রবিবার , ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৪ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - শীতকাল || ২৭শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

উখিয়ায় নারী শিক্ষার অগ্রগতি হচ্ছে মহিলা মাদ্রাসা

প্রকাশিত হয়েছে-

 

ওমর ফারুক (উখিয়া-কক্সবাজার)

কক্সবাজার উখিয়া উপজেলার অন্যতম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্টান হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (র.) মহিলা মাদ্রাসা এতিম খানা ও হিফ্জ খানা।

উখিয়া উপজেলার ৫নং পালংখালী ইউনিয়নে থাইংখালী উত্তর জামতলী এলাকায় প্রতিষ্টিত অত্র মাদ্রাসা।

মাদ্রাসাটি স্থাপিত ২০২০সাল। মাওলানা সেলিম এর তথ্যব্ধানে মাদ্রাসাটি পরিচালিত ।গত ১০জানুয়ারি ২০২০সালে প্রতিষ্টিত হয়ে দীর্গতিতে চলতেছে মাদ্রাসার পাঠদান।

মাওলানা সেলিম ও তার সহধর্মিণী হাফেজা সেলিনা আক্তার এর ঘামের বিনিময়ে প্রতিষ্টান গত এক বছর চলিত হয়ে আজ ধন্য ও উখিয়া’র সর্বোচ্চ রেকর্ড করলো মাদ্রাসাটি।

মাদ্রাসা’র শিক্ষিকা হাফেজা সেলিনা আক্তার রাত দিন পরিশ্রম সৌভাগ্যবিদে কাজ করে গড়ে তুলতেছে বছরের ৫-১০জন হাফেজা।

শুধু তাই নয়,কক্সবাজার উখিয়ার থাইংখালীর স্থানীয় পাড়া প্রতিবেশি মা- বোন ও আত্মীয় সজন মহিলাদের তালিম ও হাদিস বর্ণনা ও পাটদান শিখানো হচ্ছে বলে জানান।

রাসুল (স)বলেন, তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সর্বোত্তম যে কোরআন শিখে এবং অপরকে শিক্ষাদে ( আলহাদিস)

নারী জাতীর অগ্রদুধ কোরআনি শিক্ষাই বাস্তবায়ন করাই ইসলামের মূল বৈশিষ্ট্য।
সেই বৈশিষ্ট্যকে সামনে নিয়ে আরো বড় করে মহিলা কওমি মাদ্রাসা করার জন্য বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে মাদ্রাসাটি।

কক্সবাজার জেলা দক্ষিণ ও পূর্বে কোরনি ব্যবস্তা না থাকায় স্থানীয় জনসাধারণ মুখ অন্ধ ছিল। মাওলানা সেলিম বলেন,একটা মাদ্রাসা করতে গেলে অনেক টাকা পয়সা হাতে নিয়ে দাড়াতে হয়, আলহামদুলিল্লাহ নিজের শ্রম ও শক্তিতে মাদ্রাসা করার জন্য আমি এক পায়ে দাড়িয়েছি। আমার সামনের লক্ষ হলো যে, কক্সবাজার জেলায় প্রথম মহিলা কওমি মাদ্রাসা চলিত হবে ইনশাআল্লাহ। সে সাথে মহিলা এতিম শিক্ষার্থীর জন্য মাদ্রাসা ফাউন্ড থেকে যতারত ভাবে সুশিক্ষিত নিশ্চিত করা হয়।

স্থানীয় উলামা ও মুরুব্বি গণের পরামর্শ নিয়ে এই কাজ করা শুরু করে দিছি আলহামদুলিল্লাহ এই পর্যন্ত নিয়মিতভাবে পাঠদান চলিত আছে, সামনে মাদ্রাসার উন্নতির জন্য দেশিবাসীর কাছে দোয়া ও সহযোগিতা চাই।

ইসলাম নারী শিক্ষার বিষয়ে সুষ্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে। ইসলামের দৃষ্টিতে নারীর রয়েছে সমান শিক্ষার অধিকার। মূলত ইসলামে ঘোষিত হয়েছে শিক্ষা দীক্ষা পাওয়া শুধু নারীর অধিকারই নয় বরং তার ওপর ফরয। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, “জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক নর নারীর উপর আবশ্যক”।

সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াআল্লাহু আনহুম আজমায়ীন তাদের কন্যাদের শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এর এক প্রকৃষ্ট উদাহরন হলেন উম্মুল মুমিনীন হযরত আইশা সিদ্দীকা (রা)। যিনি আরবি সাহিত্যে যেমন পারদর্শী ছিলেন তেমনি চিকিৎসা শাস্ত্রেও হয়ে উঠেছিলেন সমান পারদর্শী। হযরত আইশা সিদ্দীকা (রা) গণিত শাস্ত্রে এতখানি পারদর্শী ছিলেন যে, হযরত ওমর (রা) এর মত জালীলুল কদর সাহাবী তাঁর কাছ থেকে মিরাসের মাসয়ালা ও হিসাব জেনে নিতেন। এছাড়া যুক্তিবিদ্যায়ও তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। ফিক্হ শাস্ত্রে ও অর্জন করেছিলেন সুগভীর পান্ডিত্য ইতিহাস পর্যালোচনা করলে জানা যায় যে, তৎকালীন নারী সমাজ লেখার নিয়মকানুন সম্পর্কে এতখানি ওয়াকিবহাল ছিলেন যে গুরুত্বপূর্ণ পত্রাবলি ও বিভিন্ন মাসয়ালা মাসায়েল লিখে রাখতে তাদের কোনো অসুবিধা হতো না। বর্তমান ফিতনার যোগে মহিলাদের ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত হিসাবে গড়ে তুলা না হলে আদর্শ সন্তান,আদর্শ সমাজ গঠন কখনো সম্ভব নয়।

এক পর্যায়ে তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল হাফেজিয়া মাদ্রাসার পাশাপাশি একটা মহিলা কাওমি মাদ্রাসা করার। পরিশেষে মহিলা কাওমি মাদ্রাসা করার জন্য এক পায়ে দাড়িয়েছে,এখন মাদ্রাসায় কাজ চলতেছে,আমি শোকরানা কামনা করছি মহান আল্লাহর দরবারে যে,আল্লাহ তায়ালা,এমন একটা জাগাতে আল্লাহর দ্বীন শিক্ষার এমন একটা ব্যবস্তা করাচ্ছে,সে ২২সালের সমজানের শেষদিকে মহিলা কওমি মাদ্রাসা উদ্ভোদন হবে ইনশাআল্লাহ।

মাদ্রাসা পরিচালক মাওলানা সেলিম বলেন, এই মাদ্রাসাটি গত ২০সালে প্রতিষ্টিত হওয়ার পর থেকে শুরু করে এই বছর পর্যন্ত পূর্নাঙ্গ পর্দা সহকারে ছাত্রীদের পাঠ দান করা হয় ও সম্পূর্ণ সুযোগ নিয়ে ছাত্রীদের থাকা, খাওয়া, ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ ইত্যাদি সুযোগ দিয়া হয়।

গত কয়েক মাস আগে পরিকল্পনা করি, উখিয়াতে একটা মহিলা কাওমি মাদ্রাসা করার জন্য।সাথে স্থানিয় ব্যক্তি ওউলামায়ে আকরামের পরামর্শ মত কাজ শুরু করতে যাচ্ছি। আমি আশাকরি যে, উক্ত মাদ্রাসা সঠিক নিয়ম মোতাবেক কাঠামো মেনে ছাত্রীদের লেখা পড়া করানো হয়বে ইনশাআল্লাহ।

বর্তমানের মাদ্রাসার আবস্তা সম্পর্কে বলেন,গত দেড় বছরে মাদ্রাসায় ৫জন ছাত্রীকে দস্তুর দিয়া হলো ও আনুষ্ঠানিক ভাবে তাদের বিদায় দিয়া হলো বর্তমান ছাত্রী সংখ্যা ৪৫জন, ইনশাআল্লাহ আগামী থেকে ৩-৪হাজার ছাত্রী পড়ার মত সুযোগ হবে এই কামনা করি ইনশাআল্লাহ।