1. ukhiyavoice24@gmail.com : HM Sahabuddin : HM Sahabuddin
  2. clients@ukhiyavoice24.com : UkhiyaVoice24 : Md Omar Faruk
রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩, ০৮:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
নাইক্ষ্যংছড়ি আ.লীগের সম্মেলনে,সভাপতি শফিউল্লাহ,সম্পাদক ক্যানোয়ান চাক মালিকানা বা দখলীয় স্বত্বীয় স্থাবর সম্পত্তি হইতে বেদখল হইলে আইনগত করণীয় ও প্রতিকার পবিত্র রমজানে সিন্ডিকেট ভেঙ্গে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখুন-ইসলামী আন্দোলন চট্টগ্রাম নেতৃবৃন্দ টেকনাফে এফআইভিডিবির উদ্যোগে এবং প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কারিগরী সহযোগিতায় সামাজিক সংবেদনশীলতা এবং দ্বন্ধ নিরসন শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত দারুল হিদায়া তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার বিদায়ী ছাত্রদের দস্তারবন্দী সনদ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন নাইক্ষ‍্যংছড়িতে বিজিবির অভিযানে বার্মিজ বিয়ার আটক ছাগলের দামে গরু নিলাম,রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত সরকার ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা কমিটি’র সমন্বয় সভা ও নির্দেশিকা বিতরণ-২০২৩ অনুষ্ঠিত শেড ও কেয়ার বাংলাদেশের উদ্যোগে জ্বলবায়ু বিপদাপন্নতা ও সক্ষমতা বিশ্লেষনের (আইসিভিসিএ) ফলাফল যাচাইকরণ ঘুমধুমের রেজু ফাত্রাঝিরি জামে’মসজিদে কোরআনের হাফেজকে পাগড়ি পরিয়ে সম্মাননা
শিরোনাম:
নাইক্ষ্যংছড়ি আ.লীগের সম্মেলনে,সভাপতি শফিউল্লাহ,সম্পাদক ক্যানোয়ান চাক মালিকানা বা দখলীয় স্বত্বীয় স্থাবর সম্পত্তি হইতে বেদখল হইলে আইনগত করণীয় ও প্রতিকার পবিত্র রমজানে সিন্ডিকেট ভেঙ্গে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখুন-ইসলামী আন্দোলন চট্টগ্রাম নেতৃবৃন্দ টেকনাফে এফআইভিডিবির উদ্যোগে এবং প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কারিগরী সহযোগিতায় সামাজিক সংবেদনশীলতা এবং দ্বন্ধ নিরসন শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত দারুল হিদায়া তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার বিদায়ী ছাত্রদের দস্তারবন্দী সনদ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন নাইক্ষ‍্যংছড়িতে বিজিবির অভিযানে বার্মিজ বিয়ার আটক ছাগলের দামে গরু নিলাম,রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত সরকার ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা কমিটি’র সমন্বয় সভা ও নির্দেশিকা বিতরণ-২০২৩ অনুষ্ঠিত শেড ও কেয়ার বাংলাদেশের উদ্যোগে জ্বলবায়ু বিপদাপন্নতা ও সক্ষমতা বিশ্লেষনের (আইসিভিসিএ) ফলাফল যাচাইকরণ ঘুমধুমের রেজু ফাত্রাঝিরি জামে’মসজিদে কোরআনের হাফেজকে পাগড়ি পরিয়ে সম্মাননা

ইলমি মার্কাজকে আন্দোলন-সংগ্রাম ও রাজনীতিমুক্ত করাই ইসলামী ইতিহাসের নির্দেশনা।

  • প্রকাশিত : বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০২১
  • ৩১০ বার পড়া হয়েছে Print This Post Print This Post

ইলমি মার্কাজকে আন্দোলন-সংগ্রাম ও রাজনীতিমুক্ত করাই ইসলামী ইতিহাসের নির্দেশনা

আলমগীর ইসলামাবাদী

চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

ইসলামী কর্মকাণ্ডকে মোটাদাগে চারভাগে ভাগ করা যায়।
১. দাওয়াহ
২. তালিম
৩. তাজকিয়া
৪. ই’লায়ে কালিমাতিল্লাহ। এটাকে চলতি ভাষায় বললে ইসলামী রাজনীতি।

এই চারটি কাজই সমান্তরাল গুরুত্বপূর্ণ। সবগুলো কাজ একই সাথে চলমান থাকা জরুরী। এর কোন একটা কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হলে দীর্ঘমেয়াদে ইসলাম ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

