রবিবার , ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৪ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - শীতকাল || ২৭শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

কক্সবাজার জেলা যুব আন্দোলনের উদ্যোগে মরহুম ফজলুল করিম রাহ. স্মরণে দু’আ মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত হয়েছে-

ওসমান আল-হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি

 

মাওলানা সৈয়দ ফজলুল করীম (রহ.) আল্লাহ দ্রোহী শক্তির কাছে কখনও মাথানত করেননি। প্রচলিত রাজনীতির পরিবর্তে আদর্শিক পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে তিনি কাজ করেছেন। তিনি গতানুগতিক পীর ছিলেন না, তিনি একজন আদর্শবাদী নেতা ও আদর্শিক লড়াইয়ে উত্তীর্ণ ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নেতৃবৃন্দ।

২৫ নভেম্বর’২০ বুধবার বাদ এশা কক্সবাজার ঝাউতলাস্থ গাড়িরমাঠ সংলগ্ন দারুত তাযকিয়াহ মাদরাসা হল মিলনায়তনে কক্সবাজার জেলা ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি মুফতি ওসমান আল হুমাম এর সভাপতিত্বে জেলা সেক্রটারী এইচ এম আবুবকর এর সঞ্চালনায় মরহুম মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ ফজলুল করীম পীর সাহেব চরমোনাই রহ.-এর জীবন ও কর্ম শীর্ষক’ আলোচনা সভা
অনুষ্ঠিত হয়। উদ্যোগে ‘মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ ফজলুল করীম পীর সাহেব চরমোনাই রহ.-এর জীবন ও কর্ম শীর্ষক’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখার সেক্রেটারি জননেতা মাওলানা মুহাম্মদ শোয়াইব।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন কক্সবাজার সেক্রেটারি মোহাম্মদ আনোয়ার, ইসলামী যুব আন্দোলন কক্সবাজার জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নুরুল ইসলাম আজিজী, বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ড কক্সবাজার জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ রমজানুল হক জিয়া, ইসলামী যুব আন্দোলন কক্সবাজার পৌর শাখার সভাপতি মোহাম্মদ রাশেদ, অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মুজাহিদ কমিটি কক্সবাজার সদর থানার সম্মানীত জননেতা আলহাজ্ব মোঃ সেলিম উদ্দিন প্রমুখ।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মানুষের আত্মিক পরিশুদ্ধির পাশাপাশি জাতীয় স্বার্থে মাওলানা ফজলুল করীম রীতিমতো রাজনীতিক ছিলেন। এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে শক্তভাবে ধারণ করে তিনি রাজনীতির একটি নির্মোহ ধারা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। সত্য উচ্চারণে কখনও ক্ষমতা, কারাদণ্ডের ভয় কিংবা পদ ও অর্থের প্রলোভনে প্রভাবিত হননি।

আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, মরহুম পীর সাহেব তার বাবা মাওলানা এসহাক রহ. থেকে যে আধ্যাত্মিক দীক্ষা পেয়েছিলেন, এর পাশাপাশি তার আপসহীন নেতৃত্ব জাতীয় পর্যায়ে তাকে অপরিহার্য করে তুলেছিল। দেশ ও জাতির যে কোনো সংকটে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেন। একজন মনিষীর জন্য যেসব গুণাবলী প্রয়োজন, তার মাঝে তা পূর্ণমাত্রায় ছিল। পীর সাহেব একজন নির্মোহ রাজনীতিক ছিলেন এবং পীর হয়েও তিনি রাজনীতিতে এসে একটি ব্যতিক্রমী ধারা সৃষ্টি করে গেছেন।