শনিবার , ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - শীতকাল || ২৬শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

কওমী মাদরাসাগুলো খোলার অনুমতি প্রজ্ঞাপনে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী- শেখ হাসিনা।। উখিয়া ভয়েস ২৪ ডটকম

প্রকাশিত হয়েছে-

কওমী মাদ্রাসা খোলার অনুমতি।

মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ আল মনির
বিশেষ প্রতিনিধি:

আজ বিকাল ৫ টার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপনটি প্রকাশ করা হয়েছে।কিছুক্ষন পুর্বে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বিষয়টি জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের প্রতিনিধি দলকে জানানো হয়েছে বলে মিডিয়াকে নিশ্চিত করেছেন বোর্ডের সহ-সভাপতি ড. মুশতাক আহমদ ও আল্লামা ইয়াহইয়া মাহমুদ।

এর আগে কওমী মাদরাসা শিক্ষার সম্মিলিত শিক্ষাসংস্থা ‘আল হাইআতুল উলইআ লিল জামিয়াতিল কওমিয়া’র অধিনে থাকা কওমী মাদরাসাসমূহের একটি বোর্ড ‘জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের’ উধ্বর্তন চারজন সদস্য তথা এ বোর্ডের সহ-সভাপতি ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ ও মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ এবং বোর্ডের মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ আলী এবং মাওলানা মুজিবুর রহমানসহ কওমি আলেমদের একটি প্রতিনিধি দল গত ১৭ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সাথে বৈঠক করেন এবং কওমী মাদরাসাগুলো খুলে দেওয়ার অনুরোধ করেন।

এরপর ১৮ আগস্ট এ বোর্ডের সহ-সভাপতি ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ ও মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ আলাদা আলাদা ঘোষণার মাধ্যমে কওমী মাদরাসাসমূহে পরীক্ষা নেওয়া এবং অনেকাংশেই মাদরাসা খুলে দেওয়ার সংবাদ দেন।

কিন্তু মৌখিকে অনুমতির পরেও অনেকেই মাদ্রাসা খুলতে ভয় পাচ্ছিলেন।যে বিষয় মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমু এক লাইভেল মাধ্যমে বলেছিলেন – খুব শীঘ্রই সরকারি প্রজ্ঞাপন এর মতো কোনো সুসংবাদ আসতে পারে। আজ সেই সুসংবাদ এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আইনগত ভাবে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলো খুলতে এখন আর কোন বাধা রইলো না বলেই মনে করা হচ্ছে।

করোনাকালীন সময়ে করোনা মহামারীর বিস্তার রোধে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সাথে কওমী মাদরাসামূহকেও গত ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিলো। পরবর্তিতে আলেমদের দাবি অনুসারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১২ জুলাই থেকে কওমী মাদরাসাসমূহের হিফজ বিভাগ খুলে দেয় সরকার। গত ৮ জুলাই এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে হেফজ বিভাগ খুলে দেওয়ার অনুমতি দেয়।

১২ জুলাই থেকে হিফজ বিভাগ খুলে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে সরকার।

এর আগে ১ জুন দেশের কওমি মাদ্রাসায় ছাত্রছাত্রী ভর্তির কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে অফিস খোলার অনুমতি দিয়েছিল।

পরবর্তিতে গত ১৩ জুলাই হাইআতুল উলয়ার বৈঠকে মাদ্রাসা খোলার বিষয়ে সরকারের সঙ্গে মধ্যস্থতা করতে মাওলানা মাহফুজুল হককে আহবায়ক করে ৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়েছিলো।

এরপর গত ২৩ জুলাই হাইআতুল উলআর পক্ষ থেকে ৮-ই আগষ্ট দেশের সকল কওমী মাদরাসা খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু ৫ আগস্ট হাইআর একটি মিটিংয়ের মাধ্যমে ৮ আগষ্ট কওমী মাদরাসা খোলার পূর্ব সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয় সরকার আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পর। এরপর মাদরাসা খোলার নতুন সিদ্ধান্ত আসবে বলেও জানানো হয়। যা নিয়ে সরকারের সাথে হাইয়াতুল ‍উলআর পক্ষ থেকে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করা হয় যেসব এর পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় দ্বীনি শিক্ষা বোর্ডের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কওমী মাদরাসাসমূহকে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা গ্রহণের মৌখিক অনুমতি দেওয়া হয়।যা আজ প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হচ্ছে।