আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।
আন্দরকিল্লায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরীর সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত
বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নিরপক্ষে নির্বাচন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ ও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, জাতীয় সংহতি ও কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠায় জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির (চ.জ) নির্বাচন ব্যবস্থার প্রর্বতনের দাবিতে আজ ২৭ অক্টোবর ২০২৩ (শুক্রবার) বাদ জুমা, আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের উত্তর গেইটে ইসলামী আন্দোলন বংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি আলহাজ¦ মুহাম্মদ জান্নাতুল ইসলমের সভাপতিত্বে ও নগর সেক্রেটারী আলহাজ¦ আল মুহাম্মদ ইকবালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, নগর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র সদস্য, আলহাজ¦ আবুল কাশেম মাতাব্বর, নগর জয়েন্ট সেক্রেটারী হাফেজ মাওলানা মোসলেহ উদ্দিন, মাওলানা বোরহান উদ্দিন আল বারী, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি শ্রমিকনেতা ওয়ায়েজ হোসেন ভূইয়া, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুফতী ইমদাদুল্লাহ কাবীর ভূঁইয়া, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি মাওলানা দিদারুল মাওলা, নগর কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শরীফুল আলম চৌধুরী শরীফ, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সেক্রেটারী মাওলানা মাসুদ আল হাবিবী, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি মুহাম্মদ জিল্লুর রহমান প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকারকে পদত্যাগ করে জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি আওয়ামী লীগ ছাড়া সকল রাজনৈতিক দলের। সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের নামে দেশে বাকশাল কায়েম করেছে। আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ, চিকিৎসা বিভাগ, নির্বাচনী ব্যবস্থা, শিক্ষাঙ্গণসহ সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব আজ সংকটাপন্ন, জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত, দুর্নীতিবাজ, লুটেরা এবং তাবেদার শক্তি দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। উন্নয়নের নামে দেশে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসলে দেশ ধ্বংস হবে। দেশের স্বাধীনতা র্সাবভৌমত্ব বিপন্ন হবে। মানবতা ভুলুন্ঠিত হবে। অনিবার্য সংঘাত এড়াতে সরকারকে দ্রুত পদত্যাগের ঘোষণা দিতে হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্তমান ক্ষমতাসীনদের অধীনে হবে না, হতে দেয়া হবে না। সরকার সসম্মানে পদত্যাগ না করলে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পেরিয়ে গেলেও দেশের জনগণ স্বধীনতার প্রকৃত সুফল পায়নি। জনগণের ভোটাধিকার হরণ এবং মৌলিক অধিকার থেকে জনগণকে বঞ্চিত করার কারণে জাতি আজ স্বাধীনতার সুফল থেকে চরমভাবে বঞ্চিত। দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত উর্ধ্বগতি, শাসকগোষ্ঠীর দুর্নীতি, অধিকার হরণ ও চরম জুুলুম-অত্যাচারে মানুষ আজ দিশেহারা, বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভোটারাধিকার থেকে বঞ্চিত। বিগত জাতীয় নির্বাচনসহ স্থানীয় নির্বাচনেও এ অবৈধ আওয়ামীলীগ সরকার যা করেছে, তাতে স্বাধীনতার মর্ম বিচ্যুত হয়েছে। তাই, চট্টগ্রামবাসী ভোটাধিকার আদায়ের সংগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের মতো আগামী ০৩ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে মানুষের ভোটারাধিকার আদায়ের সমাবেশ সফল করার আহব্বান জানান।