মঙ্গলবার , ১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১৫ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামাের বাঁশখালীতে ভূমি অফিসের জায়গায় অবৈধ দখলকারদের উচ্ছেদ

প্রকাশিত হয়েছে-

 

আলমগীর ইসলামাবাদী
চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের (অস্থায়ী) গুনাগরী বাজার ইজারাদার কর্তৃক ইউনিয়ন ভূমি অফিসের জায়গা দখলপুর্বক অর্ধশতাধিক দোকান নির্মাণ করে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে দখল বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠার পর উপজেলা প্রশাসন অভিযোগ যাঁছাই-বাছাই করে অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হলে অবৈধ প্রায় অর্ধশতাধিক দোকান উচ্ছেদ করেছে। অস্থায়ী গুনাগরী বাজার ২০২১-২০২২ সালের ইজারাদার কর্তৃক নতুন করে ভূমি অফিসের জায়গা দখল করে নির্মাণকৃত ৬টি মুরগীর দোকান সহ মুদির দোকান, চায়ের দোকান, পানের দোকান ও মাছের দোকান মিলিয়ে অর্ধশতাধিক অবৈধ দখলকৃত দোকানগুলো উচ্ছেদ করেন উপজেলা প্রশাসন।

আজ (১৪ জুলাই ২১), বুধবার সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে শক্তিশালী প্রশাসনিক একটি টীম এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। উচ্ছেদ অভিযানে সহযোগীতায় ছিলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাঁশখালী থানা পুলিশ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাঁশখালী চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ও কালীপুর ইউপি চেয়ারম্যান এড. আ.ন.ম শাহাদত আলম।

অভিযানকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরীর কাছে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন যে, তারা বাজারে নবনির্মিত দোকানগুলো ইজারাদারের কাছ থেকে প্রতিটি দোকান ৩০ হাজার টাকা করে দাম দিয়ে দখল ক্রয় করেছেন। এসময় ইজারাদার হাসান কামালের কাঁছে অবৈধ দোকানগুলোর দখল বিক্রি করে টাকা নেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে) বলেন, “স্যার আমি ২৮ হাজার টাকা করে নিয়ে ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য সাবমারসিবল(গভীর নলকূপ) পাম্প সহ পানির ড্রাম স্থাপন করেছি এবং দোকানগুলো নির্মাণ করেছি। কার কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে করেছেন জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে চুপ থাকলেও কিছুক্ষন পরে বলেন, ইউনিয়ন ভূমি অফিসারের পরামর্শ নিয়ে পানির পাম্প স্থাপন করেছি।” ইজারাদার হাসান কামাল অবৈধ সব দোকান ও করেনি বলে দাবী করে বলেন, ব্যবসায়ীরা নিজে নিজেও কয়েকটি দোকান নির্মাণ করেছেন। কোকদন্ডী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা বাজার ইজারাদারের সাথে এই বিষয়ে কোন আলাপ-আলোচনা হয়নি বলে দাবী করেন।

এসময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ভূমি অফিসের জায়গায় বাজার ইজারা দেওয়া হয়নি। ভূমি অফিসের জায়গা দখল করার কোন সুযোগ নেই, পূর্বের ন্যায় বাজার যতটুকু ছিল তাতে বাজার বসবে, ভূমি অফিসের সামনে প্রধান সড়ক দখল করে নানান রকম ফলের দোকানগুলো ব্যবসায়িদেরকে স্ব-স্ব দায়িত্বে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। ভূমি অফিসের জায়গায় গাড়ী পার্কিং না করার জন্য সিএনজি শ্রমিকদেরও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।। পরবর্তীতে ভূমি অফিসের জাগায় দখল করে দোকান নির্মাণ, গাড়ী পার্কিং করা হলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করে দেন এসি ল্যান্ড।