তবে সবগুলো কাজ একই ব্যক্তি বা একই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে যথাযথভাবে আঞ্জাম দেয়া সম্ভব না।

কারণ প্রত্যেকটা কাজেরই ধরন, কৌশল আলাদা। জটিল সমাজ ব্যবস্থায় প্রত্যেকটা কাজেরই বিস্তৃতি অনেক বেশি। এবং আপাতদৃষ্টিতে প্রত্যেকটা কাজের স্বল্প ও মধ্যমেয়াদী লক্ষ্যও আলাদা। (যদিও দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য এক)।

এই বাস্তবতার কারণেই রাসুলুল্লাহ সাঃ এর পরেই কাজগুলো ভিন্নভিন্ন ব্যক্তি ও ভিন্নভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে পরিচালিত হয়েছে।

খোদ খোলাফায়ে রাশেদার আমলেই রাজনীতি ও ইলিম চর্চার কাজ আলাদাভাবে চর্চিত হয়েছে। এরপরে দিন যত গিয়েছে ততবেশি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান দাড়িয়েছে। রাজনীতি, ইলিম, তাসাউফ ও দাওয়াহ এর জন্য আলাদা আলাদা ইমাম ও প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে। প্রত্যেকে যার যার ক্ষেত্রে পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে কাজ করেছে। তবে অন্য ধারাগুলোর সাথে সহযোগিতা ও শ্রদ্ধার সম্পর্ক বজায় ছিলো সর্বদাই।

ইসলামী কাজের ক্ষেত্র বিশেষায়িত হওয়ার মাত্রা এতটা ব্যাপক ছিলো যে, খোদ ইলম চর্চার শাখাই বহুভাগে বিভক্ত হয়ে কাজ করতো। যারা হাদিস নিয়ে কাজ করতেন তারা ফিকাহ নিয়ে সেই অর্থে কাজ করতেন না। এভাবে ফিকাহ, হাদিস, ইলমে কালামসহ ইলম চর্চারই অনেকগুলো ক্ষেত্র তৈরি হয়েছিলো যারা প্রত্যেকে আলাদাভাবে কাজ করতেন।

উলামায়ে কেরাম ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো রাজ্য পরিচালনার কাজে অংশ নিতেন না। রাষ্ট্রীয় কাজের মধ্যে সর্বোচ্চ তারা বিচারক হিসেবে কাজ করতেন। এর বাইরে কেউ কেউ উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করলেও সামগ্রিক অর্থে উলামায়ে কেরাম রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম থেকে দুরে থাকতেন। এই দুরে থাকাটা এতোদুর পর্যন্ত গিয়েছে যে, শাসকদের এড়িয়ে চলা ও উপেক্ষা করার শত শত ঘটনা কিংবদন্তী আকারে মুখে মুখে ফেরে এখনো।

রাষ্ট্র চালাতেন যুদ্ধ ও শাসন ক্ষমতায় দক্ষ ব্যক্তিবর্গ। হ্যা! তাদের কেউ কেউ ব্যক্তিগতভাবে ভালো আলেম ছিলেন। কিন্তু সেটা তাদের ব্যক্তি যোগ্যতা। উলামা শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব তারা করতেন না।

ইসলামের ইতিহাসে এই কর্মবিভাজন দিবালোকের ন্যায় সত্য এক ইতিহাস। হ্যা! কিছু ব্যতিক্রম হয়তো পাওয়া যাবে। কিন্তু সামগ্রিক অর্থে এই কর্মবিভাজন সার্বজনীন ছিলো।

এখানে বলে রাখা ভালো যে, এই কর্মবিভাজন থাকলেও এগুলো একে অপরের ভারসাম্য রক্ষা করতো। যেমন সুফিদের কাজ ইলিম দ্বারা বৈধতা পেতে হতো, আলেমদের কাজ তার আধ্যাত্মিকতা দ্বারা সমাদৃত হতো এবং রাষ্ট্র পরিচালনার কাজ সর্বদাই উলামাদের দ্বারা সমর্থিত হতে হতো। উলামাদের সমর্থন ছাড়া কোন শাসকের ক্ষমতাই আইনত বৈধতা পেতো না। Separation of power এর চমৎকার এক উদহারন রচিত হয়েছিলো এই কর্মবিভাজনের মধ্যে দিয়ে।

এবং এই কর্মবিভাজনের কারণেই ইসলামের ইতিহাসের রাজনৈতিক অংশের অনেক পালাবদল হলেও ইলিম চর্চার ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়েছে।

