আলমগীর ইসলামাবাদী
চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও নগর সভাপতি আলহাজ জান্নাতুল ইসলাম বলেন, একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় সরকার দায় এড়াতে পারেন না। সরকারের মন্ত্রীবর্গের বক্তব্য ধর্ষকদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। ১০দিনে উল্লেখযোগ্য ৫টি ন্যাকারজনক ঘটনা মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে, আরো অপ্রকাশিত বহু ঘটনা গুন্ডাবাহিনীর ভয়ে আড়ালেই থেকে যাচ্ছে। তাই শুধু প্রতিবাদ নয়, এদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। রাতের ভোটে নির্বাচিত সরকার এসব ধর্ষক, গুন্ডা ও চোর-বাটপারদের পুষে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।
গতকাল ০৫ অক্টোবর’২০ সোমবার বিকাল ৪.৩০ টায় দেওয়ানহাট চত্বরে দেশব্যাপী ধর্ষণ ও নোয়াখালীতে গৃহবধূকে পাশবিক নির্যাতনের প্রতিবাদে ইসলমী যুব আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে নগর সভাপতি তাজুল ইসলাম শাহীনের সভাপতিত্বে আয়েজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত কথা বলেন।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অপরাধীদের গ্রেফতার করে, কিন্তু তারা আইনের ফাঁকফোঁকর দিয়ে বেড়িয়ে আসে। তাই অপরাধীরা আরো ভয়ংকর হয়ে উঠছে।
সভাপতির বক্তব্যে তাজুল ইসলাম শাহীন বলেন, শুধু ধর্ষকদের গ্রেফতার ও শাস্তিতে ধর্ষণ কমবে না, ধর্ষক সৃষ্টির উৎসপথ বন্ধ করতে হবে। ইন্টারনেটে অশ্লীল সাইট, ওয়েব সিরিজ নামে প্রাপ্তবয়স্কদের শয্যাদৃশ্য, নাটক সিনেমার নামে লিভ-টু-গেদার ও সমকামিতার চর্চা, বিজ্ঞাপনে নারীদের পণ্য বানানো বন্ধ করতে হবে। কর্মহীন যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে চরিত্রবিধ্বংসী অপকর্ম ও মাদকতা থেকে বিরত রাখতে হবে।
মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের উপদেষ্টা অধ্যাপক রফিকুল আলম, সহ-সভাপতি আবুল কাশেম মাতব্বর, সেক্রেটারি আল মুহাম্মদ ইকবাল, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সেক্রেটারি ইবরাহীম খলিল, নগর ইশা ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক এইচএম নাজিম উদ্দিন, ইসলামী যুব আন্দোলনের নগর অর্থ সম্পাদক সোলায়মান বাপ্পী, দাওয়াত ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক আসহাব উদ্দিন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ডা. দিদারুল ইসলাম, উপসম্পাদক মাহফুজুর রহমান, ইকবাল হোসাইনসহ নগর ও থানা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।