন বছরের মাথায় পোলিও রোগে আক্রান্ত হন। এরপর পোলিও রোগের কারণে শারীরিক প্রতিবন্ধকতার জন্য তার আর পড়াশুনা করা সম্ভব হয় নাই। জিতুর অনিশ্চিত জীবনের চিন্তায় পরিবারসহ বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন চিন্তিত হয়ে পড়েন। জিতু বুঝতে পারে তাকে নিয়ে পরিবারের কষ্টের বিষয়টির কথা। সেজন্য তার মাথায় নিজে কিছু একটা করার জেদ চেপে বসে। আট-দশজনের মত স্বাভাবিক হাঁটাচলা করতে না পাড়া জিতু বাবার সংগে প্রথমেই ভাংরির ব্যবসা শুরু করে। পরবর্তীতে মোবাইল সার্ভিসিং এর কাজ শুরু করেন। কিন্তু মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান তিনতলায় হওয়ায় পরে সেকাজ করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে জিতু ফ্রিল্যান্সার হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। কিন্তু স্বপ্ন বাস্তবায়নে ফ্রিল্যান্সিং করতে প্রথমে একটি কম্পিউটারের প্রয়োজন। অভাবী পরিবারের সদস্য হিসাবে যা তার ক্রয় করার সামর্থ্য ছিলনা। এমন অবস্থায় তিনি অনেক জায়গায় কম্পিউটার শেখার চেষ্টা করলেও বরাবর ব্যর্থ হন। সেই সময় কেউ তাকে ফ্রিল্যান্সিং শেখাননি আর শেখানোর সহানুভূতিও দেখাননি। একসময় বাল্যবন্ধু তৌফিক এগিয়ে আসেন। জিতুকে নিজের কম্পিউটার দিয়ে সহযোগিতা করেন। ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জেদ থেকে টানা তিন থেকে মাস দিনরাত কম্পিউটারে গুগল ও ইউটিউব দেখে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শেখেন জিতু রায়। সময়টা ২০১১ সালের শেষের দিকে। পরবর্তীতে মায়ের জমানো টাকা ও কিছু টাকা ধার করে একটি কম্পিউটার কিনেন তিনি। তারপর থেকে শুরু হয় জিতু রায়ের ফ্রিল্যান্সিং যুদ্ধ। সফলতা হিসেবে ২০১২ সালে ফ্রিল্যান্সিং থেকে প্রথম আয় করেন প্রায় ৫০০ ডলারের মতো। তারপর শুধু এগিয়ে যাওয়ার গল্প। এখন জিতু রায়ের প্রতিষ্ঠানে তার তত্ত্বাবধানে ৩৫ থেকে ৪৫ জন কাজ করেন। জিতু রায় ইউএস’র প্রায় ৯৫ জন ক্লাইন্ডারের সাথে নিয়মিত কাজ করছেন । তবে শুরুটা সহজ ছিল না তাঁর। শারীরিক প্রতিবন্ধীসহ অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে এগিয়ে যাওয়ার পথে হাজারো প্রতিবন্ধকতায়ও দমে যাননি তিনি। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্নে প্রতিনিয়ত ছুটে চলেছেন। নিজ হাতে ধরেছেন সফলতার চাবি। এখন তিনি সফল ফ্রিল্যান্সার ও উদ্যোক্তা। দেশে আমদানি নির্ভরতা কমাতে ২০২১ সালে উদ্যোক্তা হিসেবে এ ব্যবসার সাথে জড়িত হন তিনি। রকমারি শিশুঘর ডটকম নামে ওয়েবসাইট ও পেজ খুলে শিশুদের পোশাক সামগ্রী অনলাইনে বিক্রি করছে। জিতুর এই প্রতিষ্ঠানের অনলাইন মার্কেটিং এর কাজের জন্য কয়েকজন তরুণ রয়েছে। যারা অনলাইনে অর্ডার নিয়ে পণ্য ডেলিভারি করেন। শুরুতে বাড়ির আঙ্গিনায় অস্থায়ীভাবে শিশু সামগ্রী