আলমগীর ইসলামাবাদী:-
চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,
ছাত্রলীগের দুগ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩ জন আহতও হয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে আধিপত্য বিস্তারের জন্য দীর্ঘদিন ধরে মুখোমুখি অবস্থানে থাকা এই দুই পক্ষের একটি পক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারীরা অন্য পক্ষে আছে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারীরা।
জানা গেছে, শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত ২ টার দিকে শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেলের অনুসারীরা আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। ওই হামলায় দুজন ছাত্রলীগ নেতা আহত হয়। তারা হলেন চমেকের ৬১ ব্যাচের মাহফুজুল হক (২৩) ও ৬২ ব্যাচের নাইমুল ইসলাম (২০)। রাতের ঘটনায় আহত দুজনই আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী।
রাতের ঘটনার জের ধরে শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ৯ টায় শিক্ষা উপমন্ত্রীর অনুসারীদের একজন আকব হোসেন (২০) কে একা পেয়ে বেধড়ক পেটায় আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারীরা।
এর পরপরই শিক্ষা উপমন্ত্রীর অনুসারীদের ধাওয়া খেয়ে চমেক প্রিন্সিপালের রুমে ঢুকে পরে আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারীরা। দুপুর ১ টা পর্যন্ত সেখানেই অবরুদ্ধ ছিল তারা। পরে পুলিশ পাহাড়ায় সেখান থেকে বের হয়ে আসে নাছির উদ্দিনের অনুসারীরা।
এদিকে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় হাসপাতাল, কলেজ ক্যাম্পাস এবং প্রধান ছাত্র হোস্টেলজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে পাঁচলাইশ থানার ওসি (তদন্ত) সাদেকুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ক্যাম্পাসে পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এ বিষয়ে পরে কথা বলা হবে।