মঙ্গলবার , ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

আমার দেখা একজন সৎ, নির্লোভ ও নিরহংকার কর্মীবান্ধব রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক প্রদীপ কান্তি দাশ

প্রকাশিত হয়েছে-

ইসমাইল হোসেন সোহাগ, বিশেষ প্রতিনিধি

রাজনীতি কী, কাদের জন্য রাজনীতি বা কারা হবেন রাজনীতিবিদ- এ রকম প্রশ্ন মাঝে মধ্যে মনের ভেতর ঘুরপাক খেলেও এর সঠিক উত্তর খুঁজে পাই না। নিজের সাধারণ বিবেক যা বলে, বাস্তবে দেখতে পাই তার উল্টোটা। আমার স্বল্প জ্ঞানে এতটুকু বুঝতে পারি, রাজনীতি অর্থ সেবা দেওয়া এবং সেটা অবশ্যই জনগণের সেবা। রাজনীতি অর্থ ব্যবসা বা অনীতি নয়। মানুষের কল্যাণ ও অধিকারের নিশ্চয়তা বিধান করাই হলো রাজনীতি। তাদের মধ্যে থাকবে প্যাশন বা গভীর আবেগ। থাকবে দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতনতা। একজন নেতার থাকবে নৈতিক মেরুদণ্ড এবং নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সম্পর্কে ধারণা। তাকে হতে হবে সৎ, নির্লোভ ও আদর্শবান রাজনীতিবিদ। সে শুধু ক্ষমতার জন্য বুভুক্ষু থাকলে হবে না।

কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনীতিবিদের মধ্যে সে সব গুণ প্রায় অনুপস্থিত। গণমানুষ নয়, শুধুই ব্যক্তি সর্বস্ব রাজনীতি। আদর্শের বালাই নেই। বিভিন্ন দলে কোন্দল, আদর্শ বিচ্যুতি। এ কারণে রাজনীতি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সবকিছুর নিয়ন্তা হলেও তা মানুষকে এখন আর সেভাবে স্পর্শ করছে না। কোনো না কোনো ভাবে রাজনীতি মানুষকে ভাবাত।রাজনৈতিক মত পার্থক্য সত্ত্বেও আগের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মাঝে সৌজন্যবোধ, সম্প্রীতি, সহমর্মিতা ও পারস্পরিক সহানুভূতির ঘাটতি ছিলো না। এখন সে জায়গা গুলো উধাও। তাই বর্তমান রাজনীতি নিয়ে মানুষ বীতশ্রদ্ধ। তবে এখনো বাংলাদেশের রাজনীতিতে সৎ, আদর্শবান অনেক রাজনৈতিক নেতা রয়েছেন, যারা দেশের সম্পদ আর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয়। তারা নিজেদের সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়ে কেবল মানুষের স্বার্থের রাজনীতি করেন। লোভ, প্রতিহিংসা, ক্ষমতার দাপটের পরিবর্তে সততা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আর সেবার মানসিকতা তাদের মধ্যে বিরাজমান। তারা ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে রেখেছেন রাজনীতিকে। তবে সততা বজায় রাখতে গিয়ে পদে পদে তাদের প্রতিবন্ধকতা ও বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে। তার পরও নিজ আদর্শে অটল ও অবিচল তারা।

এদের মধ্যে সবগুণেই গুনিন নিত আজ এমন একজন রাজনীতিবিদের কথা লিখেছি, যাকে দীর্ঘ সময় ধরে খুব কাছে থেকে দেখার এবং কথা বলার সুযোগ হয়েছে আমার। তিনি হলেন সাবেক তৃণমূল থেকে উঠে আসা সফল ছাত্রনেতা,লামা উপজেলা বাসীর অহংকার, সকলের প্রিয় মুখ, সাবেক লামা শহর শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক লামা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, সাবেক লামা শহর শাখা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, সাবেক লামা উপজেলা আওয়ামী’যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কর্মীবান্ধব, মানবিক দায়িত্বশীল ব্যক্তি প্রদীপ কান্তি দাশ। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন। তিনি দলীয় সাংগঠনিক দায়িত্বের পাশাপাশি সামাজিক কাজেও অতুলনীয় ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন।

মহামারি করোনা ভাইরাস সাড়াবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে তবুও তিনি থেমে থাকেনি। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ঘড়বন্ধী সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জন্য। তিনি দলমত, ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে করোনা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন। নিজের চিন্তা না করে চিন্তা করেছিলেন সাধারণ মানুষের। দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মতবিনিময় সভাও করেছেন সেই সাথে সরকারি বরাদ্দের পাশাপাশি নিজ অর্থায়নে (ছিন্নমূল) খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন এবং বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতা করেছেন।

তিনি তার যোগ্য উন্নয়নের অগ্রণী ভূমিকা রেখে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সাধারণ মানুষের উন্নয়নে তার নিরন্তর প্রয়াস। সর্ব মহলের তিনি প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তিনি উপজেলা বাসীর আলোকিত মুখ হিসেবে পরিচিত। এই মানুষটি নিজের সাফল্যের কারণে বিভিন্ন সংগঠন কর্তৃক নানা ভাবে প্রশংসিত হয়েছেন। সামাজ সেবক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। ব্যাক্তি জীবনে তিনি অত্যান্ত নম্র, ভদ্র, সদা হাস্যোজ্বল ও সাদা মনের মানুষ। তার মাঝে কোন প্রকার অহংকার নেই। নিরঅহংকারী এই মানুষটি দলমত নির্বিশেষে আজ সকলের কাছে একজন প্রিয় ব্যাক্তি। তিনি সবসময় কাজ করে যাচ্ছেন দলের জন্য এবং খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের কল্যানের জন্য। তিনি লামাবাসীর কাছে একজন সাদা মনের উধার মানসিকতার ও দানশীল মানুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।

আমার রাজনৈতিক ও সাংবাদিকতার সুবাদে দীর্ঘ সময় ধরে তার সঙ্গে আমার চলাফেরা ও হৃদ্যতা। দীর্ঘ এই সময়ে তাকে একেবারে কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে বার বার। তিনি সর্বদা হাস্যোজ্জ্বল, ব্যক্তিত্বে অমায়িক, কথাবার্তায় বিনয়ী, চলাফেরায় নম্র ও দরাজ কণ্ঠের অধিকারী একজন সফল রাজনীতিবিদ, সফল সংগঠক ও আলোকিত মানুষ। লামাবাসী যেন তার অস্তিত্বজুড়ে আর প্রবাসীরা হৃদয়জুড়ে। তার মননে, মগজে একাকার হয়ে আছে লামা মাটি ও মানুষ।

যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলার সময়ও দেখেছি, অবধারিত ভাবেই তার মুখ থেকে বের হয়ে গেছে লামার প্রসঙ্গ। এলাকা ও এলাকাবাসীর প্রতি এমন দরদ, মমতা, আবেগ আর অকৃত্রিম ভালোবাসা কোনো রাজনীতিবিদের থাকতে পারে, সেটা প্রদীপ দাদাকে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। কী করলে লামা বাসীর স্বস্তি ও শান্তিতে বসবাস করতে পারবে, কী করলে লামার মানুষ সম্মানিত হবে, কী করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম লামার মনপ্রাণ দিয়ে আগলে রাখবে। সেসব চিন্তা-চেতনা, ভাবনা, স্বপ্ন সারাক্ষণ তাকে বিভোর করে রাখে। তাই তো লামা উপজেলাবাসী তাকে একান্ত আপন করে নিয়েছেন। তাদের সুখ-দুঃখে, বিপদ-আপদে সর্বাগ্রে প্রিয় নেতারই সান্নিধ্য কামনা করেন তারা। তার সুখের মুহূর্ত গুলোতে তারা যেমন আনন্দে উদ্বেলিত হন, তেমনি যেকোনো বিপদের সময়ে তার চেয়েও বেশি বিচলিত ও উদ্বিগ্ন হন তিনি।

এই প্রিয় মানবিক, জনবান্ধব, দায়িত্বশীল মানুষটির জন্য আন্তরিক দোয়া/আশির্বাদ, ভালোবাসা সবসময় অবিরত।