তৈরী করা হলো ভালো সাড়া পাওয়ায় বড় পরিসরে করার পরিকল্পনা থেকে তৈরি করেন স্থায়ী কারখানা। যেখানে কাজ করছেন প্রায় দুই শতাধিক কর্মী। এছাড়াও শিশুদের জন্য নকশি কাঁথা তৈরি করে অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে। জিতু রায়ের কাছ থেকে নকশি কাঁথার কাজ নিয়ে সেলাইয়ের কাজ করেন প্রায় শতাধিক নারী। নিজ নিজ বাড়িতে তারা কাজের ফাঁকে ফাঁকে সেলাই করেন সেই নকশি কাঁথা।
    প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকলেই সমাজে আর দশ জনের মত প্রতিবন্ধীরাও প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। তার প্রমাণ দেখিয়েছে জিতু রায়।প্রতিবন্ধী জিতু সমাজের বোঝা না হয়ে নিজেই নিজেকে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তোলেননি। নিজের বুদ্ধিমত্তায় অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে না পারা জিতু এখন জীবন যুদ্ধে জয়ী হওয়া একজন সফল উদ্যোক্তা।অনিশ্চিত জীবনের প্রতিবন্ধী জিতুর এখন সফল উদ্যোক্তা। সময় পেলেই এখন ব্যক্তিগত গাড়িতে ঘুরে বেড়ান, রেখেছেন গাড়ির জন্য ড্রাইভার। এছাড়াও আছে দুটি তিন চাকার মোটরসাইকেল। যা তিনি নিজেই চালান। তিন তলার ভিত্তি দেওয়া দুই ইউনিটের বাড়ির প্রথম তলা সম্পন্ন করেছেন। স্ত্রী সহ ছেলে মেয়ে, ভাই বোন বাবা-মা নিয়ে সচ্ছল ও সুখের সংসারে প্রধান এখন জিতু রায়। নিজের পাশাপাশি কাজের মাধ্যমে অসহায় মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনসহ দেশের চাহিদা মিটিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশীয় স্বনির্ভরতা বাড়াতে সরকারের সহযোগিতা কামনা চান তিনি। জিতু রায় বলেন, আমি ছোট থেকে দেখতেছি বন্ধু- বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া- প্রতিবেশীরা আমাকে অবহেলা ও তাচ্ছিল্য করে। প্রায় লোকেই বাবা- মাকে বলেছে আমাকে দিয়ে ভিক্ষা করা ছাড়া আর কিছু করা সম্ভব হবে না। মানুষদের ত্রিস্কার মূলক কথা আমাকে কাজ করার প্রেরণা যুগিয়েছে। পরবর্তীতে জিতু রায় নিজের চেষ্টায় এতদূর এসেছেন। তিনি আরো বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবন্ধীদের নিয়ে অনেক কাজ করছেন। আমার স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা প্রয়োজন। তাহলে শিশুদের পোশাক সামগ্রী তৈরীর পরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।এ বিষয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল মতিন বলেন, জিতু রায় প্রতিবন্ধী হয়েও সমাজে আর দশজন স্বাভাবিক মানুষের মত ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে অবশ্যই তা প্রসংশানীয়। জিতু রায়কে সরকারি যে কোনো ধরনের সহযোগিতা করতে সমাজসেবা অধিদপ্তর পাশে থাকবেন। সেক্ষেত্রে জিতু রায়কে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

