শুক্রবার , ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

গণটিকা কার্যক্রমে চসিক-এর উদ্যোগে ১৫২টি কেন্দ্রে প্রায় ৩ লাখ টিকা প্রদান

প্রকাশিত হয়েছে-

আলমগীর ইসলামাবাদী:- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন
আজ ২৬ ফেব্রুয়ার- শনিবার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশান ক্যাম্পেইন উদযাপন উপলক্ষে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে গণটিকা কার্যক্রম পরিচালনা করে। চসিক মেয়র মো. রেজউল করিম চৌধুরী লালদীঘি পাড়স্থ অস্থায়ী ক্যাম্পে উপস্থিত থেকে টিকাগ্রহণকারীদের টিকা দানের মধ্যদিয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে ১৫২টি কেন্দ্রে প্রায় ৩ লক্ষ টিকা দেয়া হয়। সকাল ৯টা থেকে শুরু করে বেলা ৫টা পর্যন্ত একটানা এই কার্যক্রম চলে। গণটিকার আওতায় নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত ১২ বছর এবং তদুর্ধ্ব জনসাধারণকে কোভিড-১৯ টিকা প্রদান করা হয়। যার মধ্যে ১২ থেকে ১৭বছর বয়সী শিশুদের ফাইজার টিকা প্রদান করা হয়েছ। অস্থায়ী টিকা কেন্দ্রের পাশাপাশি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, সিটি কর্পোরেশন জেনারেল হাসপাতাল, মোস্তফা হাকিম কলেজ, রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, বন্দর হাসপাতাল, জিইসি কনভেনশন হল, অফিসার্স ক্লাব-নেভাল এভিনিউ, এম এ আজিজ স্টেডিয়াম ও রোজ গার্ডেন কমিউনিটি সেন্টার আরকান রোডে টিকা দেয়া হয়।

এম.এ আজিজ স্টেডিময়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম চত্বরে বইমেলা মঞ্চে গণটিকা কার্যক্রমের সমাপনী অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগ্রহ ও আকাক্সক্ষা অনুযায়ী জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন তাঁর সহযাত্রী। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো যখন তাদের নাগরিকদের প্রয়োজনীয় টিকার ব্যবস্থা করতে পারেনি। তখনেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশের সিংহভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনেন এবং ইতোমধ্যে যারা টিকা গ্রহণ করেনি তাদের টিকার আওতায় আনার জন্যই আজ সারাদেশে গণটিকার আয়োজন করেন। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাফলতা।

পরে বইমেলা মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠনে গান পরিবেশন করেন দেশের খ্যামিতান শিল্পীবৃন্দ। এতে উপস্থিত ছিলেন-চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরিন আখতার চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, বইমেলা কমিটির আহবায়ক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, মুক্তিযোদ্ধা গবেষনা কেন্দ্রর চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমান, বইমেলা কমিটির যগ্ম আহবায়ক মো. শাহ আরম নীপু, চসিক উপ-সচিব ও বইমেলার সমন্বয়ক আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, আবু তালেব বেলাল প্রমুখ।