1. ukhiyavoice24@gmail.com : HM Sahabuddin : HM Sahabuddin
  2. clients@ukhiyavoice24.com : UkhiyaVoice24 : Md Omar Faruk
শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ০৭:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
নাইক্ষ্যংছড়ি আ.লীগের সম্মেলনে,সভাপতি শফিউল্লাহ,সম্পাদক ক্যানোয়ান চাক মালিকানা বা দখলীয় স্বত্বীয় স্থাবর সম্পত্তি হইতে বেদখল হইলে আইনগত করণীয় ও প্রতিকার পবিত্র রমজানে সিন্ডিকেট ভেঙ্গে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখুন-ইসলামী আন্দোলন চট্টগ্রাম নেতৃবৃন্দ টেকনাফে এফআইভিডিবির উদ্যোগে এবং প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কারিগরী সহযোগিতায় সামাজিক সংবেদনশীলতা এবং দ্বন্ধ নিরসন শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত দারুল হিদায়া তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার বিদায়ী ছাত্রদের দস্তারবন্দী সনদ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন নাইক্ষ‍্যংছড়িতে বিজিবির অভিযানে বার্মিজ বিয়ার আটক ছাগলের দামে গরু নিলাম,রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত সরকার ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা কমিটি’র সমন্বয় সভা ও নির্দেশিকা বিতরণ-২০২৩ অনুষ্ঠিত শেড ও কেয়ার বাংলাদেশের উদ্যোগে জ্বলবায়ু বিপদাপন্নতা ও সক্ষমতা বিশ্লেষনের (আইসিভিসিএ) ফলাফল যাচাইকরণ ঘুমধুমের রেজু ফাত্রাঝিরি জামে’মসজিদে কোরআনের হাফেজকে পাগড়ি পরিয়ে সম্মাননা
শিরোনাম:
নাইক্ষ্যংছড়ি আ.লীগের সম্মেলনে,সভাপতি শফিউল্লাহ,সম্পাদক ক্যানোয়ান চাক মালিকানা বা দখলীয় স্বত্বীয় স্থাবর সম্পত্তি হইতে বেদখল হইলে আইনগত করণীয় ও প্রতিকার পবিত্র রমজানে সিন্ডিকেট ভেঙ্গে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখুন-ইসলামী আন্দোলন চট্টগ্রাম নেতৃবৃন্দ টেকনাফে এফআইভিডিবির উদ্যোগে এবং প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কারিগরী সহযোগিতায় সামাজিক সংবেদনশীলতা এবং দ্বন্ধ নিরসন শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত দারুল হিদায়া তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার বিদায়ী ছাত্রদের দস্তারবন্দী সনদ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন নাইক্ষ‍্যংছড়িতে বিজিবির অভিযানে বার্মিজ বিয়ার আটক ছাগলের দামে গরু নিলাম,রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত সরকার ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা কমিটি’র সমন্বয় সভা ও নির্দেশিকা বিতরণ-২০২৩ অনুষ্ঠিত শেড ও কেয়ার বাংলাদেশের উদ্যোগে জ্বলবায়ু বিপদাপন্নতা ও সক্ষমতা বিশ্লেষনের (আইসিভিসিএ) ফলাফল যাচাইকরণ ঘুমধুমের রেজু ফাত্রাঝিরি জামে’মসজিদে কোরআনের হাফেজকে পাগড়ি পরিয়ে সম্মাননা

কলাপাড়ায় সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে তরমুজ চাষিদের স্বপ্ন

  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ৫ মার্চ, ২০২১
  • ১৪৭ বার পড়া হয়েছে Print This Post Print This Post

এইচ এম সাইফুল নূর,কলাপাড়া, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ

 