  • মহেশখালী উপজেলা সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনামূল্যে সিজার অপারেশন থিয়েটার শুভ উদ্বোধন

    মহেশখালী উপজেলা সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনামূল্যে সিজার অপারেশন থিয়েটার শুভ উদ্বোধন

    মিছবাহ উদ্দীন আরজু, মহেশখালী প্রতিনিধি::

    বাংলাদেশর একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ উপজেলা
    মহেশখালী সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যুগান্তকারী পরিবর্তন, নানা সংকটে দীর্ঘদিন পর চালু হয়েছে “সিজার ও অপারেশন”।

    ১৮ মে বুধবার বিকালে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজার ও অপারেশন থিয়েটার আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেন, কক্সবাজার-২ মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ইয়াছিন, মহেশখালী পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মকছুদ মিয়া, মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ আব্দুল হাই পিপিএম, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এম আজিজুর রহমান (বিএ), মহেশখালী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম আল আমিন, মহেশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ফরিদুল আলম, কুতুবজোম ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট শেখ কামাল সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারী,সাংবাদিক ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গগণ উপস্থিত ছিলেন।

    উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.শিব শেখর ভট্টাচার্য জানান-
    আজ প্রথম দিনে নরমাল ডেলিভারী-৯ জন, আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর প্রথমে শাপলাপুর বারিয়াপাড়া গ্রামের তৌহিদা আক্তার মেয়ে সন্তান জন্ম হয়, আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগে তেমন কোন যন্ত্রপাতি ছিল না, সিজার ও অপারেশন করার ব্যবস্থা বন্ধ ছিল। সিজার ও অপারেশন। হাসপাতালে একটি ভবন নির্মাণাধীন থাকায় চিকিৎসা সেবা কিছুটা সমস্যা ও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তবে ভবন টি নির্মাণ হয়ে গেলে আমাদের আর কোন সমস্যা থাকবে না।

    এই বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাহফুজুল হক বলেন, নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকা স্বত্বেও সিজার ও অপারেশন ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই সকল কাজে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক’কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

  • আজ১৮ই মে ২০২২ইং তারিখে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বহুতল ভবন শুভ উদ্বোধন।

    আজ১৮ই মে ২০২২ইং তারিখে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বহুতল ভবন শুভ উদ্বোধন।

    কক্সবাজার উপজেলা প্রতিনিধি মোঃহোসেন (সুমন)

    মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বহুতল অফিস ভবনের শুভ উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে। বিভিন্ন বিষয় এর উপরে গুরুত্ব আরোপ করেন। এই খানে আরোও উপস্থিত ছিলেন। কক্সবাজারের মাননীয় সংসদ সায়েম সারোয়ার কামাল এমপি, জেলা প্রশাসক, মেয়র মহোদয়, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী, উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ফুরকান আহমেদ চৌধুরী, আওয়ামী লীগ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, কূটনীতিক,গণপূর্তমন্ত্রী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী , এবং সিনিয়র সাংবাদিক বৃন্দ, ও জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন। ব্লু ইকোনমি ও সামুদ্রিক অ্যাকোরিয়ামসহ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতজুড়ে ঝাউ গাছ রূপায়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এবং দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন লোকজনের সাথে কথা বলেন।

  • বিরামপুরে বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ “অনূর্ধ্ব-১৭” বালক ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

    বিরামপুরে বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ “অনূর্ধ্ব-১৭” বালক ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

    এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-

    দিনাজপুরের বিরামপুরে উপজেলা পর্যায়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ “অনূর্ধ্ব-১৭” বালক ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সোমবার (১৮মে) বিকেল ৫ টায় সময় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিরামপুর শেখ রাসেল মিনি ষ্টেডিয়াম মাঠে এই ফাইনাল খেলা অনুষ্টিত হয়।

    উক্ত খেলায় বিরামপুর পৌরসভা “অনূর্ধ্ব-১৭” ফুটবল দল বনাম খাঁনপুর ইউনিয়ন অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল দল খেলায় অংশ গ্রহণ করে। এসময় খাঁনপুর ইউনিয়ন অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল দলকে ০-১ গোলে পরাজিত করে বিরামপুর পৌরসভা “অনূর্ধ্ব-১৭” ফুটবল দল জয়ী হয়।

    জাতীয় “অনূর্ধ্ব-১৭” ফুটবল টুর্ণামেন্ট খেলা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার তুলে দেন, উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু, পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আককাস আলী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিমল কুমার সরকার।

    এসময় উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম বানু, প্যানেল মেয়র আব্দুল আজাদ মন্ডল, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শ্যামল কুমার রায়, বিরামপুর মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ মেসবাউল হক, প্রেসক্লাবের সভাপতি আকরাম হোসেন,খাঁনপুর ইউপি চেয়ারম্যান চিত্ত রঞ্জন পাহান, জোতবানী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, বিনাইল ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির বাদশা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জামিল উদ্দীন মন্ডল, পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরমান হোসেনসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

    সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা করলে শরীর স্বাস্থ্য ও মন ভালো থাকে এবং মেধা বিকশিত হয়। শুধু তাই নয়, খেলাধুলার প্রতি আকৃষ্ট থাকলে, সকল অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকা যায়। তাই খেলাধুলার বিকল্প নেই।

