সোমবার , ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ২০শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস পালিত

প্রকাশিত হয়েছে-

কাজল আইচ, উখিয়া কক্সবাজার

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটিকে বিশ্ব শান্তি দিবসও বলা হয়ে থাকে। প্রতি বছর ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্বজুড়ে পালিত হয়ে আসছে দিবসটি।

অদ্য ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রিঃ বুধবার উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাটে উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও নোঙ্গর, ব্র্যাক, কর্তৃক সহায়তায় পালন করে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস উপলক্ষে র‍্যালী ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে র‍্যালী, সমাবেশ ও পায়রা উড়িয়ে র‍্যালী ও সমাবেশ উদ্বোধন করা হয়। উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান হোসাইন সজীব এর সভাপতিত্বে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, উখিয়া সহকারি কমিশনার ভূমি সালেহ আহমদ,, উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা রঞ্জন বড়ুয়া রাজন, ব্র্যাক প্রতিনিধি অজিত নন্দি, মুক্তিযুদ্ধা প্রতিনিধি পরিমল বড়ুয়া, বৌদ্ধ ধর্ম প্রতিনিধি, মৌলভী মাস্টার আবদুল খালেদ সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

শান্তি, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, সম্প্রীতি বজায় রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য এ দিবসটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব শান্তি দিবসের এবারের থিম জাতিভেদ দূর করে শান্তি আনা। বিগত কয়েক বছর ধরে জাতিভেদ, জাতপাতের সমস্যা বাড়তে থাকায় তা দূর করার জন্যই এই বছর এমন উদ্যোগ এবং থিম নেওয়া হয়েছে।

ঘোষিত দিবসটির একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো পৃথিবী থেকে যুদ্ধ ও সংঘাত চিরতরে নিরসন এবং সেই লক্ষ্যে পৃথিবীর যুদ্ধরত অঞ্চলগুলোতে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের মাধ্যমে সেসব অঞ্চলে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া।

দিবসটি ১৯৮২ সাল থেকে পালিত হয়ে আসছে। তবে সে সময় প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় মঙ্গলবার দিবসটি পালন করা হতো। এভাবে ২০০২ সাল পর্যন্ত শান্তি দিবস পালিত হয়। তবে এরপর থেকে পাকাপাকিভাবে ২১ সেপ্টেম্বর দিনটিকে বিশ্ব শান্তি দিবস হিসেবে ঘোষণা করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ।

এই দিনটি পালন করার মূল উদ্দেশ্য হলো সকলের মধ্যে সম্প্রীতি এবং সদ্ভাব বজায় রাখা। বিশ্বে শান্তি না থাকলে বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব। পৃথিবীতে শান্তির এই প্রয়োজনীয়তাও মনে করিয়ে দেয় দিবসটি।