সোমবার , ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ২০শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

টেকনাফ উপজেলা বাসী কে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, মোহাম্মদ আব্দুল আলীম ওসি(তদন্ত) টেকনাফ মডেল থানা

প্রকাশিত হয়েছে-

ইব্রাহীম মাহমুদ,

টেকনাফ উপজেলা বাসী কে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন,
মোহাম্মদ আব্দুল আলীম ওসি(তদন্ত) টেকনাফ মডেল থানা,
তিনি বলেন,
ব্যক্তি জীবনকে সুন্দর, পরিশুদ্ধ ও সংযমী করে গড়ার লক্ষ্যে মু’মিন মুসলমানদের মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর অনাবিল আনন্দের বার্তা নিয়ে ঈদুল ফিতর সমাগত।

বিশ্ব মুসলিমের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর। উৎসব মানুষের আনন্দময় স্বত্তার জাগরণ ঘটায়। তার আত্মাকে মিলনের বোধে উদ্দীপ্ত করে। ঈদ মুসলমানদের জীবনে আল্লাহ তা’আলার এক অমূল্য নিয়ামত। ঈদুল ফিতরের উৎসব সমাজের সকল ভেদাভেদ ও সীমানা অতিক্রম করে মানুষে মানুষে মহামিলন ঘটায়। সৃষ্টি করে পরষ্পরের প্রতি আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছাবোধ।

ধনী-গরিব, উঁচু-নীচুনির্বিশেষে সকল মানুষকে নিবিড় ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ করে। হানাহানি, হিংসা, বিদ্বেষ এবং তিক্ততার গ্লানি থেকে মানুষের মনকে এক অনাবিল স্বর্গীয় শান্তি ও সম্প্রীতির বোধে উদ্দীপ্ত করে ঈদুল ফিতরের উৎসব।
পবিত্র এই উৎসবের দিনে প্রতিটি মুসলমান নর-নারী সৌহার্দ্যরে বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আনন্দকে একত্রে উপভোগ করতে হবে।

ঈদুল ফিতর নির্মল আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে দিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ মর্মবাণী মানবজাতির কাছে পৌছে যায় তা হচ্ছে ‘সকলের তরে সকলে আমরা,এই মর্মবাণী মানসিক কদর্য, অন্যায়, অবিচার ও নিষ্ঠুর সামাজিক অসাম্যকে অতিক্রম করে এক নিবিড় ভ্রাতৃত্ববোধের প্রেরণা জাগায়। আর এই প্রেরণায় উদ্দীপ্ত হয়ে সমাজের অপেক্ষাকৃত দরিদ্র, অবহেলিত ও বঞ্চিত মানুষের প্রতি সাহায্য ও সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া মুসলমান হিসাবে আমাদের কর্তব্য। চাঁদাবাজীর জুলুম, সন্ত্রাস-সহিংসতা এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি সত্ত্বেও ঈদ আমাদের জাতীয় জীবনে সংস্কৃতির দ্যোতক, আবহমান কাল থেকে শুভেচ্ছা ও আনন্দের আদান-প্রদান।

ঈদুল ফিতরের দিনে আমি আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করবো টেকনাফ উপজেলা বাসীসহ সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর সুখ,শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য।

শুভেচ্ছান্তে
মোহাম্মদ আব্দুল আলীম ওসি(তদন্ত) টেকনাফ মডেল থানা, টেকনাফ উপজেলা।