নিজস্ব প্রতিবেদন,
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার লক্ষাচর ইউনিয়নের জাহেদ বাহিনীর হামলায় টমটম চালক ইলিয়াসকে হত্যা চেষ্টা ও তার স্ত্রী এবং কলেজপড়ুয়া ছাত্রকে পিঠিয়ে জখম করা হয়েছে
এঘটনায় বর্ণিত ইউনিয়নের রুস্তম আলী চৌধুরী পাড়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা গুরা মিয়ার ছেলে টমটম চালক মোঃ ইলিয়াস বাদী হয়ে প্রধান হোতা জাহেদসহ ৭ জনকে অভিযুক্ত করে চকরিয়া থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেছে।
গত ২৭ এপ্রিল সকাল ১১ টার দিকে ইউনিয়নের রুস্তম আলী চৌধুরী পাড়া এলাকায় টমটম চালকের বসত বাড়ীর সামনে রাস্তার উপর এঘটনা ঘটে।
এঘটনার খবর পেয়ে চকরিয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী একই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা দৌলত মিয়ার ছেলে জাহেদ প্রকাশ জারামতকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, জায়গা জমি ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে উস্কানীমূলক কথা বলে ইলিয়াস ও তার স্ত্রীকে গালিগালাজ ও মারধর করে বিভিন্নভাবে জখমসহ হত্যার চেষ্টা করে দেশীয় অস্ত্রধারী জাহেদ বাহিনী।
এর ধারাবাহিকতায় উপরের বর্ণিত সময়ে জাহেদ বাহিনী জনতাবদ্ধ দলবল সহ দেশিয় তৈরি ধারালো দা, কিরিস, লোহার রড, হাতুড়ি, লাঠিছোটা ও অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে বর্ণিত এলাকায় ইলিয়াসের বসতবাড়ির সামনে চলাচলের রাস্তার মাঝখানে বাউন্ডারি নির্মাণ কাজ শুরু করে।
এসময় ইলিয়াস বাঁধা প্রধান করলে জাহেদ তার বাহিনীর লোকজন নিয়ে হামলা শুরু করে এতে টমটম চালক ইলিয়াস ও তার স্ত্রী মাঠিতে লুটিয়ে পড়ে সাথে কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ইলিয়াসের ভাইপুও আহত হয়। জাহেদ ও তার বাহিনী ইলিয়াসের স্ত্রী শরীরের শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে শেষমেষ গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন নিয়ে পালিয়ে যায়। আহতদের শোর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে এবং আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এ ঘটনায় চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ চক্রবর্তীর সাথে কথা হলে তিনি জানান,খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ও প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, এবং পালাতক আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান।
মামলায় গ্রেফতারের পর থেকে জাহেদ বাহীনীর সদস্যরা ইলিয়াসের স্ত্রীর নাম্বারে ফোন করে বিভিন্ন সময় হুমকি দিচ্ছে মামলা উঠিয়ে না ফেললে আবার হামলা করবে এবং বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিবে
স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা হলে জানা যায়, এ জাহেদ বাহিনীর লোকজনের বিরোদ্ধে এলাকায় চুরি, ছিনতায় অন্যের জায়গা কন্ট্রাকে দখল করে দেওয়াসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
অভিযুক্ত জাহেদ বাহীনীর বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারের জন্য সংশ্লিস্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।