গয়ালমারা-উখিয়া সড়কের মাঝখানে হিজলিয়া খালের উপর নির্মিত ব্রিজটির পরিপূর্ন কাজ করার জন্য নিবেদিত স্থানীয় জনসাধারণ

গয়ালমারা-উখিয়া সড়কের মাঝখানে হিজলিয়া খালের উপর নির্মিত ব্রিজটির পরিপূর্ন কাজ করার জন্য নিবেদিত স্থানীয় জনসাধারণ

ওমর ফারুক উখিয়া, কক্সবাজার

কক্সবাজার জেলা উখিয়া সদর থানার আওতাধীন গয়ালমারা-উখিয়া সড়কের মাঝখানে হিজলিয়া খালের উপর নির্মিত ব্রিজটির দুই পাশে অর্ধকাজ রেখে যাওয়াতে বর্তমান মানুষ হতাশাজনক হয়ে পড়ছে।

বর্ষা মৌসুমে জনসাধারণের যাতায়াতের ভারি কষ্ট হয়ে দাড়াচ্ছে রোডটিতে, এমনকি টমটম গারি,মিনি টমটম ও মটর সাইকেল, এনজিও ইউনিয়ন পর্যায়ে কাজকর্ম কর্মকর্তাদের গারি পার হতে গিয়ে গারির চাকা ভেঙ্গে যায় বলে একাদিক ড্রাইবারের আকুতি, যার কারণে গারির ড্রাইবাররা ১০টাকার বাড়া রিক্স নিয়ে যাওয়ার জন্য ২০ টাকা করেছে।

উখিয়াতে ব্রীজটি সঠিক সময়ে নির্মিত হওয়ার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে সাধুবাদ জানাই এলাকার সজনরা। কিন্তু ব্রীজের দুই পাশের কাজ সমাপ্ত না করে চলে যাওয়ায় স্থানীয় মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।

ব্রিজের উভয় পাশে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে পার হতে হয় বর্তমান সময়ের জন্য খুবই দুরূহ কাজ। এই রোড দিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন বাহিনী চলাচল করে, যা তাদের জন্যও চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই ছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্টান, গয়ালমারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,গয়ালমারা দাখিল মাদ্রাসা, উখিয়া বঙ্গমাতা মহিলা কলেজ, উখিয়া ডিগ্রি কলেজে, উখিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,উখিয়া উচ্চ বিদ্যালায়, ইন্টারন্যশনাল স্কুল এন্ড কলেজ, রাজাপালং মাদ্রাসা ও নুরজাহান চৌধুরী গুলজার বেগম উচ্চ বিদ্যালয় ও চাকবৈঠা উচ্চ বিদ্যালয় সহ আরো শিক্ষা প্রতিষ্টানের ছাত্র ছাত্রীরা স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসায় এই পথ দিয়ে যাতায়াত করে বলে জানান,এমনকি গত কাল চাকবৈঠা থেকে কিছু ছাত্র /ছাত্রী স্কুলে ঠিক সময়ে পৌঁছতে না পেরে স্কুলের শাস্তি অনুভব করছে বলে তার বাবা মার কাছে অভিযোগ করেন।

উখিয়ার মধ্যে বাই রুট হিসেবে উখিয়া-মরিচা- নাইক্ষ্যংছড়ি-বান্দরবানের জন্য অন্যতম প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম হচ্ছে সে গয়ালমারা রোড। প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি, খুব স্বল্প সময়ে ব্রিজের উভয় পাশের কাজ সমাপ্ত করা হলে প্রশাসনের প্রতি স্থানিয় জনসাধারণ কৃতজ্ঞ থাকবে।

বর্ষা মৌসুমে সে ভোগান্তিক গয়ালমারা রোডের মানুষদের পাশে দাড়ানোর জন্য উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়ন এর স্থানীয় সরকার কমিটি ও উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের প্রতি বিনীত অনুরোধ করেন এলাকার লোকজন।
এই ছাড়া আরো অনুরোধ করেন রত্নাপালং ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান জনাব নুরুল হুদা ও মাহমুদল হক মেম্বারকে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *