এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।
ইসকনের কার্যক্রম গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি, ফ্যাসিবাদ ও দুর্নীতিবাজ তৈরির সকল পথ বন্ধ করতে হবে- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ বলেছেন, যে রক্তের মাধ্যমে জনগণ এ বিজয় পেয়েছে, তা হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না। ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার এ মাটিতে আর আসতে পারবে না। এর মানে এই নয় যে নতুন করে ফ্যাসিস্টের জন্ম হবে না। এ জন্য এমন এক ব্যবস্থা আমাদের করে যেতে হবে, যাতে নতুন করে এ দেশে ফ্যাসিস্টের জন্ম না হয়। এ জন্যই সার্বিক বিবেচনায় সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা চালুর বিকল্প নেই। এ নির্বাচন পদ্ধতিতেই দেশকে জালিমমুক্ত, ফ্যাসিবাদমুক্ত করা সম্ভব। তাছাড়া জাতীয় সরকার ব্যবস্থা গঠন করবেন বলে বিএনপি বলে বেড়াচ্ছেন, জাতীয় সরকার কেবল সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থার মাধ্যমেই সম্ভব। কাজেই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনী ব্যবস্থা মেনে নিয়ে কাজ করুন।
মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, চট্টগ্রামে ইসকনের কর্মকান্ড দেখলে মনে হবে না যে, এটা বাংলাদেশ। ইসকন এত সাহস কোথা থেকে পেল। ইসকনের অত্যাচারে চট্টগ্রামে মুসলমানরা অতিষ্ঠ। শোনা যাচ্ছে ইসকন নেতা চিন্ময়কে কোর্টে তোলার পর উগ্রবাদী হিন্দু সম্প্রদায়ের সন্ত্রাসীরা কোর্ট প্রাঙ্গণে তান্ডব চালায়। পুলিশের গাড়ির চাকা পাংচার করে, ব্যাপক ভাঙচুর চালায় এবং একজন মুসলমানকে হত্যা করার খবর শোণা যাচ্ছে। এটা মেনে নেয়া যায় না। তাদের নেতাকে গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে অরাজকতা সৃষ্টি করা কোনভাবেই মেনে নেয়ার যায় না। উগ্রবাদীদের তান্ডব আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে। আসলে ইসকন দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে বিদেশের হস্তক্ষেপের ক্ষেত্র তৈরি করছে। তিনি উগ্রবাদী ইসকনসহ আওয়ামী সন্ত্রাসীদের কঠোরহস্তে দমনের আহ্বান জানান।
আজ পুরানা পল্টনস্থ দলের কার্যালয়ে চরমোনাই মাহফিল প্রস্তুতি নিয়ে দায়িত্বশীলদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, কৃষি ফসলের লাভজনক দাম, জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা ঘোষণা, গ্রাম-শহরে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা, অবিলম্বে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার করে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা সময়ের দাবি।