মঙ্গলবার , ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৫শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ঝালকাঠির বিষখালি নদীর চর থেকে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার & Stay Home UkhiyaVoice Family

প্রকাশিত হয়েছে-

 

মোঃ রাকিব”বিশেষ প্রতিনিধিঃ

ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কচুয়া পঞ্চানন্দ গ্রামে বিষখালী নদীর চর থেকে মনির হোসেন(২২) নামের এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত অবস্থায় উদ্ধারকৃত যুবক মনির হোসেন ওই এলাকার দিনমজুর শাহ আলম জোমাদ্দারের পুত্র।

মৃতদেহ পাওয়ার খবর পেয়ে ঝালকাঠি পুলিশ সুপার ফাতিমা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ হাবিবুল্লাহ, সহকারী পুলিশ সুপার (রাজাপুর-কাঠালিয়া সার্কেল) মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, কাঠালিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ পুলক চন্দ্র রায়, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মাহমুদ হোসেন রিপন ও জেলা পরিষদ সদস্য এস এম আমিরুল ইসলাম লিটন সিকদার ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করেছেন।

গ্রামবাসি ও স্বজনরা জানায়, গত রোববার রাত নয় টার দিকে লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে তারা কচুয়ার পঞ্চানন্দর বিষখালীর নদীর চরে যান। তারা গিয়ে মনিরকে একটি গাছের নীচে ( উপর করা) অচেতন অবস্থায়  পরে থাকা দেখতে পায়। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (আমুয়া) এ নিলে সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাঃ মো. কামরুজ্জামান তাকে মৃত ঘোষণা দেন।

এ ঘটনা সম্পর্কে মৃত মনিরের স্ত্রী রোজিনা বেগম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

তবে এলাকার একটি সূত্র জানায়, গতকাল রোববার বিকেলে বড় কাঠালিয়া গ্রামের সফিজ উদ্দীনের ছেলে এনায়েত গাজী নামের এক লোক তাদের বাড়িতে এসে প্রকাশ্যে মনিরকে দেখে নেয়ার হুমকী প্রদান করে যান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন কয়েক স্থানীয় ব্যক্তি জানিয়েছেন, নিহত মনিরের মা শাহনাজ বেগমের সাথে এনায়েত গাজীর পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্কে পুত্র মনির বাঁধা হওয়ায় পরিকল্পিভাবে মনিরকে হত্যা করে এটাকে আত্মহত্যা নাটক বানানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।

ওইসব ব‍্যাক্তিদের দাবি, মনির নিহত হওয়ার আগে এবং পরে তার মা শাহনাজ বেগমের কথাবার্তা-আচারণ এবং আগের দিন এনায়েত গাজীর হুমকী দেওয়াতে তারা এই ঘটনায় সম্পৃক্ত রয়েছেন বলে অনেকেরই ধারণা।

কাঠালিয়া থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা বের করে আনার চেষ্টা চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মনিরের মা শাহানাজ বেগম এবং বড় কাঠালিয়া গ্রামের ইয়াকুব গাজীর ছেলে জসিম গাজীকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।