মাঘ মাসের শুরু থেকে চাষিরা তরমুজ চাষ করেন। মৌসুমের শুরু থেকেই আবহাওয়া অনুকুলে এবং রোগবালাইয়ের প্রকোপ না থাকায় এতে তরমুজের চারা ভাল হওয়া তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে তরমুজ চাষিদের স্বপ্ন। ভাল মূল্য পাওয়ায় বিগত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে লাভের মুখে কৃষক। এ যেন তরমুজের আর সবুজের মহামিলন। যেখানে চোখ যাবে, সেখানেই তরমুজ। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে শুধুই তরমুজ। ভরা মৌসুম চলায় পরিচর্যা, কাটা, পরিবহন ও বাজারজাত করা নিয়ে চাষিদের ব্যস্ততা। এ কারণে ক্ষেত, পথ-ঘাট, ট্রলার যত্রযত্র তরমুজ। যথা সময়ে ভোক্তার হাতে তুলে দিতেই চলছে তরমুজ নিয়ে এ ছুটোছুটি। চাষিদের পাশাপাশি এ কাজে পরিবারের সদস্যরাও সামিল হয়েছে। কলাপাড়া উপজেলা ১২টি ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি তরমুজ ক্ষেতে এমন দৃশ্যের দেখা মিলেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি তরমুজ মৌসুমে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ২ হাজার হেক্টর জমিতে প্রায় ৩০০০ হাজার চাষি তরমুজ আবাদ করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রতি হেক্টরে ৩০ মেট্রিকটন ফলন উৎপাদন হবে।
মৌসুমী ফল তরমুজ আবাদে অন্যতম এলাকা হিসেবে সুপরিচিত উপকূলের পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার সর্বত্রই এ চিত্র। পরিবেশ অনুকূলে থাকায় এখানকার তরমুজের গুণগতমান ভালো হওয়ায় দেশজুড়ে সুনাম ছড়িয়েছে। ফলে এ এলাকার তরমুজের চাহিদাও দিনদিন বাড়ছে। এখন এ তরমুজ নিয়েই চাষিরা স্বপ্ন পূরণের আশা বুকে বাঁধে। উপজেলার কাওয়ারচর গ্রামের তরমুজ চাষি বশার শিকদার বলেন, ‘কলাপাড়ার তরমুজ খেতে সুস্বাদু, আকাড় বড় ও রং লাল টুকটুকে হওয়ায় রাজধানী ঢাকার ক্রেতাদের কাছে খুবই পরিচিতি লাভ করেছে। একারণেই এখানকার তরমুজের চাহিদা বেশি। কদর বেশি। এদিকে চাষের উপযোগী জমি কমে যাওয়ায় তরমুজ চাষের জন্য বিখ্যাত উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের অনেক কৃষক পার করছে বেকার সময়। এ বছর জমির পরিমানে তরমুজের আবাদ কম হলেও বিগত বছরের চেয়ে ফলনে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে দাবী করেন তরমুজ চাষীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সবুজ রঙের মধ্যে দোল খাচ্ছে তরমুজের পাতা। আবহাওয়া ভালো থাকায় তরমুজের ফলের রং বদলে গেছে। পেয়েছে নতুন যৌবন।
কুয়াকাটা, ধুলাসার, বাবলাতলা , নয়াপাড়া,কলাপাড়া ,ধানখালী ,বালীয়াতলী ঘাটসহ সর্বত্রই তরমুজের ছড়াছড়ি। কেউ ট্রলি থেকে তরমুজ নামিয়ে ঘাটে স্তুপ করছে। কেউবা ট্রলার বোঝাই করে তরমুজ উঠাচ্ছে। আবার বাজারজাত করতে ওইসব তরমুজ নৌযান বোঝাই করে প্রতিদিন উপজেলার আন্দারমানিক এবং রামনাবাদ নদী হয়ে ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, চাঁদপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী ও ভোলার অভিমুখে যাচ্ছে।
কৃষকেরা জানান, এ রকম আবহাওয়া থাকলে এবার তরমুজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এখন পর্যন্ত এই অঞ্চলে ঝড-বৃষ্টি হয়নি। তাঁরা আরও জানান, তরমুজের ফল আসার পর থেকে তাঁরা গাছের পরিচর্যা করে যাচ্ছেন। তবে স্থানীয় কৃষি বিভাগের কোনো রকম পরামর্শ তাঁরা পাননি। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর তরমুজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এ বছর মাত্র ২০০০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করেছে। এছাড়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ সরকারের বেশ কিছু উন্নয়ন কাজ চলমান থাকা তরমুজ চাষের জমি অনেকটই কমে গেছে। এখনো পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এখানকার ক্ষেতের তরমুজ ভালা রয়েছে। মৌসুমের বাকি সময়টা ভাল ভাবে কাটিয়ে উঠতে পারলে বিগত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে লাভের মুখ দেখবেন ওইসব কৃষক। তবে গত বছর এ উপজেলার ১৫হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করেছিল। ওইসব চাষীরা ফলনও পেয়েছিল ভাল বলে উপজেলা কৃষি সম্প্রারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
কাওয়ারচর গ্রামে তরমুজ চাষী হারুন হাওলাদার বলেন, এ বছর তিনি ২৭কড়া জমিতে তরমুজের আবাদ করেছেন। সব মিলিয়ে তার চাষে খরচ হয়েছে ৩০০০০ হাজার টাকা। তরমুজ ক্ষেতে প্রথম দিকে চারা পোকা ধরার কারনে আমার অনেক চারা মরে গেছে। ইতোমধ্যে জমির তরমুজ ক্ষেত থেকে উত্তলোন করে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।
লতাচাপলী ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকায় কৃষক মো. মনির হাওলাদার বলেন, ১৫ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। কঠোর পরিশ্রম করার পরে ক্ষেতে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। আমি পুরো ক্ষেতের তরমুজ ১৫লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, কলাপাড়া জমি তরমুজ আবাদে উপযোগী। একারণে ফলন ভালো হওয়ায় চাষিদের তরমুজ আবাদে আগ্রহ বাড়ছে। এবার তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রথম দিকে যারা তরমুজ চাষা করেছে তারা ভাল ফলন ও দাম ভাল পেয়েছে। ফলন আরও ভালো হলে প্রতি হেক্টরে তরমুজ উৎপাদন বেশি হবে বলে আশা রাখি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2020 UkhiyaVoice24
Theme Desiged By Kh Raad (Frilix Group)