এর সবচেয়ে ভালো দৃষ্টান্ত হলো,
উমাইয়া ও আব্বাসীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের ইতিহাস। উমাইয়াদের পরে যখন আব্বাসীরা আসলো তখন উমাইয়াদের প্রায় নিঃশেষ করে দেয়া হয়। কিন্তু এই দুই আমলের ইলিম চর্চার ধারাবাহিকতা দেখলে দেখবেন যে, উমাইয়া আমলের জ্ঞানের ধারা আব্বাসী আমলে ব্যহত তো হয়-ই নাই বরং আরো বিকশিত হয়েছে।

রাজনীতি আর ইলিম একত্রে বা একই প্রতিষ্ঠান থেকে চর্চিত হলে উমাইয়া আমলের সব জ্ঞান আব্বাসী আমলে ধ্বংশ হয়ে যেতো। কিন্তু বাস্তবে ধ্বংস না হয়ে আরো বিকশিত হওয়ার মুল কারন, এই কর্মবিভাজন। ইলিম ও জ্ঞান চর্চা আলাদা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হওয়া।

এই কর্মবিভাজনের আরেকটি কারণ ছিলো, ক্ষমতার পালাবদল হয়। ক্ষমতার জয়-পরাজয় আছে। কিন্তু ইলিম চর্চাকে জয়-পরাজয় ও পালাবদলের সাথে সম্পৃক্ত করে ফেললে কেয়ামত পর্যন্ত ইসলামী জ্ঞানের প্রবাহ নিশ্চিত করা যাবে না। এই কারণেই ইলিম চর্চা রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। যার ফলে ইসলামের দীর্ঘ ইতিহাসে শত শত রাজনৈতিক পালাবদল হলেও ইলম চর্চার ধারাবাহিকতা নষ্ট হয় নাই।

ইসলামের এই ইতিহাস ও এর অন্তর্নিহিত কৌশল অনুধাবন করে আধুনিক রাষ্ট্রগুলোতেও ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রগুলোকে রাজনীতি থেকে আলাদা করা উচিৎ।

ইলমি ব্যক্তিত্ব ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব আলাদা হওয়া উচিৎ। ইলমি মার্কাজ ও আন্দোলন-সংগ্রামের কেন্দ্র আলাদা হওয়া উচিৎ। কোন মাদ্রাসার মুহতামিম বা গুরুত্বপূর্ণ ইলমি ব্যক্তিত্ব সরাসরি রাজনীতি না করা উচিৎ। কোন আন্দোলন-সংগ্রামের সূচনা কোন মাদ্রাসা থেকে না হওয়া উচিৎ।

আরো স্পষ্ট করে বললে,
জামেয়া হাটহাজারী, পটিয়া, লালখানবাজার, জামেয়া রহমানিয়া, যাত্রাবাড়ী, লালবাগ, বারিধারা, ফরিদাবাদ মাদ্রাসা, চরমোনাই মাদ্রাসাসহ সকল মাদ্রাসাকে সরাসরি রাজনীতিমুক্ত রাখা উচিৎ। কোন মাদ্রাসা থেকেই আন্দোলন-সংগ্রামের মিছিল শুরু না করা উচিৎ। রাজনৈতিক নেতৃত্বকে কোন মাদ্রাসায় অবস্থান না করা উচিৎ। হাইয়াতুল উলয়া ও বেফাকুল মাদারিসকে সম্পুর্ন রাজনীতিমুক্ত করা উচিৎ।

তবে অবশ্যই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে রাজনৈতিক চিন্তা ও দর্শনের চর্চা থাকতে হবে, উলামায়ে কেরামকেও রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতে হবে। তবে দৃশ্যত সব হতে হবে মাদ্রাসার বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কহীনভাবে। যাতে রাজনীতি বা আন্দোলন-সংগ্রামের কোন প্রতিক্রিয়া প্রতিষ্ঠানের ওপরে না পড়ে।

কারণটা খু্বই স্পষ্ট।
রাজনীতিতে উত্থান-পতন আছে। জয়-পরাজয় আছে, ধরপাকড় আছে। ইলমি মার্কাজগুলো এই জয়-পরাজয় ও উত্থান-পতনের চক্করে পড়ে গেলে ইলম চর্চার ধারাবাহিকতা নষ্ট হবে। যা দীর্ঘমেয়াদে ইসলামের জন্য বিপদ ডেকে আনবে।

