রবিবার , ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

উখিয়ার গয়ালমারা দাখিল মাদ্রাসায় ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালিত ও র‍্যালি আয়োজন করা হয়।

প্রকাশিত হয়েছে-

ওমর ফারুক উখিয়া -কক্সবাজার।

স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে উখিয়া উপজেলা’র ২নং রত্নাপালং ইউনিয়ন এর গয়ালমারা দাখিল মাদ্রাসায় র‍্যালি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহাফিল উদযাপন করা হয়।

আজ(১৫আগষ্ট২০২২)গয়ালমারা দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন হলরুমে এই আয়োজন করা হয়।এতে প্রথম শ্রেনি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সকল ছাত্র/ছাত্রী উপস্থিত থেকে এক কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে র‍্যালি ও মাদ্রাসার হলরুমে রচনা,কবিতা,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর চিত্র অংকনের প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়।

সভায় প্রথম অধিবেশনে( সুপার) মাওলানা দিল মুহাম্মদ এর সভাপতিত্বে মাস্টার হাসেম এর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন অত্র মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মাস্টার আবুল হোসাইন।

তিনি বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একজন রাজনৈতিক নেতাই ছিলেন না, তিনি মানুষ হিসেবে ছিলেন সকল গুণের অধিকারী। তিনি কৃষিশিক্ষা, কৃষি গবেষণা ও সম্প্রসারণের গোড়া পত্তন করেন। তিনি আরো বলেন, আমরা কথা ও পোষাকে নয় কাজের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে ভালবেসে স্ব স্ব অবস্থান থেকে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সক্ষম হবো।

মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মাওলানা আবুল কালাম বলেন,বঙ্গবন্ধু আপদমস্তক একজন বাঙালী ছিলেন, বাঙালী জাতির মুক্তির ত্রাতা হিসেবে তিনি বাংলার মাটিতে জন্মেছিলেন, বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়ন ও মুক্তি ছাড়া তাঁর অন্য কোন ভাবনা ছিলোনা।

সভায় সভাপতির বক্তৃতায় অত্র প্রতিষ্টানের পরিচালক মাওলানা দিল মুহাম্মদ বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন রাজনীতির কবি এবং অবিসংবাদিত জাতীয়তাবাদী নেতা। তাঁর মতো জাতীয়তাবাদী নেতা সমসাময়িক বিশ্বে ছিল বিরল। তিনি স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছেন, বাঙালীকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন এবং স্বাধীনতা উপহার দিয়েছেন।

আলোচনা শেষে অত্র মাদ্রাসার সকল শিক্ষক ও শিক্ষিকা মিলে ছাত্র ছাত্রীদের প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের পুরস্কার হাতে তুলে দেন।

এবং ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত, দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি, মঙ্গল কামনা করে কোরআনের কিছু সুরা তেলওয়াত করে এবং বিশেষ দোয়ার আয়োজন শেষে সভা সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।