বিশেষ প্রতিনিধিঃটেকনাফ উপজেলা
বাংলাদেশ সরকারের ঘোষণা অনুপাতে টেকনাফ উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে আইডি কার্ড করার জন্য টেকনাফ উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নের যুবক-যুবতীরা ফাইল জমা দেয়,এই ফাইলগুলো তদারকি করে অনুমানিক ৩ মাস পর যাদের ফাইলের সব ডকুমেন্টস ঠিক আছে তাদের মোবাইল নাম্বারে এসএমএস পাঠিয়ে দেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে।পরে যুবক-যুবতীরা অফিস থেকে ফাইল নিয়ে ছবি উঠানোর জন্য যাওয়া শুরু করে, তারই ধারাবাহিকতায় আজ কিছু মানুষ ছবি করার জন্য আসলে তাদের থেকে টেকনাফ উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ের ফারুক নামের একজন সহকর্মী মানুষ থেকে ঘুষ নেওয়ার দাবি করে। তিনি বলেন,টাকা ছাড়া কোন ধরনের ফাইল দেওয়া যাবে না।কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন,ফাইল জমা দেওয়ার সময়ও টাকা নেওয়া হয়নি,বিধায় এখন টাকা ছাড়া ফাইল দেওয়া যাবে না। আর যারা টাকা ছাড়া ফাইল নেওয়ার চেষ্টা করে, তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি আর গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দেয়।পরে তাদের থেকে কারণ জিজ্ঞেস করতে চাইলে তারা উপরে উল্লেখিত তার কথাগুলো তুলে ধরে।স্থানীয়রা আরও বলেন,আমাদের সামনে ২ জন থেকে টাকা নেয় ৫০০ টাকা করে।তাদের মধ্যে একজন পুরুষ,নাম তার মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন যিনি বাহারছড়া ইউনিয়নের একজন শিক্ষার্থী,অন্য একজন হলেন মহিলা,নাম তার আকলিমা সে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নতুন পল্লান পাড়ার বাসিন্দা।পরে তাদের হাতে ফাইলগুলো দিলে তারা ছবি তুলে চলে আসে।
তারা বলেন,এইরকম হলে আমরা কিভাবে আইডি কার্ড করবো?যে আইডি ছাড়া দেশে চলাফেরা করা অসম্ভব,শুধু তা-ই নই,সবকিছু অসম্ভব হয়ে পড়ে,সে আইডি কার্ড করতে সরকারি ফি ছাড়া অন্যায়ভাবে জোরপূর্বক ঘুষ নেওয়া কে বেমানান বলে তীব্র নিন্দা জানিয়ে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার আবেদন করেন স্থানীয় মানুষেরা।কেন্দ্রীয় নির্বাচন অফিসার সহ কক্সবাজার জেলার নির্বাচন অফিসারের কাছে তারা আরও বলেন, যদি তাকে বরখাস্ত করা না হয় তাহলে আমরা কার্ড করবো না বলে দাবি জানান,স্থানীয়রা কেন্দ্রীয় নির্বাচন অফিসার সহ কক্সবাজার জেলার নির্বাচন অফিসারের সুদৃষ্টি কামনা করেন।