এক্ষেত্রে দারুল উলুম দেওবন্দ একটি ভালো উদাহরণ। এই মাদ্রাসাটা প্রতিষ্ঠাই হয়েছে ইংরেজদের প্রতিহত করার জন্য। এখান থেকে ইংরেজ ও বস্তুবাদ বিরোধী সকল আন্দোলনের নেতৃত্ব তৈরি হয়েছে। কিন্তু এর নেতৃত্ব চুড়ান্ত বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদের সাথে প্রতিষ্ঠানের সংঘাতকে এড়িয়ে গেছেন। এখনো ভারতের মতো উগ্র হিন্দুত্ববাদী শাসনের মধ্যেও তারা রাষ্ট্রের সাথে সকল ধরনের সংঘাত এড়িয়ে চলছে। ভারতে অনেক বড় বড় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা হয়েছে যেগুলো মুসলিমরা কচুকাটা হয়েছে তারপরেও দারুল উলুম দেওবন্দ ও নদওয়াতুল উলামার মতো প্রতিষ্ঠানগুলো কোন দাঙ্গায় অংশ নেয় নি। (দুই একটা ব্যতিক্রম থাকতে পারে)।

পাকিস্তানেও প্রধান জামেয়া ও মাদ্রাসাগুলো সরাসরি রাজনীতির কেন্দ্র না। আন্দোলন সংগ্রামের সূচনা বিন্দু না। (ব্যতিক্রম আছে এবং ভারতের তুলনায় সেই ব্যতিক্রমের হারও বেশি)

বাংলাদেশেও এই ধারা বজায় ছিলো। আমাদের প্রধান ইলমি কেন্দ্রগুলো রাজনীতির বাইরে ছিলো। কিন্তু সাম্প্রতিক মাদ্রাসা ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা একক পরিচয়ে রাজনৈতিক স্বত্বা হিসেবে সামনে আসছে। যা মাদ্রাসা ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্রের ও বিভিন্ন শক্তির মুখোমুখি দাড় করিয়ে দিচ্ছে। ২০১৩ সালে এর প্রকট উদহারন স্থাপিত হয়েছে এবং গত ২৬-২৮ মার্চে যার আরেকটি দৃষ্টান্ত স্থাপিত হলো।

মাদ্রাসা ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা একক পরিচয়ে রাজনৈতিক স্বত্বা হিসেবে সরকার ও বিভিন্ন শক্তির মুখোমুখি দাড়িয়ে যাওয়া ইসলামের দীর্ঘ দেড় হাজার বছর ধরে চর্চিত ইসলামী কর্মকাণ্ডের কর্মবিভাজন নীতির খেলাফ। এবং এর পরিনতি খুবই ভয়ংকর হতে পারে। ইংরেজ আমলে সিপাহী বিপ্লবের পরে যেমন গোটা ভারত উপমহাদেশে ইলম চর্চার ধারাবাহিকতা নষ্ট হওয়ার বাস্তবতা তৈরি হয়েছিলো আধুনিক বাংলাদেশেও তেমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ইলম চর্চার নিরবচ্ছিন্ন ধারা ব্যহত হতে পারে। যার আলামত ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হতে শুরু করেছে।

ইসলামী কার্যক্রমের কর্মবিভাজন নীতির খেলাফ করে ইলমি মার্কাজগুলোকে রাজনীতি, আন্দোলন-সংগ্রামের কেন্দ্রে পরিনত করলে অদূর ভবিষ্যতে উম্মাহকে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে। ইলিম শূণ্যতা দেখা দেবে।

আর উম্মাহের মধ্যে ইলিম শূণ্যতার চেয়ে ভয়ংকর কিছু আর হতে পারে না।

অতএব,
এখনই ইলমি মার্কাজগুলোকে রাজনীতি ও আন্দোলন-সংগ্রামের কেন্দ্র থেকে সরিয়ে নিয়ে আসতে হবে। রাষ্ট্রের সাথে বোঝাপড়ার মাধ্যমে হলেও ইলম চর্চার ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে।

আপাতদৃষ্টিতে এই প্রস্তাব পিছুহটা, আপোষকামী ও ভীরুতা জনিত প্রস্তাব মনে হলেও ইসলামের ইতিহাস বলে, এই কর্মবিভাজন নীতিতেই উম্মাহ এতোদুর এগিয়েছে।

আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে ক্ষণিকের আবেগ মুক্ত হয়ে কাজ করার তৌফিক দান করুন।

লেখকঃশেখ ফজলুল করিম মারুফ,গবেষক ও রাষ্ট্রচিন্তক

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2020 UkhiyaVoice24
Theme Desiged By Kh Raad (Frilix Group)