শনিবার , ১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১২ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

থানায় এসে দালাল ছাড়া সরাসরি আমার সাথে কথা বলুন: উখিয়া থানার নবাগত ওসি আহমেদ সন্জুর

প্রকাশিত হয়েছে-

ওসমান আল হুমাম কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।

শনিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯ টায় কক্সবাজার উখিয়া উপজেলার ২ নং ইউনিয়নের রত্না পালং ইউনিয়নের ভালুকিয়া পালং হারুন মার্কেট দক্ষিণ স্টেশনে ২নং বিট পুলিশিং এর উদ্যোগে ধর্ষণ,
সন্ত্রাস,জঙ্গি ও মাদক বিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মাস্টার মোজাম্মেল হকের সঞ্চালনায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়।
প্রধান অতিথি ছিলেন উখিয়া টেকনাফের নবাগত এডিশনাল এসপি মহোদয়, উখিয়া থানা নির্বাহী কর্মকর্তা আহমদ সন্জুর মোরশেদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উখিয়া উপজেলা যুবলীগের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসাইন, বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ২নং রত্না পালং ইউনিয়নের বিশিষ্ট সমাজসেবক ও চেয়ারম্যান জনাব খায়রুল আলম চৌধুরী।

এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্যের স্বাগত বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার জেলা দায়রা জজ আদালতে সিনিয়র আইনজীবী বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী জনাব আব্দুর রহিম।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এলাকা ভিত্তিক ধর্ষণ, জঙ্গিবাদ, মাদক ও সস্ত্রাস বিরোধী সমাবেশের অংশ হিসেবে আজকে আমাদের এই আয়োজন। আপনারা জানেন মুক্তিযুদ্ধে যেমন দেশের সাধারণ মানুষ ঐক্যবদ্ধ ভাবে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা এনেছে ।

তেমনি এই গ্রাম থেকে মাদক নির্মূলে ছাত্র, যুব সমাজ সহ সবাইকে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে হবে।

মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ কারো একক সমস্যা নয়, এটি একটি সামাজিক সমস্যা। পুলিশ এবং জনগণের সম্পৃক্ততা ও সহযোগিতা ছাড়া ধর্ষণ, ইভটিজিং, জঙ্গিবাদ, মাদক ও সন্ত্রাস দমন করা যাবে না। আজকে আমাদের এইখানে চৌকস পুলিশের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা উপস্থিত আছেন। তুনি উখিয়া থানার নবাগত ওসি সম্পর্কে বলেন, স্যারের ঘোষণা থানায় এসে আমার সাথে সরাসরি কথা বলুন কোন মাধ্যম লাগবেনা। স্যারের এই উদ্যোগে আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছে।
ইনশাআল্লাহ আমরা সাধ্য অনুযায়ী প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতা করে যাব।

২নং রত্নাপালং উনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব খায়রুল আলম চৌধুরী বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনের ভূমিকা অপরিসীম, আমাদের চৌকস পুলিশ বাহিনী ইতোপূর্বে সারাদেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রুখে ব্যাপক ভূয়সী প্রংশসা পেয়েছে। তবে আশা করি অতীতের সব গ্লানি মুছে দিয়ে আমাদের উখিয়াকে একটি মডেল উপজেলা পরিনত করতে ভূমিকা রাখবে।
তারা আমাদের বলেছেন, সন্ত্রাস নির্মুলে যে কোন পরিস্থিতিতে তারা আমাদের সাথে থাকবে এবং জনগণকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে যাবে।

উখিয়া থানার নবাগত ওসি আহমদ সন্জুর বলেন, থানায় এসে আমার সাথে সরাসরি কথা বলবেন, কোন মাধ্যম লাগবে না। সাধারণ ডায়েরি করতে কোন টাকা পয়সা চাইলে আমাকে জানাবেন। আর কোন ব্যক্তি মাদক কারবার ছেড়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আসতে চাইলে আমি তাকে সহযোগিতা করব। দূর্যোগে দুঃসময়ে আপনাদের পাশে থাকব।

সমাবেশের প্রধান অতিথি উখিয়া-টেকনাফের এডিসনাল এসপি মহোদয় বলেন, যারা মাদক কারবারি রয়েছেন আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আপনারা এই ঘৃণীত পেশা ছেড়ে দিয়ে সুস্থ পরিচ্ছন্ন সমাজ গড়ে তুলুন। এলাকার সচেতন অভিভাবকদের উদ্যেশে বলেন আপনারা আপনার ছেলে মেয়েদের প্রতি খবর নিন কোথায় যাচ্ছে, কি করছে। কথিত সোর্সকে উদ্দেশ্যে বলেন মাদকের সাথে সংশ্লিষ্টতা পেলে একচুলও ছাড় নয়। সংশোধন হয়ে যান। মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার আহবান জানান। তাদের বিরুদ্ধে অচিরেই চিরুনি অভিযান শুরু হবে ইনশাআল্লাহ ।
যদি আপনারা মাদক কারবারিদেরকে নির্মূল করতে সহযোগিতা না করেন তাহলে আপনারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সেই মাদকের বিষাক্ত ছোবলে আপনার আদরের সন্তানটি আপনার অজান্তে জড়িয়ে পড়বে।

বক্তারা আরও বলেন, ভালুকিয়া পালং শান্তির গ্রাম। এখানে কেউ সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত হয়ে গ্রামে অশান্তি সৃষ্টি করতে পারবে না।

চেয়ারম্যান খায়রুল আলম চৌধুরী জানায়, গত কয়েক বছর থেকে তাদের গ্রামের কিছু মাদক কারবারিদের সহযোগীতায় বাহিরের মদ্যপরা এসে গ্রামের সুস্থ পরিবেশকে বিনষ্ট করছে, এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশা রাখি। বহিরাগত মাদকাসক্তদের বিচরণে গ্রামবাসীর জীবন বিষিয়ে তুলেছে।
উক্ত সমাবেশে উখিয়া উপজেলা যুবলীগের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন ও রত্না পালং ইউনিয়নের ইউপি সদস্যগণসহ বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিক সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।