Images

  • সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মহান আল্লাহর সাহায্য কামনা করে জামিয়ায় বিশেষ দোয়া-মুনাজাত অনুষ্ঠিত

    সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মহান আল্লাহর সাহায্য কামনা করে জামিয়ায় বিশেষ দোয়া-মুনাজাত অনুষ্ঠিত

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

    চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের মাগফিরাত এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে জামিয়া দারুল উলূম হাটহাজারীতে এক বিশেষ দোয়া মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

    আজ (০৫ জুন ২২) রবিবার বাদ যোহর জামিয়ার কেন্দ্রীয় জামে বায়তুল কারীমে এই দোয়া-মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া-মুনাজাত পরিচালনা করেন জামিয়ার মহাপরিচালক হযরত আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া (দা.বা.)।

    মুনাজাতে জামিয়ার শিক্ষবৃন্দসহ হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও মুসল্লীগণ শরীক হন। এসময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয় এবং মুনাজাতরত হাজার হাজার আলেম ও শিক্ষার্থীকে মহান আল্লাহর সাহায্য কামনা করে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায়।

    মুনাজতপূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জামিয়া প্রধান হযরত আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া (দা.বা.) বলেন, সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক প্রাণহানীর ঘটনায় পুরো জাতি উৎকণ্ঠিত ও শোকাহত। ইতিমধ্যে বহু লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং পাঁচশতাধিক আহতকে উদ্ধার করে চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেনাবাহনী, ফায়ারসার্ভিসের বহু ইউনিট, পুলিশসহ সর্বস্তরের জনতা জানবাজি রেখে আগুন নিভানো ও উদ্ধার তৎপরতায় সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন। অনেকে রক্ত ও ঔষধ দিয়ে সহযোগিতা করছেন। কিন্তু ব্যাপক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এখনো আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। আমাদের ব্রাউজ করুন partner-sponsored Glasses, অনলাইনে কেনার জন্য উপলব্ধ প্রতিটি স্বাদ এবং বাজেট অনুসারে বিভিন্ন বিকল্পের সাথ

    তিনি বলেন, দেশ ও জাতির নানাবিধ সংকটের মধ্যে সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ বিস্ফোরণের এই ঘটনা এক বিশাল জাতীয় দুর্যেোগ। এতে ব্যাপক হতাহতের পাশাপাশি সম্পদেরও বিশাল ক্ষতি হয়েছে। এই কঠিন বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য আমরা মহান আল্লাহর গায়েবি মদদ কামনা করবো।

    আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া (দা.বা.) এ ঘটনায় উদ্ধার তৎপরতাসহ নিহতদের দাফন, শোকাহতদের সান্ত্বনাদান এবং আহতদের চিকিৎসায় যার যার সাধ্যমতো সর্বোচ্চ সহযোগিতাদান ও পাশে দাঁড়ানোর জন্য সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

  • দু’ বছর পর বিরামপুরের ইফতার বাজারে ব্যস্ততা

    দু’ বছর পর বিরামপুরের ইফতার বাজারে ব্যস্ততা

    দু’ বছর পর বিরামপুরের ইফতার বাজারে ব্যস্ততা


    এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

    প্রথম রোজা ছিলো রোববার (৩ এপ্রিল)। ইফতার বেচাকেনা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন দিনাজপুরের বিরামপুর রোজাদার ও হোটেল ব্যবসায়ীরা। আজ রোজার দ্বিতীয় দিন সোমবার

    করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর ইফতার বেচাকেনা তেমন জমেনি। এবার জমেছে বেচাকেনা।

    শহরের বিভিন্ন হোটেল এবং রাস্তার পাশে ইফতারের দোকান ঘুরে দেখা যায়, মানুষ ইফতার নিতে দোকানে ভিড় করেছে। দোকানেও সাজানো আছে বুট, বুন্দিয়া, বেগুনের চপ, রসুনের চপ, ধনাপাতার চপ ও পিয়াজুসহ নানা আইটেমের ইফতার। অনেক হোটেলে দেখা গেছে, ক্রেতাদের ইফতার দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

    করোনা মহামারির মধ্যে দুই বছর ইফতারি বেচাকেনা একপ্রকার বন্ধ ছিল। মানুষের মনে বিরাজ করছিল আতঙ্ক। আজ নেই সেদিনের মতো আতঙ্ক। ইফতারির আনন্দ রোজাদাররা ভাগাভাগি করতে পারছে।
    বিরামপুর নতুন বাজারে ইফতার দোকানে কয়েকজন ক্রেতা বলেন, আজ রোজার দ্বিতীয় দিন। বাড়িতে সবাই রোজা আছে। তাই ইফতার নিতে এসেছেন। তবে ইফতারির দামটা একটু বেশি। তবে যেহেতু সব জিনিসের দাম বেশি, তাই এই বেশি দামটা মেনে নিয়েছেন। গত দুই বছর এভাবে বাজার থেকে ইফতার কেনার সুযোগ ছিল না। এবার ইফতারের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারছেন।

    বিরামপুর বাজারের ইফতার ব্যবসায়ী আলতাব হোসেন বলেন, আজ রোজার দ্বিতীয় দিন। বুট ১০০ টাকা, বুন্দিয়া ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন। বিক্রি ভালো হচ্ছে। তিনি আশা করছেন, আগামীতে আর ভালো ব্যবসা করতে পারবেন।