মঙ্গলবার , ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

দৌলতখানে ইউপি সদস্যর উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, ইউএনও বিচার ও অপসারণের দাবি

প্রকাশিত হয়েছে-

ভোলা প্রতিনিধি

 

ভোলার দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)মো. কাওসার হোসেন কতৃক ইউপি মেম্বার সহ তার ছোট ভাইয়ের উপর বে’আইনি ভাবে মারধর ও হামলার ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে,ও একজন জনপ্রতিনিধি ইউপি সদস্যকে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে এবং ইউএনও এর অপসারণ দাবিতে দৌলতখানে বিক্ষোভ করে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে সাধারণ জনগণ।

আজ বিকেলে এই ঘটনার বিচার ও প্রতিবাদ জানিয়ে দফায় দফায় এনিয়ে নিন্দা বিক্ষোভ এবং ঐ নির্বাহী কর্মকর্তার অপসারণের দাবি জানায় ভবানীপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা সহ দৌলতখান উপজেলার সাধারণ জনগন।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, গত ৭ই মার্চ রবিবার রাত আনুমানিক ১১ঘটিকায়, ভবানীপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি মেম্বার মোঃ মতিন ও তার ছোট ভাই মনির মাঝির উপর অমানবিক নির্যাতন করেন,দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাওসার হোসেন। বর্তমানে ইউপি সদস্য মতিন মেম্বার ও তার ভাই মনির মাঝি গুরুতর অবস্থায় দৌলতখান উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মুক্তিযোদ্ধা বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরে ঘটনার এক বর্ননায় হাসপাতালের চিকিৎসারত মো. মতিন মেম্বার অভিযোগ করে বলেন,গতকাল তার ভাইয়ের শ্বশুর লক্ষীপুর আলেকজান্ডার হওয়ায় মৃত্যুর সংবাদ শুনতে পেয়ে পরিবারের সবাইকে নিয়ে নদী পারহতে খেয়া যোগে যায়। পরে ফেরার পথে তার ছোট ভাই মনির সহ এক প্রতিবন্ধীকে আটক দৌলতখান খালে ইউএনও নেতৃত্বে আটক করে দৌলতখান উপজেলার দায়িত্বরত কয়েকজন আনসার সদস্যরা।
এসময় তারা ইউএনও এর কাছে খেয়া পাড়ের ঘটনা খুলে বলে। তবে কোন পিছু উপেক্ষা নাকরে দায়িত্বরত ঐ ইউএনও নেতৃত্বে আনসার সদস্যগণ ইউপি সদস্যর ভাইকে বেধড়ক মারধর করে উপজেলায় নিয়ে যায়। এদিকে উক্ত ঘটনা শুনে ৭ নং ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য মতিন মেম্বার ঘটনাস্থলে পৌছে উপজেলার নির্বাহীকে মারধরের ঘটনাটি জিজ্ঞেস করলে বা তাদের উপর কেন এ হামলা এবং তার অপরাধ ব্যাখার কারন জানতে চায়। তবে একপর্যায়ে ইউএনও কোন কারন ব্যখ্যা নাকরেই তার উপরেও ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি সদস্য মতিন মেম্বারকেও আনসার বাহিনী কতৃক ব্যাপক মারধর করে। মারধরের ফলে তার ডান হাত ভেংগে যায় এবং রক্তাক্ত অবস্থায় দৌলতখান থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার কথা বলে,তবে এঘটনা শুনে স্থানীয় জনগন ও ইউনিয়নের অন্যন্য ইউপি সদস্যসহ সাধারণ জনগনের তোপের মুখে পরলে ঐ নির্বাহী কর্মকর্তা তার সরকারি গাড়ি থেকে তাদের নামিয়ে দিয়ে স্থান ত্যাগকরে চলে যায় বলে জানায় তারা।

এদিকে এমন অন্যায় ও ন্যাক্যারজনক ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে দৌলতখান উপজেলার শতশত বিক্ষুব্ধ জনগণ রাস্তায় নেমে পড়েন। এবং দফায় দফায় মিছিল নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সড়ক অবরোধ করে রাখেন।উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে স্থানীয় ইউএনও সহ উপজেলার আনসার সদস্যদের অপসারণ দাবি করেন।এসময় অভিযোগ তারা অভিযোগ করে বলেন, প্রায় সময়ই তুচ্ছ কারণ দেখিয়ে সাধারণ জনগণের ওপর চাড়াও হন উপজেলার এই নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে একজন স্থানীয় ইউপি সদস্যকে এভাবে নির্যাতনের ঘটনা নিন্দনীয় ও বে-আইনি অপরাধ এর শামিল। তারা অভিযোগ করে বলেন এর আগেও তিনি কারণে-অকারণে অনেক নিরপরাধী সাধারণ মানুষকে জেল-জরিমানা এমনকি চর-থাপ্পর মারতেও কখনো ভাবে নাই যাহা সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার বলে তাদের দাবি। তাই একজন নির্বাহী সরকারি কর্মকর্তা এমন আচরণ ও অন্যায়ের প্রতিবাদে, সাধারণ জনগন তার বিচার অপসারণ দাবি জানায়। এবং ইউএনও কতৃক ইউপি সদস্য উপর হামলার ঘটনায় বিচারের দাবিতে তারা ভোলা দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন উপজেলার মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আলী আজম মুকুল সহ ভোলা জেলা প্রশাসকের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন বিক্ষুব্ধ এ জনতা।

এদিকে উক্ত ঘটনার সসত্যতা জানতে ও অভিযোগের ভিত্তিতে দৌলতখান উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার কাওসার হোসেনকে একাদিক বার যোগাযোগ করতে এবং তার সরকারি ও ব্যক্তিগত মোবাইলে ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।তাই এবিষয়ে তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্বব হয়নি।।