কবিতা- সোনার বাংলা
জান্নাতুল ফেরদাউস।
সুন্দর সকাল সূর্যের মিষ্টি হাসি
শোনা যায় দূর থেকে- [২]
ভেসে আসা পাখির বাশি।
আহা! মন দোলানো কি শীতল বাতাস!
পাচ্ছি আমি এইখানে যে সুখের আভাস।
পায়ের তলায় কোমল ঘাস,
পুকুরে দেখো খেলছে হাস।
দাদু ওদিকে ঘাসের উপর কি ওটা??
এ যে সূর্যের আলোয় ঝলমল করা পানির ফোঁটা।
আচ্ছা দাদু, এত বড় আর বিশাল তা কি??
জানিস নে বোন? এ যে পদ্মা নদী।
দাদু মাঝিরে ডাকো আমি চড়াবো নৌকায়
না লক্ষ্মী , বাড়ি ফিরি চল দেরি হয়ে যায়।
দাদু, দেখো ঐ বাগানে কতোই না ফুল!!!
ফুল ছিড়তে যাস না কভু এ যে খুব বড় ভুল।
ঐ দেখো দাদু গাছে কতোই না ফল ধরেছে!
আগে চল বাড়ি দেখি গিন্নি কি রেঁধেছে।
বাহ! কি সুন্দর ঘ্রাণ! কি রেঁধেছো দীদা??
লক্ষ্মী আমার, এ যে ঐতিহাসিক শীতের পিঠা।
দীদা, কি সুন্দর এ গ্রাম মুগ্ধ যে আমি
দাদু ভাই এখনতো অনেক বাকি।
আরো কিছু আছে!! দেখাবে কি আমায়??
অবশ্যই, চল এখন মেলা দেখবি আয়।
দাদুভাই এই নে তোর জন্য হাওয়াই মিঠাই
ও দাদু , আমি যে নাগরদোলায় উঠতে চাই।
মেলা দেখা শেষতো দাদু। আর কি আছে গো?
অভাব নেই বোন বলছি তোকে মন দিয়ে শোন।
এ দেশে আছে ৬ টি ঋতুর ৬ প্রকার রূপ
থাকবি যখন দেখবি তখন মজা পাবি খুব।
এখানে আছে লালন,বাউল সহ নানা গীত ও গান
এ দেশে আছে ঐতিহাসিক নানান স্থান।
চারপাশে আছে সবুজের খেলা
কখনো আসে কৃষ্ণচূড়া ফুলের মেলা।
এই সবুজ দেশ আর লাল রঙের কৃষ্ণচূড়া
মনে করিয়ে দেয়-
রক্তের বিনিময়ে পাওয়া সোনার বাংলা।