বৃহস্পতিবার , ৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১লা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

অঘোষিত যুদ্ধের মাধ্যমে অবৈধ সরকারকে প্রত্যাখান করেছে জনগণ- ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে পীর সাহেব চরমোনাই একথা বলেন

প্রকাশিত হয়েছে-

নিউজ ডেস্কঃ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সংগ্রামী আমীর- মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম পীর সাহেব চরমোনাই বলেন অবৈধ আওয়ামী সরকারকে বাংলাদেশের জনগণ অঘোষিত যুদ্ধের মাধ্যমে প্রত্যাখ্যান করেছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন নিয়ে মিথ্যাচার বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে।

অদ্য ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ বুধবার সকালে রাজধানীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত সংগঠনের কেন্দ্রীয় সম্মেলন ২০২৪-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত কথা বলেন।

তিনি‌ বলেন বর্তমান সরকারের প্রতি মানুষের ঘৃণা দিন দিন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে যা বিস্ফোরণ হলে অবৈধ সরকারের নির্মম পতন হবে। পীর সাহেব চরমোনাই দেশের জনগণ ও সচেতন শিক্ষার্থীদের শিক্ষাক্রম নিয়ে চক্রান্ত সম্পর্কে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ-এর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জেনারেল ইউসুফ আহমাদ মানসুর-এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম (শায়েখে চরমোনাই), মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও আলহাজ্ব মুহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম, কে এম আতিকুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূমসহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, আদর্শ রাষ্ট্র গড়তে আদর্শ‌ মানুষ প্রয়োজন। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রতিটি কর্মীদের নৈতিকতা, যোগ্যতা, দক্ষতা ও আদর্শের দিক থেকে উত্তম মানে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। দ্বীন বিজয়ের সংগ্রামে ত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন ইসলামী চেতনা এই জাতির শিকরে প্রোথিত আছে। ইনশাআল্লাহর চেতনা নিয়ে এই দেশকে স্বাধীন করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমান অবৈধ সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে। দেশীয় বোধ বিশ্বাস ও সংস্কৃতি উঠিয়ে অপসংস্কৃতির প্রসার ঘটিয়ে ইসলামকে অপসারণ এর পায়তারা করছে। সকল সচেতন ও দেশপ্রেমিক মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণআন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পরতে হবে। ভিনদেশী চক্রান্ত হতে প্রিয় ভূখণ্ডকে রক্ষা করতে হবে।

মহাসচিব- অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ বলেন প্রশ্ন আসছে আমরা স্বাধীন না পরাধীন। শরীরের রক্ত বরাদ্দ করে দেশ ইসলাম ও স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব কে রক্ষা করতে হবে।

যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন ভরা মৌসুমে চাল ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি দুর্ভিক্ষের বার্তা দিচ্ছে। ক্ষমতাসীনদের অবাধ লুটপাট দেশকে আজ চরম সংকটের মুখোমুখি করে গৃহযুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশবিরোধী অবৈধ সরকারকে উৎখাত করার আন্দোলন শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।

কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ সভাপতির বক্তব্যে বলেন আমাদের সমাজ দেশের জনগণ ইতিহাসের সবচেয়ে অস্থির সময় পার করছে। ট্রান্সজেন্ডার এর মত ঈমান ও সমাজবিধ্বংসী এজেন্ডা এবং দেশীয় বোধ বিশ্বাস সংস্কৃতিকে উপেক্ষা করে প্রণীত শিক্ষা কারিকুলাম’২১ জাতি হিসেবে আমাদের জন্য উদ্বেগ ও হতাশার। চরম অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে এগোচ্ছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষার্থীরা। এভাবে একটি সমাজ ও রাষ্ট্র চলতে পারে না।

সম্মেলন শেষে পীরসাহেব চরমোনাই নতুন কমিটি ঘোষণা করেন। নবগঠিত কমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল বশর আজিজী, সহ-সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুর এবং সেক্রেটারি জেনারেল মুনতাছির আহমাদ -এর নাম ঘোষণা করা হয়।