বৃহস্পতিবার , ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - শীতকাল || ২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

দ্রব্যমূল্য সিন্ডিকেট কারসাজিতে অসহায় জনগন বাণিজ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করলেন সুজন

প্রকাশিত হয়েছে-

আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

দ্রব্যমূল্য সিন্ডিকেটের কারসাজিতে পড়ে জনগন অসহায় হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির হস্তক্ষেপ কামনা করলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। আজ রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ইং) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি রোধে বাণিজ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এসময় তিনি বলেন দেশের অতি ব্যবহৃত ভোগ্যপণ্যগুলো গুটি কয়েক বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের নিকট জিম্মি হয়ে পড়েছে। তারাই সিন্ডিকেট করে পণ্য আমদানি করে এবং ইচ্ছেমতো দাম নির্ধারণ করে। ফলত কয়দিন পর পর বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়তে থাকে। আর প্রায়শই ভোগ্যপণ্য বৃদ্ধির মাশুল গুণতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের। এভাবে দাম বৃদ্ধির ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ক্রমশ সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। ফলত অসহায় হয়ে পড়েছে জনগন। প্রায়শই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির সাথে ব্যবসায়ীদের কারসাজির অভিযোগ পাওয়া যায়। তারা করোনা সংকট এবং আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির কথা বলে দেশি বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধি করলেও দেখা যায় যে যেসব পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়েনাই সেসব পণ্যের দামও বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সুতরাং এর পেছনে যে অবশ্যই সিন্ডিকেটের কারসাজি আছে তা বাজার সংশ্লিষ্ট সকলেই অবগত রয়েছেন। কিন্তু এসব অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না বলে তারা প্রায়শই দামবৃদ্ধি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায়। তাদের উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ স্পষ্ট।

তারা ছলে বলে কৌশলে কয়দিন পর পর অযথা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে সরকারের সাথে জনগনের দুরত্ব সৃষ্টির অপপ্রয়াসে লিপ্ত রয়েছে। এ দুষ্টচক্রকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব সরকারের। করোনা মহামারীকালীন সময়ে বিগত দুই বছর ধরে মানুষের আয় রোজগার খুবই সীমিত হয়ে পড়েছে। মধ্যবিত্ত শ্রেণী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ কোনভাবে খেয়ে পড়ে জীবিকা নির্বাহ করছে। এ অবস্থায় কোন প্রকার কারণ ছাড়াই যদি দফায় দফায় বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকে তাহলে জনগন যাবে কোথায় সে প্রশ্ন রাখেন সুজন। তিনি আরো বলেন আমরা বিশ্বাস করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার জনগনের সরকার। বাণিজ্যমন্ত্রীর নিকট অনুরোধ থাকবে আপনি অবশ্যই জনগনের পক্ষে থাকবেন।

যে কোন মূল্যে ভোগ্যপণ্য সিন্ডিকেটের রাঘববোয়ালদের ধরতে হবে। সেই সাথে সার্বক্ষণিকভাবে বাজারকে মনিটরিং করতে হবে। পণ্যের দাম বৃদ্ধির পর দৌড়ঝাঁপ না করে যাতে দাম বৃদ্ধি না হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। দেখা যাচ্ছে যে আসন্ন রমজানের পূর্বেই তারা কায়দা করে রমজানে ব্যবহৃত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য এখন থেকেই বৃদ্ধি করা হচ্ছে। রমজানে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার তদারকি এবং ভ্রাম্যমান আদালতের নজরদারি থাকে বিধায় তারা আগেভাগেই দাম বৃদ্ধি করে তাদের আখের গোছাতে শুরু করেছে। পবিত্র রমজান মাসে ব্যবহৃত পণ্যসামগ্রীর দাম যাতে কোনভাবেই বৃদ্ধি না হয়, জনগন যাতে নিশ্চিন্ত মনে সিয়াম সাধনা করতে পারে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য বাণিজ্যমন্ত্রীর নিকট সবিনয় অনুরোধ জানান তিনি।

খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন এই করোনাকালীন সময়েও বিভিন্ন সেবা সংস্থা যেমন: গ্যাস, বিদ্যুৎ এবং পানির দাম বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করছে। যার ফলে আতংকিত হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষ। এভাবে দফায় দফায় দাম বৃদ্ধির ঘোষণায় জনগন সত্যিকার অর্থেই উৎকন্ঠিত। আবার অন্যদিকে পর্যাপ্ত সরবরাহের কথা বলে দাম বৃদ্ধি করা হলেও দেখা যায় যে জনগন কাংখিত সুফল ভোগ করতে পারছে না।

তাই কোন প্রকার অজুহাতে যাতে গ্যাস, বিদ্যুৎ এবং পানির দাম বৃদ্ধি করা না হয় সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীরও আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন সুজন।