রবিবার , ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৪ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - শীতকাল || ২৭শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

টেকনাফে বিজিবি’র অভিযানে ৫ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা মূল্যের ক্রিস্টাল মেথ আইস, ১০ হাজার পিস ইয়াবা এবং ১৪২ ক্যান আন্দামান গোল্ড বিয়ার জব্দ

প্রকাশিত হয়েছে-

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-

বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির যথাযথ বাস্তবায়নকল্পে মাঠ পর্যায়ে বিজিবি’র অভিযানিক কর্মকাণ্ড এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অভিযানে ৫ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ১.০৫৫৮ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস, ১০,০০০ পিস ইয়াবা এবং ১৪২ ক্যান আন্দামান গোল্ড বিয়ার জব্দ করা হয়েছে।

অদ্য ২৫ এপ্রিল ২০২২ তারিখ রাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ সাবরাং বিওপি’র বিশেষ টহলদল বিআরএম-৫ থেকে আনুমানিক ১.৫ কিঃ মিঃ দক্ষিণে বেড়ীবাঁধ সংলগ্ন জিন্নাহ খাল সালাম মেম্বারের ঘের এলাকার পার্শ্ববর্তী নাফ নদীর তীরে নিয়মিত টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। আনুমানিক ভোর ০৪০৫ ঘটিকায় টহলদল উক্ত এলাকায় কেওড়া বাগানের ভিতরে কতিপয় ব্যক্তির পায়ের শব্দ শুনতে পেয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। পরবর্তীতে টহলদল ০৩ জন চোরাকারবারীকে তিনটি বস্তা নিয়ে বেড়ীবাঁধের দিকে আসতে দেখে। উক্ত চোরাকারবারীদেরকে দেখা মাত্রই বিজিবি টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে খুব দ্রুত তাদের দিকে অগ্রসর হয়। চোরাকারবারীরা বিজিবি’র উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি টহলদল তাদেরকে থামানোর চেষ্টা করে। চোরাকারবারীরা গ্রেফতার হওয়ার সম্ভাবনা আঁচ করতে পেরে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে রাতের অন্ধকারে তাদের বহনকৃত বস্তাগুলো ফেলে কেওড়া বাগানের ভিতরে পালিয়ে যায়। অতঃপর টহলদল উক্ত এলাকা তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া বস্তার ভিতর হতে ৫,৫৮,২৫,৫০০/- (পাঁচ কোটি আটান্ন লক্ষ পঁচিশ হাজার পাঁচশত) টাকা মূল্য মানের ১.০৫৫৮ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস, ১০,০০০ (দশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ১৪২ ক্যান আন্দামান গোল্ড বিয়ার আটক করতে সক্ষম হয়। মাদক চোরাকারবারীদের আটকের নিমিত্তে বর্ণিত এলাকা ও পার্শ্ববর্তী স্থানে পরবর্তী ০৫৩০ ঘটিকা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন পাচারকারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। উক্ত স্থানে অন্য কোন অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি বিধায় মাদক চোরাকারবারীদের সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

উল্লেখ্য, মাদক নির্মূলে বিজিবি’র প্রতিটি সদস্য দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যেকোনো মূল্যে দেশকে মাদকমুক্ত করার ব্যাপারে বিজিবি সর্বদা বদ্ধপরিকর।