শুক্রবার , ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - শীতকাল || ২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

টেকনাফের আলোচিত নুরুল হক ভুট্টো হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

প্রকাশিত হয়েছে-

টেকনাফ প্রতিনিধি

সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ সদর ইউপি নাজির পাড়া এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে নিহত নুরুল হক ভুট্টোর হত্যাকারিদের গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

(১৯মে) দুপুর বেলা ১২টার সময় এলাকাবাসীর উদ্যোগে উক্ত মানব বন্ধন ও পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনের যাত্রা করেন নিহত নুরুল হক ভুট্টোর নাজির পাড়া এলাকা হয়ে টেকনাফ উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এসে শেষ হয়। হাজারো নারী- পুরুষের উপস্থিতিতেই একটি মাত্র দাবিতে মুখরিত ছিল শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে

সমাজ সেবক নুরুল হক ভুট্টো হত্যাকারীদের বিচার চাই, বিচার চাই,বিচার চাই।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, টেকনাফ সদর ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এনামুল হক এনাম মেম্বার,
নিহত নুরুল হক ভুট্টো হত্যাকারীদের মামলার বাদী ও নিহত নুরুল হক ভুট্টোর ছোট ভাই মোঃ ইসলাম,
বড় হাবির পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নুরুজ্জামান,
টেকনাফ সরকারি কলেজের অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, নাজির পাড়া বড় জামে মসজিদের খতীব হাফেজ নুরুল হক মোজাহেরী,
সমাজ সেবক রেজাউল করিম শরীফ, নাজির পাড়া এলাকার রিয়াজুল জন্নাহ বড় জামে মসজিদের সভাপতি মমতাজ মিয়া, ছাত্র নেতা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

মানববন্ধনে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এনামুল হক এনাম মেম্বার জানান,
আমার ভাই নুরুল হক ভুট্টো কে গেল ইউপি নির্বাচনের জের,এবং আমার এলাকায় একরাম বাহিনীর প্রভাব বিস্তার,অবৈধভাবে মানুষের জায়গা দখল,ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যেতে না পেরে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করেছে একরাম গ্যাংরা।
কারণ নাজির পড়া ও মৌলভী পাড়ায় একরাম গংদের
এলাকায় প্রভাব বিস্তার, অবৈধ ইয়াবা ব্যবসা,
সাধারণ মানুষের জায়গা দখল,সাধারণ মানুষ কে নির্যাতন ও তাদের পেশি শক্তির বিরুদ্ধে সব সময় আমার ভাই নিহত নুরুল হক ভুট্টো সবসময় সোচ্চার ছিলেন।
টেকনাফ সদর ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এনামুল হক এনাম মেম্বার প্রশাসন কে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরো জানান,
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে আমরা সবসময় সহযোগিতা পাচ্ছি,
ইতি মধ্যে আমার বড় ভাই নুরুল হক ভুট্টোর হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কয়েকজন আসামিকে আটক করেছে বলে শুনেছি।

স্থানীয় বাসীন্দা ও নিহত নুরুল হক ভুট্টোর ভাগিনা মোহাম্মদ আবছার জানান,
একরাম বাহীনিরা যখন আমার মামা ভুট্টোকে হত্যার জন্য চার পাশ হতে ঘিরে ফেলেন,তখন আমার মামা নিহত নুরুল হক ভুট্টোর শেষ আকুতিতে বলেছিলেন আমার ভাই একরাম আমিতো তোমাদের কোন ক্ষতি করিনি,
আমার উপর এই অতর্কিত হামলা কেন, আমার দুই শিশু সন্তানের ধিকে থাকিয়ে হলেও আমার জীবনটা ভিক্ষা দে ভাই। তারপরেও একরাম গ্যাং ওরফে একরাম বাহিনীর হ্যদয় গলেনি।
আমার মামা নিহত নুরুল হক ভুট্টোর উপর অতর্কিত হামলা করে দা কিরিস দিয়ে কুপিয়ে দেহ থেকে পা বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে যায় একরাম গ্যাং ওরফে একরাম বাহিনীরা।
সে পা এখনো তারা ফিরিয়ে দেয়নি। নিহত ভুট্টোর পরিবার বিচ্ছিন্ন পা টি ফিরে পেতে চাই।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোঃ হাফিজুর রহমান জানান, পুলিশ অভিযান চালিয়ে নুরুল হক ভুট্টো হত্যা মামলার আসামি জাফর আলমের পুত্র মোঃ সাইফুল ইসলাম(২০) ইউনুচ আলমের পুত্র মোঃ শাকের (২২) নাফাইংগা প্রকাশ লেডুর পুত্র রমজান আলী (২৮)সহ আরো একজন কে আটক করে কক্সবাজার কারাগারে প্রেরণ করেছি। তবে এ অভিযান চলমান রয়েছে বলে তিনি জানান।
স্থানীয় সচেতন মহল জানিয়েছেন,
মূল হত্যা কারিদের আইনের আওতায় আনা না গেলে উক্ত এলাকায় পূণরায় সংঘর্ষের সম্ভাবনা রয়েছে ।

উল্লেখ্য গেল রবিবার আসরের নামাজের পর সাবরাং ইউনিয়ন এলাকা হতে একটি বিচার সালিশের বৈঠক শেষে ভুট্টোসহ তার আত্মীয়স্বজনরা মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন।
বড় হাবিবপাড়া আওতাধীন থানার ডেলের মসজিদ
নামক স্থানে মসজিদের কাছে পৌঁছালে চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী একরাম ও আব্দুর রহমান,রিদওয়ানের নেতৃেত্ব সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের ঘেরাও করে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে টেকনাফ-শাহপরীরদ্বীপ আরকান সড়কের উপর তাদের এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।
নিহত নুরুল হক ভুট্টো নিজের প্রাণ বাঁচাতে মসজিদে ঢুকে পড়লে ও বাঁচতে পারিনি পারিনি নিহত নুরুল হক ভুট্টো।
প্রথমে তারা নিহত নুরুল হক ভুট্টোকে দা কিরিস দিয়ে কুপিয়ে তার দেহ থেকে পা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।
পরে মাথায় গুলি, বুকে ও দুই হাতে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এসময় তার আত্মীয়স্বজনদের উপর ও এলোপাতাড়ি কোপানো হয়।
তখন তারা নিজেদের প্রাণরক্ষার্থে নিহত নুরুল হক ভুট্টো কে একা রেখে পালিয়ে যায়।
নিহত নুরুল হক ভুট্টোও একরাম বাহিনীর হাতে হামলার শিকার হওয়া ভুট্টোর আত্মীয়-স্বজনদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার হাসপাতালে
যাওয়ার পথে মৃত্যুর কোলে ঢেলে পড়ে নুরুল হক ভুট্টো।