    এসময় খেলা পরিচালনা করার রেফারীর দায়িত্বে ছিলেন শ্রী. ভোলানাথ সরকার ও সহযোগী রেফারীদ্বয় হেলাল উদ্দীন সরকার, মুক্তি মাহমুদ খাঁন, আনোয়ারুল হাবীব রিটন ও মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম এবং খেলাটির ধারাভাষ্যকারে ছিলেন আসাদুজ্জামান আসাদ।

  • বিরামপুরে অনৈতিক কাজ করার দায়ে ২ জনের জেল

    বিরামপুরে অনৈতিক কাজ করার দায়ে ২ জনের জেল

    বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-

    দিনাজপুরের বিরামপুরে অনৈতিক কাজ করার দায়ে জিল্লুর রহমান (২৫) ও শ্রীমতি বিউটি রানী দাস (২৮) নামে দুইজনকে কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রাপ্তরা হলেন-উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়নের বৈরাগীপাড়া গ্রামের মৃত. বিকাশ চন্দ্র মহন্তের স্ত্রী শ্রীমতি বিউটি রানী দাস ও পার্শ্ববর্তী নবাবগঞ্জ উপজেলার পুটিমারা ইউনিয়নের সাকোপাড়া গ্রামের
    মজিবর রহমানের ছেলে জিল্লুর রহমান।

    বুধবার (১৮) সকালে উপজেলার মুকুন্দপুর গ্রামের বৈরাগীপাড়ায় এই অভিযান চানান ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার জানান,
    গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার সকালে উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়নের বৈরাগী পাড়ায় অভিযান চালানো হয়। অনৈতিক কাজ করার দায়ে ১৮৬০ এর ২৯১ ধারায় জিল্লুর রহমানকে ২ মাস ও শ্রীমতি বিউটি রানী দাসকে ২৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।

  • জলদি হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হলেন বাঁশখালীর জনপ্রিয় মেয়র।

    জলদি হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হলেন বাঁশখালীর জনপ্রিয় মেয়র।

    মোঃ রেজাউল আজিম (বাঁশখালী-প্রতিনিধি)

    গত ১৭মে (মঙ্গলবার) বাঁশখালী জলদি হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হলেন বাঁশখালী পৌরসভার ছাত্র-ছাত্রী কৃষক শ্রমিক ও চাকুরীজিবী সহ সাধারণ মানুষের প্রাণ প্রিয় সৎ ও যোগ্য অভিভাবক মাননীয় মেয়র এডভোকেট এস.এম. তোফাইল বিন হোছাইন।

    নবনির্বাচিত সহ-সভাপতিকে জলদি হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি অভিনন্দন জানিয়ে বলেন :- আমাদের বিশ্বাস আপনার যোগ্য নেতৃত্বে জলদি হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসাকে একটি মডেল ও আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিনত করবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দরিদ্রমুক্ত শিক্ষানীতির সঠিক মূল্যায়ন করবেন। আপনার হাত ধরে সৃজনশীল ও সমৃদ্ধশালী একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিনত হবে জলদি হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসা।
    বিশেষভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি বাঁশখালী মাটি ও মানুষের প্রিয় অভিভাবক মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি মহোদয়ের প্রতি।
    মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকা সবাই নব-নির্বাচিত সহ-সভাপতিকে অভিনন্দন ও তাঁর সু-প্রশংসায় মুখরিত মাদ্রাসার আঙ্গিনা ও এলাকা জুড়ে।

  • বিরামপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে এক নারীর মৃত্যু

    বিরামপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে এক নারীর মৃত্যু

    এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-

    দিনাজপুরের বিরামপুরে পৌর শহরের ঢেলুপাড়া নামক স্থানে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে মানসিক ভারসাম্যহীন সানোয়ারা বেগম (৫৫) নামের এক নারী নিহত হয়েছেন।

    নিহত সানোয়ারা বেগম পার্শ্ববর্তী হাকিমপুর উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের গরিবুল্লাহর মেয়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পার্বতীপুর জিআরপি থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক দেওয়ান জিয়া।

