
#UkhiyaVoice24.Com
পিআর পদ্ধতির জন্য লড়াইয়ের সাথে সাথে মানুষের ভোটের সম্মান নিশ্চিত করতে আসনভিত্তিক নির্বাচনের প্রস্তুতিও চলবে- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। ২৮ জুলাই ২০২৫ খ্রি: সোমবার সকাল ১০ ঘটিকা হইতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে (৫৫/বি, পুরানা পল্টন-৩য় তলা) ঢাকা, চট্রগ্রাম. বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগের সংসদীয় আসনের প্রাথমিক বাছাইয়ে নির্ধারিত প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাষ্ট্র ক্ষমতায় জনগণের ভোটের মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবীতে বদ্ধপরিকর। পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের জন্য আমরা শেষ সময় পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবো। একই সাথে প্রচলিত নির্বাচন পদ্ধতিতেও প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে চাই। কারণ, আগামী নির্বাচনে দেশপ্রেমিক শক্তিকে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করতে হবে। সেজন্য আমাদের সকল ধরণের প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব ও দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ঐকমত্য কমিশনে বিএনপির ওয়াকআউট করার প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন, শাসন বিভাগ জনতার অনুমোদিত আইনের বলে ক্ষমতায়িত হয় এবং সেই আইনের জন্য জনতার কাছে দায়বদ্ধ থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের অতিতের তিক্ত অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি যে, জনতার কাছে দায়বদ্ধতা এড়াতে নির্বাহী ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে। সেজন্যই নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতায় ভারসাম্য তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। সারা বিশ্বেই এখন ডেলিগেশন অফ পাওয়ার বা ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ একটি বহুল চর্চিত সুশাসন নির্দেশক। সুশাসন প্রতিষ্ঠার এমন পরীক্ষিত ও বহুল চর্চিত নীতির ক্ষেত্রে বিএনপির অনিহা আমাদেরকে শংকিত করে। আমরা আশা করবো ক্ষমতার বিকেন্দ্রিকরণে বিএনপি ঐকমত্য কমিশনকে সহায়তা করবে। সাক্ষাৎকারে প্রতিটি আসন থেকে একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী ও জেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়েছেন। তাদের সাথে নির্বাচনী কৌশল, সম্ভাব্যতা নিয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা করা হয়। দলের মহাসচিব মাওলানা ইউুনস আহমদ বলেন, আমাদের আমীরের ঘোষিত “একবাক্সে ভোট”নীতি নিয়ে আমরা দৃঢ় আশাবাদী। আমরা আমাদের মতো করে কাজ গোছানোর জন্য প্রার্থী ঘোষণা করবো। তারা প্রচারণাসহ সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন। নির্বাচনের আগে জাতীয় স্বার্থে কোন দলকে কোন আসন ছেড়ে দিতে হলে নির্দ্বিধায় আমরা তা করবো। ফলে আসন ভিত্তিক প্রার্থী ঘোষণার সাথে ‘একবাক্সে ভোট’ নীতির কোন অসামঞ্জস্যতা নাই।