রবিবার , ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৪ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - শীতকাল || ২৭শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ছাগলের দামে গরু নিলাম,রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত সরকার

প্রকাশিত হয়েছে-

নিজস্ব প্রতিবেদক::

কক্সবাজারের উখিয়ায় নিয়ম না মেনে গরুর নিলামের অভিযোগ উঠেছে বালুখালী কাস্টম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।মাইকিং না করে গোপনে সিন্ডিকেট সদস্যদের সাথে আতাঁত পূর্বক তড়িগড়ি করে নিলাম সম্পন্ন করেছে এমনটি অভিযোগ তালিকাভূক্ত ঠিকাদারদের। তাদের দাবি অনিয়ম করে অসাধু কর্মকর্তা লাভবান হলেও সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে,উখিয়ার বালুখালি শুল্ক অফিসের আওতায় ৭টি বড় বড় গরু নিলাম দিয়েছে ক্রেতাদের সাথে আতাত করে ৫,৮০,০০০/ টাকায় নিলামে ছেড়ে দেন। এতে ১৭.৫% ভ্যাট ট্যাক্স যোগ করলে ১,০১৫০০/ মোট- ৬৮১৫০০/ টাকা।
বিভিন্ন গরু-মহিষ ব্যবসায়ীদের ভাষ্যমতে যার অনুমানিক মূল্য ছিল ১১,০০০০০/ লক্ষ টাকা। এতে ১৭.৫% ভ্যাট ট্যাক্স যোগ করলে হয় ১,৯২৫০০/ সর্বমোট ১২,৯২৫০০/
এতে ৬,১১০০০/ হাজার টাকা সরকারের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে এমন মন্তব্য করেন নিলামে উপস্থিত সুশীল ও গনমাধ্যমকর্মীরা।
শুধু তাই নই প্রতিটি নিলামে এমন বড় বড় টাকার এমাউন্ট থেকে সরকার রাজস্ব বঞ্চিত করে এই কর্মকর্তার পকেট ভারি করে আসছে বলেও তারা জানান।
গত মাসেও রেজু বিওপিতে এক কোটি টাকা মূল্যের ৮৬ টি গরু মহিষের নিলাম ছেড়ে দেন ৮২,০০,০০০/ টাকায়। এতেও প্রায় ১৮,০০,০০০/ টাকা থেকে রাজস্ব বঞ্চিত ছিল। ( যার ভ্যাট ট্যাক্স যোগ হবে)
এমন ঘটনা অহরহ রয়েছে এই কর্মকর্তার কারসাজিতে।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দুপুর দুইটার সময় নিলাম কার্য সম্পাদন হওয়ার কথা থাকলেও তা দেড়টায় সম্পন্ন হওয়াতে অনেক ডাককারী নিলামে অংশ গ্রহণ করতে পারে নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তালিকাভুক্ত ঠিকাদার সেতু এন্টারপ্রাইজের মালিক আবুল কাশেম অভিযোগ করে জানিয়েছেন কাস্টমস অফিসের অসাধু কর্মকর্তারা জনৈক ঠিকাদারের সাথে গোপনে আতাঁত করে গরু গুলোর নিলাম সম্পন্ন করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বালুখালী কাষ্টমস কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল এসব তথ্যের বর্ণনা না দিয়ে উল্টো ধমক দিয়ে সরকারি নিলাম নিয়ে আঙ্গুল না তুলার হুকুম ও সিনিয়র কর্মকর্তাকে জানানোর হুমকি দেন।