    মঙ্গলবার (১৭মে) গতকাল বিকেল সোয়া ৬ টার সময় বিরামপুর পৌর শহরে ঢেলুপাড়া গ্রামের পূর্ব দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

    বাংলাদেশ রেলওয়ের পার্বতীপুর জিআরপি থানার উপ-পরিদর্শক দেওয়ান জিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,স্থানীয় লোকজনের কাছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সানোয়ারা বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় তাঁর লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এঘটনায় পার্বতীপুর জিআরপি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

  • টেকনাফের সৌদি প্রবাসী প্রতারক জিয়াবুলের সন্ধান চায় ভূক্তভোগীরা।

    টেকনাফের সৌদি প্রবাসী প্রতারক জিয়াবুলের সন্ধান চায় ভূক্তভোগীরা।

    টেকনাফ প্রতিনিধি

    সৌদি আরবের আবহা খামিছ এলাকায় ৫ জনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সৌদি রিয়াল ধার নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে টেকনাফের প্রবাসী জিয়াবুল এর বিরুদ্ধে।সৌদি আরবের খামিছ থেকে মুঠোফোনে এ অভিযোগ জানান সাবরাং ৩নং ওয়ার্ড কাটাবনিয়া এলাকার প্রবাসী আবুল মনজুর।
    প্রতারক জিয়াবুল টেকনাফ সদর ইউনিয়ন ১ নং ওয়ার্ডের নজির আহমেদ এর ছেলে।

    আবুল মনজুর জানান,প্রতারক জিয়াবুল ১ বছর আগে সৌদি আরবের জেদ্দা শহরে বসবাস করতো,পরে সে কয়েকমাস আগে থেকে আবসা জেলার খামিছ শহরে গেলে টেকনাফের লোক হিসেবে তার সাথে ভালো সম্পর্ক হয়।প্রতারক জিয়াবুল বিভিন্ন সময় অসুবিধার কথা বলে তার কাছ থেকে টাকা ধার চাইতো।পরে একদিন তার কথায় মনে দয়া আসলে তাকে নগদ ৪ হাজার টাকা ধার দেয়।কিছুদিন পর সে টাকা ফেরত দেয়ার কথা থাকলেও টাকা নেয়ার পর থেকে জিয়াবুল তার বাসা পরিবর্তন ও মোবাইল বন্ধ করে দেয়।সৌদি আরবে অবস্থানরত সকল টেকনাফের লোকজনের কাছে অনেক খোঁজ-খবর নেয়ার পর বেরিয়ে আসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ‍্য।
    সে আরও ৪ জনের কাছ থেকে ঠিক
    একইভাবে টাকা ধার নিয়ে পালিয়ে যায় বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
    প্রতারনার শিকার হলেন-সাবরাং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড কাটাবনিয়া গ্রামের আবুল মঞ্জুর এর কাছ থেকে ৪ হাজার রিয়াল যার বাংলা টাকা ৯৬ হাজার, সাবরাং ইউনিয়ন চান্দলী পাড়া ১নং ওয়ার্ডের রশিদ আহমদ থেকে ৩ হাজার রিয়াল যার বাংলা টাকা ৭২ হাজার,একই ওয়ার্ড চান্দলি পাড়া এলাকার মোঃ রুবেল থেকে ২ হাজার রিয়ার যার বাংলা টাকা ৪৮ হাজার টাকা,একই এলাকার মোঃ কবিরের কাছ থেকে ৩ হাজার রিয়াল,যার বাংলা টাকা ৭২ হাজার টাকা,কক্সবাজার রামু ভারওয়া খালী এলাকার দেলোয়ারের কাছ থেকে ৪ হাজার রিয়াল,যার বাংলা টাকা ৯৬ হাজার টাকা।সর্বমোট সৌদি ১৬ হাজার যার বাংলা টাকা ৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকা নিয়ে সে পালিয়ে যায়।

    এ বিষয়ে,আবুল মনজুরের ছোট ভাই সাবরাং বৃহত্তর নয়াপাড়া ফুটবল টিমের খেলাওয়াড় মোঃ দিদার জানান,
    প্রতারক জিয়াবুলের গ্রামের বাড়ি মিটা পানির ছড়া।
    তার মা বাবার কাছে গিয়ে জানতে চাইলে প্রতারক জিয়াবুলের মা বাবা বলেন, তাদের ছেলের সাথে দীর্ঘ ৮ মাস হচ্ছে কোন ধরনের যোগাযোগ নেই বলে জানান।

    প্রবাসী আবুল মনজুর ও অপর ৪ জন ভূক্তভোগীরা পালিয়ে যাওয়া এই প্রতারক জিয়াবুলের খোঁজ পেতে কক্সবাজার জেলার সকল প্রশাসন ও জনগণের প্রতি সহযোগীতা কামনা করছেন।

  • কক্সবাজারে ভ্রমণ করতে এসে এক তরুণীর মৃত্যু।

    কক্সবাজারে ভ্রমণ করতে এসে এক তরুণীর মৃত্যু।

    ওমর ফারুক সহকারী বার্তা সম্পাদক উখিয়া ভয়েস২৪.কমমূল ছবি

    কক্সবাজারে ভ্রমণে আসা লাবণী আকতার (১৯) নামের এক তরুণীর ৪ দিন চিকিৎসা থাকার পর মৃত্যু বরণ করেছে। পুলিশ বলছে, অতিরিক্ত মদ্যপানে অসুস্থ হওয়ায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

    বুধবার (১৮ মে) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সঙ্গে আসা ৪ বন্ধুর মধ্যে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।

    লাবণী আকতার ঢাকার যাত্রাবাড়ি বসবাসকারী বরগুনার মনির হোসেনের কন্যা। এ ঘটনায় আটকরা হলেন, যাত্রীবাড়ি এলাকার মো. জাহাঙ্গীরের পুত্র কামরুল আলম (২০) ও আবদুর রহমানের পুত্র আরিফ রহমান নিলু (২১)।
    কক্সবাজার সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন জানিয়েছেন, ৪ বন্ধুসহ ১১ মে কক্সবাজার আসেন তারা। এসে কলাতলীর বীচ হলি ডে নামের একটি আবাসিক হোটেল অবস্থান নেন। ওখানে ১৪ মে অসুস্থ হলে তরুণীকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৬ মে তরুণীকে আইসিইউতে হস্তান্তর করা হয়। এসময় সঙ্গে আসা ৪ জনের মধ্যে ২ জন স্বীকার করেন তারা অতিরিক্ত মদ্যপান করেছিল। এ ঘটনায় ২ জনকে আটক করা হলেও অপর ২ জন পালিয়ে গেছে।

    তিনি জানান, ৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার (১৮ মে) সাড়ে ১২ টায় ওই তরুণীর মৃত্যু হয়। ইতিমধ্যে মেয়েটির বাবাসহ অভিভাবকরা কক্সবাজারে অবস্থান করছেন।

    এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    ওসি তদন্ত জানান, আটক ২ জনকে এ ঘটনায় ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাদের কারা হেফাজতে রেখেছে।

  • লোহাগাড়ায় সরকার ঘোষিত আইনকে অমান্য করে মাটি কাটার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

    লোহাগাড়ায় সরকার ঘোষিত আইনকে অমান্য করে মাটি কাটার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

    (বিশেষ প্রতিনিধি)

    চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সুখছড়ি হাবিলাশপুরে সরকার ঘোষিত আইনকে অমান্য করে মাটি কাটার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় মাটি কাটার একটি এক্সকেভেটর ও একটি ডাম্পার গাড়ি জব্দ করা হয়।

    ১৭ মে”২০২২ইং মঙ্গলবার সুখছড়ি হাবিলাশপুর ব্রিজ এর পূর্ব পার্শে বেলা ১২টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ শাহজাহান।

    এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ সুখছড়ি হাবিলাশপুর ব্রিজ এর পূর্ব পার্শে সরকার ঘোষিত আইনকে অমান্য করে মাটি কাটছিলো একটি প্রভাবশালী চক্র। উপস্থিতি টের পেয়ে মাটি খেকোরা পালিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থল হতে একটি এক্সকেভেটর ও একটি ডাম্পার গাড়ি জব্দ করা হয়। এ অভিযান আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার শিশির স্বপন চাকমা, উপজেলা আনসার বাহিনীর সদস্যরা সহ আরও অনেকেই।