সোমবার , ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ২৭শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে গেছে গরুর গাড়ি ও ঘোড়ার গাড়ি

প্রকাশিত হয়েছে-

এস এম মাসুদ রানাঃ- বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি,

মাত্র তিন/চার যুগ আগের কথা। দেশে তখন সড়ক যোগাযোগের এত প্রসার হয়নি। জেলা বা উপজেলাশহরের রাস্তায় বাস চলতে দেখা যেতো। গ্রামের কাচা-পাকা রাস্তা এ সব যানবাহনের উপযোগী ছিল না। গ্রামে চলতো গরু-মহিষ বা ঘোড়ার গাড়ি। গ্রাম্য এই বাহন কৃষক ব্যবহার করতো পণ্য পরিবহনে। গৃহবধূ বাবার বাড়িতে যেতো ছইওয়ালা গরুর গাড়িতে। তখন নদী মরে যায়নি। নৌপথ ছিল সচল।

এই পথে যাতায়াত ছিল সহজ ও সাশ্রয়ের। দূর-দূরান্ত থেকে মালামাল বহনে নৌকার জুড়ি ছিল না। সম্ভ্রান্ত বংশের মানুষ ঘোড়ায় চড়ে চলাচল করতো। তখন গ্রামেগঞ্জে বিদ্যুৎ ছিল না। সন্ধ্যায় কেরোসিনের হারিকেন বা লাম্প জ্বলে উঠতো বাড়ি বাড়ি। রাতে ঘুটঘুটে অন্ধকার। দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার মামুদপুর গ্রামের সোহেল বলেন তার ছোটবেলায় গরু-মহিষের গাড়ির প্রচলন ছিল। বাস-ট্রাক চলতে দেখেনি। গরুর গাড়িতে চড়ে তিনি বাবার বাড়ি বেড়াতে যেতেন। যাওয়া-আসার পথে রাত হলে গাড়ির সামনে হারিকেন জ্বালিয়ে রাখা হতো। জ্যোৎসার রাত হলে পথ চলতে সমস্যা হতো না। আরও পরে ঘোড়ার টমটম চালু হয়।

তখন দূরে কোথাও গেলে টমটমে চড়ে যেতেন। তখন এত লোকজন ছিল না। রাস্তায় এত ভিড় ছিল না। আগের সেই দিনগুলো আজও খু্ঁজে ফেরেন তিনি। দেশের উত্তর- অঞ্চলের রংপুর জেলা বদরগঞ্জ কলারোয়া উপজেলার কামারালি গ্রামে মসজিদ রহমান খান (৮৩) বলেন, তিনি বিয়ে করতে গিয়েছিলেন গরুর গাড়িতে চড়ে। তখনকার দিনে সেটাই রেওয়াজ ছিল।

তখন অন্য যানবাহন ছিল না। মানুষ ২০-২২ কিলোমিটার দূরের জেলাশহরে হেঁটে যেতেন। গ্রামের মাটির রাস্তায় কেউ কেউ ঘোড়ায় চড়েও চলাচল করতেন বলে জানান তিনি।